আমাদের গ্রামের মনোরম পরিবেশ সবার কাছেই সেরা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন সেই সাথে আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি। আলহামদুলিল্লাহ আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো তা হল আমাদের গ্রাম।
আমাদের গ্রাম বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য এলাকায় রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার, বেলকুচি থানার অন্তর্গত খামার উল্লা পাড়া গ্রাম। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমাদের গ্রামের নামের ভিতরে অনেকটা কৃষির উপর নির্ভর নির্ভর ভাব দেখা যায়, তো যাই হোক আমি আমাদের গ্রামের, কৃষক ভাইদের নিয়ে আমাদের গ্রামের আশেপাশে অবস্থা নিয়ে ,আমাদের গ্রামের উন্নয়ন নিয়ে, আমাদের গ্রামের নদী নিয়ে আমাদের গ্রামের শস্য-শ্যামলা পশুপাখি নিয়ে, ফুল ফল নিয়ে আমাদের গ্রামে কি আছে সে বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আশা করি অবশ্যই আমাদের গ্রাম আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আর ভালো লাগবে না কেন, গ্রামের কথা মনে হলে অবশ্যই মনের ভিতরে একটা নাড়া দিয়ে ওঠে কথায় আছে নারীর টানে দেশে ফেরা, যাই হোক চলুন আমাদের গ্রাম নিয়ে কিছু কথা বলি আপনাদের মাঝে।
আমাদের গ্রাম একটি কৃষি আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকা এখানে আমাদের প্রধান জীবিকা নির্বাহের কাজ কৃষি কাজ. আমাদের এলাকায় কৃষি কাজ করেই জীবন নির্বাহ করে থাকে কৃষক, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের দেশ ও জাতির জন্য যোগাচ্ছে খাদ্যদ্রব্য, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের এই সোনার ফসল উৎপাদিত হয় সেই ফসল আমরা নানা ভাবেই ব্যবহার করে থাকি, তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন করে সে ফসল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাহিদা পূরণ করে থাকে, এগুলোর মধ্যে আমাদের এলাকায় যে সমস্ত ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে এর মধ্যে রয়েছে ধান, গম, সরিষা, আলু, বেগুন এবং. নানা জাতীয় সবজি চাষ করে থাকে, সেইসব সবজি গুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাষিরা বিক্রি করে তাদের জীবন নির্বাহ করে থাকে।
বেশ কিছু দিন আগে আমাদের এলাকায় এই কৃষিকাজ তেমন একটা ভাল হত না, এর কারন গুলোর মধ্যে একটি প্রধান কারণ হলো সেচের ব্যবস্থা, কারণ আমাদের এলাকায় মাত্র ছয় বছর ধরে বিদ্যুৎ আমাদের এলাকায় এসেছে আর এই বিদ্যুতের ছোঁয়ায় আমাদের কৃষক ভাইদের মুখে এবং তাদের জীবন -জীবিকার মান উন্নত হয়েছে, কারণ আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতে পেতাম তারা নদী নালা থেকে নানাভাবে জমিতে সেচ দিত তাদের নানান কষ্টের সম্মুখীন হতে হতো .কিন্তু বর্তমান এই আধুনিক অবস্থায় এসে তাদের কষ্ট অনেকটাই কেটে গেছে বর্তমানে তারা বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করে মাটির গভীর থেকে থেকে পানি উত্তোলন করে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করেছে, এতে তাদের অনেক উপকার হয়েছে। বিদ্যুৎ আমাদের গ্রামে আসার পর থেকে যে সমস্ত উন্নতি হয়েছে, বিদ্যুতের কারণে অনেক সহজ হয়ে গেছে, এখন পাম্পের মাধ্যমে ক্ষেতে পানি দেওয়া হচ্ছে যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে করা হয়। ফলস্বরূপ, শ্রম অনেক কমে গেছে এবং তারা বেশি উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে, এছাড়াও গ্রামের অনেক তাঁতি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুৎচালিত তাঁত ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, সারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। তাছাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ আসার আগে তাদের জীবনযাপন ছিল খুবই কঠিন। প্রচণ্ড গরমে তাদের ক্লান্তি দূর করার জন্য কোনো বৈদ্যুতিক পাখা ছিল না। রাতের অন্ধকার দূর করার জন্য কোনো বৈদ্যুতিক বাতি ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুতের প্রবাহের কারণে গ্রামীণ মানুষের জীবন অনেক সুন্দর ও সুসজ্জিত হয়ে উঠেছে।
এখন আসি আমাদের গ্রামের শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে,কিছু কথা বলি শিক্ষা নিয়ে আমাদের গ্রামে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ,যেমন আমাদের গ্রামেই রয়েছে একটি হাই স্কুল এবং পাঁচটি প্রাইমারি স্কুল আমাদের গ্রাম দুটি অংশে বিভক্ত একটি বলে খামার উল্লাপাড়া আরেকটি চর খামার উল্লা পাড়া। আমাদের গ্রামের মোট জনসংখ্যা প্রায় 8 হাজারের মতো ভোটার হল আমাদের গ্রামের মোট 5500। এই সুবিশাল গ্রামে যেমন শস্য-শ্যামলা দিয়ে ভরপুর তেমনি শিক্ষার দিক দিয়েও তারা অত্যন্ত দ্রুত তার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে, উচ্চশিক্ষার দিকে. প্রায়ই শোনা যায় আমাদের গ্রাম থেকে স্টুডেন্টের অনেক ইউনিভার্সিটিতে অনেক ইনস্টিটিউট এ চান্স পেয়েছেন মেধা তালিকায়, এছাড়াও আমাদের গ্রামে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সেই সাথে রয়েছে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ এবং অনেকেই দেশের বাহিরে পড়াশোনার জন্য কর্মরত রয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের গ্রাম যেমন শস্য-শ্যামলা দিয়ে ভরপুর তেমনি সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ গন দিয়ে ভরপুর অনেক জ্ঞানী মানুষ আমাদের এলাকায় আছে আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের গ্রামের বয়ে চলা নদী গুলো নিয়ে কথা বলি,
আমাদের গ্রামে মোট নদীর সংখ্যা তিনটি এর ভিতরে খরস্রোতা নদী একটি এর নাম হলো হুরাসাগর, আরেকটি নাম হল করতোয়া নদী এবং আরেকটি নাম রুপনাই বিল আমাদের চারপাশে তিনটি নদী অবস্থিত এই নদীতে যেমন বর্ষার মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় ঠিক গ্রীষ্মকালীন সময়ে এখানে প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন করা হয়ে থাকে , পলিমাটি বেশি হওয়ার কারণে এখানে ধানের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হয়, সেইসাথে এই নদীগুলোতে অসংখ্য অতিথি পাখি। গ্রীষ্মকালীন সময়ে পাখিগুলোকে দেখতে পাওয়া যায় পাখিগুলো একসাথে বসবাস করতে পছন্দ করে ,এলাকার মানুষ গুলো ঠিক তেমনি পাখি গুলো খুব পছন্দ করে , এখানে কোন পাখি কেউ বন্দী করতে পারেনা, নদীতে হাজার হাজার পাখি উড়ে বেড়ায় , সাধারণত আমাদের এলাকার লোকে বলে থাকে বেলে হাঁস পাখি বেশিরভাগ সময়ই নদীতে থাকতে পছন্দ করে, নদীগুলোকে সৌন্দর্য্যে ভরপুর করে তোলে এই পাখিগুলো,
আজ আমি এখানেই শেষ করবো। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, জানাই সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এই কামনা করি আজ আমি শেষ করলাম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme c11 |
Camera | 13 MP camera |
Location | Bangladesh |
Short by | @shahinalam12 |
খুবই বেশি মিস করছি গ্রামের সেই সবুজে ঘেরা রাস্তাগুলো সবুজে ঘেরা বাড়িগুলো আর গ্রামের মানুষগুলো আপনার পোস্টটি পড়ে আসলে হঠাৎ করেই আমি যেন আমার গ্রামের বাড়িতে চলে গেলাম এমনটা অনুভব হলো অনেক ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর পোস্টটি পড়ে।
