Better Life With Steem | | The Diary Game | | 03 July, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এখনো সুস্থ রেখেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করব। আলহামদুলিল্লাহ। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যক্রম নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে ওঠার পর বেশ কিছু কাজ ছিল। আমাদের টিভির ডিস লাইনের তার ছিড়ে গেছিল। পরে ডিস লাইনের লোককে ফোন দিয়ে আসতে বলেছিলাম। তারা এসে ঠিকভাবে লাগিয়ে দিয়েছে। এসব কাজ করতে ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল।
অন্যান্য দিনের মতো মা গতকালকে সকালবেলা রান্না করেনি। রান্না না করার পিছনেও একটা কারণ রয়েছে। আমি বিকেলের দিকে ল্যাব থেকে আবারও বাসায় আসব। পরে বিকেল বেলা আমি নীলফামারীতে আমার আপুর বাসায় যাব। এজন্য দুপুরবেলা খাবার নিয়ে যাওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। তাই মা রান্না করেনি।
যাইহোক, পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আম খেয়েছিলাম। প্রতিদিন সকালবেলা আম খাওয়ার একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে গাছের টাটকা আম খাওয়ার স্বাদ একদম অন্যরকম।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম। আমি বিগত পোস্টে সবাইকে অবগত করেছি, আমার প্রতিষ্ঠান মালিকের বউয়ের বাচ্চা হয়েছে। উনারা সবাই বর্তমানে রংপুরে আছেন।
এজন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমার উপরে দিয়ে গেছে। তাই প্রতিষ্ঠানের সবকিছু আমাকেই পরিচালনা করতে হয়েছে। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতেই ছিলাম। এর মাঝে প্রতিষ্ঠান মালিককে ফোন দিয়ে বলেছি, আমাকে বিকেল তিনটার দিকে বাসায় চলে যেতে হবে। তিনি যাওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছিল।
যাইহোক, পোস্টের শুরুতেই আমি বলেছি সকালবেলা শুধু আম খেয়ে ল্যাবে এসেছিলাম। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে গেছিল। পরে প্রতিষ্ঠানের খালা'কে হোটেল থেকে পুড়ি নিয়ে আসতে বলেছি। পরে সবাই মিলে একসাথে পুড়ি খেয়েছিলাম।
মোটামুটি বিকেল ৩:০০টা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ বাসায় যাওয়া মাত্রই দেখি, মা আপুর বাসায় যে জিনিসগুলো দিবে সেগুলো সব রেডি করেছে। আমিও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। খাওয়া শেষ করে সবকিছু নিয়ে আপুর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
আমাদের পার্বতীপুর থেকে নীলফামারী যাওয়ার সরাসরি কোন গাড়ি নেই। কয়েকবার ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হয়। আমি সর্বপ্রথম অটো গাড়ি করে পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুরে পৌঁছে গিয়েছি। আপুর বাসা মূলত নীলফামারীতে নয়। মানে নীলফামারী যাওয়ার একটু আগেই আপুর বাসা। এজন্য আর সরাসরি বাসে না উঠে আবারো অটো গাড়ি করে গিয়েছিলাম।
আমাদের উত্তরবঙ্গের বর্তমান সব থেকে বড় গার্মেন্টস হলো উত্তরা ইপিজেড। যাওয়ার পথে উত্তরা ইপিজেডের একটি ছবি তুলেছিলাম। এই উত্তরা ইপিজেড হওয়ার পর থেকে সৈয়দপুর এবং নীলফামারী মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে আপুর বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। যাওয়া মাত্রই ফ্রেশ হয়ে আপু আমাকে ঠান্ডা শরবত খেতে দিয়েছিল। সেই সাথে অনেক নাস্তাও দিয়েছিল। কিন্তু নাস্তা খেতে আমার তেমন একটা ভালো লাগে না। পরে আপুর সাথে বেশ কিছু সময় ধরে গল্প করেছিলাম। কিছুক্ষণ থাকার পর আমার একটু বদ্ধ বদ্ধ লেগেছিল। সত্যি কথা বলতে, আমি একটু বাইরে ঘোরঘুরি করি তো। যার কারণে এমনটা লেগেছিল।
পরে অবশ্য বাইরে গিয়ে বাজারে একটু ঘোরাঘুরি করেছি। বাজারটা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। পরে একটি কনফেকশনারি দোকান থেকে আপুর জন্য আইসক্রিম নিয়েছিলাম। এদিকে আবারো আপু ফোন দিয়েছিল বাসায় যাওয়ার জন্য। তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে গিয়েছি।
সকাল সকাল আম খাওয়া বেশি উপকার কিন্তু খালি পেটে আম খাওয়া কতটুকু সঠিক আমার জানা নেই।। অবশেষে ল্যাবে গিয়েছিলেন এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজও করেছেন।। আজ বোনের বাসায় যাবেন জন্য একটু তাড়াতাড়ি চলে আসে আর বোনের বাসায় যান আর বোন নাস্তা খেতে দেয়।। আসলে বোনদের কাছে ভাইদের আদর অনেক।
বর্তমানে সকালবেলা কমবেশি আমি প্রতিদিনই আম খাচ্ছি। কিন্তু হ্যাঁ সকালবেলা খালি পেটে আম খাওয়া ঠিক হবে কিনা আমি নিজেও জানিনা। যাইহোক, সকালের নাস্তা খেয়েই লাবে গিয়েছিলাম।
বোনের বাসায় যাব এজন্য ডিউটি থেকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে এসেছি। আসলেই ভাই বোনের বাসায় গিয়ে ভাইয়েদের শেষ নেই। যাওয়া মাত্রই আপু আমাকে অনেক কিছু খেতে দিয়েছিল।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ।
আমিও বোনের বাসায় গেলে ফোন অনেক কিছু খেতে দেয়।। আমার মনে হয় প্রতিটি বোন এমনই হয় ভাইয়ের প্রতি তাদের আলাদা একটা ভালোবাসা থাকে।।
ভাই আমি যখন আপনার এই পোস্টে পড়ছি তখন বালিশ আছে ৪০ ডিগ্রি সেলছিয়াস তাপমাত্রা চলছে এমন সময় যদি আইসক্রিম ভরা এমন ফ্রিজ দেখি তাহলে কেমনটা লাগে বলেন তো মনে হচ্ছে যে যদি এটা ছবি কেনা হয়ে বাস্তবে হত তাহলে একবারে তিন চারটা আইসক্রিম খেয়ে ফেলতাম।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন এবং পরবর্তী দিন লিপি পাড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
সত্যি ভাই গরমের সময় এরকম আইসক্রিম খেতে সবারই অনেক ভালো লাগে। আমার আইসক্রিমের ছবি দেখে আপনার আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করছে। আপনারা এত তাপমাত্রায় কাজ করেন সেটা সত্যিই অনেক কষ্টকর ভাই।
আমি সব সময় আমার সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
ইদানিং সকাল বেলা আমার বাসায়ও নিয়মিত আম খাওয়া চলছে। তবে আপনার সাথে পার্থক্য হলো আমাদের আম নিজেদের গাছের টাটকা আম না বরং বাজার থেকে কিনে আনা বিশুদ্ধ কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত আম।
ল্যাবে শুধু মাত্র আম খেয়ে যাওয়ার কারণে খিদে লাগায় পুরি কিনে সবাই মিলে খেয়েছিলেন। দুপুরে বাসায় এসে বোনের বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মায়ের বানানো খাবার নিয়ে নীলফামারীতে বোনের বাসায় গিয়েছিলেন।
যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো হওয়ার কারণে উত্তরবঙ্গের মানুষের কষ্টের দিন কমেছে। ইপিজেড আছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার আইসক্রিমের ছবি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।
প্রতিদিন আম খেয়ে ডিউটিতে আসা আমার একটা দৈনিক রুটিন হয়ে গেছে। তবে আমাদের বাসা তো গ্রামেই আর আমাদের নিজ গাছের আম আমরা খেয়ে থাকি।
সেদিন আমার আপুর বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। তাই মায়ের রান্না করা সব খাবার নিয়ে আমি আপুর বাসায় গিয়েছিলাম।
হ্যাঁ বর্তমানে নীলফামারী জেলায় ইপিজেড হয়েছে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
আম খাওয়া আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আমিও আম খেতে ভালোবাসি তবে খুব বেশি না। আপনার ল্যাবের মালিকের স্ত্রীর প্রেগন্যান্ট এটা আগেই জেনেছি তবে জেনে ভালো লাগলো যে তার বাচ্চা হয়েছে আজ। তবে এজন্য ল্যাবের সকল দায়িত্ব আপনা উপর পড়েছে। আপনার আপুর জন্য আইসক্রিম কিনেছিলেন। আইসক্রিম সবারই খুব প্রিয়।
যদিও আমার সকালবেলা আম খাওয়াটা একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু জানিনা যে সকালবেলা খালি পেটে আম খাওয়াটা কতটা উপকার। কিন্তু হ্যাঁ আপনার মত আমারও আম খেতে খুব ভালো লাগে।
আমি বিগত পোস্টে সবাইকে অবগত করেছিলাম আমাদের প্রতিষ্ঠান মালিকের বউ প্রেগন্যান্ট। সেদিন রংপুরে এক হসপিটালে বাচ্চা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ মা এবং মেয়ে দুজনের সুস্থ আছে।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।