Better Life With Steem | | The Diary Game | | 28 June, 2024

in Incredible India2 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এখনো সুস্থ রেখেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করব। আলহামদুলিল্লাহ। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যক্রম নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

The Diary Game_ _ 13 May,2024_20240629_185845_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো গতকালকেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছি। এভাবে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠা একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। দেখা যায়, মোবাইলে এলার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠেই বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম।

আকাশের দিকে খেয়াল করলাম চারদিক থেকে অন্ধকার হয়ে এসেছে। মানে যেকোন মুহূর্তে বৃষ্টি আসতে পারে। এদিকে বাসায় অনেকগুলো সিদ্ধ করা ধান রয়েছে। রোদ না থাকার কারণে একটুও শুকাতে পারি নি।

মা'য়ের প্রতিদিন সঠিক সময়ে রান্না করা একটা দৈনিক রুটিন হয়ে গেছে। কারণ প্রতিদিন ডিউটিতে যাওয়ার সময় আমি দুপুরের খাবার সাথে নিয়ে যাই। এজন্য প্রতিদিন সকালবেলা মা রান্নাবান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত থাকে। পরে আমি আর বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি।

IMG_20240628_085209.jpg

মা সকালবেলা আমাকে আপেল খাওয়ার জন্য বলেছিল। আমার আপেল খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। তাই মা'কে বলেছিলাম আম কেটে দেওয়ার জন্য। মা আমার জন্য অনেকগুলো আম কেটে দিয়েছিল। সত্যি গাছের টাটকা ফলের স্বাদ একদম অন্যরকম। আম খাওয়া শেষ করেই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

IMG_20240628_090737.jpg

ল্যাবে যাওয়ার সময় আকাশের অবস্থা মোটামুটি ভালোই ছিল। তাই রেইনকোট সাথে নেইনি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় অনেক জোরে বৃষ্টি এসেছিল। পরে একটা দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম।

মোটামুটি ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর বৃষ্টি থেমেছিল। পরে আবারো ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম।

গতকালকে শুক্রবার দিন ছিল। আপনারা হয়তো জানেন, শুক্রবারের দিন আমি সব থেকে বেশি ব্যস্ত থাকি। ডাক্তার মোটামুটি সকাল এগারোটা নাগাদ চেম্বার এসেছিল। ডাক্তার এসে রোগী দেখা শুরু করলে, আমারও ল্যাবের কাজ শুরু হয়ে যায়।

IMG_20240628_112442.jpg

মাইক্রোস্কোপ থেকে তোলা

সকালবেলা একজনের প্রসাব টেস্ট করেছিলাম। প্রসাবে এত বেশি ইনফেকশন ছিল যা বলার মত নয়। তবে ইনফেকশন হওয়ার একটা কারণ ছিল। কারণ মহিলাটি প্রেগন্যান্ট ছিল। আর সাধারণত প্রেগন্যান্ট অবস্থায় প্রসাবে একটু ইনফেকশন দেখা দেয়। মোটামুটি জোহরের আযান পর্যন্ত একটানা কাজ করেছিলাম।

IMG_20240628_132443.jpg

আযান দেওয়ার পর তাড়াতাড়ি ওযু করে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গিয়েছি। নামাজ পড়ে আবারও এসে বাকি কাজ সম্পন্ন করেছিলাম। বেশ ভালই রোগী হয়েছিল। মোটামুটি ৩:০০টা পর্যন্ত ডাক্তার চেম্বারে ছিলেন।

এদিকে আমার অনেক বেশি ক্ষুধা লেগেছিল। তাই ডাক্তার যাওয়া মাত্রই দুপুরের খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই শুয়ে রেস্ট করেছি। বিকেলবেলা আবারো গাইনি ডাক্তার আসার কথা ছিল। এজন্য গাইনি ম্যামের সঙ্গে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করেছিলাম, তিনি কখন আসবেন।

IMG_20240628_185000.jpg

তিনিও মোটামুটি বিকেল ৬:০০টা নাগাদ চেম্বার এসেছিল। গাইনি ডাক্তারের এত বেশি রোগী ছিল, একদম ধারণার বাইরে। সন্ধ্যার পরে ল্যাবে কাজ শুরু করেছি কোন দিক দিয়ে রাত এগারোটা বেজে গেছে বুঝতেই পারিনি। সব কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি।

ল্যাব বন্ধ করে আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সন্ধ্যার পর একটু বৃষ্টি হয়েছিল এজন্য রাস্তাঘাট ভেজা ছিল। সেই সাথে রাস্তা ও ফাঁকা ছিল।

