গান , জীবন ও অনুভুতি
আমি @sumayaorin
লিখছি #Bangladesh থেকে,
"আমারো পরানো যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়
তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়"
―রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার খুব মনে আছে স্কুল জীবন থেকেই আমার এই গানটার প্রতি খুব ভাললাগা আবেগ কাজ করত,বুঝতাম না বুঝতাম এই গান আমাকে সেই বয়সেও মুগদ্ধ করে্ত যা এখন পর্যন্ত একটু ও কমে নি। আমি যখনি এই গান টা শুনি তখনি কেমন যেন মগ্ন হয়ে যাই ,কথায় হারিয়ে যাই।এক অবেক্ত ভাল লাগায় ভালোোবাসায় গানটাকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করি । একটা গান এত সুন্দর হয় কিভাবে ,এতটা শ্রুতিমধুর হয় কিভাবে?এই গান আমার কাছে কখনো পুরানো হবে না ,এ যেন এক আসক্তি।
এই গানটা পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়ত পাওয়া মুশকিল হলেও হতে পারে। আমার সেই ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত এই গান টার প্রতি সেই একিরকম ভালবাসা কাজ করে ।মনে পরে সেই কৈশোরের প্রথম প্রেমে পরার সময় এই গান টাকে যেন মনে হত আমার জন্যই কবি গুরু লিখে গেছেন ।এখন ও মনে পরে আমার সেই প্রিয় মানুষটি কে আমি প্রথম এই গান টা মোবাইল ফোন শুনিয়েই বুঝাতে চেয়েছিলাম যে তুমি শুধু আমার বন্ধু নও বরং তুমি আমার তার চেয়েও বেশি কিছু। যদিও বোকা সে আমার বেকুলতা সেদিন বুঝতে পারে নি তবুও সেই স্মৃতি আমার কাছে চির অমলিন এবং প্রিয় ।যদিও এই বিশেষ গান টি দিয়ে তাকে সেদিন বুঝাতে বের্থ হয়েছিলাম কিন্তু তাকে আমি বুঝিয়েই ছড়েছিলাম সে আমার প্রিয় সে মানুষ যার জন্য আমার পরম ভালোবাসা ।আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে সে আজ আমার জীবন সঙ্গী ।
তবে কি জানেন আমি তাকে এত এই প্রিয় গান গেয়ে আমার তার জন্য কি যে অনূভুতি তা বুঝিয়ে ই ছেড়েছিলাম আমাদের বিয়ের রাতে।যদিও সে ভীষণ বেরসিক একজন ,মুখে সেদিন কিছু না বললেও তার সেই দিনের সেই লাজুক হাসি ঠিক বুঝিয়েছিল যে সে কতটা পরিতৃপ্ত।ডিফেনসে চাকরির জন্য তাকে বেশ ঘনঘনই বাসার বাইরে থাকতে হয় । কখনো মাস কখনো বা বছর ।তাকে না পাওয়া র মুহুর্ত গুলোতে যেন এই গান টা এখন আমার আরও প্রিয় এবং আরও কাছের হয়ে উঠে।
কবি গুরু কিভাবে কি দিয়ে এত সুন্দর একটা গান সৃষ্টি করেছেন যা এততা মনমুগ্ধ করে ।এতটা মিলে যায় জীবনের সাথে ।এত প্রেম এত আবেগ জড়িয়ে আছে এই গানে,এ যেন নিজের জীবনের প্রতিটা অনুভুতি অক্ষরে অক্ষরে অভিবেক্ত ।এত ভালবাসা এত অনুভুতি তবুও না পাওয়া কষ্ট তবু ও সে প্রেম পরিতৃপ্ত ।আসলে বাংলা গান এবং বাংলা ভাষাই পারে এততা হৃদয় স্পর্শী গানের জন্ম দিতে।সাথে কবি গুরু যেন একে অন্যর পরিপূরক।
আর তা না হলে আমার পুচকেও কি এই জাদুতে পড়েছে। এখন পর্যন্ত মুখের বুলি ঠিক না হলেও গানের বুলি ধরে বসেছে।আমরা ব্যাপার টা খুব উপভোগ করি।যদিও পুচকের পাপা তাকে প্রায়ই বলে এত আবেগ যদি এখনি হয় বড় হলে ত মাম্মাকেও ছাড়িয়ে যাবে।আমি বলি তাতে ক্ষতি কি বরং সত্যি ব্যাপার তা আমি খুব উপভোগ করি।মেয়ে টা নিশ্চয়ই আমার ঝোঁক টাই পেয়েছে।হোক না আবেগি হোক না প্রেমময়ী।হাজার হোক বাংলী বলে কথা।বাংলী নারী মানে আবেগ আর তাদের আবেগ ভালবাসা হবে একটু বেশি, একটু কাব্যিক, একটু রবিন্দ্রময়ী।
এইত...
10% of this payout for @meraindia
আসলে আমি অনেকটা অবাকই হয়েছি প্রথমে যেই গানটি আপনি ছোটবেলায় পছন্দ করতেন সেই গানটি আপনার মেয়ে এখন ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করা শুরু করেছে হাউ ক্যান পসিবল।
কিন্তু এখানে সত্য এটাই যে যে পরিবেশ থেকে বেড়ে ওঠে সে সেই পরিবেশের মতোই বেড়ে ওঠে।
আমি আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি আমাদের ছোট্ট খুকি অনেক বড় শিল্পী হোক একদিন।
যদি কিছু মনে না করেন একটি কথা বলি , আমাদের খুকুমণির একদিন একটি গান শোনার অপেক্ষায় থাকবো।
জি ,আপনি একদম সত্যি একটি কথা বলেছেন,যে যেমন পরিবেশ এ বেড়ে উঠে ,সে সেই পরিবেশ দ্বারাই প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে একটি শিশুর বেড়ে উঠার জন্য একটি সুস্থ সুন্দর পরিবেশের ভূমিকা অবর্ণনীয় ।ধন্যবাদ আমার মেয়ের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন।আপনার জন্য অ অনেক শুভ কামনা রইল।
https://twitter.com/sumaya_orinseo/status/1681819584771543040?s=20