Better Life With Steem || The Diary game || 14th May 2024
Hello Everyone,,,
নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি, সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজকের পোস্টটিতে আমার নতুন একটা দিন অর্থাৎ ১৪ মে ২০২৪ তারিখের কার্যক্রম তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
আপনারা ইতিমধ্যে অবগত আছেন যে আমি বিগত দিন রাতে বাড়িতে এসেছি। আজ সকাল ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছি আজ আর বেলা করে আর ঘুমাতে ইচ্ছে করলো না। বাড়িতে আছি এজন্য আজ রান্না করার কোনো ঝামেলা নেই। তাই বাইরে এসে ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় হাঁটাহাটি করলাম। সকালের প্রকৃতিটা সত্যিই অসাধারণ। যেটা প্রতিদিন উপভোগ করার সৌভাগ্য হয় না আমার।
ফিরফির করে বাতাস বইছিলো, খোলা মাঠে বেশ খানিকটা সময় পায়চারি করলাম। তারপর বাড়িতে এসে মায়ের সাথে গল্প করছিলাম এবং মায়ের রান্না দেখছিলাম। রান্না শেষ হলে সকালের খাবার খেলাম।
প্রায়শই বলে থাকি যে, আমি মায়ের পাশে বসে মায়ের সাথে গল্প করছি, মায়ের পাশে বসে রান্না দেখছি। এসব পড়ে যদি কেউ আমাকে মায়ের আঁচল ধরে ঘুরে বেড়ানো ছেলে মনে করেন তবে সে অপবাদ নিঃসংকোচে হাসি মুখে মাথা পেতে নেবো আমি।
আমার কাছে আমার মা বন্ধুর মতো, যার সাথে সব
কিছু নিরদ্বিধায় শেয়ার করতে পারি এবং একই সাথে আমার মা আমার নিকট ভগবানের মতো।
যাই হোক, সকালের খাওয়া শেষ করে বাবা আজ গুরুত্বপূর্ণ কাজে কাতিয়ানাংলা গিয়েছিলো তখন আমি আমাদের মুরগির খামারে গিয়ে কাজ করছিলাম। কাজ বলতে, সকালে মুরগির ফার্ম থেকে ডিম সংগ্রহ করতে হয় আর এটা সময় মতো না করলে মুরগির চাপে ডিম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই সেই কাজটার দায়িত্ব নিলাম আজ।
তালের শাঁস |
---|
তাল |
---|
এবার আমাদের তাল গাছে প্রচুর পরিমানে তালের কাঁদি ধরেছে আর তাল খেতে কম বেশি সবাই খুব ভালোবাসে। আমার মতো অনেকেই রয়েছে যারা পাকা তাল খেতে পছন্দ করে না তবে তালের বড়া খেতে বেশ ভালো লাগে। পাকা তাল পছন্দ হোক বা না হোক, বিশেষ করে তালের শাঁস সবারই মোটামুটি প্রিয়।
ছোটবেলা থেকেই আমি গাছে চড়তে পারি না, আর সেটা যদি হয় তাল গাছ তাহলে তো গাছে চড়ার কথা ভাবতেও পারি না। এবছর তাল খাওয়া হয়নি এখনও তাই আজ একজন লোক ঠিক করে তাকে দিয়ে গাছ থেকে তাল কাটিয়েছি। তালের শাঁস খুব বেশি নরমও নয় আবার খুব শক্তও নয় এমন শাঁস খেতে সব চেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
কেননা অতিরিক্ত শক্ত গুলো খেলে আমার পেটে ব্যথা শুরু করে। গাছ থেকে কাঁদিগুলো নামানোর সাথে সাথে আমি স্বার্থপরের মতো ২/৩ কেটে খেয়ে নিলাম তারপর বাড়িতে নিয়ে আসলাম। সেগুলো খাওয়ার জন্য একদম উপযুক্ত ছিলো, সঠিক সময়ে গাছ থেকে পাড়া হয়েছে। আর কিছু দিন পর পাড়লে হয়ত শাঁস অনেক শক্ত হয়ে যেত।
বেলি ফুল গাছ |
---|
গন্ধরাজ ফুল গাছ |
---|
ড্রাগন ফল গাছ |
---|
বেলি ফুল গাছ |
---|
তাল খাওয়া শেষ করে দুপুরের স্নান সেরে নিলাম। তারপর দুপুরের খাওয়া শেষ করে আজ আর না ঘুমিয়ে বিগতদিন খুলনা থেকে এনে রাখা ফুল ও ফলের চারাগুলো বাগানে স্থান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
বাগানে আরও অন্য ফুল গাছ রয়েছে প্রথমে তাদের পাশে ভালো ভাবে উপযুক্ত জায়গা প্রস্তুত করলাম এবং চারাগুলোকে রোপন করলাম। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না, সঠিক যত্ন পেলে দ্রুতই বেড়ে উঠবে।
ফুল গাছগুলোকে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই তবে জীবনে এবারই প্রথম ড্রাগন গাছ রোপন করলাম। একেক রকম গাছের পরিচর্যা পদ্ধতি একেক রকম হয়ে থাকে। দেখা যাক কি হয়!
