দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি
ছবি
বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি চলছে।দ্রবমুল্যের উধ্বগতিতে আমাদের দেশের মানুষ আজ হিমসিম খাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বোঝায় সে বিষয়ে আমরা কমবেশি সবাই অবগত। তবুও আমি একটু খোলাসা করেই বলি অর্থনীতির ভাষায়,পণ্যের দাম টাকার পরিমাণে বেড়ে গেলে তাকেই বলা হয় মুদ্রাস্ফীতি।চলুন একটি উদাহরণ দেওয়া যাক, তাহলে ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হবে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, বিগত দিনে যে পণ্যের দাম ছিলো ৫ টাকা তা বেড়ে এখন হয়েছে ১০টাকা, এই পরিস্থিতির নামই মুদ্রাস্ফীতি। অথচ পণ্যের মান ও গুণের কিন্তু কোনো উন্নয়ন বৃদ্ধি পায়নি বরং আরও কমেছে। এই মুদ্রাস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। তবে মুদ্রাস্ফীতির কিছু কারণ রয়েছে বটে। এব্যাপারটা নিয়ে ইন্টারনেটে একটু ঘাটাঘাটি করলেই অনেক তথ্য জানা সম্ভব হবে।
এই অবস্থায় এখন প্রত্যেকটা জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। যা কল্পনার বাহিরে চলে গিয়েছে। কখন কোন পণ্যের দাম বাড়ছে এবং কমছে তা কেউই সঠিক করে বলতে পারে না। সবাই শুধু এখন সবকিছুর সাথে যেন তালমিলিয়ে চলছে।
আজ থেকে ১০বছর আগে ১টাকায় ক্রয়কৃত পণ্য ব্যবহার করা যেত তৃপ্তি মিটিয়ে। অথচ বর্তমানে সেই পণ্য ব্যবহার করতে গুণতে হচ্ছে প্রায় দশগুণ বেশি টাকা। এই যে দ্রব্যমুল্যের উধ্বগতি তা কিন্তু অনেক কারণেই হতে পারে। যেমনঃ মুদ্রাস্ফীতি,সিন্ডিকেট, পণ্যের কৃত্রিম সংকট ইত্যাদি।
একটি দেশে যখন মানুষের চাহিদার চেয়ে টাকা ছাপানোর পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তখন দেখা দেয় মুদ্রাস্ফীতি। অনেক ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্য মজুদ করার ফলে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। যার ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যায় দুইগুণের চেয়েও বেশি।
এইতো ঈদের ক'দিন আগেও যেসব পণ্যের কেজি প্রতি দাম ছিলো অনেক কম কিন্তু এখন তা বেড়ে গেছে প্রায় অনেক টাকা। বিলাসী পণ্যের সাথে সাথে বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োনীয় পণ্যের দামও।এসবের মুলে কাজ করে কিছু মুনাফা এবং স্বার্থ লোভী লোকজন। যাদের কারণেই আজ এই অবস্থা।
বাংলাদেশে এই গতকয়েকদিনে যারা ফলমূল কিনেছেন তারা হয়তো ভালোভাবেই বুঝেছেন যে দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি কি জিনিস।
ছবি
যে ফলের দাম ছিলো ১২০ তা এখন ৩২০, কেজি প্রতি কত বাড়লো...? ২০০ টাকা মাত্র। দেশিও ফল তরমুজের কথাই বলি, গত কিছুদিন আগেও ছিলো ২০ টাকা কেজি যা এখন মাত্র ৭০ টাকা।
যেখানে বড়লোক মানুষগুলোই দ্রব্যমুল্যের উধ্বগতিতে হিমসিম খাচ্ছে, সেখানে নিম্নমধ্যবিত্তদের কথা আর নাইবা বল্লাম। দিনশেষে আমি/আপনি অসৎ। আমি/আপনি যেদিন সৎ হবো সেদিনই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে আপনাআপনি। সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
এক টাকার জিনিস বর্তমান সময়ে ১০০ টাকা আগে,, মানুষ দশ টাকার জিনিস কে নিয়ে তৃপ্তি ভরে চলে আসতো বাজার থেকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এক হাজার টাকা,, কিংবা ১০ হাজার টাকার বাজার করেও,,, মানুষের তৃপ্তি মেটে না।
দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি এমনটাই আকাশচুম্বী,, যার কল্পনা হয়তোবা আমরা কখনোই করিনি,, এমনটা হবে আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ এতটাই ঘাবড়ে গেছে,,, কিভাবে বসবাস করবে,, এই চিন্তায় রোজ তাদের ঘুম হয় না।
যারা প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করে তাদের প্রতিদিনের খরচটা,, মিটিয়ে তারা উঠতে পারে না। তাদের সংসারে দেখা যায়,, অভাব অনটন। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো বা,, এই মানুষগুলো ভবিষ্যতে বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে যাবে।
আপনি খুবই মূল্যবান একটা টপিক আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বা বাংলাদেশের মানুষের যে সমস্যা এই সমস্যা হচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে মানুষের বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে যাবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য,,, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc
সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মানুষের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন অবস্থা চলছে।
ভাই আপনি খুব দারুণ কিছু তথ্য আজ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি তাদের এখন জীবন ধারণ করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন যে হারে পণ্যের দাম বাড়তেছে সেই হারে কিন্তু পণ্য গুণাগুণ বা পণ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
আমি আপনার সাথে সহমত যে মুদ্রাস্ফিতি, পণ্যের কৃত্রিম সংকট ও কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কারণে আজ আমাদের বাংলাদেশের এই অবস্থা। সত্যি ভাই আমরা যেদিন সকলেই সৎ হবো সেদিন হয়তো এই সংকট থাকবে না।
#miwcc
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সুন্দর একটি মতামত প্রদান করেছেন ভাই৷