Better Life With Steem || The Diary game || 15 - Nov - 2023 || ঢাকায় কাটানো একটি দিন
আমার রিলেটিভ বিদেশে যেতে কিছু কাগজপত্রাদির সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকায় যেতে হয়েছিলো। বলছি সেই ঢাকায় কাটানো দিনটির কথা।
সকাল আটটায় পৌঁছেছি ঢাকার নয়া পল্টনে। শুনলাম, যে অফিসে আমাদের কাজ আছে সেই অফিস নাকি খুলবে দশটায়৷ তাই শুরু হলো অপেক্ষার প্রহরগোনা৷ সারারাত যেহুতু বাস যার্নিতে ছিলাম তাই শরীর প্রচুর ক্লান্ত। যেহেতু অফিস খুলতে এখোনো অনেক সময় বাকি তাই ওখানে বসে না থেকে ফ্রেস হওয়ার জন্য শুরু করলাম খাবারের হোটেল খোঁজা। খুঁজতে খুঁজতে পেয়েও গেলাম,এবং ফ্রেস হলাম। অফিসে অনেকটা সময় ধরে কাজ করতে হবে তাই একটু ভারি খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়া দাওয়া করতে প্রায় আধঘন্টা সময় লাগলো।
src
অফিস খুলতে এখনো অনেক সময় বাকি,অপেক্ষার পর অপেক্ষা। দশটা বাজার কিছুক্ষণ পরই একজন মাঝবয়সি ছেলে এসে অফিসরুমের লক খুললো। অনেকটা সময় ধরে অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে অনেকটা বিরক্তি নিয়েই অফিস রুমে প্রবেশ করলাম৷ ভেবেছিলাম অফিসের কাজ শেষ হলে একটু হলেও শান্তিতে সময় কাটাতে পারবো, তা আর হলো না। কারণ, সেখানেও অনেকক্ষণ যাবৎ সময় লেগেছিলো আমাদের কাজটা শেষ হতে।সারারাতের ঘুম জাগা তারপর আবার অনেকসময় অপেক্ষা, দুইটা মিলিয়ে ভীষন ক্লান্ত। অফিসের সোফায় বসে একটু চেষ্টা করলাম ঘুমানোর কিন্তু তা আর দীর্ঘ হলো না, একটু ঘুমানোর পর ঘাড়ে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলাম। তাই ওখান থেকে ওঠে বাইরে বেড়িয়ে চারদিকে ঘোরাঘুরি শুরু করলাম।
যেহেতু ঘুম জাগা শরীর তাই বেশি হাঁটার কারণে আবার শুরু হলো পাঁয়ে ব্যাথা।একটু বসার চেষ্টা করলাম কিন্তু তেমন কোনো জায়গা পেলাম না বসার মতো।চারদিক ঘুরে আবার অফিসে ফিরলাম। তখনও গিয়ে দেখলাম আমাদের কাজ চলমান।
সামান্য একটু কাজ। একটি দিনের তিন প্রহর প্রায় শেষ, এখনো যেন সম্পূর্ণই হচ্ছে না। অফিসে যারা কাজে নিয়োজিত তাদের গরিমসিতেই এমনটা হচ্ছে, খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি ব্যাপারটা। তাদের কাছে যেনো সময়ের কোনো মূল্যই নাই। ইচ্ছামতো কচ্ছপের গতিতে কাজ করছেন, যেন তাদের কোনো জবাব দিহিতা নাই৷ দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হলো।ভিতরে ভিতরে অনেক রাগ জমছিলো, মনে হচ্ছিল কিছু কথা তাদের বলি, কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো আমার রব তো তাদের বিষয়ে খুব ভালোভাবে অবগত, বিচারটা না হয় তিনিই করবেন!
