"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #২১৬ [ তারিখ : ১১-০২-২০২৪]
বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @ronggin
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের নামঃ সুবীর বিশ্বাস রঙ্গিন । জাতীয়তাঃ ভারতীয়। বর্তমানে তিনি ভারতের কলকাতায় বসবাস করেন। পেশাঃ ছাত্র। প্রাথমিক শিক্ষা মানবতা শিক্ষাতন হাই স্কুল থেকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বারাসাত পিসিএস গভর্নমেন্ট হাই স্কুল থেকে শেষ করেছেন। রিসেন্টলি তিনি আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজ থেকে মৎস্য বিজ্ঞানে বিএসসি অনার্স করে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন। শখঃ- ফটোগ্রাফি, কনটেন্ট রাইটিং, ট্রাভেলিং এবং আর্ট । স্টিমিট ক্যারিয়ারঃ মার্চ, ২০২২ সালে তিনি স্টিমিটে যুক্ত হন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হন ২০২২ সালের মে মাসের ৩০ তারিখে।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :
শৈশবের স্মৃতিচারণ : ঠাকুরদার প্রতি ভালোবাসা। by @ronggin (date 11.02.2024 )
বর্তমান যুগে শহরের অনেক বাচ্চারা ঠাকুরদা-ঠাকুরমার ভালোবাসা কি জিনিস তা জানেই না। আর তার কারণ হলো আজ বেশিরভাগ পরিবার নিউক্লিয়াস হয়ে গেছে। অর্থাৎ শুধু বাবা মা এবং দু একটি বাচ্চা। সেখানে বেশিরভাগ সময়েই দাদু ঠাকুমার জায়গা হয় না কিংবা অনেকে তাদেরকে নানান অজুহাতে পাঠিয়ে দেন বৃদ্ধাশ্রমে। যার ফলে বাচ্চারা ঠাকুরদা-ঠাকুরমা ছাড়াই বড়ো হয়। এখন পরিস্থিতি এমনই বদল হয়ে গেছে যে একটা সময় আমরা যেখানে ঠাকুরমা এবং ঠাকুরদার কোলেই সবাই মানুষ হয়েছি সেখানে এখন ঠাকুরমা ঠাকুরদার সাথে বছরে একটা দিনও কাটানো অনেক বড়ো বিষয়।
এই রকম সময়ে রঙিন ভাইয়ের পোস্ট পড়ে তখন সত্যিই একটা ভালো লাগা কাজ করলো। বর্তমানে সভ্যতার যাঁতাকলে সম্পর্কগুলো যখন আলগা হয়ে যেতে বসেছে সেখানে ঠাকুরমা-ঠাকুরদা আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পালন করতে সক্ষম তা রঙিন ভাইয়ের ছোটোবেলার স্মৃতি থেকে বোঝা যায়। একজন নাতি কিংবা নাতনির সাথে ঠাকুরমা-ঠাকুরদার সম্পর্ক যে কতটা মধুর হতে পারে, কতটা ভালো হতে পারে সেটা আজকের পোস্টটা পড়লেই আপনারাও জানতে পারবেন।
আমাদের সমাজের পরিস্থিতি কেন জানিনা খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হয়ে গেলো তবে আমার মনে হয় একান্নবর্তী পরিবারগুলোতে বাচ্চারা অনেক ভালোভাবে মানুষ হতে পারে। ঠাকুরমা-ঠাকুরদার কোলে হেসে খেলে জীবনে চলার প্রাণশক্তি আরো বেশি করে পেয়ে ছুটে চলতে পারবে।
আজকের ফিচার্ড আর্টিকেলে রঙ্গিন ভাইয়ের একটি পোস্ট হাইলাইটস করা হয়েছে।তার পোস্টটি ছিল মূলত একটি জেনারেল রাইটিং।সে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে জেনারেল রাইটিং টি লিখেছেন। রঙ্গিন ভাই কে অভিনন্দন।
চেষ্টা করেছি ভাই, জমে থাকা স্মৃতি গুলোকে সুন্দর করে গুছিয়ে বলার জন্য।
ডাই পোস্ট কিংবা রেসিপি পোস্ট গুকোকে ছাড়িয়ে যখন কোন জেনারেল রাইটিং পোষ্ট ফিচার্ড আর্টিকেল এ স্থান পায়, তার মানে সেই পোস্ট টি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে! সেটি আমি অবশ্যই গিয়ে পড়ি, কোন দিনই বাদ দেই না। যেমনটি এখনও রঙিন দাদার পোস্ট টি আগে পড়ে এসে এখন কমেন্ট করলাম। পোস্ট টি পড়ে আসলেই বেশ ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করছে। দাদু যে কী মায়া, যারা কাছে পেয়েছে, তারাই জানে!
