অনেকদিন পর 'রংপুরে' গিয়ে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত | | 09 June, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। নতুন একটা দিন মানেই নতুন কিছুর শুরু। প্রতিটা দিনই আমাদের সবাইকে নতুন কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। আর সেখান থেকেই আমরা নতুন কিছু শিখতে পারি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব 'একটা অন্যরকম দিনকে' নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। তবে অন্যান্য দিনের মতো ল্যাবে যাওয়ার কথা ছিল না। কারণ আগের দিন রাতেই আমি ল্যাব থেকে ছুটি নিয়েছি। গতদিনে আমার সকাল বেলা রংপুর যাওয়ার কথা। তাই ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা খেয়েছি।
আমাকে রংপুরে যেতে হবে, কারণ আমার মোবাইলের চার্জিং পিনের সমস্যা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন যাবত অনেক কষ্ট করে মোবাইলে চার্জ দিতে হচ্ছে। রংপুরে শুধু মোবাইল সার্ভিসিং করার জন্য যাব এমনটা নয়। আমাকে কলেজ থেকে প্রশংসা পত্র ও তুলতে হবে। যাইহোক, একসাথে দুটো কাজই করার জন্য রংপুরে যাওয়া।
আলহামদুলিল্লাহ সকালের নাস্তা খেয়েই রংপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। যেহেতু বাসে যেতে হবে, আর কলেজে সঠিক সময় পৌঁছাতে হবে। এজন্য তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হয়েছি।
বাড়ি থেকে বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছা মাত্রই বাস এসেছিল। পরে তাড়াতাড়ি রংপুরে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। রংপুরে শাপলা চত্বরে বাস থেকে নামার পরেই একটা অন্যরকম শান্তি অনুভব করেছিলাম। কতদিন পর আবারও সেই প্রিয় চেনা শহরে এসেছি।
যাইহোক, সর্বপ্রথম আমার চিন্তা ছিল কলেজে গিয়ে প্রশংসাপত্র তুলতে হবে। আমার এক বন্ধু রংপুরে থাকে, এজন্য তাকে ফোন দিয়েছিলাম কলেজে আসার জন্য। মানে এক কথায়, অনেকদিন পর তার সাথেও দেখা হবে। আবার দুজনে কলেজের কাজটাও সেরে ফেলতে পারব। আমার বন্ধু শাপলা চত্বরে আসার পর দুজনে একসাথে কলেজে গিয়েছি।
কলেজে যাওয়া মাত্রই অনেক ছোট ভাইদের সাথে দেখা হয়েছিল। পরে সবার সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে, অফিসে গিয়ে আমার প্রশংসা পত্র তুলেছিলাম। যদিও একটু সময় লেগেছিল তবে আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবেই সব কাগজপত্র বুঝে পেয়েছি। পরে ছোট ভাইয়েরা মিলে একসঙ্গে ছবিও তুলেছিলাম।
কলেজের কাজ শেষ করে আমার আরো একজন বন্ধু রংপরে থাকে। তাকে কল দিয়েছিলাম রংপুর পৌর বাজারে আসতে। পরে সেও সঠিক সময় এসেছিল। পরে দুজনে মিলে আগে মোবাইল ঠিক করতে দিয়েছি। যেহেতু, মোবাইল সার্ভিসিং করতে দেওয়া মাত্রই, ঠিক করে দেয় না। একটু সময় লাগবে।
পরে আমার জুতা কেনার কথা ছিল। মোবাইলের দোকান থেকে বের হয়ে আমার এক পরিচিত দোকানে গিয়ে জুতা কিনেছি। আসলে রংপুর শহরে অনেকদিন ছিলাম। মোটামুটি সব রকমের দোকানই আমার পরিচিত।
জুতা কেনার পাশাপাশি আরও কিছু ছোটখাটো কাজ ছিল। সেগুলো শেষ করতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লেগেছিল। যেহেতু, মোবাইল ঠিক করতে এক ঘন্টা সময় নিয়েছিল, তাই আবারো মোবাইলের দোকানে গিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ আমার মোবাইল ভালোভাবে ঠিক করতে পেরেছি।
আসলে, যে দোকানে মোবাইল সার্ভিসিং করতে দিয়েছিলাম। সেটা আমার পরিচিত দোকান। মোবাইলের কাজ শেষ করার পর, মোটামুটি দুপুর একটা বেজে গিয়েছে। পেটে প্রচুর ক্ষুধাও লেগেছিল। আমাদের রংপুর শহরে এই সর্বপ্রথম কাচ্চি ভাই এবং কাচ্চি ডাইন তাদের ব্রাঞ্চ নিয়ে এসেছে।
