Better Life With Steem | | The Diary Game | | 07 May, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো গতকালকেও সঠিক সময়ের মধ্যে ঘুম থেকে উঠেছি। তবে গতকালকে সকাল বেলা একটু বেশি ঠান্ডা লেগেছিল।পরে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পেলাম সকাল সকাল একটু বৃষ্টি হয়েছে। পরে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি।
গোসল করার সময় গতকালকে অনেক বেশি ঠান্ডা লেগে ছিল। কিন্তু কি আর করার প্রতিদিন ডিউটিতে যেতে হয় এজন্য গোসল করতেই হবে। এদিকে মা প্রতিদিনের মতোই আমার দুপুরের খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য রান্না করেছে। পরে আর বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি নাস্তা খেয়ে নিয়েছি। পরে দুপুরের খাবার সাথে নিয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ল্যাবে যাওয়ার পথে গতকালকে অনেক বেশি বাতাস ছিল। বর্তমানে আমাদের গ্রাম এলাকায় আমন ধান কাটার মৌসুম চলতেছে। বলতে গেলে সবারই ধান পেকে গেছে। পাকা ধানের ক্ষেতগুলে যখন বাতাসের মাঝে দোল খায় ওই সময় দেখতে খুব ভালো লাগে।
যাইহোক, ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ ছিল সেগুলো সেরে নিয়েছিলাম। গতদিনেও বলতে গেলে সারাদিনই অবসর সময় কাটিয়েছি। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতে ছিলাম এবং বাকি সময়ে আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছি।
দুপুর হয়ে গেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। গতদিনে বিকেলের দিকে আবহাওয়া এতই খারাপ ছিল, মনে হয় বৃষ্টি আসবে এমন অবস্থা। বিকেলের দিকেও কোন কাজ না থাকায় খালা আমাকে চা বানিয়ে দিয়েছিল।
গতকালকে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল। আমি বিগত পোস্টেই বলেছিলাম আমি ৭ তারিখ রাতে ঢাকা যাব। রাত ৯ঃ৪০ মিনিটে আমার ট্রেন ছিল। কিন্তু যখন ল্যাব বন্ধ করব ওই সময় আবারও কাজ এসেছিল। কিন্তু কি আর করার কাজটা সম্পন্ন করে ভালোভাবে রিপোর্ট দিয়ে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ বাসায় গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়েছি। এদিকে মা সুন্দর মত আমার ব্যাগ গুছিয়ে দিয়েছে। পরে রাতের খাওয়া করে আবারো পার্বতীপুর রেল স্টেশনে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।
আলহামদুলিল্লাহ ৯ঃ৩০ মিনিটের মধ্যে রেল স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কপাল খারাপ হলে যা হয়। গতকালকে ট্রেন লেট ছিল, ৯ টা ৪০ মিনিটের ট্রেন মোটামুটি রাত ১১:৪০ এর দিকে এসেছিল। কিন্তু এত রাতে আবারও বাসায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য স্টেশনে বসে সময় পার করেছি।
পরে ১১:৪০ এর দিকে ট্রেন আসার পর ট্রেনে উঠেছিলাম। ট্রেনে উঠার পর মা'কে কল দিয়ে বলেছিলাম আমি ভালোভাবে ট্রেনে উঠতে পেরেছি। কারণ মা'কে না জানালে বাসায় টেনশন করবে। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবেই ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
প্রচন্ড তাপদাহের পরে গত কদিনের বৃষ্টি সত্যিই আমাদের জীবনে প্রশান্তি এনে দিয়েছে। পাকা ধানের ক্ষেতে যখন বাতাস দুলে দুলে বয় তখন যে মনোরম দৃশ্যের অবতারণা হয় তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনুভব করলাম।
ঢাকা যাবেন বলে মনস্থির করলেন কিন্তু ট্রেন লেট হওয়ায় আপনার দেরি হয়ে গেল।
সব মিলিয়ে চমৎকার একটি দিনে দিনলিপি শেয়ার করলেন।
সত্যি পাকা ধানের বাতাসের দোল খাওয়া দেখলে খুব ভালো লাগে।
ঢাকা যাব ঠিক করেছিলাম কিন্তু সঠিক সময়ে স্টেশনে উপস্থিত হওয়ার পরেও ট্রেন দেরি হয়ে গেছে কিন্তু কিছুই করার ছিল না।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের শরীর নিয়ে আমাদের থেকে আমাদের মা বেশি চিন্তিত থাকে আর এজন্য সময় মতো খাওয়ার জন্য বার বার জোর করে। প্রতিদিনের মতো আজও আপনি নিজের কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন । আপনাে মতো আমাদের এখানেও এই সময় ধানের চাষ করা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রতিটি মা-বাবারাই সন্তানদের জন্য সব সময় ভালো চাই। বর্তমানে আমাদের এই দিকে পুরোপুরি ধান কাটার মৌসুম চলতেছে। যাক আপনাদের ঐদিকেও ধানের চাষ হয় জেনে ভালো লাগলো।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের এদিকেও সকলে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত। তবে বৃষ্টির কারনে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছ সবাই। এদিকে বৃষ্টির ও প্রয়োজন আবার বৃষ্টি হলে ধান ঘরে তুলতে সমস্যাও হবে কোন দিকে যাবে সৃষ্টি কর্তা। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।