থাকতে দিলোনা ভাত কাপড়, মরে গেলে দানসাগর।
প্রিয় বন্ধুরা,
সকলকে স্বাগত আমার লেখায়, সন্ধ্যে বেলায় লেখা শুরু করতে বসেছি, বেশ কিছু অভিজ্ঞতা দিয়ে যাবার পর একটি প্রবাদ বেছে নিয়েছি আজকের লেখার শীর্ষক হিসেবে।
পুরো লেখাটা যদি কেউ পড়েন তাহলেই শীর্ষকের যথার্থতা অনুধাবন করতে পারবেন।
কারণ এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আমাদের সকলেরই কোনো না কোনো সময় যেতে হয়েছে বা বলতে পারি চাক্ষুষ করেছেন।
আত্মীয় হোক, আশেপাশের মানুষ হোক বা কোনো পরিচিত ব্যাক্তিত্ব, আমরা বেঁচে থাকা অবস্থায় সকলের নিন্দা মন্দ করে থাকি, ভুল ধরি অথচ সেই মানুষ পরলোক গমন করলে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যাই।
মানুষটা ভালো ছিল, পরোপকারী ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি, অথচ সেই ভাবনাটাই তাদের উপস্থিতিতে কখনো উপলব্ধি করিনা।
কাজেই যখন নিন্দা করা মানুষগুলোর মুখে মৃত্যুর পরে প্রসংশা কানে আসে তখন মুখে কিছু বলতে না পারলেও মনে মনে তাদের দ্বিচারিতা আমাকে বেশ অবাক করে!
সাথে মনে হয় সারাটা জীবন সেই মানুষগুলো যখন বেঁচে ছিলেন তাদেরকে নিন্দার দলে রাখা মানুষেরা আজকে অদ্ভুত ভাবে মত পরিবর্তনের পিছনে কারণটা কি?
থাকতে যারা খারাপ ছিল, মৃত্যুর পরে তারা হটাৎ ভালো হয়ে যায় কি করে? বিশেষ করে তাদের কাছেই যারা সর্বক্ষণ কেবল ত্রুটি ধরতেই ব্যস্ত ছিলেন!
তাই মনে হলো আমাদের বোধহয় চিন্তাধারা কিছুটা বদলাবার প্রয়োজন আছে, আমাদের সকলের মধ্যেই ভালো এবং খারাপ দু'রকম মানসিকতাই বর্তমান তবে, সেই উন্নত মানসিকতা নিজের ত্রুটির চাইতেও অন্যের ত্রুটি ধরতে বেশি কাজে লাগিয়ে থাকি।
ফলাফলস্বরূপ, কাছের বা পরিচিত মানুষগুলো হারিয়ে গেলে তাদের মূল্য বুঝতে পারি।
সম্পর্ক যেকোনো রকম হোক না কেনো, কাউকে বিচার করার অধিকার আমাদের কারোর নেই।
যদি সত্যি বিচারে বসতেই হয়, তাহলে নিজের ভুল সংশোধনের প্রচেষ্টা সর্বাগ্রে করা উচিত।
থাকতেই যাদের মূল্য বুঝলাম না, তাদের প্রসংশা পৃথিবীর মায়া ত্যাগের পরে করে, নিজেদের চোখে নিজেদের বড়ো করবার প্রচেষ্টা করে নিজের ভুল সংশোধনের বা পাপ খণ্ডনের প্রচেষ্টা করে লাভ কি?
এছাড়াও আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, নিজের মা, বাবার বয়েস হয়ে গেলে কি পরিমান দুর্ব্যবহার কিছু সন্তান করে থাকে;
আবার তাদের পরলোক গমনের পরে ঘটা করে মানুষজন খাইয়ে সকলের কাছে নিজেকে উপযুক্ত সন্তানের তকমা পেতেও দেখেছি।
তাই শীর্ষকটি নির্বাচনের মাধ্যমে এই বার্তা দেবার চেষ্টা করলাম, সন্মান করতে হলে মানুষের উপস্থিতিতে করুন, আর যদি কাউকে পছন্দ নাই হয় তাহলে তার অনুপস্থিতিতে নিজের মতামত পরিবর্তন নিজেদের দ্বিচারিতা স্বভাবের উদাহরণ ছাড়া আর কিছুই প্রমাণ করে না।
থাকতে যারা অবহেলা, নিন্দা এবং তিরস্কার ছাড়া কিছুই পায়নি, তাদেরকে মৃত্যুর পরে প্রসংশা করে কিছু মানুষের কাছে ভালো হওয়া যায় বটে, তবে সকলের কর্মফল ইহজীবনে পেয়েই মুক্তি পেতে হয়, সেটা না ভোলাই শ্রেয়।
আজকে যে ব্যবহার অন্যের সাথে আমরা করবো সেটাই সময় অন্যের হাত ধরে আমাদের ফিরিয়ে দেবে এটাই জীবনচক্র।
তাই বাহ্যিক দিকটি যেমনই হোক না কেনো, অন্তরটা সুন্দর রাখার চেষ্টা সকলের করা উচিত। কারোর জন্য কিছু করে প্রচার পাওয়ার প্রচেষ্টাও একাধারে নিজেদের সেই ভালো কাজে জল ঢেলে দেয়।
আজকে অন্যের সাথে যেটাই করি না কেনো, কালকে সেটাই ঘুরে আসবে আমাদের কাছে, বিশ্বাস করুন বা নাই করুন এটাই উপরওয়ালার বিচার যেখানে কোনো ভেদাভেদ নেই।
অবশেষে তাই বলতে চাই থাকতে থাকতে যেকোনো বিষয়, সম্পর্কের মূল্য দেওয়া শেখা উচিৎ, চলে যাবার পরে শত প্রশংসায় পাপস্খলন হয় না।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
Hello @sduttaskitchen, I have a great interest to serve as a moderator in your community.
Please are there any vacant position available?
I await your response 😊
আসলেই আমাদের সমাজে এইরকম কিছু মানুষ আছে যারা তাদের পিতা মাতা কে অনেক ভাবে কষ্ট দেয়। তাদেরকে ভালো বাসেনা। অনেকি আছে যারা তাদের পিতা মাতা কে ব্রিদ্ধা আছ্রমে রেখে আশে।
অনেক ভালো লিখেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Hola @sduttaskitche es muy emotivo tu Post como dices todos tenemos pensamientos tanto buenos como malos y según como nos sentimos trasmitimos esa energía a todos y todo lo que nos rodea de mi parte nunca he tratado mal a los mayores pero si caigo mucho en el error de criticar las malas acciones que no me agradan el karma existe es mejor vivir en paz para que el bumerang de la vida no te golpee he aprendido algo con este contenido muchas gracias #miwcc
You have raised an important point that we shouldn't wait till people die before we sing their praises. I enjoyed the article.
আপনার কথা গুলো সাথে বর্তমান সমাজ এর লোক একদম এমন টাই করে থাকে,,, আমরা মানুষ বেঁচে থাকতে কারো সৌন্দর্য দিক, উত্তম চরিত্রের দিক, সততার দিক ইত্যাদি তার আরো অনেক ভালো ভালো দিক সমাজ এর কাছে তুলে তো ধরা দুরে থাক,,বরং তার সমালোচালনায় সবচেয়ে বেশি করে থাকি।
অথচ সেই ব্যক্তি যখন পড়লোগমন করে তার সুনাম, তার সততা,উত্তম আদর্শবান ব্যক্তিত্ব, ইত্যাদি ইত্যাদি বলে সম্বোধন করি।
আমার একই প্রশ্ন মনে জাগে আমরা এমন টা কেনো করি থাকি,,মানুষ জীবিত থাকা অবস্থায় তার সমালোচনা করি অথচ সেই ব্যক্তি যখন আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী থেকে পরলো গমন করেন,,, তার নীতি আদর্শ, উত্তম চরিত্রবান সদাচরণ নিয়ে আমরা মানুষের মাঝে বর্ণনা দেই।
আমার কাছে এটি লোক দেখানো ছারা আর কিছু বলে মনে হয় না,,,
আপনার পোস্ট পড়ে আরো কিছু জানতে পারলাম মা ও বাবা,,,, মা বাবা বেঁচে তাকা অবস্থায় তাদের কোন খোজ খবর নিত না,, অথচ সেই মা বাবা যখন আমাদের পৃথিবী থেকে চলে যায়,,,,আমরা দশ গ্রামের মানুষ ঢেকে তাদের আপ্যায়ন করি,,,, অথচ মা বাবা বেঁচে থাকতে তাদের জন্য খাবার দেওয়া সেই সন্তানের জন্য বেশি ছিল,,,, এসব ভাবলে আসলেই অনেক অভাক হয়ে যাই।
পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয় আপনার পোস্ট হাজারো শিক্ষনীয় বিষয় খুজে পাই,,,,আপনার এই পোস্টটি অত্যন্তই বাস্তবমুখী।
#miwcc
আসলেই একজন মানুষ বেচে থাকাকালীন আমরা তাকে ওভাবে সম্মান করিনা যতটা তিনি মারা গেলে মরে থাকি। কিন্তু মারা যাওয়ার পর তাকে ভাল বলে বা তাকে সাহায্য করার চেয়ে দুনিয়ায় থাকাকালীন যদি তাকে সাহায্য করতে পারি।তাহলে তার যাপিত জীবন হয়ত সহজ হয়ে যেতে পারে।
আপনার পোস্টটা যথার্থ ছিল।
ধন্যবাদ
#miwcc
প্রিয় দিদি,
আপনার লিখার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। কারন আমি নিজেই এমন অভিজ্ঞতার স্বীকার হয়েছি। আমাদের একজন গণিত এর টিচার ছিলো যিনি ছাত্রদের পেটাতো অনেক। কিন্তু গণিত খুব ভালো বোজাতো। আমি দেখেছি তিনি যখন বেঁচে ছিলো অনেক ছাত্র ছাত্রী তাকে গালমন্দ করতো।
আবার তিনি যেদিন মারা গেলেন সেই ছাত্র ছাত্রী আবার হাউমাউ করে কাঁদলো আর বললো এমন স্যার আর হয় না। এত সুন্দর করে আমাদের গণিত করাতেন তার কোন তুলনা হয় না। স্যার অনেক ভালো মানুষ ছিলেন, অনেক সৎ ছিলেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ তিনি বেচে থাকতে তার এগুলোর কিছুই শুনতে পেলেন না। এটাই চরম বাস্তবতা। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর লিখা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
#miwcc