নতুন গাছ রোপন এবং তার পাশাপাশি পুরাতন গাছের পরিচর্যা করতে করতে বিকাল হয়ে গেলো। সূর্য তখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে। তখন বাড়ির পাশের ছোট্ট নালাটা পেরিয়ে মাঠে আসলাম এবং খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বুক ভরে সতেজ নিশ্বাস গ্রহণ করলাম।
সন্ধ্যার ঘনিয়ে আসতেই বাড়িতে চলে আসলাম এবং বসে বসে IPL ( Indian Premier League) এর ম্যাচ উপভোগ করছিলাম। পাশাপাশি কমিউনিটির পোস্ট পড়া ও কমেন্ট করার কাজও করছিলাম। এভাবেই আমার একটা দিনের কার্যক্রম শেষ করেছিলাম। এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন।
আমিও যখন বাড়িতে যাই বাহিরে কম সময় দিয়ে মায়ের সাথে বেশি সময় দেই। মায়ের সাথে অনেক সময় কাটাই মায়ের হাতে হাতে কাজগুলো এগিয়ে দেই। ঠিক বলেছেন ভাই পোল্ট্রি ফার্মে মুরগির ঠুকাঠুকি এবং মুরগির পায়ের নিচে পড়ে ডিম গুলো প্রাইন নষ্ট হয়ে যায় তাই একটি সঠিক টাইমে ডিম তুলা উচিত। আমাদের তালগা গাছ প্রায় অনেকগুলি আছে কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার তালের আশ পারা যায় না এবং খেতেও পারি না। আমাদের পরিবেশ থেকে গাছগুলো কেটে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে কার্বন-ড-অক্সাইড বেড়ে যাচ্ছে। আপনি পরিবেশকে সুন্দর রাখতে গাছ রোপন করছেন এটা অনেক সুন্দর কাজ। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
বাড়িতে থাকলে বাড়ির কাজে হাত লাগানো আমাদের সকলেরই কর্তব্য তাইতো সামান্য সাহায্য করলেও সেটা চেষ্টা করি। মুরগি অনেক সময় নিজেই নিজের ডিম ভেঙে ফেলে। তাইতো সময়মত এসব কাজগুলো করা উচিত তা নাহলে সব কষ্ট ব্যর্থ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য।
আপনার তালের শেষ খাওয়া দেখে মনে পড়লো ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আমাদের বাড়ির সামনেই ছিল অনেকগুলো তালগাছ আর এই তালগাছ থেকে তালের রস সহ তালের শাঁস খেতাম। একদিন আমার মেজো ভাই গাছে উঠেছিল তালের সাথে সাথে সেও নিচে পড়েছিল তবে কিছুই হয় নাই গাছটি অনেক ছোট ছিল এই কারণে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনের কার্যক্রম পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন ।
হ্যা তালের রস খেতে সবাই খুব ভালোবাসে। তবে এখন আমাদের এখানে কেউ তেমন তালের রস বের করে না। তার গাছ সচারাচর অনেক বড় হয় এজন্য গাছে চড়তে গেলে সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে।
তালের রস বের করা অনেক কষ্টের এবং সময় সাপেকের ব্যাপার দিনে দুইবার তালের রস পাড়তে হয়। এখন অনেকেই এই ঝামেলা গুলো করতে চায়না তাই তো এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার অনেক ঐতিহ্য অনেক সুস্বাদু খাবার।
এই সিজনে তালের শাঁস খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। এবছর এখনো খাওয়া হয়নি।
আপনার পোস্টে দেখার পর মনে হল যে আসলে খেতে হবে।
আপনি আপনার মায়ের আঁচল ধরা ছেলে এই লাইনটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। মা ছেলের সম্পর্ক তো এমন নিবিড় হওয়া উচিত। ছেলের কাছে কেমন লাগে জানিনা তবে মায়ের কাছে তার ছেলে পরম নির্ভরতার জায়গা।
এ জায়গা টি কখনো নষ্ট করবেন না।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভাই প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে আপনার বেশ ভালোই লাগে। আপনার লিখা পড়ে যতদূর বুঝলাম আমি, আপনি প্রকৃতিপ্রেমি একজন মানুষ। পাশাপাশি আপনার মা আপনার সবথেকে কাছের বন্ধু। সত্যি ভাই এমনটাই হওয়া উচিত। সব কিছুই মায়ের সাথে শেয়ার করবেন। দেখবেন জিবনে কখনো ঠকবেন না। কারণ মা কখনই সন্তানের খারাপ চায় না।
