শীতের মরশুমে সবচাইতে বেশি চোখে পড়া গাঁদা ফুলের কিছু ছবি।
প্রিয় বন্ধুরা,
সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এবং আমার লেখায় স্বাগত জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই এখন জানেন যে আমি কলকাতার বাসিন্দা। বিভিন্ন সময় কাজের জন্য আমাকে বেরোতেই হয়, কারণটাও আপনাদের মধ্যে অনেকেরই জানা।
তবুও যারা নতুন তাদের জন্য জানিয়ে রাখি একা পথ চলার সুবাদে আমাকেই নিজের সকল কাজ সারতে হয়, সেটা ঘরের হোক বা বাইরের।
যাইহোক, এরমধ্যে সময় সময় আমাকে বেরোতে হয়েছিল, এবং কাল থেকে আবার আমি ব্যক্তিগত কাজের জন্য বেশ কিছুদিন ব্যস্ত থাকবো সেই বৃহস্পতি বার পর্যন্ত।
জানিনা তারপর কোন কাজ আসবে, আপাতত এইটুকুই নির্ধারিত তাই জানিয়ে রাখলাম।
এখনও রান্নার ফাঁকে ফাঁকে লিখছি, আসলে অন্যান্যদের মতন আমার অনেক কাজের নির্দিষ্ট কোনো সময় সীমা নেই, তবে ওই যে কথায় আছে, 'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে!' সেইরকমই একটা প্রয়াসের মাধম্যে আমি সব দিকটা সামলাই।
(শীতকালীন বিভিন্ন রঙের গাঁদা ফুল) |
---|
এবার আসি লেখার বিষয়, বিভিন্ন মরশুমে বিভিন্ন ফুলের সমাগম আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, আর এই শীতে সবচাইতে বেশি যে ফুল চোখে পরে সেটা হলো বিভিন্ন রং এবং জাতের গাঁদা ফুল।
এছাড়াও বিভিন্ন মেলার মত পুষ্প মেলার আয়োজন এই শীতকালেই আয়োজিত হয়।
এরমধ্যে একদিন আমার সুযোগ হয়েছিল বেশ কিছু গাঁদা ফুলের ছবি তোলার। আজকে আপনাদের সাথে সেই সকল ছবিগুলোই ভাগ করে নিতে আসা।
গাঁদা ফুলের সৌন্দর্য্যের পাশাপশি প্রচুর ঔষধি গুণ আছে, আগে দেখতাম কেটে গেলে গাঁদা ফুলের পাতার রস আঘাত প্রাপ্ত জায়গাতে লাগিয়ে দেওয়া হতো।
কিছুটা পড়াশুনা করে জেনেছি গাঁদা ফুলে থাকা ফ্যাভনয়েড ও অ্যান্টিক্সিডেন্ট এর উপস্থিতি মানব দেহের ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
জবা ফুলের মত, কম বেশি এই সময় কলকাতার সকল বাড়িতেই গাঁদা ফুল ফুটতে দেখা যায়, যদিও অধিক সময় পুজোয় উৎস্বর্গ করবার স্বার্থেই এই গাছ সবাই লাগিয়ে থাকেন।
তবুও আমার মনে হয় প্রকৃতিতে বিরাজমান সকল উপাদানের কম বেশি উপকারিতা আছে বলেই ঈশ্বর মানুষকে এই ধরায় পাঠিয়েছেন।
(সভ্যতার নিদর্শন, কালকের গাছটির আজকের দুর্দশা) |
---|
কালকেই আপনাদের সাথে একটি কবিতা ভাগ করে নিয়েছিলাম, যেখানে আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম আজ মানুষ নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য কিভাবে প্রকৃতি ধ্বংস করে চলেছে। ফলস্বরূপ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রাণীকুল।
তার মধ্যে রয়েছে বহু পশু ও পাখি।
আজকে সকলেই নিজের লেখার চাক্ষুষ নিদর্শন পেলাম, এবং আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো বলে ছবিও তুলে রেখেছিলাম।
মানুষ হতে পারে বুদ্ধিতে অন্যান্য অনেকের চাইতে বড়ো, এই কারণেই শ্রেষ্ঠ জীবের উপাধি পেয়েছে, কিন্তু আজকের দিনে কিছু মানুষেরা এমন গর্হিত কাজ প্রতিনিয়ত করে চলেছেন, যার ফল ভোগ করতে হবে পরের প্রজন্মকে।
|
---|
যাইহোক কিছুক্ষণ আগে এখানের একজন লেখকের বাবার অসুস্থতার খবর পেলাম, তাই আর লেখা এগোনোর মানসিকতা কেমন যেনো হটাৎ করেই হারিয়ে গেলো।
আসলে সম্পর্ক গুলো ভালো হোক বা মন্দ, তবুও কোথাও না কোথাও তাদের উপস্থিতি আমাদের ভালো থাকার একটা অজানা কারণ।
যার কথা বলছি তিনি lother68 এর পিতা, কাজেই আপনারা অনুমান করতে পারেন একজন সন্তানের এই মুহুর্তের মানসিক অবস্থান।
আমি নিজেও বহু পূর্বেই নিজের মা, বাবাকে হারিয়ে আজ আরো বেশি বুঝি, নিজের মানুষের জন্য কিছু করবার সুযোগ না পেলে মানসিক পরিস্থিতি কেমন হয়।
আজ এখানেই শেষ করলাম, এই মুহূর্তে খবর পেলাম lother68 এর পিতা এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।
ভালো থাকুন সবাই এবং কাছের মানুষগুলোর সাথে যতটা সম্ভব সময় কাটান। বলা যায় যা কোন মুহূর্তটা অন্তিম মুহূর্ত হবে।
@tipu curate
Congratulations!
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
শুনে খুব খারাপ লাগছে lother68 বাবা ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন। তিনি যেন স্বর্গবাসী হন এই প্রার্থনা করি। ভালো লিখেছেন দিদি। ভালো থাকবেন।
কাল থেকে আমার মানসিক অবস্থাও ভালো নেই, তবেকাজে তার প্রভাব আগেও পড়তে দিনি আর এখনও দেবো না।
বর্তমানে আমার বাবারও যথেষ্ট বয়েস হয়েছে, কাজেই একটা ভয় আমাকেও সবসময় তাড়া করে বেড়ায়। আমার সমবেদনা রইলো lother বাবুর জন্য।