ড্রাগন ফল কেনো খাবেন.....!
উপরের ছবিতে যে ফলটি দেখতে পাচ্ছেন সেই ফলটির নাম ড্রাগন ফল।অন্যান্য ফলের মতোই ড্রাগনও একটি ফল। আমার মনে হয় ড্রাগন ফল না চেনা মানুষ এখানে খুবই কম সংখ্যক।কারণ,ড্রাগন এখন মানুষের কাছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন,জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর একটি ফল হয়ে উঠেছে।এর গাছ দেখতে অনেকটা পাতাহীন ফনিমনসা গাছের মতো।এটি এখন বিশ্বের সকল দেশেই চাষ হচ্ছে।
বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,অস্ট্রেলিয়া,ক্যারিবিয়ান, গণচীন,ইন্দোনেশিয়া,ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে এর চাষ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।তবে আমার দেখা আকারে সবচেয়ে বড় মাপের ড্রাগন দেখেছি ভিয়েতনামী ড্রাগন ফল।সৌভাগ্যক্রমে একবার ভিয়েতনামী ড্রাগন টেষ্ট করার সুযোগ হয়েছিল আমার।কিন্তু ভিয়েতনামের সেই বড় ড্রাগন কেনো জানি আমার কাছে স্বাদহীন মনে হয়েছিল। যাইহোক,কয়েক বছর আগেও ড্রাগন ফল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে আমদানি করা হতো। কিন্তু এখন আর আমদানি করার প্রয়োজন পড়ে না।কারণ,ড্রাগন ফল এখন আমাদের দেশেই চাষ হচ্ছে।
কিন্তু দেশে চাষ হওয়া শর্তেও বর্তমান ফল বাজারে অন্যান্য বিদেশি ফলের মতোই ড্রাগন ফলেরও দাম বেশি৷যার কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ফল ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গিয়েছে।আশা রাখছি সারাদেশ দেশব্যাপী যখন এর চাষ শুরু হবে তখন হয়তো এর দাম কমলেও কমতে পারে। এপর্যন্ত আমার দেখা কয়েক রকমের ড্রাগন ফলের মধ্যে, লাল,সাদা,সবুজ,হলুদ,যেগুলো দেখতে প্রায় এক কিন্তু ভিন্নতা এর ভিতরের রংয়ে। এগুলোর মধ্যে লাল রংয়ের ড্রাগনই বহুল প্রচলিত।
দেখতে আকর্ষণীয় এই ফলটির রয়েছে কয়েকটি উপকারী দিক।ড্রাগন ফল খাওয়ার কিছু উপকারী দিক তুলে ধরবো আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে।
★চলুন তবে দেখে আসি ড্রাগন ফল খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়।
১.ড্রাগনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২.যারা ডায়েট করতে চান তারা অবশ্যই তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখতে পারেন। কারণ, আকর্ষণীয় এই ফলটি একদম চর্বি মুক্ত।
৩.এই ফলটিতে বিদ্যমান ভিটামিন সি শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৪.রক্তচাপের সঠিক নিয়ন্ত্রণে ড্রাগন ফলের রয়েছে চমৎকার ভূমিকা।
৫.ড্রাগন ফল খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলস্বরূপ ডায়াবেটিসের ঝুকি একদমই কমে যায়।
৬.মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধেও এই ফলটির রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
৭.এই ফলে থাকা আকারে অনেক ছোট কালো রঙের বীজগুলো হার্ট ভালো রাখতে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আশাকরি,উপরিউক্ত আলোচনার ভিত্তিতে খুব ভালোভাবেই বুঝে গিয়েছেন,"ড্রাগন ফল কেনো খাবেন!
নানাবিধ উপকারী গুণাগুণসম্পন্ন এই ফলটি যদিও একটু দামি তবুও আমি মনে করি এই ফলটি যথাসম্ভব খাওয়া উচিত।আর এখন, বেশি দামের কারণে অতটাও বেগ পোহাতে হবে না। কারণ,ড্রাগনের চাষ পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা যে কেউ চাইলেই অনায়াসে আমাদের বাড়ির আঙিনায় বা ছাদে এর চাষ করতে পারি।এতে অন্তত আমাদের নিজেদের চাহিদাটুকু পূরণ হবে।
সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।ধন্যবাদ।
ড্রাগন ফলের নাম এবং আমি অনেকবার বাজারে দেখেছিলাম! আসলে আমার কাছে ফলটা দেখতে তেমন একটা ভালো লাগে না! কিন্তু ফলের ভেতরটা যখন আমি দেখেছিলাম,,, অসম্ভব সুন্দর দেখতে যেন লোভ লেগে যায়।
আমি ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে তেমন একটা অবগত ছিলাম না! কিন্তু আজকে আপনার পোস্ট পড়ে ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম! যেটা আমাকে ড্রাগন ফল খাওয়ার প্রতি অনেকটা আসক্ত করল! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমার দেখা অনুযায়ী ড্রাগন ফল দুই রঙ্গের হয়ে থাকে হলুদ এবং লাল। লাল রংয়ের ড্রাগন ফল খাওয়া খুবই উপকারী এটা ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ড্রাগন সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য।
সাধারনত সব ফলের চেয়ে এই ড্রাগন ফলের বাজার মূল্য অনেক বেশি ৷ আমাদের দেশে বেশীরভাগ মানুষ এই ড্রাগন ফল খেতে পারে না ৷ আমি ও এখন পর্যন্ত এই ফলে খেতে পারি নি ৷ তবে যারা খেয়েছে তাদের কাছে তেমন সুস্বাদু ছিল না ৷ সুস্বাদু না হলেও এই ড্রাগন ফলের বেশ কিছু উপকারিতা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন ৷
ড্রাগন ফল সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য শেয়ার করেছেন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এই ফলের উপকারিতা।২০১২ সালে আমাদের এলাকায় সরকারি নার্সারিতে প্রথম ড্রাগন সম্পর্কে জানতে পারি সত্যি বলতে দেখতে কেমন ক্যাক্টাসই মনে হয়েছিল তবে এর সুন্দর ফল সত্যিই আর্কষণীয়। আপনি সঠিক বলেছেন পাতাবিহীন এই গাছের চাষ অনেক সহজ বাড়ির আঙিনায় যে কেউ চাষ করতে পারেন এই ফলের।
আপনি তো ড্রাগন ফলের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি ড্রাগন ফলের উপকারিতা সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন তা জেনে অনেক উপকৃত হলাম।
ড্রাগন একটি গ্রীষ্মকালীন ফল প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান আমাদের ভারতবর্ষের জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খেতে সুস্বাদু ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলটির পিতায়য়া নামেও পরিচিত।
ড্রাগন ফল কম ক্যালরিযুক্ত এবং ফাইবার বেশি, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ সরবরাহ করে এই ড্রাগন ফল। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে মূলত লাল, সাদা, গোলাপি এবং হলুদ রঙের ড্রাগন ফল দেখতে পাওয়া যায়। ত্বক উজ্জ্বল, রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা, এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ড্রাগন ফল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।