যাইহোক আপনার দিনলিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার গাছের তাল দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। তালের বড়া আমার অসম্ভব প্রিয়। সম্ভব হলে আপনার বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতাম। ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।
এটা আপনি যথার্থ বলেছেন। সত্যি মা বাবা কখনও সন্তানের খারাপ চায় না, পারলে নিজের জীবন দিয়ে হলেও সন্তানের মঙ্গল কামনা করে।
হ্যা আমি প্রকৃতির মাঝে থাকতে ভালোবাসি। তালের বড়া আমার কাছেও প্রিয়। চলে আসেন একদিন বেড়াতে আমার বাসায়, অনেক আড্ডা হবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য।
আপনার পোস্টের বেশ কিছু জায়গায় আপনি তালের কাধি লিখেছেন যেটা সঠিক নয়, এটাকে তালের কাঁদি বলা হয়। যদিও ভুলটা খুবই সামান্য তবে এটা আপনাকে জানানোর উদ্দেশ্যেই বললাম, যাতে ভবিষ্যতে এই জিনিসটাকে আপনি সঠিকভাবে লেখেন।
এবার আসি আপনার পোস্ট সম্পর্কে, তালের শাঁস খেতে আমি পছন্দ করি, তবে সেটা যদি নরম থাকে হয় তবেই। শক্ত হয়ে গেলে আমার খেতে একদমই ভালো লাগে না। তবে এ বছর এখনো পর্যন্ত খাওয়া হয়নি কারণ, আপনাদের মতন গাছ থেকে পেড়ে খাওয়ার কোনো অপশন নেই। বাজারে গিয়ে যদি পাওয়া যায় তবেই একমাত্র খাওয়া সম্ভব।
বেলি ফুল ছোট হলেও আমার ভীষণ পছন্দের একটি ফুল। মূলত সাদা রঙের যেকোনো ফুলই আমার খুব প্রিয়। আমার বাড়িতেও বেলি ফুলের গাছ আছে এবং ফুলের টবটাকে এখন আমি আমার ঘরের খুব কাছে এনে রেখেছি। হালকা হওয়ার সাথে ফুলের গন্ধটা আমি খুব উপভোগ করি, বিশেষ করে রাতের বেলায়।
প্রতিদিন এক দুটো ফুল তুলে এনে ঠাকুরের পুজো করি। অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। আমার শ্বশুর মশাইও ড্রাগন গাছ লাগিয়েছেন অনেক আগে, তবে তাতে কবে যে ফল ধরবে সে বিষয়ে আমি বড্ড বেশি অনিশ্চিত। আপনার সাথে একদিন এই ড্রাগন গাছের ছবি শেয়ার করবো। যাইহোক আপনার সম্পূর্ণদিনের গল্প পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
আমার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি এখনই সংশোধন করে দিচ্ছি।
তালের শাঁস নরম না হলে আমিও খাইনা। বাড়িতে গাছ থাকায় বাজার থেকে কেনার প্রয়োজন পড়ে না। ড্রাগন গাছ লাগানোর খুব শখ ছিলো তাই লাগিয়েছি তবে ফল ধরবে কিনা জানি না।। ধন্যবাদ আপনাকে, দিদি।
আমরা ছেলে বা মেয়ে মায়ের সাথে সময় কাটাতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার পোস্টে অনেকবারই দেখেছি। আপনি মায়ের সাথে বসে গল্প করেন এবং উনার রান্না দেখেন। এক্ষেত্রে আমার মনে হয় না আপনাকে কেউ বলবে যে আপনি মায়ের আঁচল ধরে সারাক্ষণ থাকেন। এটা বলা একেবারেই বোকামি। কেননা পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার পরে যদি আমাদেরকে কেউ অনেক বেশি ভালোবেসে থাকে। সেটা হচ্ছে একমাত্র আমাদের মা, অতএব তার সাথে সময় ব্যয় করতে পারলে। আমাদের নিজেদের কাছেই অনেক বেশি ভালো লাগে।
আপনি বেশ কয়েকটা ফুল গাছ, এবং ড্রাগন ফলের গাছ এর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমি মায়ের সাথে সময় কাটাতে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। ঠিকই বলেছেন মা বাবার স্থান সবার উপরে আমাদের জীবনে। বাড়িতে আসার সময় ফুল ও ড্রাগন ফল গাছ এনেছিলাম আর প্রতিদিন সেগুলোর পরিচর্যা করতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আপনার মায়ের সাথে অনেকটাই বন্ধুর মতো। সে ক্ষেত্রে আপনার সবকিছু নিজের মায়ের কাছে নির্দ্বিধায় শেয়ার করতে পারেন বিষয়টি খুব ভালো লাগলো।
আপনাদের দক্ষিণ অঞ্চলের তালগাছ অনেক বেশি। তাল গাছের শাঁস খেতে আমার খুব ভালো লাগে।
আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যা আমি আমার মায়ের সাথে সব কিছু শেয়ার করি আর বসে বসে গল্প করতেও ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতেও তাল গাছ রয়েছে এবং প্রচুর তাল ধরেছে, ঠিকই বলেছেন তালের শাঁস খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য।