মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নাম মনুষ্যত্ব এবং মানবিকতা।
![]() |
---|
আজ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছি তার পিছনে দুটো কারণ আছে, প্রথমত, আমার পরম প্রিয় এবং কাজেরক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সাধন আমার ল্যাপটপ হাতে পেয়েছি।
দ্বিতীয়ত, এই ভরা জৈষ্ঠ্য মাসে গতকাল ঝড় বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা অনেকটা নিম্নমুখী।
এবার সরাসরি চলে যাবো লেখার শীর্ষক নিয়ে কথা বলতে।
আজকের এই উপরিউক্ত শীর্ষকটি সম্পর্কে আমরা জানি সকলেই কিন্তু আমার কেনো জানিনা মনে হয় বুঝি খুব কম মানুষ।
এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন আমি কি করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে খুব কম মানুষ বোঝেন? |
---|
যথার্থ প্রশ্ন কিন্তু বেশকিছু উদাহরণ দিতে পারি যেটা থেকে আমার কথার সাথে হয়তো অনেকেই সহমত হবেন।
উদাহরণ ১:-
এবার কতজন মানুষ আছেন যারা এদেরকে সাহায্য করেন?
এখানে আরো একটি প্রশ্ন? যদি প্রয়োজনের তুলনায় এই ধরনের মানুষ বেশি সংখ্যায় যাত্রাপথে ট্রেনে বা বাসে উঠেই থাকেন তাহলে সভ্য নাগরিক হিসেবে জায়গাটি ছেড়ে দেওয়া কি মানবিকতায় সামিল নয়?
মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নাম মনুষ্যত্ব এবং মানবিকতা, আর এটা করে নিজেকে মহান ভাবারও কিছু নেই বলে আমি মনে করি। একটা সময় আমরা সকলেই বৃদ্ধাবস্থায় পৌঁছবো, কাজেই আজকে রক্তের জোরে যে বিষয়গুলোকে অদেখা করছি, সময়ের হাত ধরে আমাদের কৃতকর্ম যে আবার আমাদের কাছে ফিরে আসবে না, এমন আশ্বাস কি কেউ দিতে পারেন? আরো একটি বিষয় যেমন ধরুন যখন আমরা ছাত্রাবস্থায় ছিলাম, তখন আমাদের ঘরের পাশাপশি শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক নৈতিকতা সকলকেই শিখিয়েছেন, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে খুব কম মানুষ সেগুলোকে পাথেয় করে বাকি জীবনটা অতিবাহিত করে থাকেন। কাউকে কিছু শেখাতে পারাটা যেমন দক্ষতা তেমনি সেই সঠিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের মানবিকতার পরিচয় বাহক। সেখানে যিনি শিক্ষক তাকে যেমন সন্মান জানানো হয় তেমনি নিজেকেও উন্নত করা যায় সেই সঠিক শিক্ষাকে আগামী দিনে অনুসরণ করে।
আমার এক বন্ধু কলকাতার একটি নামী স্কুলের ছাত্র ছিল, যেখানে তাবড় তাবড় নামকরা ব্যক্তিরা পাশ করে বেড়িয়েছেন, এবং তাদের মধ্যে অন্যতম সত্যজিৎ রায়। যাইহোক আরো অনেক নাম আছে কিন্তু মূল বিষয়ে ফিরে আসি, সেই স্কুলের একজন শিক্ষক ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন শুনে, প্রাক্তন ছাত্ররা মিলে একটি তহবিল গঠন করেন এবং সেই অর্থের দ্বারাই বর্তমানে সেই শিক্ষকের চিকিৎসা চলছে।
খুঁজলে হাতে গুনে এই ধরনের মানসিকতা ধরে রাখার মত মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে, কারণ সমাজসেবা মূলক কাজের সাথে বহুবছর জড়িয়ে থেকে দেখেছি, অর্থ নয় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা সকলের থাকে না। পরিশেষে তাই বলবো, নিজের যতটুকু সাধ্য তার মধ্যেই অন্যের পাশে দাড়ানোর প্রয়াস করবেন, সেটা অর্থ হোক, মানসিক হোক অথবা শারিরীক ভাবেই হোক না কেনো। দুঃসময় একটা ভালো বুদ্ধি, পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করাটাও সাহায্যের মধ্যেই পড়ে, কাজেই কারোর দুর্বল জায়গা জেনে নিয়ে তাকে কখনো অসৎ পরামর্শ দেবেন না, সময় বদলায় এবং সৃষ্টিকর্তা মন পড়তে জানেন এটা কখনোই ভুলে যাবার নয়। ভালো কাটুক আপনাদের সকলের দিনগুলো, আজ বিদায় নিলাম, ভেবে দেখবেন উপরিউক্ত কথাগুলো।
|
---|
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আপনার এই কথার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি! কারণ কাউকে সাহায্য করা মানেই! নিজেকে অনেক বড় করা নয়! নিজেকে অনেক কিছু ভেবে নেয়া নয়! বরং আপনি তাকে কতটুকু সাহায্য করতে পেরেছেন! সেটা হচ্ছে সবচাইতে বড় কথা।
একদমই ঠিক বলেছেন,, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুঃসাধ্যকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে! মানুষের পাশে দাঁড়ানো! মানুষকে একটু সাহায্য করা! এমন মানুষ পাওয়া যায় না,,, বর্তমান সময়ে এমন মানুষ বেশি পাওয়া যায়! যারা কিনা কাউকে সাহায্য করতে গিয়ে ফটোশুট করে, ভিডিও করে, এবং সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে! নিজেদেরকে হাইলাইট করে।
একদমই ঠিক বলেছেন,, দুঃসময়ে মানুষকে সৎ পরামর্শ দেয়ার মত মানুষ বর্তমান সময় পাওয়া যায় না! কিন্তু আপনি বলেছেন,,, যতটুকু সম্ভব মানুষকে সৎ পরামর্শ দেয়ার জন্য।
আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটা কথা থেকে! আমাদের কিছু না কিছু শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত! একজন মানুষ কিভাবে একজন মানুষের পাশে দাঁড়াবে! কিভাবে তাকে একটু হলেও সাহায্য করবে! সে বিষয়টা আজকে আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন! যেটা আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমি ছোট করতে চাই না! কিন্তু আপনি যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে! আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটা টপিক ভাগ করে নিয়েছেন! তার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ না জানিয়ে থাকতে পারলাম না! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন।
বাস্তব জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আপনার পুরো পোস্টে আলোচনা করলেন। এটা তো আসলেই সঠিক, মানুষ তো মানুষের জন্য। যে মানুষ অন্য মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসে তার মনে মনুষত্ব আছে বলেই সে এগিয়ে আসে।
আর যে উদাহরণটি আপনি দিলেন আসলেই কয়জন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। বাস ট্রেনে আমরা এমন অনেক মানুষ দেখি, যে মানুষগুলোকে আসলেই সাহায্যের অনেক প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা মনে করি সে হয়তো ব্যবসা করছে।
নিজেকে মহান করার দরকার নেই, তবে নিজে যদি কারোর এতোটুকু পরিমাণে ভালো করতে পারি এতোটুকু পরিমাণে সাহায্য করতে পারি। সেটাতে যে প্রশান্তি পাওয়া যায়, এর থেকে আর অন্য কিছু আনন্দের হয় বলে মনে হয় না।
অনেক ভালো লাগলো দিদি আপনার সুন্দর এই লেখাটি পড়ে, এবং সুন্দর করেই আপনি বুঝিয়েছেন যে আমাদের মনুষ্যত্বকে জাগানোর জন্য আমাদেরকে অন্যদের সাহায্য করা কতটা জরুরী।