এবারের ঈদ'কে নিয়ে নিজের কিছু অনুভূতি
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমাদের উত্তরবঙ্গে বেশ কয়েকদিন থেকে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। আজকে এই বৃষ্টি ভেজা সকালে পোস্ট লিখতে বসেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব 'এবারের ঈদ'কে নিয়ে নিজের কিছু অনুভূতি'। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
প্রথমেই সবাইকে জানাই, ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আমাদের মুসলমানদের বছরে দুইটি বড় উৎসব উদযাপন করা হয় । এরমধ্যে একটি হলো ঈদুল ফিতর ও আরেকটি ঈদুল আযহা। আমরা সবাই জানি, আগামীকালকে আমাদের ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে।
ঈদ মানেই নিজের আপনজনদের মাঝে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। কারণ আপনারা সবাই জানেন, শুধুমাত্র নিজের পরিবারের সাথে ঈদ কাটানোর জন্য, কত মানুষ বাইরে থেকে কষ্ট করে বাড়িতে ফিরছে। এই ঈদ'কে নিয়ে প্রতিটি মানুষের মাঝে একটা অন্যরকম অনুভূতি থাকে।
সত্যি কথা বলতে কি আমি কখনো ভাবিনি, আমার এইভাবে কখনো ঈদ পার করতে হবে। প্রতি বছরের মত এবারের ঈদেও অনেক আশা ছিল। নিজের পরিবারের সাথে অনেক আনন্দে ঈদ পালন করব। কিন্তু সত্যি এরকমটা হবে আমার ধারণার বাইরে ছিল। আমি বিগত পোস্টে সবাইকে অবগত করেছি।
আমি বেশ কয়েকদিন থেকে পারিবারিক সমস্যার মাঝে আছি। এর মাঝে মা আবার অসুস্থ। বলতে গেলে আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্য এইবার হয়তো ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারবে না। তবুও আল্লাহ তালার উপর ধৈর্য ধরে আছি। তিনি সবকিছু ঠিক করে দিবেন। একটা কথা আছে না, একজন মানুষের মাঝে মানসিক টেনশন থাকলে, কোন আনন্দই যেন ভালো লাগেনা।
আর মাত্র একদিন পরেই আমাদের মুসলমানদের সবথেকে বড় উৎসবের দিন। এই ঈদ নিয়ে ছোটবেলায় মনের মাঝে কতই না অনুভূতি ছিল। বিশেষ করে আমার একটা কথা এখনো মনে আছে। যখন ঈদের সময় আসত, তিন দিন আগে থেকে বই পড়া বন্ধ করে দিতাম। আর মা বারবার বলতো, এখনো তো ঈদের তিন দিন বাকি আছে পড়তে বস।
ঈদের আগের দিন রাত থেকেই সবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বোম কিনে আনতাম। গ্রামের ছেলেরা সবাই মিলে একসাথে হয়ে বোম ফুটাতাম। সেই দিনগুলো কতই না আনন্দের ছিল।
ঈদের দিন সকাল হলেই পরিবারের সবাইকে সালাম করে সালামি নিতাম। আর এলাকার বন্ধুদের মাঝে একটা প্রতিযোগিতা চলতো। সবার মাঝে চিন্তা ছিল কে বেশি সালামি উঠাইতে পারে। আর এখন পুরো চিত্রটাই যেন উল্টো হয়ে গেছে। আসলে একজন মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে চিন্তা ধারাগুলো ও পরিবর্তন হয়।
বর্তমানে বয়স বাড়ার সাথে সাথে নিজের পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। এখন নিজের আনন্দ বাদ দিয়ে, পরিবার কিভাবে খুশি থাকবে সেটা নিয়ে আগে চিন্তা। ছোটবেলায় হয়তো ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই মনের মাঝে অনেক আনন্দ ছিল। কিন্তু এখন ঈদের এক মাস আগে থেকেই চিন্তা করতে হয়, ঈদের সময় সবকিছু কিভাবে সামলাবো।
এবারের ঈদ নিয়ে কেন জানি, আমার মনের ভেতর কোনো অনুভূতি নেই। তবে সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখেছি। যদিও আমি এখন এই পজিশনে আছি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমার জন্য সামনে ভালো কিছু রেখেছে। তারপরেও নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করে, পরিবারের সাথে ভালোভাবে ঈদ কাটানোর প্রস্তুতি নিয়েছি।
সবার জন্য দোয়া রইল, প্রতিটি মানুষ যেন নিজের পরিবারের সাথে ভালোভাবে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে। শেষবারের মতো সবাইকে জানাই ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
কোনো কারনে আপনি খুব মর্মাহত আছেন তাই হয়তো এভাবে আপনার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধারণ করেছেন। মহান আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুক।
আপনার মায়ের অসুস্থতার কারণে হয়তো আপনি মনোক্ষুন্ন আছেন। তবে দেখবেন সময়ের সাথে সবই ঠিক হয়ে যাবে। আপনার ঈদ খুব সুন্দর ভাবে কাটুক এই কামনা করছি।
আমি বেশ কয়েকদিন থেকে পারিবারিক সমস্যার মাঝে আছি। তারপর আমাদের সামনে ঈদ এই নিয়ে আরো টেনশনে আছি। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটি ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার উপর ধৈর্য করা উচিত। দোয়া করবেন সবকিছু যেন আবারও ঠিক হয়ে যায়।
আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল। নিজের পরিবারের সাথে ভালোভাবে ঈদ কাটুক।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়।শৈশবের ঈদের আনন্দটা আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেছে। পারিবারিক সমস্যা যে কতটা ভয়াবহ মানসিক চাপ সৃষ্টি করে তা যার হয় সে ই বুঝে শুধু। সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে। কিন্তু সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন। খুব শীঘ্রি সুখের দেখা পাবেন আশা করি। আপনার মায়ের জন্য দোয়া করি তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।
আসলেই তাই বয়স করার সাথে সাথে মানুষের সব কিছুই পরিবর্তন হয়। এই ঈদের আনন্দ নিয়ে ছোটবেলায় মনের মধ্যে কতই না অনুভূতি ছিল। কিন্তু দিন দিন এখন যেন কোথায় সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমিও সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখেছি একদিন সবকিছু আবারো ঠিক হয়ে যাবে।
দোয়া করবেন ভাই, আমার মা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
আমার পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আসলেই মানুষ কতো কষ্ট করেই না পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করতে পারে।এককথায় যুদ্ধ করে আসার মতো অবস্থা। আপনার কথাগুলো জেনে খুব কষ্ট লাগলো।আসলে বাসায় একটা মানুষ অসুস্থ হয়ে গেলে পুরো পরিবারে আর কোনো সুখ শান্তি থাকে না।দোয়া করি আন্টি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন আর পরিবারে সুখ ফিরে আসবে।
আমার কাছে মনে হয় পরিবারের মাথা হল নিজের মা। সেই মা যদি পরিবারের অসুস্থ হয়ে যায় সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে থাকে। আমি অফিস কিছুদিন থেকে পারিবারিক সমস্যার মধ্যে আছি। তারপরও সৃষ্টিকর্তার উপর ধৈর্য ধরে আছি। একদিন সবকিছু আবারো ঠিক হয়ে যাবে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ঈদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ আপনাদের কাছে অনেক বেশি আনন্দদায়ক একটা দিন। এই দিনটায় সবাই বাড়িতে এসে পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে চায়।
তবে এবারের ঈদ আপনার আগের মতো কাটছে না কারন বাড়িতে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে আর সেই সাথে মায়ের অসুস্থতা। মা অসুস্থ থাকলে তো আর আনন্দ করা যায় না। মন খারাপ করবেন না ভাই, সৃষ্টি কর্তার উপর আস্থা রাখুন। ভালো থাকবেন।
প্রথমত কথা হলো পারিবারিক সমস্যা একজন মানুষকে অনেক টেনশনের মধ্যে ফেলে দেয়। আর আমিও বেশ কয়েকদিন থেকে পারিবারিক সমস্যার মাঝে আছি। তারপরও সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
পরিবার নিয়েই আমাদের জীবন। পরিবার সুখে থাকলে সকলের মনেই আনন্দ পূর্ণ থাকে তবে পরিবারে কোনো সমস্যা থাকলে বা কেউ অসুস্থ থাকলে সবার মনই খারাপ থাকে তখন ঈদের আনন্দটাও মলিন হয়ে যায়। সৃষ্টি কর্তার উপর ভরসা রাখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমাদের। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঈদ নিয়ে আপনার মনের অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।আসলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের দায়িত্ব গুলো বেড়ে যায়। ছোটবেলায় আমরা যে মজা করতাম আনন্দ করতাম। সেটা এখন অনেকটাই জীবন থেকে চলে গেছে। সে আনন্দ এখন আর ফিরে পাই না। ঈদ ফিরে আসে কিন্তু সেই আনন্দ এখন আর ফিরে আসে না। কত মজা করতাম সবাই মিলে নিজেদের বাড়ির মধ্যেই উদযাপন করতাম। এই সবকিছু এখন স্মৃতি হয়ে গেছে। ধন্যবাদ ঈদ সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমাদের জীবন থেকে এক সেকেন্ড চলে যাওয়া মানেই আমরা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি। সেই সাথে আমাদের দিন দিন দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে। আসলেই ছোটবেলায় এই ঈদকে নিয়ে মনের ভেতর কতই না অনুভূতি ছিল। এখন আর মনের মাঝে সেই অনুভূতি গুলো কাজ করে না। বছরের পর বছর ঈদ যাচ্ছে, কিন্তু মনের অনুভূতি গুলোর থেকে উল্টো দায়িত্বগুলো বেড়ে গেছে।
আমার পোস্ট সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।