একটি পুকুরের ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা নমষ্কার ও আদাব ৷ আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন ৷ আমি ও আপনাদের দোয়ায় আর্শীবাদে অনেক ভালো আছি ৷
আমি চলে আসলাম আরো একটি নতুন ফটোগ্রাফি নিয়ে আশা করে থাকি অনেক ভালো লাগবে ৷ তাহলে চল শুরু করা যাক ৷
আমাদের বাড়ির পাশে একটি কান্দর রয়েছে ৷ মধ্য কান্দরে আমাদের জমি রয়েছে ধানক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম ৷ পানি নেওয়ার জন্য সিরিয়াল নিতে হয় আমার সিরিয়াল ছিল একজনের পর ৷ ততক্ষনে ভাব কি করা যায় আর এই বিশাল পুকুরটি ছিল কান্দরের মাঝখানে ভাবলাম এই পুকুরটিতে একটু ঘুরে আসি ৷
এই পুকুরটিতে এসে অনেক কিছু দেখতে পেলাম বেশ ভালোই লাগছে এই জায়গা টির পরিবেশ ৷ সাধারনত এই পুকুরটি দেওয়ার উদ্দেশ্যে রয়েছে ৷ কান্দরের মাঝখান থেকে ধান চাষ করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যায় ৷ আবার দেখা যায় বর্ণার সময় ডুবে থাকার কারনে ধান চাষ সব নষ্ট হয়ে যায় ৷ এতে করে কৃষেকর অনেক টাকা লোকসান হয়ে যায় ৷
কষ্ট করে যদি ফসল বাড়ি নিয়ে না যাওয়া হয় তাহলে এটা কত কষ্টের সেটা কৃষকেরাই ভালো বুঝে ৷ এত কিছু ভেবে তারা এই বিশাল পুকুরটি খনন করে দেয় ৷ এই পুকুরে মাছ চাষ করে থাকে ৷ এই জমির পরিমান ৭ বিঘার মত হবে ৷ পুকুরের চার পাশে অনেক বড় করে আইল বাধা রয়েছে যেন বর্ষাকালে আইল গুলো ভেঙে না পড়ে ৷
মাছ চাষ করে এবং সেই মাছ বড় করে বিক্রি করে দিয়ে অনেক অর্থ উপার্জন করার পদ্ধতি বের করেছে ৷ এভাবেই তারা তাদের পদ্ধতি গুলোকে সফল করার চেষ্টা করেছে ৷ কারন এই পুকুর টি খনন করতে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল তাদের ৷
হাঁস পালন:
তারপর আপনারা দেখতেই পারতেছেন পুকুরের ওপর পাশে একটি টিনের ঘর রয়েছে ৷ সেই ঘরে তারা অনের হাস পালন করে থাকে ৷ পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস পালন করতেছে তারা তারা সব হাঁস গুলো বিক্রি করে দিয়েছে ৷ কয়েকদিন পর তারা আবার অনেক হাঁসের বাচ্ছা নিয়ে আসবে ৷
ছোট হাঁসের বাচ্ছা নিয়ে এসে লালন পালন করে বড় করে আবার তারা সেই হাঁস গুলোকে বিক্রি করে দিবে ৷ এবং সেই হাঁস গুলো থেকে তারা অনেক ডিম ও পাবে ৷ তারা তাদের এই উদ্দেগ নিয়ে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবে ৷ এভাবেই মূলত তারা কাজ করে যাচ্ছে ৷
মরিচ চাষ:
আপনারা দেখতেই পারতেছেন পুকুরের পাশে আইল গুলোতে তারা মরিচের গাছ লাগিয়েছে ৷ আর বর্তমানে মরিচের অনেক দাম রয়েছে ৷ যেখান থেকে তারা মরিচ বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবে ৷
এই খানে মরিচ গাছ লাগানো উদ্দেশ্যে এই মরিচের গাছ বর্ষাকালে পানি থেকে মুক্তি পাবে ৷ কারন বর্ষাকালে মরিচের ক্ষেত পানি জমে থাকার করনে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যায় খুবই তারাতারি ৷ যার ফলে তারা উচু জায়গায় মরিচের গাছ রোপন করেছে ৷
সুপারি চাষ:
সব ধরনের পাশাপাশি তারা পুকুরের আইলের ধারে সুপারি গাছের চারা লাগিয়েছে ৷ কমপক্ষেও ৫০০ সুপারির গাছ লাগানো হয়েছিল ৷ এই ৫০০ সুপারি গাছ থেকে যদি ১ পন করে হলেও ৫০০ পন সুপারি তারা সিজিনে বিক্রি করতে পারবে ৷ এতে করে দেখা যাবে তারা অনেক টাকা আয় করতে পারবে ৷
তাছাড়াও সুপারির অনের দাম থাকে ৷ আবার সুপারি অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় ৷ পাকা পাকা সুপারি গুলো আপনারা বস্তায় ভরে পানির নিচে রাখলে সেগুলি অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় ৷
পরে তখন সেই সুপারি বিক্রি করলে আরো অনেক টাকা লাভ করা যেতে পারে ৷ আমাদের দেশে পান সুপারির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ৷ প্রায় সব ধরনের মানুষই টুকটাক পান সুপারি খেয়ে থাকে ৷ আর কম বেশি প্রত্যেকের বাড়িতেই পান সুপারির গাছ রয়েছে ৷
আমি এই টুকুইই বলতে চাই তারা একই জমিতে অনেক ধরনের লালন পালন থেকে শুরু করে নানা ফসল চাষ করতেছে তাদের এই পদ্ধতি গুলো দেখে আসলেই আমি মুগ্ধ ৷
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই ৷ আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করে আমি এখানেই শেষ করলাম ৷
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
আপনার পোস্ট পড়ে আমি বুঝতে পারলাম।"একের ভেতর অনেক কথাটি মোটেও মিথ্যে নয়।"
এই পুকুর খনন করার সময়। তারা এমন ভাবে পুকুরের পাড় এবং পুকুরের চারপাশটাকে সাজিয়েছে। যেন তারা একটা কাজের সাহায্যে অনেকগুলো কাজ করে, সেখান থেকে টাকা উপার্জন করতে পারে।
প্রথমত তারা পুকুরে মাছ চাষ করে। সেখানে থেকে টাকা উপার্জন করে। দ্বিতীয়ত তারা পুকুরের পাড় এর মধ্যে মরিচ চারা রোপন করেছে। সেখান থেকেও তারা মরিচ বিক্রি করতে পারবে। আবার নিজেদের জন্য রেখে দিতে পারবেন।
তৃতীয় পর্যায়ে আমি দেখলাম তারা হাঁস পালন করছে। যদিও আপনি আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন। এখন তাদের এখানে হাঁস নেই। তবে তারা ভবিষ্যতে হাঁসের বাচ্চা নিয়ে এসে আবার পালন করা শুরু করবে। ওখান থেকেও তারা টাকা উপার্জন করছে।
এরপর আমি দেখলাম আপনি আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন। সুপারি গাছের কিছু ফটোগ্রাফি। এই সুপারি গাছ রোপন করেছে। আপনি একদমই ঠিক বলেছেন। পাঁচশত সুপারি গাছ থেকে যদি সুপারি পাওয়া যায়। তাহলে সেখান থেকেও কিন্তু মোটা অংকের কিছু টাকা বের হয়ে আসে।
আসলে যে লোকটা এই উদ্যোগটা গ্রহণ করেছে। বলতেই হবে তার মাথায় অনেক বুদ্ধি আছে। কারণ একটা লোক যখন সৎ ভাবে টাকা উপার্জন করার চিন্তাভাবনা করে। তখন কিন্তু ওই লোকটাকে অনেকেই সাহায্য করে। অনেকেই বুদ্ধির দ্বারা তাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবো আপনাকে। আপনার পুকুরপাড় ঘুরে দেখার এই অভিজ্ঞতা, এবং একজন মানুষের এই বুদ্ধির বিচক্ষণ চিত্র আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। এভাবেই আমাদের সঙ্গে থাকুন ভালো থাকুন।
#miwcc
হুম আপু আপনি সঠিক কথাই বলেছেন একটা মানুষ সৎ ভাবে ইনকাম করার জন্য সে একটি পুকুরে নানা ধরনের চাষ করে সে সফলতা অর্জন করার উদ্দ্যেগ নিয়েছিল ৷
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর ভাবে আপনার মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷
#miwcc
আপনার ফটোগ্রাফির হাত বরাবরই সুন্দর। সুন্দর আপনার উপস্থাপনা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে পুরো বিষয়টা উপস্থাপন করে তুলে ধরার জন্য।
#miwcc
যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠান খুললে অনেক ধরনের উপার্জন করার জন্য পথ বের করা যায় যেমন এই পুকুরটি করার পরে তিনি অনেক ধরনের চাষও শুরু করেছে এটাই নিয়ম।
পুকুরটি মাছ চাষ করতে গিয়ে তার অনেক সময় ব্যয় করা লাগে ওই পুকুরে পাশাপাশি সে কিছু শাকসবজি এবং হাঁস বসলে আরো বেশ কিছু টাকা ইনকাম সে বের করতে পারে।
যাইহোক আজ আপনি সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টে পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
#miwcc
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর ভাবে আপনার মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য
#miwcc
সত্যিই ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম তাদের চিন্তা ধারা কতোটা উন্নত ও ব্যতিক্রমধর্মী।
শুধুমাত্র চাষের জন্যেই যে ক্ষেত নয় এটা হয়তো এই কৃষকেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন।একটি ক্ষেতের জমি থেকে যে কতোগুলো সুবিধা ভোগ করা যায় তা হয়তো এই জমির মালিক খুব কাছ থেকে অনুধাবন করতে পেরেছেন, তাই হয়তো এমন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিতে পেরেছেন।
শুধু মাত্র উনার উদ্যোগটাই সুন্দর নয়,, উনার তৈরি করা পুকুর ও পুকুরের পরিবেশটাও বেশ মনো মুগ্ধকর।
আমাদের পাশের গ্রাম বানিয়াকান্দিতে এমন শত শত পুকুর কাটা হয়েছে চাষের জমিতে।প্রতিদিন বিকেলে অসংখ্য মানুষ সেখানে ঘুরতে আসে।
আমি চেষ্টা করবো খুব শীঘ্রই সেই পুকুরগুলো নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা পোষ্ট আমাদের সবার সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভালো থাকবেন ভাই।
#miwcc
প্রিয় ভাই,
আপনার লিখাগুলো পড়ে আমার নানু বাড়ীর কথা খুব মনে পড়ে গেল। আমার নানু বাড়ীতেও ঠিক এরকম একটি জায়গা আছে। সেখানেও সুপারি হাস, মরিচ সব চাষ করে। পাশাপাশি পুকুরে মাছ চাষও করে।
আসলে ভাই এমন মনরোম দৃশ্য এখন আর তেমন দেখাই যায় না। আপনার ফটোগ্রাফি কিন্তু চমৎকার হয়েছে।
প্রিয় ভাই, আপনার সাথে আমি একমত যে ধান চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ সাথে অন্যান্য কিছু চাষ করাও কিন্তু খারাপ না। যেখানে ধান চাষে বিভিন্ন বাধা বিপত্তি আছে সেখানে আমরা চাইলেই এসব চাষ করতে পারি।
এক্ষেত্রে আমি আপনার পোষ্টটি পড়ে যতটুকু বুঝলাম ধান চাষের থেকে একসাথে এত কিছু চাষ অনেক লাভজনক। এতে করে একজন কৃষকের অনেক কিছুর চাহিদা পূরণ হয়।
আপনার দেয়া এই পোষ্ট থেকে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে। আমরা চাইলেই এরকম উদ্যোগ গ্রহন করে একজন সফল কৃষক হতে পারি। অথবা আমাদের যাদের জায়গা জমি বেশি তারা এমনটা করতে পারি। এতে আমাদের বেকারত্ব দূর হবে আশা করা যায়।
ধন্যবাদ ভাই।
#miwcc
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর ভাবে আপনার মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ শুভ কামনা রইলো ভাই ৷
#miwcc
ভাই আপনার পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো যে পুকুরে মাছের চাষ করে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে এবং তারা পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরের মাঝে তথা ভিতরে হাঁস পালনের জন্য হাঁসের খামার করেছে এটা একটা ভালো দিক অর্থাৎ দেখা যাবে একদিকে যেমন হাঁস পালন করে লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে মাছও চাষ ক রে অনেক টাকা উপার্জন করছে এবং তারা অনেক সচেতন যে তারা পুকুরের পাশে ৫ ০০ সুপারি গাছের লাগাইছে অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে তারা সুপারি গাছ লাগিয়ে সুপারি বিক্রি করেও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবে অর্থাৎ বর্তমানে যে সুপারির দাম অনেক টাকা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি পুকুরের সুন্দর দৃশ্যগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। ভালো থাকবেন
#miwcc