IMG_20240628_225756.jpg

আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। বাসায় গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে মা সহ রাতের খাবার খেয়েছিলাম। খাওয়া শেষ করে আর বেশি রাত জাগিনি, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছি।

ধন্যবাদ

Sort:  
 2 months ago 

আজকে আপনি সকাল সকাল উঠে গেলেন কারন আপনার আম্মুর সাথে দানি নিয়ে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু সকালে উঠে দেখলেন আকাশের অবস্থা খুবই খারাপ সেজন্য আপনার মনটা খারাপ হয়ে গেছিল, সেরকম অবস্থা সবারই মন খারাপ হয়ে যাবে।

ঠিক বলেছেন সৃষ্টিকর্তার বৃষ্টি দিলে আমাদের কিছুই করা থাকে না সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে যেভাবেই চলতে চাইতেছে সেভাবেই চলতে হবে।

একটি বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন আকাশের অবস্থা দেখেই ধান সিদ্ধ করা বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিকেলবেলা হাঁটা কি করতে আমার অনেক ভালো লাগে।

ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।

 2 months ago 

সেদিন ভোরবেলা উঠে ধান সিদ্ধ করার কাজ শুরু করেছিলাম। আর আপনি হয়তো জানেন, ধান সিদ্ধ করার কাজ কখনো একা করা সম্ভব নয়। এজন্য মাকে সাহায্য করার জন্য খুব সকালে উঠে ছিলাম।
কিন্তু সকালবেলা উঠে আকাশ অনেক খারাপ ছিল এজন্য বাকি ধান আর সিদ্ধ করিনি। কিন্তু যেটুকু সিদ্ধ করেছিলাম সেগুলো নিয়ে টেনশনে পড়েছিলাম।
আসলে ভাই আমাদের সবকিছু সৃষ্টি কর্তার হাতে।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো ভাই। ভালো থাকবেন।

Loading...
 2 months ago 

যাইহোক আপনি প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনার সারাদিনের যতসব কাজ ছিল এর সকল বিষয়ে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

যে গুলো শুনে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো এবং পোস্টটি পড়ো অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে করার জন্য।

 2 months ago 

জ্বী ভাই! আমার যতটুকু সম্ভব সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করি। অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার দিন আমি অনেক বেশি ব্যস্ত থাকি ভাই। কারণ শুক্রবার দিনে আমাদের প্রতিষ্ঠানে দুইজন ডাক্তার চেম্বার করেন। এজন্য আমারও ল্যাবের কাজ অনেক বেশি হয়।
আমার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

 2 months ago 

আমাদের এখানেও প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে এখন। বৃষ্টি হলে চারপাশের আবহাওয়াটা বেশ শীতল থাকে। তবে বৃষ্টির কারনে আপনাদের ধান শুকাতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিনের মতো প্রস্তুত হয়ে ল্যাবের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।মাইক্রোস্কোপ এর কাজ কাছ থেকে দেখার খুব ইচ্ছা তবে এখন হয়ে ওঠে নি। আমরা কোথাও গেলে বাড়িতে না আসা পর্যন্ত মায়ের মন চঞ্চল থাকে। আপনি সুস্থভাবে বাসায় আসার পর নিশ্চয় আপনার মা খুব খুশি হয়েছিলো৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

বর্তমানে সব দিকেই কম বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। একদম ঠিক বলেছেন বৃষ্টি হলে চারদিকের আবহাওয়া অনেকটাই ঠান্ডা থাকে। আপনি এখন পর্যন্ত সামনাসামনি কখনো মাইক্রোস্কোপের কাজ দেখেননি জেনে খারাপ লাগলো।
সব মায়েরাই এরকম, সন্তান যতক্ষণ না পর্যন্ত বাইরে থেকে বাসায় আসে টেনশন করবেই।
আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 2 months ago 

বৃষ্টির সময় ধান সিদ্ধ করা একেবারেই উচিত নয়। তারপরও আপনারা করে ফেলেছেন এটা খুবই দুঃখের একটা বিষয়। আশা করি রোদ হলে ধান শুকিয়ে নিতে পারবেন। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে রেইনকোট শরীরে থাকলেও কোন কাজ হয় না।

