Better Life With Steem | | The Diary Game | | 26 October, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমি নিজে কতটা ঠিক আছি, নিজেই জানিনা। তারপরও মানতে হবে ভালো মন্দ নিয়েই মানুষের জীবন। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো আজকেও সকাল আট'টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছি। প্রতিদিনই ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম ল্যাবে গিয়ে কাজ করতে হয়। তবে আজকের কাজ করার সময়টা ছিল একদম বিরক্তিকর। কারণ গতকালকের পোস্টে বলেছিলাম আমাদের ল্যাবের একটা মেশিন নষ্ট হওয়ার কারণে অনেক ঝামেলায় আছি।
আর আপনারা যারা জানেন, মেশিন নষ্ট হয়ে গেলে কাজের ব্যাঘাত ঘটে। যাইহোক, তারপর সকালের কাজগুলো করেছিলাম। কিন্তু একটা বিষয় হচ্ছে মেশিন নষ্ট হয়ে গেলে কিছু সময়ের জন্য ভিন্নভাবে কাজ করা সম্ভব। কিন্তু আজকে সকালবেলা পুরোটাই ভিন্ন হয়েছে।
গতকালকে বিকেলবেলা যখন মেশিন নষ্ট হয়ে গেছিল, সাথে সাথেই ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন দিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু আজকে সকালবেলা ফোন দেওয়ার পর বলেছিল তারা এখনো ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার জন্য রওনা হয়নি। তারপর থেকে আমিও বেশ টেনশনে পড়ে গেছিলাম সারাদিন কিভাবে কাজ করব।
সকালবেলায় বেশ কয়েকটা রোগীর ডেঙ্গু পজেটিভ পেয়েছিলাম। আপনাদের সবাইকে বলতেছি বর্তমানে আবহাওয়া অনেক খারাপ তাই সাবধান থাকবেন। মোটামুটি সকাল ১১টা পর্যন্ত কাজ করে সকালের নাস্তা খেয়েছি। এদিকে চাকরিতে জয়েন করার পর থেকে আমার নাস্তা খাওয়াটা অনেক দেরি হয়ে যায়।
নাস্তা খাওয়ার শেষ করে আবারো ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি অনেক কষ্ট করে কাজ করতে হয়েছে। দুপুরের দিকে খাওয়ার সময়ে রুমে এসেছিলাম। এর মাঝে ল্যাবের এক ভাই বলেছিল আমার সাথে দুপুরের খাবার খাবে। তাই ভাইয়ের জন্য বাইরে থেকে খাবার আনতে গিয়েছি। পরে দুইজনে মিলেই দুপুরের খাবার খেয়েছি।
খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই একটু রেস্ট করেছি। পরে আবারো তাড়াতাড়ি ল্যাবে গিয়ে বিকেলের কাজ শুরু করেছি। এর মাঝে ইঞ্জিনিয়ারকে আবারো আসার জন্য ফোন দিয়েছি। পরে তারা আসার জন্য রওনা হয়েছিল। আসলে মেশিনের সমস্যা হলে কত রকমের ঝামেলা পোহাতে হয় যা বলার মত নয়। মোটামুটি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেছিলাম।
তবে আজকে সন্ধ্যার পর বাইরে কোথাও না গিয়ে রুমে কিছুক্ষণ ছিলাম। এর মাঝে বাসায় মা এবং আপুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। পরে এক ভাই ফোন দিয়ে লঞ্চঘাটে যেতে বলেছিল। লঞ্চঘাটে গিয়ে প্রতিদিনের মতোই বড় ভাইসহ আড্ডা দিয়েছি। কেন জানি, লঞ্চের উপর বসে আড্ডা দিতে আমার ভালই লাগে।
আড্ডা দেওয়ার পর রুমে আসার পথে এক দোকান থেকে ঝাল মুড়ি খেয়েছি। এদিকে ঝাল মুড়ির দাম তো একদম আকাশ ছোঁয়া। শুধু ঝালমুড়ি না যেকোন জিনিসেরই দাম অনেক বেশি। পরে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে প্রতিদিনের মতোই পোস্ট লিখতে বসেছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)
চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত মেশিনের গুরুত্ব অনেক। তাই কোনো মেশিন যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমাদের কাজের অনেক সমস্যা হয়। যদিও আপনারা ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন করেছিলেন নষ্ট হওয়া মেশিন ঠিক করার জন্য। ডেঙ্গু একটা খুব ভয়ংকর রোগ। অনেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সাবধানে থাকতে হবে এবং আমাদের আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।