পরে দুই বন্ধু মিলে কাচ্চি ডাইনে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। আসলেই কাচ্চিগুলোর স্বাদ, অন্য বিরিয়ানি হাউজের থেকে অন্যরকম ছিল। আমরা তো দুজনে খাওয়ার আগেই বেশি ছবি তুলেছিলাম😁। যাইহোক, সেখানে দুপুরের খাওয়া করে বন্ধু আবার মেসে চলে গিয়েছিল। আর আমি সেখান থেকে মেডিকেল মোড়ে এসেছি।
মেডিকেল মোড় আমার চিরচেনা একটি জায়গা। যেখানে একটা সময় অনেক দিন পার করেছি। মেডিকেল মোড়ে এসে আমার অনেক বন্ধুবান্ধব ল্যাবে চাকরি করে। তাদের সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেছিলাম। অনেকদিন পর সবার সাথে আড্ডা দিয়ে বেশ ভালই লেগেছিল। আবারো সবার সাথে নাস্তা খেয়েছি। আমার এক হিন্দু বান্ধবী আছে, সে নিরামিষ খায়। সে অন্য কিছু খায় নাই, এজন্য তাকে মিষ্টি কিনে দিয়েছিলাম।
সব মিলিয়ে এরকম সুন্দর একটি দিন পার করে বেশ ভালোই লেগেছিল। পরে বিকেল মোটামুটি ৫:০০টার দিকে আসার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ অনেকদিন পর সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছিলাম।
বিশেষ প্রয়োজনে রংপুরে গিয়েছিলেন। কলেজ থেকে প্রশংসা পত্র ও মোবাইলের সমস্যা সমাধান করাই ছিলো মূল লক্ষ্য। আর সেই সুবাদে পুরানো বন্ধুর সাথেও দেখা হয়ে গেলো।, যেটা খুবই ভালো বিষয়। দুই বন্ধু মিলে বিরিয়ানি খেয়েছিলেন এবং সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছিলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
রংপুরে যাওয়ার আমার উদ্দেশ্য ছিল প্রশংসাপত্র কলেজ থেকে তুলতে হবে। আর মোবাইলের চার্জিং পিন সার্ভিসিং করব। যাইহোক আমায় ভালোভাবে কলেজ থেকে কাগজ তুলতে পেরেছি। আসলে অনেকদিন পর সব বন্ধু-বান্ধবের সাথে দয়া করে ভালই সময় পার করেছিলাম। পরে দুজনে বিরিয়ানি হাউসে গিয়ে কাচ্চি খেয়েছি।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
রংপুর মেডিকেল কলেজের যেহেতু আপনি পড়াশোনা করেছেন। তাই এই শহর আপনার সবচাইতে প্রিয় এবং চিরচেনা একটা শহর। যাইহোক অবশেষে নিজের প্রশংসা পত্র বন্ধুর সাথে দেখা করা, এবং নিজের যাবতীয় কেনাকাটা করা সবকিছুই সম্পন্ন করেছেন। এবং মোবাইলের কাজ শেষ করেছেন। আসলে আপনার বিরিয়ানি দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে। যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধুদের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি যেহেতু ছোটবেলা থেকে রংপুরে পড়াশোনা করেছি। সেই সুবাদে আমার রংপুর শহর পুরোটাই চিরচেনা। কলেজে প্রশংসা পত্র ছাড়াও কিছু কাজ হল সেগুলো সেরা। বিশেষ করে আমার দরকার ছিল, মোবাইলের চার্জিং পিন সার্ভিসিং করা।
যাইহোক, অনেকদিন পর সব বন্ধুদের সাথে দেখা করে খুব ভালো সময় পার করেছি।
আমি পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
মোবাইল বলা যায় আমাদের সবচাইতে প্রিয় একটা বন্ধু। আমরা এক বেলা না খেয়ে থাকতে পারি কিন্তু একবেলা মোবাইল ব্যবহার করে, আমরা থাকতে পারি না। আমার মা মাঝে মাঝেই আমাকে বলে।আগে ওনারা ঘুম থেকে উঠে নিজের কি কাজ করবে সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা নাকি ঘুম থেকে উঠে মোবাইল কোথায় আছে সেটা খুঁজে বের করি। তবে আপনার মোবাইল সঠিকভাবে সার্ভিস করতে পেরেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। আশা করি এখন আর আপনার মোবাইলের কোন সমস্যা হবে না।
আপনার পুরো দিনটি একটি ব্যাস্ততম দিন ছিলো।চার্জিং পিনের সমস্যা হওয়ার কারনে আপনি সেটি ঠিক করতে রংপুরে যান পাশাপাশি আপনি আপনার প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রসংশা পত্র তুলাই ছিলো আপনার উদ্দেশ্য। এরপর সেখানে যাওয়ার পর বন্ধুদের সাথে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন।বিশেষ করে আপনারা দুপুরে একটা লোভনীয় খাওয়া-দাওয়া করেছেন।মেডিকেল মোড় আপনার চিরচেনা যায়গা।অনেক বন্ধুর সাথেই সেইদিন আপনার মোলাকাত হয়।ধন্যবাদ