শুক্রবারের দিন আপনার কাজ একটু বেশি থাকে। কেননা আপনার ল্যাবের মধ্যে গাইনি ডাক্তার আসে। আর গাইনি ডাক্তার আসলে রোগীর পরিমাণটা একটু বেশিই হয়ে থাকে। যাইহোক অনেকটা ব্যস্ততার মধ্যে আপনার দিনটা কেটে গেল। ধন্যবাদ ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন, এই বৃষ্টির সময়ে ধান সিদ্ধ করা একদম উচিত হয়নি। কিন্তু এখানে একটি কথা রয়েছে, মা যেদিন ধান সিদ্ধ করেছে। তার একদিন পর থেকে এরকম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কে'বা জানত এভাবে একটানা বৃষ্টি হবে।
অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার একটু কাজের চাপ বেশি থাকে। কারণ শুক্রবারে গাইনি ডাক্তার থাকলে অনেক রোগী আসে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

আপনার মধ্যে আর আমার মধ্যে একটা মিল আছে আমারও আপেল খেতে খুব বেশি ভালো লাগে না ভাই।। প্রতিদিনের মতোই মা রান্না করে দিয়েছে আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে বাইরে গেলেই ছাতা বা রেনকোট নেওয়া উচিত বৃষ্টি যে কোন মুহূর্তে চলে আসে।। এর আগেও শুনেছিলাম শুক্রবারে আপনি সবচাইতে চাপে থাকেন আর আজকেও এর ব্যতিক্রম নয়।। নামাজ পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো।।

 2 months ago 

মোটামুটি নাস্তা খেতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু আমার কাছে কেন জানি নাস্তার মধ্যে আপেলটা একদমই খেতে ইচ্ছা করে না। আমার সাথে আপনারও দেখি বেশ ভালই মিল আছে। হ্যাঁ ভাই বর্তমান বর্ষাকাল সময়। আর যেহেতু আমাকে ডিউটিতে যেতেই হয়। এজন্য সব সময় ছাতা বা রেইন কোট রাখার চেষ্টা করি।
অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার দিন আমি একটু চাপের মধ্যেই থাকি।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ।

 2 months ago 

জি ভাই আপনার সাথে আমারও মিল আছে।। আর হ্যাঁ বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য রেইনকোট বা সাদা রাখা উচিত কারণ কোন দিক দিয়ে কখন বৃষ্টি চলে আসে এটা আমরা কেউ জানিনা।।

 2 months ago 

ঘুম থেকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে উঠলে ঐটা একটা সময় অভ্ভাসে পরিণত হয়। তখন আর অ্যালার্ম লাগেনা। একই ঘুম ভেঙে যায়। এটা আমার হয়ে গেছে।যাদের বাসায় খাবার নিয়ে অফিসে যাওয়ার মানুষ আছে তাদেরও একই রকম সকালে উঠা অভ্ভাসে পরিণত হয় রান্না করার জন্য।
আসলে এতো বৃষ্টির সিজনে ধান সেদ্ধ না করলেই হয়তো ভালো হতো। প্রার্থনা করি দ্রুত রোদ উঠুক ,যাতে আপনারা ধান শুকাতে পারেন।

 2 months ago 

সর্বপ্রথম কথা হলো মানুষ অভ্যাসের দাস। একজন মানুষ কোন কাজ একই নিয়মে করলে সেটা একসময় দৈনিক রুটিন পরিণত হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন, যাদের পরিবারে অফিসে যাওয়ার মানুষ আছে তাদেরকে সকালবেলা উঠে রান্না করতেই হয়।
সত্যি কথা বলতে মা যেদিন ধান সিদ্ধ করেছিল সেদিন বেশ ভালোই রোদ ছিল। কিন্তু তার পর দিন থেকে যেভাবে একটানা বৃষ্টি শুরু হবে একটু আশা করিনি।

 2 months ago 

আপনার লেখাটি পড়ে জানতে পারলাম যে আপেল খেতে আপনি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না তাই আপনার আম্মাকে বললেন যে আম কেটে দিতে আপনি ভালই ভক্তি করে খান সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে।

আম আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই ধরতে পেরেছেন। কেন জানি আপেল খেতে একটুও ভালো লাগেনা। শুধু এখন নয় ছোটবেলা থেকেই আপেল খেতে ভালো লাগে না।
আর যতদিন থেকে আম পাকা শুরু করেছে, প্রতিদিনই সকালবেলা আম খেয়ে ডিউটিতে যাই। গাছের টাটকা আম খাওয়ার স্বাদ একদম অন্যরকম।
আমার পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

ভাই সবার তো আর সব রকম পছন্দ হয় না হয়তোবা আপনারও একই রকম। ছোটবেলা থেকে আপনি আপেল খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না তবে আম আপনার কাছে খুবই প্রিয় প্রতিদিন ডিউটিতে যাওয়ার আগে আম খেয়ে ডিউটিতে যান।

ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টের খুব সুন্দর একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58418.48
ETH 2515.89
USDT 1.00
SBD 2.36