শারীরিক সুস্থতায় আনারের প্রতি দানায় সুস্বাস্থ্য।। By shakib6176

source

এছাড়া আনার বা ডালিম একটি ভিন্ন ধরনের ফল। এর ইংরেজি শব্দ pomegranate। এটি পশতু, ফার্সি, উর্দু এবং হিন্দিতে আনার হিসাবে উল্লেখ করা হয়। কুর্দি ভাষায় এটিকে "হিনার" এবং আজারবাইজানীয় ভাষায় "নার" বলা হয়। নেপালি এবং সংস্কৃত ভাষায় এটি "দারিম" নামে পরিচিত।বেদানা গাছ গুল্ম জাতীয়, 5-8 মিটার পর্যন্ত লম্ব হয়। পাকা ফল লাল রঙের হয়, ফলের খোসার ভিতরে ক্রিস্টালের মতো লাল দানা থাকে। তারা খাওয়া হয়. পুনিকা গ্রানাটাম ডালিম বা ডালিমের আনুষ্ঠানিক নাম। অনেকে এই ফলটিকে বেদানা বলে। তবে এই ফলটিকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই ফলের পুষ্টিগুণ একেবারেই কমবে না। এই ফলের কিছু আশ্চর্য জাদুকরী গুণ রয়েছে। তাই কালের বিবর্তনে ফলটি পেয়েছে স্বর্গীয় ফলের খেতাব।

source

একটি উষ্ণ, আর্দ্র, উপক্রান্তীয় ফল, ডালিম এই এলাকার স্থানীয়। যদিও এই ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়, বাংলাদেশ এর উৎপাদনের জন্য খুব একটা জনপ্রিয় জায়গা নয়। তবে এই গাছটি প্রায়শই বাড়িতে শোভাবর্ধনের এবং ফলের উৎস হিসাবে রোপণ করা হয়। ইরানের আদিবাসী হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার অসংখ্য দেশে ডালিম জন্মে, যেখানে তারা প্রথম গৃহপালিত হয়েছিল। এই গাছের পাতলা পাতা, লাল রঙের ফুল এবং 3-5 মিটার উচ্চতা সবই এর অত্যাশ্চর্য চেহারায় অবদান রাখে। একটি অলঙ্কার হিসাবে, এটি বাংলাদেশে বাড়ির আঙ্গিনায়, প্রবেশের চারপাশে এবং এমনকি ছাদেও জন্মে। বাংলাদেশে ডালিমের জাত বাড়ানো হয়নি কারণ সেগুলো নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। এখানে জাতির মধ্যে না। সারা বিশ্বে পাওয়া বিবর্তিত জাতগুলোর মধ্যে রুবি, পেপার সেল, ওয়ান্ডারফুল, মাস্কেট রেড ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ডালিমকে ফুল দিয়ে অর্ধেক করে কেটে ফেলা যায়। যখন কিছু গাছপালা শুধুমাত্র একটি ফুল উৎপাদন করতে পারে, অন্যরা পুরুষ এবং উভয়ই উৎপাদন করতে পারে মহিলা ফুল.

source

ডালিমের ভোজ্য অংশের পুষ্টি উপাদান (প্রতি 100 গ্রাম)
78% জল অংশ
14.6 শতাংশ চিনি
1.6 অংশ আমিষ
0.1 ভাগ স্নেহ
5.1 অংশ ফাইবার
65 কিলোক্যালরি তাপ শক্তি
0.06 মিলিগ্রাম থায়ামিন
0.1 মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন
0.3 মিলিগ্রাম নিয়াসিন
16 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
10 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
0.7 মিলিগ্রাম ফসফরাস
লোহা 0.3 মিলিগ্রাম।

souce

তো চলুন জেনে নিই এই ফল খাওয়ার পর আমাদের শরীরে কি হয়ঃ-

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ ডালিমের রস হৃদরোগ প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। মাত্র এক গ্রাম ডালিমের রসে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি হার্টকে সুরক্ষিত রাখে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

source

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ডালিমের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন "এ" এবং "সি" উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। অনাক্রম্যতা শক্তিশালী করতে, এই দুটি ভিটামিন অত্যন্ত সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা ক্যান্সার কোষের বিকাশ এবং প্রসারণ প্রতিরোধ করা হয়। ক্যান্সার প্রতিরোধ তাই এটি দ্বারা ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।

ত্বকের সজীবতা বজায় রাখেঃ ডালিমের রস ত্বকের যত্নে চমৎকার। এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে। অতিরিক্তভাবে সাইটোকেমিক্যাল এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস দেওয়া হয়। এগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশ উপকারী।

কোলাজেন গঠনে সাহায্য করঃ: ত্বকের ডার্মিস নামক একটি স্তরে ফাইবার বা ফাইবার থাকে। কোলাজেন ডার্মিস বজায় রাখে, যার জন্য প্রোটিন এবং ভিটামিন-সি প্রয়োজন। অ্যানার কোলাজেন ফাইবার অক্ষত রেখে অ্যান্টিজিং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ অকাল বার্ধক্য রোধ করে।

স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করেঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন অল্প পরিমাণ আনান খান তারা অন্যদের তুলনায় কম চাপে ভোগেন। তাই দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে নিয়মিত আনার খেতে পারেন।

কোষের পুনরুজ্জীবনঃ আনারসে পর্যাপ্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটিতে কেরাটিন ধরে রাখার বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এ কারণে কোষের পুনর্জন্মের পাশাপাশি ত্বকের বয়সের ছাপও কমে যায়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়ঃ একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রতিদিন 237 মিলি পরিমাণে ডালিমের রস কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতিশক্তির সমস্যায় সরবরাহ করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর তাদের স্মৃতিশক্তি অনেক তীক্ষ্ণ হয়েছে।

দাঁত সুস্থ রাখেঃ দাঁত ও মাড়ির সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন মাউথওয়াশ দিয়ে ব্রাশ করা জরুরি। অ্যালকোহলযুক্ত এই মাউথওয়াশগুলি ব্যবহার করা বন্ধ করুন এবং আপনার দাঁত রক্ষা করা শুরু করুন। এই ফলের কিছু উপকারী উপাদান দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ডালিমের হাইড্রোঅ্যালকোহলিক উপাদান দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি 84 শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।

source

source

তাই যারা শারীরিকভাবে দুর্বল বা ক্ষুধা নেই তারা নিয়মিত ডালিম বা আনার খেতে পারেন।
অতএব, যারা ডায়রিয়া, অ্যালার্জি বা ঠান্ডায় ভুগছেন তাদের এই ফল খাওয়া উচিত নয়। মানসিক সমস্যার জন্য ওষুধ গ্রহণকারী বা নিম্ন রক্তচাপের রোগীদেরও এই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ফলাফল উল্টো হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Achievement-1 verified Link

Achievement-2 verified Link

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।