হ্যাঁ! অন্যান্য দিনের থেকে রংপুরে যাওয়ার দিনটি বেশ ব্যস্তময় ছিল। আলহামদুলিল্লাহ কলেজ থেকে ভালোভাবে সব কাগজপত্র তুলতে পেরেছিলাম। সেই সাথে পুরনো অনেক বন্ধুর সাথে দেখা সাক্ষাত করতে পেরেছি। আসলেই খাবারগুলো অনেক সুস্বাদু ছিল।
একসময় মেডিকেল মোড়ে অনেক দিন এবং সময় পার করেছি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেকদিন পর পুরনো বন্ধু বান্ধুবীদের সাথে দেখা হলে অন্যরকম একটি ভালো লাগা কাজ করে। আপনি আপনার চির পরিচিত শহর রংপুরে গিয়েছিলেন। পরিচিত মুখদের সাথে দেখা হয়ে অনেক ভালো সময় পার করেছেন। কলেজ থেকে প্রশংসা পত্র তুলেছেন।এটি অনেক দরকারী একটি জিনিস। মোবাইলও ঠিক করেছেন।দুপুরের খাবারে বিরিয়ানী খেয়েছেন। আসলে কাচ্চি ভাই আর কাচ্চি ডাইনের বিরিয়ানীর ভেতরে কিছু বিশেষত্ব আছে বলেই এরা অন্যদের থেকে ভিন্ন। ভালো লাগলো ভাই আপনার দিনলিপি পড়ে।
হ্যাঁ ভাই! রংপুর হলো আমার চিরচেনা একটি জায়গা। এই রংপুর শহরে এক সময় কতই না দিন পার করেছি। রংপুরে যাওয়ার আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল কলেজ থেকে প্রশংসা পত্র তোলা ও মোবাইলে চার্জিং সার্ভিসিং করানো। যাইহোক সবগুলো কাজেই ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।
আসলেই ভাই অন্যান্য বিরিয়ানি হাউজের থেকে কাচ্চি ভাই বা কাচ্চি ডাইন এই জায়গার কাচ্চি বা বিরিয়ানি গুলোর স্বাদ একটু অন্যরকম।
আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিদিন এর মতোই ঘুম থেকে উঠে কিছুটা সম্য হাটাহাটি করেছিলেন এরপর বাসায় এসে নাস্তা করে নিয়েছিলেন। তবে আজকে আপনাকে ল্যাবে যেতে হয় নাই। এখান থেকে ছুটি নিয়েছিলেন কারন আজকে আপনি আপনার প্রিয় রংপুরে যাবেন।
সেখান থেকে প্রশংসাপত্র আনা ছাড়াও আপনার ফোন এর পোর্ট ঠিক করতে হবে।
রংপুরে র্যেয়ে আপনি কাচ্চি ডাইন থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলেন।
মেডিকেল মোড়ে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে বেশ কিছুটা বাড়িতে ফেরত আসেন।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।
অন্যদিনের থেকে সেই দিনের রুটিনটা একটু ভিন্ন রকম ছিল। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রংপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। রংপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল আমার মোবাইল সার্ভিসিং করা ও কলেজ থেকে প্রশংসা করতেও তোলা।
আসলে অনেক দিন পর বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করে খুব ভালই লেগেছিল।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
রংপুর আমাদের বিভাগ হওয়ায় অনেক কাজ রংপুরে যেয়ে করতে হয়।। আজ মোবাইল ঠিক করার জন্য রংপুর গিয়েছিলাম সেই সাথে কলেজে গিয়েছিলেন প্রশংসা পত্র তোলার জন্য এছাড়া বন্ধুদের সাথে বেশ আড্ডা দিয়েছেন।। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা দিন পার করেছেন।।
সত্যি কথা বলতে ভাই, রংপুর হলো আমার প্রাণকেন্দ্র। এই রংপুর শহরে কতই না দিন পার করেছি। এই শহরের প্রতি একটা মায়া জন্মে গেছে। বন্ধু একটা কথা আছে না, পরিস্থিতি মানুষকে সবকিছু বদলাতে বাধ্য করে।
আলহামদুলিল্লাহ কলেজের কাগজপত্র সব ভালো ভাবে তুলতে পেরেছিলাম।
আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
আমরা যে জায়গায় দীর্ঘ সময় থাকবো সেটার প্রতি আমাদের একটা আলাদা মায়া সৃষ্টি হয়।। আর এই সেই জায়গায় অনেক স্মৃতি লুকিয়ে থাকে যেটা কিনা কখনো ভোলা যায় না।। শুনে ভালো লেগেছে সবকিছু পেরিয়ে কলেজ থেকে কাগজপত্র ভালোভাবে তুলতে পেরেছেন।।