কলমি শাক ও ফুলের ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা
নমষ্কার ও আদাব ৷ আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন ৷ আমি ও আপনাদের দোয়ায় আর্শীবাদে অনেক ভালো আছি ৷
চলে আসলাম কলমি শাকের ফুলের ফটোগ্রাফি ৷ আর কলমি শাক আমাদের গ্রাম অঞ্চলের একটি অতি পরিচিতি শাক ৷ এই কলমি শাক গ্রামের মানুষেরা সাধারনত ভাজি বা ঝোল খেয়ে থাকে ৷ আর বিশেষ করে বর্ষার সময়ে কলমি শাক রোপন করা হয়ে থাকে ৷
কলমি শাকের গ্রাম অঞ্চলে তেমন চাহিদা না থাকলেও গ্রামের কিছু মানুষ শাকের অভাবে বা তরিতরকারি অভাবে এই কলমি শাক রোপন করে কিছু শাকের চাহিদা মেটাতে থাকে ৷ তাছাড়াও টুকিটাকি কলমি শাক চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে কিছু টাকা লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
গ্রামের অনেক মানুষ রয়েছে যারা টাকার অভাবে বেশি মূল্যের শাক কিনতে পারে না ৷ তারাই সাধারনত এই কলমি শাক গুলো বাড়ির আশে পাশে ফাকা জায়গাগুলোতে চাষ করে থাকে ৷ বর্ষা কালে এই শাকগুলো সবুজ এবং ডগডগা হয়ে থাকে ৷ আর এমনিতেও সবুজ শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে ৷
আমাদের গ্রাম অঞ্চলে অনেক মানুষ রয়েছে ৷ যারা দৈনিক পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে ৷ তারা আসলে ভালো মন্দ শাকসবজি তেমন ভাবে খেতে পারে না ৷ কারন তারা দৈনিক যে টাকা ইনকাম করে থাকে সেটা দিয়ে পরিবারের খরচ চালানো তেমন ভাবে সম্ভব হয় না ৷
তারা প্রতিদিন ইনকাম করে থাকে না ৷ কারন তাদের শরীর সবসময় ভালো থাকে না কখনও কখনও তারা অসুস্থ হয়ে পরে ৷ আবার দেখা যায় ঝড় বৃষ্টির মধ্যে তাদের কাজে যাওয়া আর হয় না ৷ সেক্ষেত্রে তারা প্রতিদিন যে ইনকাম করবে সেটা তাদের হয়ে থাকে না ৷ যার জন্য জমানো কিছু টাকা দিয়েই তাদের সংসার চালাতে হয় ৷ তাই তারা বাড়ির আশেপাশে নানা ধরনের শাক চাষাবাদ করে থাকে ৷
কলমিতে জমি চাষ পদ্ধতি
প্রথমত মাটি টা অবশ্যই দোঁআশ মাটি হতে হবে বা দোঁআশ মাটি না হলেও চলবে তবে দোঁআশ মাটি হলে খুবই ভালো হয় ৷ তারপর মাটি টি কে ৫ থেকে ৬ বার চাষ করতে হবে ৷ তারপর মই দিয়ে মাটি টি কে ভালো ভাবে ঝুরঝুরা করতে হবে ৷ এবং সমান ভাবে মই দিতে হবে ৷ সাধারনত ঝুরঝুরা মাটিতে কলমি চাষ ভালো হয়ে থাকে ৷
তারপর বীজ গুলো বপন করতে হবে ৷ এই কলমি শাকের বীজ আবার ছিটিয়ে বা লাইন করে বপন করা যায় ৷ একটি বীজ থেকে আরেকটি বীজের দুরত্ব নূন্যতম ২০ সেন্টিমিটার দুরত্ব দিতে হবে ৷ তাহলে কলমি শাকের বীজ গুলো ঠিকঠাক ভাবে গজিয়ে থাকবে ৷ এবং গাছ গুলো বেশ মোটাতাজা হয়ে উঠবে ৷ রোগ বালাইের সংখ্যা খুবই কম দেখা যাবে ৷
জমির শতাংশ প্রতি টি এস পি সার ৫০০ গ্রাম তারপর পটাশ ইউরিয়া সার ৫০০ গ্রাম এর মত করে দিতে হবে তারপর গোবর সার পরিমাপ মত দিতে হবে ৷ তারপর পানি সেচ ব্যবস্থা রাখতে হবে ৷ এবং প্রথমত ১ বার ভালো ভাবে আগাছা গুলো পরিষ্কার করে দিতে হবে ৷ যদি কোন ধরনের রোগ বালাই দেখা যায় তাহলে কৃষি পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ৷
