---

আজ - ১৫ই আষাঢ় | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | বর্ষাকাল

ডায়েরি গেম - ঈদের দিন

আমার ব্লগিং-এ সবাইকে স্বাগতম! প্রথমেই সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা - ঈদ মোবারক 🌙 । আজ ঈদ-উল-আযহা এবং আমি আমার ডায়েরি গেম পোস্টে সারাদিনের কার্যকলাপ নিয়ে পোস্ট সাজিয়েছি। যাইহোক, শুরু করা যাক..

^{আমার প্রতিষ্ঠানের ঈদ শুভেচ্ছার ব্যানার}

যদিও এখন বর্ষাকাল, গত কয়েকদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সারাদিন ক্রমাগত বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ৬.৩০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে হয়ে ছাতা নিয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হলাম! আমাদের এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ সকাল ৭টায় ছিলো কারণ দ্রুত নামাজ শেষ করে যেনো সবাই পশু কোরবানিতে সময় ব্যয় করতে পারে।

^{বাহিরে ননস্টপ বৃষ্টি হচ্ছিল}

নামাজ শেষ করে মুনাজাতে সকালের জন্য প্রার্থনা করেছি। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছিল তখনও, ছাতা নিয়ে বাসায় চলে এসেছি। রাস্তার পাশে সকলের পশু প্রস্তুত করে রেখেছিলেন জবাই করার জন্য। আফসোস হচ্ছিল, গ্রামে যেতে পারিনি এবং কোরবানি দেয়া সম্ভব হয়নি বলে।

^{চালের রুটি}

বাসায় এসে সবাই মিলে সেমাই, নুডলস খেয়েছি। আমাদের বাংলাদেশে কোরবানির ঈদে অনেকেই চালের রুটি এবং গরুর মাংস খেয়ে থাকেন! আমরাও সেই আয়োজন করেছিলাম গরুর মাংস এবং চালের রুটির।

^{গরুর মাংস রান্না}

মন টানছিলো, সেজন্য বেলকনি দিয়ে তাকিয়ে আমি মানুষের পশু জবাই দেখছিলাম। সকলের কোরবানি কবুল হোক সেই কামনা করি।

^{মেহেদি দিয়ে হাত রাঙানো হচ্ছে}

কোনো কাজ না থাকায় সবাইকে ফোন করে কথাবার্তা বলছিলাম এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলাম আমি এবং আমার স্ত্রী। মেহেদি হাত সাজানো হয়নি আমার স্ত্রীর তাই টুকিটাকি সকাল কাজ শেষ করে বসে পরেছে হাত সাজানোর জন্য।

একটু একটু করে অনেক সময় নিয়ে সে সুন্দর করে হাত সাজিয়েছে মেহেদি দিয়ে। সাধারণত - ঈদ, বিবাহের অনুষ্ঠান কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানে মেয়েরা মেহেদি দিয়ে থাকেন।

^{মাশাল্লাহ, হাতের কারুকাজ}

অলস সময় পার করছিলাম! আবহাওয়া, একদম ঠান্ডা ছিলো, আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলাম। বেকার সময় থাকায় স্টিমিট ব্রাউজ করার পাশাপাশি পোস্ট করছিলাম। বিকেলে আবহাওয়া কিছুটা ভালো ছিলো এবং বৃষ্টি হচ্ছিল না। সন্ধ্যায় বাহিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। বাহিরে বের হয়ে আমরা রিক্সায় চড়ে ঘুরেছি প্রায় ১ ঘন্টা এবং আমরা চটপটি, ফুচকা এবং আইসক্রিম খেয়েছি (ঈদের জন্য সবকিছু কিছুটা বাড়তি দাম নেয়া হয়েছিল)।

^{সন্ধ্যায় বাহিরে আমরা}

রাতে বাসায় এসে, মেয়ের সাথে কিছুক্ষণ দুষ্টুমি এবং খেলাধুলায় মশগুল ছিলাম। এরপর আমরা স্বামী-স্ত্রী গল্পগুজব করে সময় পার করেছি। আনুমানিক রাত ১০.৪০ মিনিট, আমরা রাতের খাবার খেতে দেরি করিনি বেশিক্ষণ। এভাবেই কেটে গেলো ঈদের সারাটাদিন - তবে পরিবারকে অনেক মিস করেছি। গত সাত বছরে এমনটি হয়নি পরিবার বিহীন ঈদ। যাইহোক, ঈদ আসবে আসবে বলে বিদায় নিলো আমাদের কাছ থেকে।

---

আমার সম্পর্কে

@sumon247

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