একদম ঠিক কথা দিদি। এটা যে কত বড় একটা সম্পদ যাদের আছে তারাই জানে।
আমি সত্যিই মন থেকে অনেক খুশি আমার এই পোস্টটিকে ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে বাছাই করা হয়েছে সেই জন্য। ভালোবাসার এই মাসে, ঠাকুরদার প্রতি নাতির যে ভালোবাসা সেটাকেই হাইলাইটস করা হয়েছে মূলত এই পোস্টটির মাধ্যমে। আমার ঠাকুরদা সত্যিই আমার কাছে সবকিছু ছিল। এখন তিনি আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তারপরেও তার প্রতি আমার যে ভালোবাসা তা একটুও কমে যায় নি কোনো দিনও।
আজকের এই ফিচারড আর্টিকেল পোস্টে রঙ্গিন ভাইয়ার এই পোস্ট দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করার সময় উনার এই পোস্ট পড়েছিলাম। ওনার এই পোস্টে কমেন্ট ও করা হয়েছে। নিজেদের ঠাকুরদাকে নিয়ে অনেক সুন্দর করে এই পোস্টটা লিখেছে। উনার এই পোস্ট ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে সিলেক্ট করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আজকের ফিচার্ড আর্টিকেলে রঙ্গিন ভাইয়ার পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। যদিও এই পোস্টটি আমার আগে পড়া হয়নি তবে এখন পড়ে বেশ ভালো লাগলো।রঙিন ভাইয়া আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির অনেক ভালো একজন ইউজার। ভাইয়ার পোস্টটি জেনারেল রাইটিং ছিল খুব সুন্দরভাবে লিখে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।এই পোস্টটি ফিচারড আর্টিকেলে মনোনীত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের ফিচার্ড আর্টিকেল টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। রঙ্গিন ভাইয়ার পোস্টটি সিলেক্ট করা হয়েছে।তিনি সবসময় আমাদের মাঝে সুন্দর ব্লগ উপহার দিয়ে থাকেন।ভালো লেগেছে পোস্টটি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দারুন একটি ছোট বেলার স্মৃতিচারণ করলেন রঙ্গিন ভাই। ছোট বেলার স্মৃতি গুলো সব সময় মধুর হয়। যেহেতু আমরা ছোট থাকি তাই আমাদের বয়স্ক জনেরা আমাদেরকে অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প শোনাই। তাছাড়া আমাদের জীবনে তাদের প্রভাব অনেক বেশি। এমন সুন্দর একটি পোস্ট ফিচারড আর্টিকেলে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে।
রঙ্গিন ভাইয়ের এই পোস্টটাতে আমার কমেন্ট করা হয়েছিল। আর এখন উনার এই পোস্ট ফিচারড এ দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। নিজের ঠাকুরদার প্রতি ভালোবাসা টাকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে। আসলে আমরা সবাই কাউকে না কাউকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আপনার জীবনে সবার প্রথমে ছিল ওনার ঠাকুরদা। ফিচার্ড আর্টিকেল হিসেবে পোস্টটা মনোনীত করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।