Prize distribution among hangout winners (হ্যাংআউট বিজয়ীদের অভিনন্দন)
জয় পরাজয় অজুহাত মাত্র, আসল উপলক্ষ্য একত্রিত হয়ে কিছুটা সময়কে একসাথে বাঁচা!
একসাথে সুদীর্ঘ পথ চলার অঙ্গীকার, সাথে ভালো মন্দ মিলিয়ে আড়ি ভাবের খেলা।
ঠিক এরকমটা ভেবেই আমি এই সাপ্তাহিক এক্ আনন্দঘন মূহুর্তের সাক্ষী হতে চেয়েছি সর্বদা;
তবে মুশকিল হলো, সবসময় একার চাওয়ায় বোধহয় কিছু হয় না!
আজকাল, বিনা কারণে, আবার অনেক সময় কারণ থাকলেও কেউ আর একত্রিত হতে ইচ্ছুক নয়।
একদিকে বিষয়টি ভালো, কারণ নিশ্চই সকলে নিজের মতো করে বাঁচতে ইচ্ছুক তাই ব্যাক্তিগত সময় অপচয় করতে আগ্রহী নয়।
শেষ যে হ্যাংআউট হয়েছিল আজকে দীপাবলির শুভ লগ্নে তাদেরকে নিজের নিমিত্ত সাধ্যের মধ্যে থেকে, সেইসকল বিজয়ীদের পুরস্কৃত করতে হাজির হয়েছি।
(Hangout winners) |
---|
একটা বিশেষ মুহূর্তের ছুতো খুঁজছিলাম বিজয়ীদের পুরস্কৃত করার জন্য, আর ঠিক সেই কারণে আজকের দীপাবলির দিনটিকে বেছে নিয়েছি।
যদিও এই হ্যাংআউট আমি শুরু করেছিলাম, কিন্তু আনন্দ করতে যখন একের পর এক সদস্যের অনুপস্থিতি দেখেছি, সত্যি বলতে মন থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।
এই পুরস্কার দেবার পর যদি কমিউনিটির সদস্যরা একত্রিত হয়ে অনুরোধ করেন, কেবলমাত্র সেক্ষেত্রেই হয়তো আবার হ্যাংআউট
শুরু হতে পারে।
বিগত দু'বছর পাঁচ মাসে আমি অন্যের অসুবিধা বুঝতে বুঝতে ক্লান্ত, এবং যেদিন বুঝতে পারলাম, কমিউনিটি সদস্যদের প্রিয়জন নয়, প্রয়োজন! সেদিন থেকে আমার অনুপস্থিতি পাকা করে নিয়েছি।
প্রয়োজন কখনোই প্রিয়জন হতে পারে না, লেখায় বিকৃত করে শব্দের ব্যবহার পড়েছি, কিন্তু সেটা একেবারেই অযৌক্তিক, আমরা কখনও নিজেদেরকে উন্নত করতে কি করা উচিত সেটা নিয়ে ভবি না! আমাদের ভাবনা কেবলমাত্র অন্যের ত্রুটি আর খুঁত খোজায় ব্যয় হয় অধিক! অপ্রিয় সত্য!
যদি কেউ প্রিয়জন হয়, তারা কখনোই লাভ লোকসানের হিসেব কষে না!
ভালো হোক বা মন্দ সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে, পাশে থাকার।
যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকে না, একের সম্মান অন্য সকলের সম্মান, তেমনি একের অপমানও অন্য সকলের এই ভাবনায় বিশ্বাসী।
যেখানে সম্মান, ভালোবাসা, আন্তরিকতার সাথে থাকবে, থাকবে মান অভিমান;
কিন্তু অসম্মান অথবা অপমান নয়।
সত্যি কি কাউকে অপমানের জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন?
শৈশবে, এক কৃষকের নিজের ছেলেদের ঐক্যতার পরিভাষা বোঝাতে, যেমন একগুচ্ছ লাঠি ধরিয়ে দিয়েছিলেন এক্ একটি ছেলের হাতে, ঠিক তেমনি আজও অনেক মানুষের সেই শিক্ষা বাকি রয়ে গেছে, নৈতিকতার শিক্ষার দিক থেকে! অনৈতিকতায় তারা সিদ্ধহস্ত।
প্রয়োজনের অর্থ আমার কাছে, সবসময় অভাব নয়! বরঞ্চ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি প্রয়োজন মানে বস্তু বা বিশ্বাসের অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা সেটাও আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করতে। আমার জীবনের পথ চলায় যে অভিজ্ঞতা সঞ্চিত তার নিরিখে লিখছি।
যতদিন দিতে পারবে, করতে পারবে অথবা নিজেদের ইচ্ছে মেটানোর শক্তি থাকবে, আসে পাশে ভিড় থাকবে প্রচুর, আর ঠিক উল্টো হলেই প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসে।
মানুষের বিশ্বাস, ভরসা, আন্তরিকতা কে কখনোই ব্যবহার করতে নেই, আজকে আমরা অন্যের সাথে যেটাই করবো, কালকে নিজেদের দিকে সেটাই ফিরে আসবে। একেই বলে, যেমন কর্ম, তেমনি ফল।
কথায় তো নয়ই, কাজেও কখনো দ্বিচারিতা করিনি, আর তার সাক্ষী করে রেখেছি একজনকে।
তাই কথামত আজকের এই শুভ দিন হাজির হয়েছি সামান্য উপহার বিজয়ীদের মাঝে বিতরণের জন্য।
বিজয়ীদের নাম | পুরস্কার |
---|---|
@amekhan | 2steem |
@jisnu.ishan | 2steem |
@jahidul21 | 2steem |
@mdsahin111 | 2steem |
যেটুকু সামর্থ্য সেই অনুযায়ী বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেছি, আশাকরি সামান্য উপহারকে কেউ সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখবেন না।
- ডিসকার্ড এ সকলেই আছেন, যদি আগামীতে আপনারা মনে করেন টিউটোরিয়াল ক্লাস এবং হ্যাংআউটের প্রয়োজনীয়তা আছে, জানাবেন; যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া যায়, অবশ্যই আগের মত করে আমার পুনরায় একত্রিত হবো।
লেখাগুলো লিখতে লিখতে বেশকিছু মানুষের মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠলো, আর ঠোঁটের কোন এক্ চিলতে হাসি!
হয়তো, এর প্রকৃতার্থ কেবলমাত্র সৃষ্টিকর্তা বুঝেছেন।
মঙ্গলময় হোক সকলের, প্রয়োজনে পাশে থাকার সামর্থ্য থাকে নিজের জন্য শুধু এইটুকু চাওয়া!
বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিলাম।