কনকনে শীতের ভিতরে বন্ধুদের সঙ্গে মেলা ভ্রমণের আনন্দ
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো Incredible India
কমিউনিটি ও স্টিমিয়ান বন্ধুরা । আশা করছি সকলেই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি।
আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার চমৎকার কনকনে শীতের ভেতরে একটি চমৎকার মেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। পুরো ব্লগ পড়ার জন্য সকলে আমন্ত্রিত এবং আশা করছি আপনাদের সকলেই উপভোগ করতে পারবেন আমার চমৎকার রাতে সুন্দর একটি মেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। সকলের প্রতি শীতের উষ্ণ প্রবর্তনা নিয়ে শুরু করছি আমার অভিজ্ঞতা।
বন্ধুদের সঙ্গে মেলা ভ্রমন
অফিসে কাজ করা অবস্থায় হঠাৎ করেই শুনতে পেলাম আমাদের কারখানা ঠিক পেছনেই বাংলালিংক টাওয়ারের কাছেই চমৎকার একটি মেলা বসেছে। ফসি দরবার নামক এই মেলায় অনেক চমৎকার আয়োজন করা হয়েছে এবং আমরা অফিসের ভেতরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা সকল বন্ধুরা মিলে মেলা ঘুরতে যাব। যেহেতু প্রচন্ড শীতের দিন তার পরেও মেলাতে যাবার প্রচণ্ড শখ ছিল এবং আমরা বন্ধুরা মিলে ছুটির পরে মেলায় যাওয়ার জন্য নিজেদেরকে তৈরি করেছিলাম এবং সেভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম।
মেলায় প্রবেশের প্রধান গেট আলোকসজ্জিত
আমাদের অফিস সন্ধ্যা সাতটায় ছুটি হয়ে গেল এবং অফিসে স্বাক্ষর করে হাজিরা নিশ্চিত করার পর আমরা অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম মেলার উদ্দেশ্যে।
https://w3w.co/blushes.sway.cookies
আমি ছাড়াও আমার আরো বেশ কয়েকজন বন্ধুরা ছিল আমরা সকলে মিলে মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যদিও প্রচন্ড শীত ছিল তারপরেও আমাদের গায়ে কোন শীতের পোশাক ছিল না। যেহেতু শীতের দিনে অফিসের ভেতরে প্রচন্ড তাপ থাকে সে কারণে অফিসের ভেতরে কোন পোশাক প্রয়োজন হয় না। আর মূলত সে কারণে আমরা পোশাকের উপর খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে অফিসে গিয়েছিলাম এবং ছুটির পরে মেলায় পৌঁছেছিলাম অনেকগুলো বন্ধুরা।
শখের নৌকা ভ্রমন
মেলাতে গিয়ে আমরা সর্বপ্রথম একটি নৌকা দেখেছিলাম। তবে এই নৌকাটি ছিল একটি ভিন্ন ধরনের নৌকা। অন্যান্য লোকাল গুলো যেখানে পানিতে ভেসে বেড়াই কিন্তু এই নৌকা স্থলের ওপরে তৈরি করা হয়েছে এবং এই নৌকা তৈরি করা হয়েছে বড় বড় লোহা দিয়ে। যেখানে অন্যান্য নৌকাগুলো কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়।
তো এই কনকনে শীতের মধ্যে আমাদের মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল এই শখের নৌকা ভ্রমণ।
। স্থলের ওপরে নৌকা দিয়ে দোল দেওয়া হয়েছিল এবং সেই নৌকায় অনেক কিশোর কিশোরী উঠেছিল যারা প্রচন্ড চিল্লাপাল্লা করছিল নৌকাতে ওঠে। পুরো মেলায় আরও ভ্যাভো করে বাঁশি বাজছিল এবং আমার বেশ আনন্দ লাগছিল এত চমৎকার একটি মেলায় আসতে পেরে।
মেলার ভেতরে স্থান পেয়েছে নাগরদোলা
কুয়াশা স্বর্ণ মেলায় রয়েছে চমৎকার চমৎকার নিদর্শন। যদিও গ্রামের ভেতরে এই ছোট্টবেলা বসেছে তার পরেও এই মেলায় স্থান পেয়েছে বিভিন্ন রকমের নাগরদোলা। নাগরদোলা তে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আহরণ করছে এবং যারা এই নাগরদোলা নিয়ন্ত্রণ করছিল তারা অনেক আনন্দ করে মানুষগুলোকে খুশি করার চেষ্টা করছিল।
যদিও প্রচন্ড শীত ছিল তারপরেও এই মেলায় ভ্রমণ করার আনন্দটা আমাদের বেশ ভালই লাগছিল।
কসমেটিকস প্রসাধনী
তাছাড়াও এই মেলাতে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন রকমের কসমেটিক্স সামগ্রী। আমাদের মত আরও অনেক কর্মচারী রয়েছে যারা অফিস ছুটির পরে মেলায় এসেছে এবং তারা তাদের নিজেদের সাধ্যমত কসমেটিক্স কিনেছিল এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রসাধনীগুলো সংগ্রহ করেছিল।
মেলায় প্রচুর পরিমাণে কসমেটিক্স এবং অন্যান্য সাজুগুজু করার সামগ্রী ছিল যেগুলো দৃষ্টিনন্দন এবং খুবই ভালো লাগার মতো।
এই প্রচন্ড শীতে চারিদিকে যে এত দোকানপাট এবং এত মানুষের সমাগম তা একবার না উপভোগ করলে বোঝার কোন উপায় নাই।
প্রচন্ড শীত থাকার কারণে আমরা খুব বেশি সময় দিতে পারিনি। এরপর আমরা সকলে মিলে একটি ছোট্ট রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম এবং সেখানে গিয়ে সন্ধ্যায় হালকা নাস্তা করেছিলাম সকলে মিলে।
এরপর আমরা একটি চা স্টলে সাই এবং সেখানে গিয়ে সকলে মিলে চা এবং পান খাই এবং শীতের মধ্যে একটু নিজেকে শরীর গরম করার জন্য আগুনের কাছে বসে ছিলাম।
বেশ ভালো লেগেছিল আমাদের পুরো মেলার একটিভিটি।
এত শীতের ভিতরে হালকা কুয়াশা ছিল এবং মেলায় প্রচন্ড মানুষের সমাগম ছিল কিন্তু মেলা থেকে আসতে মন চাইছিল না। কিন্তু এত শীতের ভেতরে যদি মেলা উপভোগ করি তাহলে আবার শরীর খারাপ হবার একটা সম্ভাবনা থেকে যাই। সুতরাং আমরা সকলেই বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা আজকে মেলা থেকে বিদায় নেব এবং অবশ্যই যদি সময় সুযোগ মিলে আবার মেলায় উপস্থিত হব।
সুতরাং এই কনকনে শীতের ভিতরে বন্ধুরা মিলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং চমৎকার একটি দিনের একটিভিটি শেষ করেছিলাম।
আমাদের কমিউনিটিতে পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমাদের কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে।
অতিসত্বর আমাদের community discord এ যোগাযোগ করুন।
Discord join বাধ্যতামূলক
Discord link
Follow
rules post link
আমাদের কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগত। ভালো লাগলো আপনার মেলাভ্রমনের অভিজ্ঞতা জেনে। কাঁচের চুড়ি গুলো দেখেই ছোটোবেলার কথা মনে পড়লো। তখন এই চুড়ি কেনার জন্য কতো বায়না করতাম। বহুবছর বাদে আবার আজকে আপনার তোলা ছবি কিনতে ইচ্ছা করছে। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।