Better Life With Steem | The Diary game | 21November |
সকাল |
---|
আজকে সকালে ঘুম ভেঙেছে পানি পরার শব্দে।ঘুমিয়েছিলামও একই শব্দে।আমার সবচেয়ে অপছন্দের কাজ এই পানির অপচয় করা।মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ৯৯৯এ কমপ্লেইন করে অভিযোগ জানাই।প্রকৃতির সবচেয়ে দামি উপহারের মাঝে একটা হলো এই পানি।এই মিষ্টি পানি একসময় হারিয়ে যাবে ক্রমশ। অথচ মানুষ এর এতটুকু সচেতনতা বাড়ে নাই। এটাই খারাপ লাগে। যারা বোঝেনা তাদের মাঝে নেই এটা মানা যায় কিন্তু শহুরে শিক্ষিত মানুষের মাঝে এই অসেচতনতা দুঃখজনক।
যাই হোক, ঘুম ভাঙার পরে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম কয়েক মিনিটের জন্য। কারন দাঁড়াতেও কস্ট হচ্ছিল। বেশ কিছুদিন থেকেই শারিরীক অসুস্থতায় ভুগছি।
এজন্য সবার খুব অসুবিধাও হচ্ছে জানি। আসলে একধরনের অপরাধবোধে ভুগতেছি। আমি যতবার অসুস্থ হই প্রতিবারই এই অনুভুতির শিকার হই। নাস্তা বানাতে চাইলে আমার স্বামী বললো যে সে ব্যাংকে যাওয়ার পথে কিছু খেয়ে নিবে। আর ওদেরকেও বাইরে থেকে কিনে খাওয়ার কথা বলে গেল
যার কারনে আর নাস্তা বানানোর ঝামেলা ছিলো না। বড়ো ছেলের ঘুম ভাঙার পরে বাইরে থেকে চিকেন সুপ আর পরোটা অর্ডার দিয়েছিলো সেটা দিয়েই সবাই নাস্তা করে নিলো। পরে ওরা বললো যে, কিছু রান্না করতে হবে না। কিন্তু নিজের কাছেই ভালো লাগতেছিলো না। বুয়াকে বললে রান্না করে দিবে কিন্তু ওরা কেউই তার হাতের রান্না খেতে পারে না। তাই নিজেই কোনরকমে রান্না করলাম।লাল শাকটা সেদ্ধ করে রেখেছিলাম আগেই। যার কারনে এখানে আর সময় দিতে হয় নাই খুব একটা। সাথে চিংড়ি ভর্টাটাও বুয়াই করে দিয়েছিলো। কোনরকমে রান্না শেষ করে নিলাম।
দুপুর |
---|
ইদানীং স্টিমিটেও খুব একটা সময় দেয়া হচ্ছে না। কমেন্ট, লেখা সবই কমে গেছে। দুপুরে সবার খাওয়া শেষ হবার পরে শুয়ে বসেই সময় কাটালাম। ছেলেরা ওদের মামার বাসায় খেলতে চলে গিয়েছিল। যার কারনে আমারও আর তেমন কিছু করার ছিলো না।একা বাসায় ভালো লাগে না আমার।সবাই আমার বড়ো ছেলেকে দেশের বাইরে যেতে বলতেছে কিন্তু ওরও যাওয়ার বিন্দুমাএ ইচ্ছে নাই সাথে সত্যি কথা বলতে আমারও ইচ্ছে নাই। যদিও ওকে বলছি যে, তুমি চাইলে যেতে পারো কিন্তু জোর দিয়ে বলি নাই। ওরা কেউ নেই ভাবতেই কেমন জানি লাগে। দুই ছেলে সন্ধ্যার পর পরই বাসায় চলে আসে। ওরা গ্রীল আর নান খায় অর্ডার দিয়ে এনে। আর আমি গতকালের লেখাটা শেষ করার দিকে মনোযোগ দেই।গতকাল কোন লেখা পোস্ট করা হয়নি।
রাত |
---|
রাতে শুধু ভাত রান্না করি। দুপুরে তরকারি দিয়েই সবাই খেয়ে নেয়। ডায়েরি গেম লিখবো ভাবতেছি আজকের জন্য কিন্তু ভালো লাগছিলো না। তাই তখন আর লেখা শুরু করা হয়নি।এখন সবাই ঘুমাচ্ছে আর আমি আজকের ডায়েরি গেম লেখা শুরু করেছি কারন আমি অনেক আগেই শুয়ে পরছিলাম, যার কারনে এখন ঘুম ভেঙে গেছে।
যদিও আজকে আর পোস্ট করা হবে না। এভাবেই আজকের দিনটাও চলে গেল।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
জেনে খারাপ লাগল যে, আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছেন।আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। শরীর খারাপ থাকলে যখন আমরা সংসারের কাজ করতে পারি না,তখন সত্যিই একটা অদ্ভুত ধরনের অপরাধবোধ কাজ করে। কিন্তু তবুও নিজের শরীরের দিকে নজর দিতেই হবে।
