Better Life With Steem | | The Diary Game | | 02 June, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে খড়ের যে কাজ ছিল সেগুলো আগে সেরেছি। গত দুইদিন থেকে ভালই রোদ হচ্ছে। দুই দিনের রোদে অনেকগুলো ধান ও খড় শুকিয়ে গেছে। আর কয়েকদিন রোদ হলেই সব ধানের কাজ শেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
প্রতিদিনের থেকে গতকালকের সকালবেলাটা একটু ভিন্ন রকম ছিল। কাজ করার ফাঁকে আমাদের কাঁঠাল গাছের দিকে খেয়াল করছি, বেশ বড় একটি কাঁঠাল পেকেছে। তৎক্ষণাৎ গাছে উঠে কাঁঠালটি পেরেছিলাম।
সত্যিই বছরের প্রথম ফল গাছ থেকে পাড়ার আনন্দই আলাদা। হয়তো অন্যান্য জায়গায় অনেক আগেই কাঁঠাল পেকেছে। কিন্তু আমাদের গাছে গতকালকে সর্বপ্রথম কাঁঠাল পেকেছিল। যাইহোক, পরে ধানের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করেছিলাম।
এদিকে ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল, তাই তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি। মা সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য নাস্তা বানিয়েছিল। কিন্তু আমি আর মায়ের বানানো নাস্তা খাইনি, গাছ থেকে যে কাঁঠাল পেরেছি সেই কাঁঠাল খেয়েছিলাম। সত্যি বছরের প্রথম ফল খেতে অন্যরকম স্বাদ। কাঁঠালটি অনেক বেশি মিষ্টি ছিল।
পরে তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ল্যাবে যাওয়ার পথে যে রোগীর বাড়িতে ইনজেকশন দেওয়ার কথা ছিল। সেখানে গিয়ে ইনজেকশন দিয়ে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি।
গতকালকেও সকালবেলা তেমন কোন কাজ ছিল না।তাই অবসর সময়ে বসে বসে আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছিলাম। এর মাঝে প্রতিষ্ঠানের মালিক আমাকে ডেকেছিল। পরে দেখতে পেলাম আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সাইনবোর্ড বানিয়ে এনেছে। তৎক্ষণাৎ আমি একটি ছবি তুলেছিলাম।
দুপুরে খাওয়ার সময় হলে খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। বিকেলে দিকে গরমের তাপমাত্রাটা একটু বেড়ে গিয়েছিল। তাই বাইরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করেছি। গতকালকে আমাদের কমিউনিটির ডিসকর্ডে আর্ট বিষয়ে একটি ক্লাস হওয়ার কথা ছিল।
ধন্যবাদ
বিগত টিউটোরিয়াল ক্লাসে রবিবার সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে ক্লাসের কথা বলেছিল। ক্লাস করার জন্য সামনের বাজারে গিয়ে পেন্সিল, রাবার ও যা যা লাগে সবকিছু কিনে এনেছিলাম। কিন্তু ভাগ্যবশত ক্লাসটি হয়নি।
পরে সন্ধ্যার দিকে হালকা একটু ল্যাবে কাজ ছিল সেগুলো সেরেছিলাম। সন্ধ্যার পর আকাশটা একটু মেঘলা হয়ে এসেছিল। ভাবছিলাম হয়তো বৃষ্টি আসবে, বাসায় যেতে পারবো কিনা। তবে আলহামদুলিল্লাহ বৃষ্টি আসেনি।
মোটামুটি রাত ৮:০০টার দিকে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করেছিলাম। বাসায় যাওয়ার পথে ফার্মেসি থেকে দুইটা ইনজেকশন নিয়েছিলাম। কারণ বাড়ি যাওয়ার পথে রোগীর বাসায় গিয়ে ইনজেকশন দিতে হবে। বাড়িতে গিয়ে ভালোভাবে ইনজেকশন দিয়ে আমি বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়েছিলাম। গতকালকে রাতের দিকে একটু শরীর খারাপ করেছিল। এজন্য আর রাত জাগিনি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছে।
ভাই আপনার দিনের কার্যক্রম পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার প্রতিষ্ঠানের নতুন সাইনবোর্ডটি আমার বেশ কাজে দিলো। দিনাজপুরে আমার ফুফাতো বোন থাকে। তিনি মেডিসিন ডাক্তার দেখানোর কথা আমাকে বলেছিলো। আপনার সাইনবোর্ডটি স্কিনশট নিয়ে আপুকে পাঠিয়ে দিয়েছি। আশাকরি আপু উপকৃত হবে।
ভাই প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও সুস্থ এবং সুন্দরভাবে ল্যবে পৌঁছেছেন দেখে ভালো লাগলো। সবথেকে ভালো লাগলো আপনার কাঁঠাল খাওয়ার বিষয়টি দেখে। বছরের নতুন কাঁঠাল এই প্রথম খেলেন আপনি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার দূর্ভাগ্যই বলা চলে। কেননা আমি এখনো কাঁঠাল খেতে পারিনি।
ভাই আজ তারাতারি ল্যাব বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলেন। কিন্তু বাসায় যাওয়ার সময় আরো দুজন রোগীর বাড়ি ভিজিট করে গেছেন। আপনার এই মহৎ কাজ সত্যি প্রসংশার দাবি রাখে। ভালো থাকবেন ভাই।
আপনার মন্তব্য পড়ে জানতে পারলাম আপনার বোনের বাসা দিনাজপুরে। তবে ভাই আমি যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত আছি। এটা দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানায় অবস্থিত।
আমিও এই সিজনে গতকালকে সর্বপ্রথম কাঁঠাল খেয়েছি। আসলেই কাঁঠালটি খেতে খুব সুস্বাদু ছিল। আপনি এখনো কাঁঠাল খেতে পারেন নি, জেনে খুব খারাপ লাগলো।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
আপনার পোস্টে কাঁঠাল দেখে মনে হচ্ছে কাঁঠালগুলো খেতে বেশ ভালো হয়েছিলো। একজন রোগীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ইনজেকশন দিয়ে ল্যাবের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলেন। আপনার পেশাটা সত্যিই গর্ব করার মতো। আপনার কাজের মাধ্যমে আপনি মানুষের সেবা করে থাকেন যেটা দেখলে খুব ভালো লাগে। আপনাদের এখানে বিকালে গরম পড়েছে তবে আমাদের এখানে সারাদিনই গরমের পরিমান বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ ভাই! ঠিকই বলেছেন, বছরের প্রথম ফল গাছ থেকে পেড়ে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। আসলেই কাঁঠালটি খেতে খুব সুস্বাদু ছিল। আপনারা ইতিমধ্যে সবাই জানেন আমি চিকিৎসা সেবায় কর্মরত আছি। এজন্য আমি নিজের সাধ্যের ভিতর যতটুকু পারি মানুষের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার আজকের সকালের ব্যতিক্রম বিষয়টি হচ্ছে আপনাদের কাঠাল পেকেছে। আসলেই কাঠালটির কোয়াগুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।আর আপনি আর্ট ক্লাসের কথা চিন্তা করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনেছেন কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত ক্লাসটি হয়নি।এরপর আপনি বাড়ি আসার পথে একজন রোগীকে ইঞ্জেকশন দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
জিও অন্যান্য দিনের থেকে সেদিনের সকালটা একটু ভিন্ন রকম ছিল। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই গাছের নতুন ফল পেরেছিলাম। সত্যি গালটি খেতে খুব মিষ্টি ছিল। বিগত টিউটোরিয়াল ক্লাসে রবিবারে আর ক্লাসের কথা ছিল কিন্তু ভাগ্যবশত হয়নি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
রোদ উঠার কারণে আপনাদের ধানের কাজ ভালই চলতেছে শুনে খুশি হলাম। প্রার্থনা করি এই কদিন দিনও ভালই রোদ থাকুক।
গাছে উঠে গাছে কাঁঠাল পেরেছেন। কাঁঠালের চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছে ভালোই মিষ্টি হয়েছে
হয়েছে। আমার বাসা কাঁঠালের মেলা মিলছে।ছেলেরা কাঠাল খায় না, আমারও ভালো লাগে না।এখন প্রতিদিন কাঁঠাল বিতরণ করা আমার দৈনন্দিন কাজের মাঝে পরেছে।
আপনাদের ল্যাবের নতুন সাইনবোর্ড টা ভালই হয়েছে দেখতে।
রাতে ল্যাপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফার্মেসি থেকে দুটো ইনজেকশন কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন এক রোগীর জন্য।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বী আপু! কয়েকদিন থেকে রোদ হচ্ছে এজন্য আমাদের ধানের কাজগুলোও প্রায় শেষের পথে। দোয়া করি, আর কয়েকদিন রোদ হলে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। সত্যিই গাছ থেকে টাটকা কাঁঠাল পেরে খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আমারও কাঁঠাল খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না।
প্রতিদিনই ল্যাব থেকে বাসায় যাওয়ার পথে একজন রোগীর বাড়িতে গিয়ে ইনজেকশন দিয়ে দিতে হয়।
আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
বাংলাদেশের অনেক জায়গায় দানের কাজ চলছে এবং বৃষ্টি হওয়ার জন্য তারা অনেক অসুবিধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কি আর করা সৃষ্টিকর্তা যেমন ভাবে নিয়ে যাবে আমাদের ঠিক সেভাবে যেতে হবে। দেখুন সৃষ্টিকর্তা ভালোভাবে যদি রোদ দিয়ে থাকে তাহলে ধান এবং খড়ের কাজগুলো সম্পূর্ণ করে নিতে পারবেন।
আসলে নিজেদের গাছে যে কোন একটি ফল সর্বপ্রথম পেড়ে খেতে অনেক ভালো লাগে এবং তার আনন্দ এবং তার মুহূর্ত আসলেই অনেক সুন্দর। কাঁঠাল আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় একটি ফল এবং বছর শুরুতে একটি ফল খাওয়া আসলেই অনেক আনন্দের বিষয়।
আমাদের বাংলাদেশের বছরের দুই বার ধান কাটার মৌসুম চলে। এই সময় অনেক বেশি রোদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হ্যাঁ কয়েকদিন থেকে যে বৃষ্টি হয়েছিল, তাতে অনেকেরই ধানের কাজ করাতে সমস্যা হয়েছে।
বছরের প্রথম ফল খাওয়ার স্বাদ একদম অন্যরকম।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
নিজের গাছের পাকা কাঁঠাল খাওয়ার মধ্যে কতটা আনন্দ আছে। সেটা আপনার পোস্ট এবং আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের বাড়িতে কাঁঠাল গাছ আছে কিন্তু কাঁঠাল তেমন একটা ধরে না। তবে আমরা কিনে নিয়ে এসে কাঁঠাল খেয়ে থাকি। আসলে বছরের ফল প্রথম মুখে দিলে অন্যরকম এক স্বাদ অনুভব করা যায়।
ল্যাবে গিয়ে নিজের সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে নিয়েছেন। আসলে কাজ না থাকলে হাঁটাহাঁটি করাটাই ভালো বসে থাকলে শরীর একেবারেই খারাপ লাগে। বাসায় আসার সময় আবার ইনজেকশন নিয়ে এসেছেন আপনার পাশের বাসার রোগীর জন্য। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই বছরের প্রথম ফল খাওয়ার স্বাদ অন্যরকম। তার উপর যদি নিজের গাছের হয়। সত্যি কাঁঠালটি খেতে খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি ছিল। আপনাদেরও কাঁঠালের গাছ আছে কিন্তু তেমন কাঁঠাল ধরে না জেনে খারাপ লাগলো।
ল্যাবে বিকেলবেলা কাজ না থাকলে এরকম আমি প্রায়ই বাইরে হাটাহাটি করি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
একদম ঠিক বলেছেন ফরমালিনমুক্ত প্রত্যেকটা খাবারের মধ্যে অন্যরকম একটা স্বাদ রয়েছে। যেটা আপনি উপভোগ করেছেন। কাজের পরিমাণটা কম থাকলে হাঁটাহাঁটি করে ছাড়াও নিজের বিভিন্ন কাজ, সঠিক সময় সম্পূর্ণ করা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ রিপ্লাই দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।