আপনার লেখাগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে তবে আপনি যদি এই লেখাগুলো একটু প্যারাগ্রাফ আকারে ছোট ছোট লাইন করে লিখতেন আরও বেশি ভালো দেখাতো আশা করি আপনার পরবর্তী পোস্টে আমরা তেমনি কিছু দেখতে পাবো আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে আরো ধন্যবাদ জানাই আপনার এই উপদেশ মূলক কিছু কথা বলার জন্য। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব যাতে সামনে যা লিখি সুষ্ঠ সুন্দরভাবে শুদ্ধভাবে লেখার চেষ্টা করব এবং আমি মনে করি অবশ্যই আপনাদের ভাল লাগবে ততক্ষণ আমাদের পাশে থাকুন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ছোট ভাই তোমার পোস্টটা খুব ভালো লাগলো কারণ তুমি তোমাদের গ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছ। মানে তোমাদের এলাকায় অনেক কিছু চাষ হয় যেমন তুমি তোমার পোস্টে লিখছো তোমার এলাকায় নাকি ধান গম ভুট্টা এবং আলু ভালো জন্ম এবং তোমার এলাকায় অনেক ভোটার রয়েছে এবং তোমার এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে অনেক বিষয় আলোচনা করছ এজন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।আশা করি তুমি আমাদের মাঝে প্রতিদিনই এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট করবে এই আশায় রইলাম।
ইনশাআল্লাহ আপনি আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমাদের গ্রামের সবাই সুস্থ ও সুন্দরভাবে একটি রাষ্ট্রের মডেল গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, সেই সাথে আপনাদের অত্যন্ত ভালো লেগেছে বলে আমি আশাবাদী কারণ আমাদের গ্রাম একটি কৃষিনির্ভর এলাকা হয়েও সুশিক্ষায় শিক্ষিত এলাকায় দাবিদার বয়ে নিয়ে আসছে বর্তমান যুগের তরুণ সমাজ, সেইসাথে শিক্ষা রাষ্ট্রের দায়িত্ব রাষ্ট্রের সমস্ত আইন কানুন মেনে আমাদের গ্রামের নাগরিকগণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
আপনি দেখছি খুব সুন্দর ভাবেই আপনার গ্রামের সৌন্দর্য পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আসলে আপনার পোষ্টের লেখা এবং ফটোগ্রাফি গুলো, আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার গ্রামের এই অসম্ভব সৌন্দর্য আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দরভাবে আমাকে বুঝিয়ে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এবং সেইসাথে আরো ধন্যবাদ জানাই উপদেশ মূলক কিছু কথা বলার জন্য। আপনার কথাগুলো আমি যথাসাধ্য ভাবে মেনে চলার চেষ্টা করব এবং সেইসাথে আমি আমার গ্রামের পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই,আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমাদের গ্রামের সবাই মিলে আমাদেরকে গ্রাম মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে পারি , তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরশীলতা সবচাইতে বেশি এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই সোনার বাংলার সোনার দেশের সোনার গ্রাম ইনশাল্লাহ সবার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা অবিরাম।
নিজের গ্রাম নিয়ে সুন্দর গুনাগুন করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে গ্রামের সৌন্দর্যের কোন বিকল্প নেই, আপনার লেখাতে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা প্রকাশ পেয়েছে গ্রামের দৃশ্য নিয়ে, অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে আরো ধন্যবাদ জানাই আপনি আমাদের গ্রাম কে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন ।