মনুষ্যত্ব আজও বেঁচে আছে, তাই পৃথিবী এখনও ধ্বংস হয়ে যায় নি।
খারাপ দেখতে দেখতে, আর খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে, পাশাপশি খারাপ আচরণের স্বীকার হতে হতে;
একটা সময় বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়, এবং মনে হতে শুরু করে, সত্যি কি আদেও এই পৃথিবীতে ভালো কিছু অবশিষ্ট আছে?
আজকে আমি, গতকালের একটি ঘটনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো, যেটি বিস্তারিত বলার আগে আমি উপরিউক্ত কথাগুলো এই কারণে বললাম, আর কারোর কথা বলতে পারবো না, তবে আমার প্রায়শই মানুষের বিভিন্ন আচরণে এখন এরকমটাই মনে হয়।
বিভিন্ন কাজের জায়গা, চেনা, অচেনা মানুষের থেকে অকারণে আঘাত পেতে পেতে আজকে আমার বিশ্বাস বিশেষ করে মানুষের প্রতি তলানিতে এসে ঠেকেছে।
যাইহোক, কি এমন হয়েছিল যার কারণে, বিশ্বাস ও মনুষ্যত্বের কথা বলছি!
আসলে আপনারা যারা এই কমিউনিটিতে কাজ করেন, তারা অনেকেই আমার ল্যাপটপের বিকল চার্জারের অবস্থার কথা জানেন।
গতকাল কমিউনিটির দুটো পোস্ট ফোন থেকেই তৈরি এবং পোস্ট করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল আমার;
কাজেই, একপ্রকার ঠিক করেই নিয়েছিলাম যে বিকেলে বেরোবই।
তখন ঘড়িতে বাজে সন্ধ্যে আনুমানিক ৬টা হবে। বেরোনোর জন্য তৈরি হয়ে নিচে নেমে যথারীতি আগের দিনের মতোই;
একটু এগোতেই এক দু ফোঁটা করতে করতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ব্যাগে ল্যাপটপ সহ বিকল চার্জার কাজেই জল লাগলে রক্ষে নেই, ছুটে বাড়ির কাছাকাছি একটি গ্যারেজের কার শেডের নিচে কোনক্রমে দাড়িয়ে থাকলাম।
আসলে আমার মাথায় ছিল, পাড়ায় একটি কম্পিউটার এর দোকানে যাবো, কাছাকাছি, হয়তো পেয়ে যাবো চার্জার অথবা তারা সন্ধান দিতে পারবে কোথায় পাওয়া যাবে।
কাঁধের ব্যাগটি আড়াল করে দাড়িয়ে সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে দেখলাম দশ মিনিট পর বৃষ্টি থামলো, এবার একটু দ্রুত পায়ে দোকানে পৌঁছনোর চেষ্টা করলাম, কারণ মাঝে দাড়ানোর সেরকম জায়গা নেই।
যাইহোক, পৌঁছে দেখি সে দোকান উঠে গেছে! হায়রে কপাল! আমি তো দিশেহারা, কি করবো এখন?
তারপর ভাবলাম, প্রথমে কিছু টাকা তুলে নেবো, কারণ ব্যাগে বিশেষ টাকা ছিল না, তবুও এখন কার্ডে দাম দেওয়া সম্ভব, তাই আগে দোকানের উদ্দেশ্যেই রওনা হয়েছিলাম।
এরপর, দোকানের পরিস্থিতি দেখে ঠিক করলাম স্টেশন যাবো আগে টাকা তুলতে।
সেইমত হাঁটা শুরু করলাম, স্টেশন পৌঁছনোর কিছুটা আগে দেখলাম একটি কম্পিউটারের নতুন দোকান হয়েছে, ভাবলাম একবার খোঁজ নিয়ে এগোনো যাক!
দোকানে গিয়ে জানতে পারলাম তারা ব্র্যান্ডেড ল্যাপটপের চার্জার রাখেন, আর আমার যে কোম্পানির ল্যাপটপ তার রিভিউ ভালো নয়, আর এখন আসেও না এই কোম্পানির ল্যাপটপ;
কাজেই তাদের কাছে আমার ল্যাপটপের চার্জার নেই।
নিজের ল্যাপটপের বদনাম শুনতে আমার মোটেই ভাল লাগছিল না, কিন্তু অগত্যা দাড়িয়ে শুনছিলাম।
তবে, দোকানের মালিক আমাকে একটি জায়গার নাম ঠিকানা দিয়ে জানালেন ওনারা নাকি এই কোম্পানির ল্যাপটপ বিক্রি করেছেন একটা সময়, কাজেই তাদের কাছে পেলেও পেতে পারি।
ঠিক করলাম, যা আছে কপালে একবার যাবো, এবং গিয়ে দেখবো।
সেইমত আমি দোকানের মালিককে, জানালাম, আমার স্টেশনে একটা কাজ আছে, করে তবে আমি সেই দোকানে যাবো।
স্টেশন পৌঁছে দেখি, এটিএম এর বাইরেও লাইন। তবে সুযোগ পেলাম বটে কিছুক্ষণের মধ্যে ভিতরে ঢোকার।
টাকা তুলে বেরিয়ে দেখি, এক ইঞ্চি হাঁটার পরিস্থিতি নেই, রেলগেট পড়লে, সমস্ত রাস্তা এত বাজে ভাবে আটকে যায়, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার উপায় নেই।
যে যেদিক থেকে পারে, গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছে, যেমন রাগ হচ্ছিল, ততোধিক বিরক্তি।
যাইহোক টাকা তুলে বেরিয়ে একটি টোটোকে জিজ্ঞাসা করলাম ঠিকানা জানিয়ে যাবে কিনা?
একা যাবো শুনে তিন গুন ভাড়া চেয়ে বসলো, আমিও জেদ ধরলাম, হেঁটেই যাবো।
সবে টোটোর কাছ থেকে একটু এগিয়েছি, কানে ভাসলো,
আমি শুনেও মাথা নিচু করেই হাঁটছিলাম, গাড়ির ভিড়ের বিরক্তিতে এমনিতেই নাজেহাল আর এদিক ওদিক তাকানোর ইচ্ছে ছিল না।
খানিকটা এগিয়েছি, তারপরও যখন শুনছি,
এইবার আমি মাথা তুলে চেয়ে দেখি একজন সুপুরুষ বাইক নিয়ে আমার পিছু পিছু আমাকেই ডাকতে ডাকতে এগোচ্ছিলেন।
উনি ছিলেন রাস্তার একপ্রান্তে আর আমি অপরপ্রান্তে।
কাজেই ওনাকে দাড়াতে বলে, আমি রাস্তা পার করে যখন পৌঁছলাম, তখন উনি আমাকে জানালেন ওনার একটি কম্পিউটার সারাই এর দোকান আছে;
আমি যে দোকানে চার্জারের খোঁজ করতে গিয়েছিলাম, উনি ওখানে ছিলেন(আমি যেটা লক্ষ্যই করিনি!), এবং আমার চার্জার দেখে উনি বুঝেছেন, এটা উনি ঠিক করে দিতে পারবেন।
আমার তো তখন প্রাণে জল এলো। তবে ওনার দোকান অনেকটাই, মানে আমি যেখানে যাবো ঠিক করেছিলাম, তার চাইতেও দূরে;
তাই জানতে চাইলেন আমি কবে যেতে পারবো, তখন ঘড়িতে প্রায় সাড়ে সাতটা বাজে।
সাথে বললেন, সারাই এর পরে আঠা লাগাতে হবে, কাজেই একদিন রাখতে হবে চার্জার, আমি বললাম আমি দরকার হলে বসবো কিন্তু আরেকদিন যাওয়া আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব, কারণ আমি জানি, বুধবার আমার ব্যস্ততার কথা।
এরপর উনি দোকানে ফোন করে শুনলেন সেই মুহূর্তে দোকানে চার্জার ঠিক করার কেউ আছে কিনা, আমি জানালাম আমার আজকে এটার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি।
উনি বললেন, বুঝতে পারছি।
এরপর জানালেন, সেই মুহূর্তে উনি দোকানেই যাচ্ছেন;
আমাকে ওনার নম্বর দিয়ে দিলেন আর দোকানের, নাম, ঠিকানা।
আমি, ওনাকে জানালাম, আমি ট্রেনে করে পৌঁছচ্ছি, প্যাটফর্মে বসে, পিয়াকে বিষয়টি জানালাম, কারণ ব্যুমিং মাথায় ঘুরছিল।
এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ট্রেন পৌঁছল, আর আমার যাত্রা শুরু হলো, অজানা মানুষের দেওয়া, অজানা ঠিকানার উদ্দেশ্যে।
ট্রেন থেকে নেমে প্রথমেই আমাকে দেওয়া নম্বর এ ফোন করলাম, দেখি বেজে যাচ্ছে কেউ ধরছে না!
যেখানে গেছিলাম সেটা জংশন কাজেই অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম, আমার জানা হয়নি কোন প্ল্যাটফর্মের দিকে দোকানটা।
আমি এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমেছি, আর ফোন না পেয়ে ভাবলাম, আগে ভিড় থেকে খানিক এগিয়ে একটি ফাঁকা জায়গায় পৌঁছনো যাক, এরপর এগোতে থাকলাম।
যখন ফিরিয়ে ফোন আসলো না, ঠিক করলাম ওই প্ল্যাটফর্মের বাজারের দিকটা একবার দেখে যাই, যদি অন্য কোনো দোকান চোখে পড়ে।
এইভাবে এদিক ওদিক তাকিয়ে হাঁটছি, দেখলাম সেই ব্যাক্তির ফোন আসলো, এবং উনি জানালেন ওনার দোকান এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকেই, আর আমাকে আমার বা হাতের দিকের রাস্তা ধরে এগোতে বললেন, দোকানের নামটি আরো একবার মনে করিয়ে দিলেন।
আমিও সেইমত খানিক এগোচ্ছি আর রাস্তার পাশের দোকানে জিজ্ঞাসা করছি, দোকানের নাম বললে চেনেন কিনা? আর কতদূর?
সবাই এগিয়ে যান, সামনেই! এটা বলেই খালাস!
সামনের মানেটা কাল আমি হারে হারে টের পেয়েছি।
এবার আবার ফোন ওই ব্যাক্তির, আমি জানতে চাইলাম, ওনার দোকানের আগে কোন দোকান পড়ে, উনি জানালেন পাঞ্জাবি মিউজিয়াম।
আমি আরো খানিকটা এগিয়ে পাঞ্জাবির দোকানটা চোখে পড়লো, জিজ্ঞাসা করলাম কম্পিউটারের দোকানের নাম, উনি একটি চায়ের দোকান দেখিয়ে বললেন তার পাশে।
আমি দোকান ছেড়ে এগোতেই, আবার সেই ফোন,এবং অপরপ্রান্ত থেকে উত্তর এলো,
ব্যাক্তি:-আমি আপনাকে দেখেছি!
আমি:- আমি বললাম, আমি তো আপনাকে দেখতে পাচ্ছি না!
ব্যাক্তি:- উনি জানালেন উপরে তাকান!
আমি:- কথামত তাকিয়ে দেখি, আমাকে উদ্দেশ্য করে হাত নাড়ছেন, এবং কোন রাস্তা দিয়ে উপরে যেতে হবে সেটা দেখাচ্ছেন।
আমি:- গলির মধ্যে যেতেই, সিঁড়ির কাছে আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে দাড়িয়ে আছেন।
আমি উপরে উঠে দেখি, ওরে বাবা, এত বিশালাকার দোকান, একদিকে সমস্ত টেলিভিশন ঠিক করছেন অন্ততপক্ষে সাত থেকে আটজন আর ঠিক তার অন্যদিকে কম্পিউটার সারাইয়ের ব্যবস্থা।
আমার নাজেহাল অবস্থা দেখে একটি হাই স্পীড ফ্যানের নিচে আমাকে বসতে দিলেন।
ব্যাক্তি:- আপনাকে একটু কষ্ট দিয়ে ফেললাম।
কোথায় দেখি আপনার চার্জার!
