ভালোবাসা থাকলেই বোধহয় শব্দ প্রাণ খুঁজে পায়।
অনন্ত যুগ ধরে বেঁচে আছে
রচিত শব্দ তথা বাণী;
প্রাণের সঞ্চার করতে শব্দে
আমরা সকলেই জানি।
ভাষায় যদি থাকে ভালোবাসা;
সঙ্গে মেশানো শুভ বার্তার আশা!
নিষ্প্রাণ কথা প্রাণ ফিরে পায়;
যদি তাতে ভালোবাসা মেলানো যায়।
শব্দের মধ্যে ধরা থাক
নব প্রজন্মের ত্বরে বার্তা;
আমরাও বাঁচি যুগ যুগ ধরে
শব্দের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করে,
চিরস্বরণীয় হয়ে সেই শব্দের নির্মাতা!
- সুনীতা দত্ত।
(চির প্রজ্জ্বলিত হয়ে থাক আমাদের শব্দ, অনুপ্রেরণার স্রোত হয়ে) |
---|
এখন ভারতীয় সময় বলছে রাত ১টা বেজে ১৬ মিনিট। আজকে দুটো লেখা কমিউনিটির একাউন্ট থেকে আগেই লিখেছি।
সাথে ছিল আজকে আমার কিউরেশন, অনেক গুলো ওষুধ খেয়ে, শরীর একপ্রকার ছেড়ে দিয়েছে!
কারণটা, কাল থেকে ব্যাক্তিগত জীবনের দায়িত্বের চাপ, সাথে কাজের জায়গায় প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা।
একবার ভেবেছিলাম আজ হয়তো লিখতে পারবো না, তবে বিছানায় একটা দিনের সমাপ্তির আগে মনে হলো কিছু একটা বাকি রয়ে গেছে!
সেই বাকি থাকা বিষয়টি আর অন্য কিছু নয় তবে নিজের লেখা।
জানিনা এটা আমার অভ্যেস না ভালোবাসা!
তবে, অনেক চিন্তা করার পরে মনে হলো, এটা আমার ভালোবাসা, অভ্যেস হলে হয়তো লেখায় ফাঁক থাকলেও থাকতে পারতো;
তবে ভালোবাসায় ফাঁক রাখা যায় কি?
আর, ঠিক সেই কারণে এখন লিখতে বসলাম।
বাস্তব জীবনেও আমরা অনেক কাজ বাকি রেখে দিয়ে থাকি, বিশেষ করে যে কাজগুলোর প্রতি আমাদের আগ্রহ কম।
তবে যে বিষয়গুলো আমাদের আত্মার কাছাকাছি সেগুলোকে এড়িয়ে চলা বোধহয় প্রায় অসম্ভব।
শরীর জানান দেয় যে, সে ক্লান্ত! আর মন বলে আমার ইচ্ছের পূর্তি এখনও বাকি।
এই মনের তাগিদটা বোধহয় ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
মাথা দিয়ে লাভ লোকসানের বিচার করা যায়, কিন্তু মন থেকে কেবল আত্মতুষ্টি ভরা কাজের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা সম্ভব।
(লেখনীর মধ্যে ফুলের সুবাস থাকুক অমলিন) |
---|
জীবনের খাতায় যদি কিছু শব্দ, কিছু বার্তাকে বাঁচিয়ে রেখে যাওয়া যায়, তাহলেও বোধহয় নব প্রজন্মের জন্য প্রকৃত দায়িত্ব পালন সম্ভব।
আর অক্ষরের বাহ্যিক কোনো আওয়াজ না থাকলেও তাদের দ্বারা মিলিত শব্দ মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
এর প্রমাণ বহু লেখক তথা কবি তাদের রচনার দ্বারা প্রমাণ করে রেখে গেছেন। আজকে তারা শারীরিক ভাবে বেঁচে নেই, কিন্তু তাদের রচনা আজও অনেকের অনুপ্রেরণা।
কারণ, তাদের সেই রচনা এসেছিল মন থেকে, তাই শব্দ গুলো অস্ত্রের চাইতে কম কাজ করেনি পরাধীনতার সময়।
আজকে সরকারি ভাবে আমরা স্বাধীন কিন্তু এখনও অনেকক্ষেত্রেই পরাধীনতার গ্লানি বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকেই।
আমাদের লেখা যদি একটি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, সেটাই আমাদের তথা আমাদের শব্দের জয়।
শব্দ প্রাণ ফিরে পায় যখন সেটির মধ্যে অন্তর আত্মার ভালোবাসা, অভিজ্ঞতা মিলিত থাকে।
আজকে এই কথাগুলো লিখছি কারণ, এই প্ল্যাটফর্ম আমাকে তথা এমন অনেক মানুষকে এই স্বাধীনতা দিয়েছে যার দ্বারা আমরা কিছু বার্তা চিরস্বরণীও করে রেখে যেতে পারি।
আর যেটা পারি সেটা হলো নব প্রজন্মের বার্তা বাহক কাজ করতে, যেগুলো আগামী নতুন লেখকদের অনুপ্রাণিত করবে শিখতে অর্থের চাইতে শব্দের মূল্য অনেক বেশি, যা জীবনের পথে হেরে গেলে, পুনরায় উঠে দাড়াতে সাহায্য করে।
আজকের কতগুলো তাদের উদ্দেশ্যে যারা এখানে দায়সারা করে একটা কিছু উপস্থাপন করেন উপার্জনের আশায়।
নিজের সৃজনশীলতার ছাপ রেখে যান, আর কিছু না পান, আত্মতুষ্টি অবশ্যই পাবেন।
জানিনা কতজন লেখাটি পড়বেন, তবে একজন পাঠিকার বার্তা রইলো আপনাদের জন্য।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
!upvote 40
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ Participate in the "Seven Network" Community2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ ⚜💯.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven). Also your post was promoted on 🧵"X"🧵 by the account josluds
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 160%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
দিদি আপনার প্রতিটি লিখা আমাদের সকলের জন্য শিক্ষনীয় এবং আশীর্বাদ স্বরূপ। তবে আপনি যে লিখতে ভালোবাসেন তা আমরা সকলেই কম বেশি জানি। আপনার লেখার মাধুর্যতা আমাদের সকলকে মুগ্ধ করে। আপনার লেখার প্রতি ভালোবাসা আমাদের নতুন করে অনুপ্রেরণা যোগায়।
ভালো থাকবেন দিদি আপনার মঙ্গল এবং সুস্থতা কামনা করছি।