সন্তান যখন দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কথা ভাবে তখন মায়েদের মন এমনিতেই খারাপ হয়। অথচ সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেকেই তার উপরে জোরে দেন না। আমার মনে হয় একটা বয়সের বয়স সকল সন্তানেরাই নিজের ভালো-মন্দ সম্পর্কে ডিসিশন নিতে পারে, তাই তাদের ডিসিশনকে সম্মান জানানো প্রত্যেক বাবা মায়ের কর্তব্য। যেটা আপনিও করেছেন জেনে সত্যিই আমার ভালো লাগলো। অনেক কষ্ট করে আপনার সারাদিনের কার্যাবলী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।
আমার লেখা পড়ে এত চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো আর সুস্থ থাকবেন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
TEAM BURN
Congratulations, your comment has been successfully curated by @msharif at 5%.
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন আপনি। পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে অসুস্থ থাকার কারণে খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়
Welcome
আপনার পাখির ডাক শুনে ঘুম ভেঙ্গেছে শুনে আমার খুবই লাগলো। ঘুম থেকে উঠে আপনি দেখছেন পানির অপচয় হচ্ছে। আপনি চেষ্টা করেছেন এই অপচয় রোধ করার জন্য।
তারপর আপনার স্বামী নাস্তা না চলে গেল অফিসে আর আপনি রান্না কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। তারপর সন্ধ্যায় আপনি চা বানিয়ে খেয়েছেন।
যাইহোক আপনার পোস্টটা পড়ে বুঝা যাচ্ছে আপনি খুবই ভাবে আজকের দিনটা অতিবাহিত করছেন। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভালো থাকবেন আপনি সবসময় সেই কামনা করি।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
পানির অপচয় দেখে ৯৯৯ এ কল দিয়ে অভিযোগ দেন, এটা শুনে অন্য্রকম একটা ভালো লাগা কাজ করলো। সত্যি অনেক প্রশংসনীয়। আজকে আপনার পোস্টের প্রেজেন্টেশন আগের থেকে ভালো মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো আর সুস্থ থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যান ।আপনি অসুস্থ শরীর নিয়েও যে আবার পোস্ট করেছেন সে জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আপনি সারাদিনই যা যা করেছেন আমাদের সাথে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ।সত্যি একা থাকাটা অনেক কঠিন। একা কখনোই ভালো লাগেনা। নিজের পরিবার ,আত্মীয়-স্বজন সবাইকে পাশে নিয়ে থাকার ভিতরে যে আনন্দটা একা থাকলে সে অন্য একটা কখনোই পাওয়া যায় না।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
আপনি অসুস্থ বলে সকালে নাস্তা বানাতে পারেননি এবং আপনি বানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু আপনার হাজব্যান্ড আপনাকে বলল আমি ব্যাংকে যাওয়ার পথে কিছু খেয়ে নিব এবং ছেলেদের কেউ কিছু কিনে খেতে দেবো আপনাকে নাস্তা বানানোর জন্য আপনার হাসবেন্ড মানা করলো।
আসলে স্বামী স্ত্রীর বন্ধন এমনই স্বামী স্ত্রীর অসুবিধা বুঝবে এটাই স্বাভাবিক ঠিক আপনার হাসবেন্ড যেমন বুঝেছে। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সুস্থতা দান করুক সবসময় এই দোয়া করব। ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময়।