আমি:- সৌজন্য দেখিয়ে, ব্যাগ থেকে চার্জার বের করে দিলাম।
এরপর উনি কাজে লেগে পড়লেন।
আমি:- জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা এরকম নতুন চার্জার পাওয়া যাবে আপনার কাছে?
ব্যাক্তি:- উনি বললেন, নতুন কিনবেন কেনো?
আমি আপনার চার্জার নতুন করে দিচ্ছি, এটার আসল জায়গা তো ঠিক আছে, শুধু তারটা ঠিক করলেই হয়ে যাবে।
একটা নতুন চার্জার কিনতে ১২০০ টাকা খরচ হবে, হয়তো আপনি টাকাটা ব্যয় করে কিনতেও পারবেন, কিন্তু তার চার ভাগের এক ভাগ খরচ করে যদি আপনার চার্জার ঠিক হয়ে যায়, আরো দুবছর চলে, তাহলে আপনি কেন এতগুলো টাকা খরচ করবেন?
আমি:- সত্যি খানিক হতভম্ভ হয়ে ওনার কথাগুলো শুনছিলাম!
ব্যাক্তি:- কাজ করতে করতে বললেন, আসলে ম্যাডাম নতুন বিক্রিতে লাভ বেশি, তাই আর কেউ সারাই করার পরামর্শ দেন না!
আমি:- ভাবলাম সত্যি এখন আমরাও একটা জিনিষ খারাপ হলে ঠিক করবার পরিবর্তে নতুন কেনায় ঝোঁক বেশি দেখাই।
চার্জার ঠিক করে দেবার পরে, উনি আমাকে ল্যাপটপ বের করতে বলে, দেখিয়ে দিলেন চার্জ হচ্ছে।
আমি:- জিজ্ঞাসা করলাম কত দিতে হবে?
ব্যাক্তি:- উনি বললেন আমাকে ২০০ টাকা দেবেন ম্যাডাম।
আমিও সেইমত, টাকা মিটিয়ে বেরোনোর আগে শেষ কথা উনি বললেন, ম্যাডাম নামকরা ল্যাপটপের নতুন মডেল বেরোলেই সঙ্গে সঙ্গে কিনতে নেই;
আগে রিভিউ দেখতে হয়, কিছুদিন গেলে জানা যায়, কোন মডেলের কোন কোন সমস্যা আছে।
আমার কাছে কথাগুলো খুবই যুক্তসঙ্গত বলে মনে হয়েছে। নমস্কার জানিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে ঠিক করলাম, স্টেশন বেশ দূরে, বাসের রাস্তা দেখা যাক।
যদি কাছে হয়! ওরে বাবা এত দেখি আরো দূরে যখন পৌঁছলাম বুঝলাম।
তবে,
আর সেটা হলো মনুষ্যত্ব আজও বেঁচে আছে, তাই পৃথিবী এখনও ধ্বংস হয়ে যায় নি।
একটা ভুল আমার কাল হয়েছে, আর সেটা হলে এই অমানবিকতার ভীড়ে, সেই মনুষ্যত্বের নামটা আমার কাল জানা হয়নি!
থাক! কিছু উপকারী আড়ালেই থাকুক;
যারা ফলাও করে বলে বেড়ায় না, যে, তারা পরের উপকার করেন।
বরঞ্চ, কিছু মানুষ আজও আছেন, তারা উপকার আড়ালে থেকে করতেই বোধহয় বেশি পছন্দ করেন। এই আড়ালে উপকার করা মানুষদেরকেই বোধহয় দেবদূত বলে!