সন্ধ্যার পর কাজ শেষ হলো। আমরা বেড়িয়ে পড়লাম এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য। সিএনজিতে করে যেতে হবে, তাই একটা সিনএনজি ভাড়া করলাম।সিনএনজিওয়ালা ভাড়া বেশি দাবি করলো কিন্তু যেতেই হবে তাই সাত পাঁচ না ভেবে উঠে পরলাম। অল্প একটু রাস্তা, সেটা পাড়ি দিতেই অনেক সময় লাগলো রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে, বুঝতেছেনতো ঢাকার রাস্তা।
src
যাইহোক, এয়ারপোর্ট এরিয়ায় নামলাম এবং এয়ারপোর্টের সামনে একটি নিরাপদ স্থানে দাঁড়ালাম৷ যেহেতু আর কিছুক্ষণ পরই আমার রিলেটিভের ফ্লাইট তাই তার সাথে কুশলাদি বিনিময় শেষে তাকে এয়ারপোর্টের ভিতর পৌঁছে দিয়ে আমারাও বিদায় নিয়েছি এবং তখনই রওনা দিয়েছি আমাদের গন্তব্যে৷
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আমার রিলেটিভ যখন তার গন্তব্যে পৌঁছে ইমুতে ভিডিও কলের মাধ্যমে আমাকে জানালো যে, সে ঠিকঠাকভাবে সেখানে পৌঁছেছে।এই কথা শোনার পর গত একদিনের কষ্ট যেনো ফিকে হয়ে গেছে আমার, তার এমন অনুভূতির কাছে৷
প্রবাসে ভালো থাকুক প্রিয় মানুষটা, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
আপনার বন্ধু বাহিরে গিয়েছে বিদায় জানাতে খুব খারাপ লেগেছে। তবে ভালো লাগছে সে ঠিকঠাক মতো গিয়ে পৌঁছাতে পেরেছে, ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
আপনি রাত জেগে বাসে করে ঢাকায় গিছেন। তারপর সকাল বেলা আপনার কাজ করার জন্য সেই অফিস গিয়েছেন। সেখান গিয়ে সকালের খাবার খাইয়েছে আপনি।
সকালে দশটায় সেই অফিসে প্রবেশ করেছেন আপনি। অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর আপনার কাজ শেষ হয়। তারপর সেই কাগজগুলো এয়ারপোর্ট জামা দেন। আর এভাবেই আপনার আরো একটা দিনের কার্যক্রম শেষ হয়।
যাইহোক ভাই আপনার আরো একটা দিনলিপি পড়ে ভালো লাগল। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম এবং আপনি ভালো থাকবেন সবসময় সেই কামনা করি।
আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মতামত প্রদানের জন্য।
ঢাকাতে কোন কাজ সহজেই সম্পন্ন হয় না। না না মানুষের ভিড় বিরক্ত লাগে অনেক তবে নিজেদের দল করে কোন কাজ হলে ধৈর্য ধরে থাকতে হয়। সারাটা দিন আপনি অফিসে খুব বিরক্তির সাথে পার করেছেন। অবশেষে আপনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানতে পেরে অনেকটা ভালো লাগছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার ব্যস্তময় একটি দিনের কাটানোর সময় গুলো আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
কেউ যখন বিনা কারণে কাজ নিয়ে গড়িমসি করে তখন আসলে খুবই বিরক্ত লাগে।ঠিক যেমনটি আপনার হয়েছে।আসলে যারা দায়িত্বশীল কাজে থাকে তাদের উচিত এই বিষয়ে সচেষ্ট হওয়া। যাতে অন্যদের ভোগান্তি কমে যায়। কিন্তু আমরা অধিকাংশ সময়ে যেকোনো কাজ করাতে গিয়ে এরকম বিড়ম্বনায় পরি। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
তবে যাই হোক দিন শেষে আপনি আপনার আত্মীয় কে সুন্দর ভাবে বিদায় দিতে পেরেছেন ।এবং যখন জানলেন যে তিনি পৌঁছেছেন সুন্দরভাবে আপনার সমস্ত কষ্ট দূর হয়ে গেল ।এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
Thank you sister for your valuable comment.