"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #০৭ [তারিখ : ০৯-০৭-২০২৩]
গত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়েছে আর আজ ৯ জুলাই ২০২৩ এর আর্টিকেল পাবলিশ করা হলো । এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @monira999
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের নাম- মনিরা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী শখ- পেইন্টিং করা এবং বাগান করা। বৈবাহিক অবস্থান- বিবাহিতা(সন্তান নেই)।শিক্ষাগত যোগ্যতা- মাস্টার্স ডিগ্রী কমপ্লিট। স্টিমেট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু- ২০২১ সালের জুলাই মাসে স্টিমিটে জয়েন করেছিলেন।বর্তমানে তার মোট ব্লগিং ক্যারিয়ারের বয়স দুই বছর দুই দিন।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :
গল্প-তোমার শূন্যতা by @monira999 by.• 08 July 2023||
ক্রিয়েটিভ রাইটিং সেক্টরটির অন্যতম একটি ক্রিয়েটিভ ব্যাপার হলো গল্প লেখা। আসলে আমরা সব সময় কোনো না কোনো গল্পের মাঝে থাকি। সেটা হোক আমাদের নিজের দৈনন্দিন জীবন কিংবা কোনো নাটক কিংবা কোনো উপন্যাস। আমাদের সবকিছু ঘিরেই একটা গল্প থাকে। আর সেই গল্পগুলোকে কিছু কিছু লেখক এতো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলে যা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো হয় না অর্থাৎ গল্প পড়ে একটা ভালোলাগা খুব কাজ করে।আর আমরা যতোই গল্প, উপন্যাসের বই পড়ি না কেনো। প্রায় প্রতিটা গল্পই কিন্তু আমাদের সমাজের কোনো না কোনো একটা চিত্রকে ধারণ করে। তাই সমাজের চিত্রকে গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাটা খুবই ক্রিয়েটিভ একটা ব্যাপার এবং গল্প পড়া যতোটা সহজ, গল্প লেখা কিন্তু ঠিক ততোটাই কঠিন।
আজকে আমার বাংলা ব্লগের পোস্টগুলো চেক করার সময় আমাদের কমিউনিটির ভেরিফাইড ব্লগার মনিরা ম্যাডামের এই গল্পটি আমার হুট করেই চোখে পরে আর গল্প কিংবা কোনো জেনারেল রাইটিং পড়তে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। তো গল্পটা পড়ে আসলে মনের মধ্যে খুব ভালো লাগা কাজ করে, সে সাথে খারাপ লাগা ও, কারণ গল্পটা বেদনার। লেখক গল্পের মাধ্যমে আমাদের সমাজের একটি বাস্তব চিত্রকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এবং যে চিত্রটা আমাদের সমাজের খুব ভয়াবহ একটি চিত্র।
"শূন্যতা নামক শব্দটি খুবই ছোট। কিন্তু সেই শব্দের গভীরতা শুধু সেই উপলব্ধি করতে পারে যে এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়। তেমনি নিলয় নিজের ভেতরের শূন্যতা অনুভব করতে পারছে।"
গল্পের প্রথমেই যে বিষয়টা আমার খুব ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে খুব হুট করেই গল্পটা শুরু হয়ে যায়নি। গল্পের প্রথমে যে গল্পের মাঝে শূন্যতার যে বিষয় রয়েছে। সেই শূন্যতা নিয়েও কিছুটা লেখা রয়েছে।
"তারা হয়তো জানেও না তাদের এই সম্পর্ক পরিণতি পাবে কিনা। কারণ সুপ্তি ছিল ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। অন্যদিকে নিলয় মুসলিম পরিবারের ছেলে। তবুও তারা কোন কিছু না ভেবে ভালোবেসেছিল।"
আমাদের সমাজে এই ধরনের চিত্র হর হামেশাই দেখা যায়। অর্থাৎ যখন দুজন দুজনের ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ে। তখন তারা সব সময় চেষ্টা করে যে কোনোভাবেই হোক তারা যেনো এক হতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজ তা মেনে নিলেও একটা ব্যাপার কখনোই খুব একটা মেনে নেয় না। তা হলো দুইটা ধর্মের মানুষ যখন একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে। আসলে ভালোবাসা কখনোই কোনো কিছু দেখে হয় না। তাই যখন দুটো মানুষ দুটো মানুষের প্রেমে পরে তখন তারাও খুব একটা খেয়াল করে না যে তারা আসলে কোন ধর্মের কিংবা একই ধর্মের কিনা।কারণ তখন তারা শুধু নিজেদের ভালোবাসা নিয়েই ভাবে।
তাদের ধর্ম নিয়ে তাদের খুব একটা সমস্যা হয় না। যাদের সমস্যা হয় তারা হলো আমাদের সমাজ। আর আমাদের সমাজ ওই দুইটা মানুষকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে যে কোনো মূল্য দিতে রাজি হয়ে যায় এবং তারা দেয়ও। আর এসবের বলি হয়ে যায় ওই ভালোবাসার প্রাণ গুলো।এই গল্পেও ঠিক তাই ফুটে উঠেছে।
দুজন দুজনকে ভালোবাসলো, দুজন দুজনের জন্য নিজের সবকিছু দিয়ে দিলো। কিন্তু একটা রোগ এবং পরিবারের হাত ছেড়ে দেওয়া তাদের একসাথে থাকতে দিলো না।আর এটাই আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র। আমাদের সমাজে এমন অহরহর ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আমাদের চোখের সামনেই। কিন্তু আমরা কোনো কিছুই করতে পারছি না। যা আজকে লেখক এই গল্পটিতে খুব সুন্দর ভাবে প্রতিফলিত করেছেন।
গল্পের শেষটায় একটা কালো ছায়ার প্রতিফলন।কালো ছায়াটা হলো কষ্টের, বিষাদের এবং শূন্যতার। যে শূন্যতা কখনোই পূরণ করার মত নয়। সবমিলিয়ে খুব ভালো একটা গল্প আমাদের উপহার দিয়েছেন। সে সাথে পোস্টের মার্কডাউন,গল্পের কোয়ালিটি,সংখ্যা,বানান সব কিছুই ভালো ছিলো তাই জন্যে মনিরা ম্যাডামকে জানাই ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা গল্প কমিউনিটির সাথে শেয়ার করার জন্য।
গল্প লিখতে আমার খুবই ভালো লাগে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় গল্প অনেকেই পড়তে চায় না। আবার দেখা যায় গল্পের পোস্টে কমেন্টসের সংখ্যা খুবই কম থাকে। তখন ভীষণ খারাপ লাগে। আসলে যখন গল্পের পোস্টে কমেন্টের সংখ্যা কম থাকে তখন হতাশায় পড়ে যাই। নতুন গল্প লেখার প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। যখন পাঠক গল্প পড়ে সুন্দর মতামত প্রকাশ করবে কিংবা ভুলগুলো ধরিয়ে দিবে তখন গল্প লিখার প্রতি নতুন ভাবে আগ্রহ তৈরি হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই গল্পটির বিষয় বস্তু এত সুন্দর করে বিশ্লেষণ করার জন্য এবং অনেক সুন্দর করে প্রশংসা করার জন্য।♥️♥️♥️
মনিরা আপুর পোস্ট ফিচার্ড আর্টিকেল হিসেবে বাছাই করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপু খুব ভালো মানের একজন ব্লগার। আপু সবসময়ই দারুণ দারুণ পোস্ট আমাদেরকে উপহার দিয়ে থাকেন। আপুর শেয়ার করা গল্প গুলো প্রায়ই আমি পড়ে থাকি। তবে এই গল্পটি এখনো পড়া হয়নি আমার। অবশ্যই পড়ে নিব এই গল্পটি।
গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে মুনিরা আপু দারুণ দারুণ পোস্ট শেয়ার করে থাকে। তার রেসিপি পোস্ট বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি খুব সুন্দর হয়। তিনি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির দক্ষ একজন মেম্বার আজকের এই গল্পটি সত্যি মুগ্ধ করেছে আমাকে।
গল্পটি অনেক দারুন ছিল। মনিরা আপু খুব সুন্দর গল্প লিখেন। আপুর রেসিপি পোস্ট ও অংকন অনেক সুন্দর হয়।মনিরা আপুর পোস্ট ফিচার আর্টিকেলে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
আজকের ফিচারড আর্টিকেল এর মাধ্যমে মনিরা আপুর লেখা তোমার শূন্যতা গল্পের যথার্থ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে মনিরা আপুর লেখা তোমার শূন্যতা গল্পটি নিঃসন্দেহে চমৎকার একটি গল্প ছিল।
মনিরা আপু সত্যি অনেক ভালো গল্প লেখেন। মনিরা আপুকে আজকের ফিচারড আর্টিকেলে বাছায় করা দেখে অনেক ভালো লাগল। তিনি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির জন্য গর্ব।
আরে আজকে তো দেখছি আমার সবচেয়ে কাছের মানুষটির পোস্ট ফিচার আর্টিকেলে নিয়েছে দাদা। আসলে এক সাথে কাজ করতে করতে কমিউনিটির যে সকল ইউজার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে তার মধ্যে আপুও একজন। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে যোগ্য লোকের যোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য।