Your post has been successfully curated by @𝐢𝐫𝐚𝐰𝐚𝐧𝐝𝐞𝐝𝐲 at 40%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
অবশেষে আপনার চার্জার ঠিক হয়েছে, এটা শুনে স্বস্তি পেলাম। এবার আপনার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।তবে ল্যাপটপের চার্জার ঠিক করতে যে আপনি যে ঝামেলার মুখে পড়লেন তা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম যে সত্যি কোন কাজে সহজে করা যায় না।আর এটা অনেক বড় সত্য কথা, আসলেই এখনো কিছু ভালো মানুষ আছে যাদের যাদের কারণে সৃষ্টিকর্তা হয়তো পৃথিবীটাকে এখনো টিকিয়ে রেখেছেন ।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
ল্যাপটপের চার্জার বিকল হওয়ার জন্য আপনার ওপর অনেক ধকল গেছে। তাছাড়া নতুন একটি চার্জার বা চার্জারটি ঠিক করানোর ক্ষেত্রেও আপনার বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
পৃথিবীতে এখনো কিছু ভালো মানুষ আছে। মাঝেমধ্যেই দেবদূতের মত এসে তারা আমাদের সমস্যা সমাধানের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে।
সর্বোপরি, আপনি নিজের দিক থেকে প্রচেষ্টার একটুও কমতি রাখেননি। হয়তো তার জন্য ঈশ্বর আপনার কাজটা সহজ করে দিতে ওই মানুষটিকে পাঠিয়েছেন।
আমি ও একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম, যখন জানতে পারলাম আপনি ল্যাপটপের চার্জারটি ঠিক করতে পেরেছেন।
আপনার ল্যাপটপের চার্জার ঠিক হয়েছে,,, জানতে পেরে অনেক বেশি খুশি হলাম! কারণ বেশ কয়েকদিন আপনি খুব হতাশার মধ্যে ভুগছেন! কাজ করতে গিয়ে,,, আপনার নাজেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছে।
যাইহোক অনেক অপেক্ষার পর হতাশার পরে আপনি সেই লোকের কাছে,, আপনার চার্জার ঠিক করাতে পেরেছেন! আসলে উনাকে আমি মনের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই! উনি নিজে এগিয়ে এসে আপনার চার্জারের কথা জিজ্ঞেস করলেন,,, এবং আপনার চার্জার ঠিক করে দিলেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন,,, কিছু মানুষ আড়াল থেকেই মানুষের উপকার করে! তাদের নাম প্রকাশ করার মত প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনা! সেই মানুষ গুলোকেই আসলে আমরা ফেরেশতা বলে থাকি! আপনারা হয়তোবা দেবদূত বলে থাকেন।
যাইহোক এত অস্থিরতা হতাশার পরে কিছু প্রশান্তি পেয়েছেন! এটাই সবচেয়ে বড় কথা,,, অসংখ্য ধন্যবাদ,,, এত ব্যস্ততার মাঝেও এত সুন্দর ভাবে একটি পোস্ট আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভাল থাকবেন।
পৃথিবীতে ভালো মানুষ আছে বলেই হয়তো পৃথিবী এখনো আছে। এখন সমাজে এক প্রকার ভালো মানিষ বের হয়েছে যারা যতটুকু না উপকার করে তার চেয়ে বেশি তারা তার গুনগান করে। তারা উপকার করে তো বটে কিন্তু তা উপকারির উপকারের জন্য না নিজের রেপুটেশন সমাজে বাড়ানোর জন্য। তারা উপকার করে শুধু লোক দেখানোর জন্য। কিন্তু সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এক হাত দিয়ে কারো উপকার করে অন্য হাত টেরও পায় না। আসলে আমাদের উচিত কারো যদি উপকার করি সেই উপকারের যেন কোনো প্রতিদন আসা না করি। কারো উপকার করে সেটা ভুলে যাওয়াই উত্তম।
যাই হোক আপনার চার্জার ঠিক হয়েছে শুনে খুব ভালো লাগলো। আসলে আমরা রাস্তা ঘাটে বাহির হলে এমন কিছু মহামনব এর দেখা পাই এই তবে সেটা খুব কম পরিমাণে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ব্যাপারটা কি মেম,আমরা যারা মানবিকতাকে তেমনভাবে প্রশ্রয় দেইনা তারাই,তারাই মানষিক ভাবে বেশি পেরেশানি হই।
আজও ভাল মানুষ আছে।একথা মানুষ বিপদ থেকে মুক্ত হলে বলে। এটা হতে পারে ক্ষনিকের কিংবা দীর্ঘ অনুভুতি।
একথা স্বীকার করাও, একটি মহানুভুতি।
ভাল মনে ভাল থাকবেন,এই কামনা করি। আমিন।