কলমি শাকের উপকারিতা
কলমি শাকে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে ৷ এক কথায় যে ধরনের সবুজ শাকে ভিটামিন প্রচুর থাকে ৷ তারপর কলমি শাক বসন্ত রোগের জন্য খুবই উপকার করে থাকে ৷
এই কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারে আসে ৷ তারপর যদি জন্মের পর কোন বাচ্চা তার মায়ের বুকের দুধ না পেয়ে থাকে তহলে এই কলমি শাক খাওয়ালে মায়ের দুধ বৃদ্ধি পাবে ৷
সাধারনত কলমি শাকে আঁশ থাকে অনেক বেশি যার কারনে এটি খাদ্য হজমে পর্যাপ্ত পরিমানে কাজ করে থাকে ৷ রাতকানা রোগের জন্য কলমি শাক খুব কাজ করে থাকে ৷ তারপর মাথার খুশকি দুর করতে সাহায্য করে থাকে এই কলমি শাক ৷
এই ছিল আজকের কলমি শাকের কিছু তথ্য সংক্রান্ত আলোচনা ৷ সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন সবাই ৷
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
কলমি ফুলের ফটোগ্রাফি এবং কলমি চাষ পদ্ধতি নিয়ে,, আপনি বেশ সুন্দর একটা টপিক আজকে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন! আসলে আমি যতদূর মনে করি! কলমি শাক চাষ না করলেও কিন্তু,, আমাদের ডোবার যে সকল জায়গায় রয়েছে! সেগুলোর মধ্যে অনায়াসে সেগুলো দেখা যায়।
আর কলমি শাক এর উপকারিতা! যেটা হয়তোবা অপিসীম! যা বলে শেষ করা যাবে না! বিশেষ করে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে।
অসংখ্য ধন্যবাদ কলমি ফুল, কলমি চাষ পদ্ধতি এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে,, এত সুন্দর একটা বিষয় আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভাল থাকবেন।
আপনি কলমি শাক এর ফটোগ্রাফি এবং কলমি শাকের উপকারীতা ও কলমি শাক চাষ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন তা পড়ে খুব ভালো লাগল ।
কলমি শাক পানিতে বা ভেজা মাটিতে জন্মে থাকে। এই শাক চাষের জন্য বেশি যত্নেরও দরকার হয় না।কলমি লতা বন্যা ও খরা সহনীয় বলে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। কোথাও কলমি লতা রোপণ করলে কিংবা গজালে অল্পদিনের মধ্যেই ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়।এক সময় বিল-জলাশয়-ডোবায় কোনো প্রকার পরিচর্যা ছাড়াই কলমি লতা বেড়ে উঠত। এখন কলমি শাক বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হয়। বাজারে এই শাকের চাহিদাও অনেক। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন ভাই।
ভাই যেগুলো ডোবায় হয় ঐ গুলো অন্য জাতের কলমি ঐ গুলো খাওয়া যায় না তবে খড়ির গাছ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর ভাবে আপনার মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য
Amigo en esta publicación e aprendido mucho sobre el cultivo de Kalmi, no lo había escuchado, es una flor muy bonita y tiene muchos beneficios para nuestra salud. Saludos y bendiciones.🤗
Thank you so much friend 🙏