Better Life With Steem | The Diary game | 2, may |
সকাল |
---|
আজকে ৬টার দিকে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু একটু পরে আবার ঘুমিয়ে পরেছিলাম। দ্বিতীয়বার ঘুম ভেঙে তাকিয়ে দেখি প্রায় ৮ টা বাজে৷ দ্রুত ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘর এর দিকে এগিয় গেলাম।
কারন হাসবেন্ডকে নাস্তা বানিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সে বললো যে , আমাকে ঘুমাতে দেখে সে নাস্তা খেয়ে নিয়েছে ওটস বানিয়ে। ইদানীং গরমের কারনে কিছুটা আগেভাগেই ব্যাংকে যায়।
সে ব্যাংকে চলে যাওয়ার পরে আমি একবারে দুপুরের রান্না করার জন্য রান্না ঘরে ঢুকেছি আর দরজায় শব্দ শুনে খুলে দেখি ভাই এর ছেলেরা আসছে ক্লাস করার জন্য । ওদেরকে জিজ্ঞেস করায় জানালো যে, নাস্তা না করেই এসেছে।
আমার ছেলেরা ঘুমিয়ে ছিল বলে আমি ওদের জন্য নাস্তা বানাই নাই আগে। ভেবেছিলাম উঠলে কিছু একটা দিয়ে নাস্তা দিয়ে দিবো।
কি খাবে জিজ্ঞেস করায় জানালো পরোটা খাবে।অন্য সময় বাসায় ফ্রোজেন পরোটা থাকে আজকে কিছু নাই। আমার নিজেরও এই গরমের মাঝে বানাতে ইচ্ছে করছিলো না। তাই একটু পরে ছেলেকে ডেকে তুলে বললাম ওদের জন্য পরোটা আর সবজি অর্ডার দিতে। ভাবলাম ডিম ভেজে দিবো আমি সাথে।
ওইদিকে দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেললাম।দুপুরের জন্য মুরগীর মাংসের ঝোল, পটল ভাজি, ঢেরশ ভাজি আর ডাল।
বুয়া যেহেতু দেশে গেছে বিয়ে খেতে তাই বাকি কাজগুলোও করে ফেললাম।কিছু কাপড় ধোয়ার ছিল সেগুলো মেশিনে দিয়ে রুমগুলোও পরিস্কার করে ফেললাম।
শুধু ওদের রুম পরিস্কার করতে পারলাম না কারন ওদের ল্যাপটপে ক্যামেরা অন করা থাকার কারনে আনইজি লাগে। ভাবলাম যে পরে করবো ।
দুপুর |
---|
দুপুর ১.৩০ এর দিকে ভাই কল দিয়ে জানালো যে ওরা একটা কাজে বাইরে গেছে আসতে লেট হবে তাই ওদেরকে যেন বের হতে না দেই বাসা থেকে। ওরা খাবে বলে আলু ভর্তাও করলাম কারন ওরা আলু ভর্তা পছন্দ করে। আর ঢেরশ ভাজি কিংবা পটল ভাজিও ওরা খাবে না।
ওদের ক্লাস শেষ হওয়ার পরে ওদেরকেও খেতে দিলাম আর আমরাও খেয়ে নিলাম। ৪ টার দিকে ভাই কল দিয়ে বললো যে, ওরা বাসায় চলে এসেছে তাই এখন ওদেরকে যেন পাঠিয়ে দেই।
কিন্তু ওদের বাসায় ওয়াইফাই কাটা বলে এই বাসায় ওরা গেমস খেলে মজা পায়। তাই ওর বাবা মায়ের বার বার কল দেয়ার পরেও ওদের খেলা বন্ধ হতে চায় না। সন্ধ্যার দিকে বড় ভাই এর ছেলেরা বাসায় আসলো।
এখন গরমের কারনেই হয়তো খুব একটা বাসায় আসে না আর আমার ছেলেরাও তেমন একটা বের হয় না বাসা থেকে। না হলে এতদিন প্রায় প্রতিদিনই দেখতাম সময় পেলেই সবকটা মিলে টেবিল টেনিস খেলতো ভাই এর বাসার ছাদের ওপর।
রাত |
---|
ওরা চলে যাওয়ার পরে রাতের জন্য ভাত রান্না করলাম আর ওইদিকে আমার হাসবেন্ডও বাসায় চলে আসলো।
ওরা চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পরে বাসায় ছোট ভাই আসলো।ওর সাথে কিছু কাজের কথা ছিলো। সেগুলো নিয়ে কথা বলতে বলতে বেশ অনেকটা সময় পার হয়ে গেল।
ওইদিকে আমার স্টিমিটের জন্য লেখা পোস্ট করা হয় নাই। আগের দিনও ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য করা হয় নাই। তাই দ্রুত লেখা শেষ করে পোস্ট করে ফেললাম।
এরপর ঘুমাতে গেলাম সব কাজ শেষ করে। আর এভাবেই দিন শেষ হয়ে গেল।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 0/6) Get profit votes with @tipU :)
Quite interesting to learn a new meal today called parota. Looking at the appearance of the meal, it will be so delicious to have a taste of parota. Probably one day you will show us step by step process to prepare it
আমারও একই সমস্যা, একবার ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমিয়ে পড়লে কখন যে উঠবো তার কোনো ঠিক নেই। ফ্রোজেন পরোটা আমি কখনো রাখিনি আর সেই কারণে কখনো গরম করে খেয়েও দেখা হয়নি। এই গরমে আমিও এখন শুধু মুরগির মাংস দিয়েই কাজ চালাচ্ছি। আপাতত কোনো রেড মিট আমি খাচ্ছি না। ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ফ্রোজেন পরোটা বলতে আমি আসলে বাইরে থেকে কেনা পরোটা বুঝাই নাই। ডিপ ফ্রিজে আমি নিজেই কিছু পরোটা বানিয়ে রেখে দেই হঠাৎ বিপদ মোকাবিলা করার জন্য।
কিন্তু এখন শেষ হয়ে গেছে কিন্তু গরমের কারনে আর বানানো হয় নাই। গরম মনে হয় মানুষকে অলস করে তুলে।
এই গরমে আসলে রেডমিট না খাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো। পাতলা ঝোল আর সবজি খাওয়াটা সবচেয়ে ভালো।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়।
সেটা তো আমি বুঝতে পেরেছি কিন্তু বাড়িতে করা পরোটা আমি কখনো ডিপ ফ্রিজে রেখে তারপর গরম করে খাইনি। গরম মানুষকে অলস করে তোলে কিনা জানি না কিন্তু এই গরমে কোনো কাজ না করেই আমার নিজেকে খুব ক্লান্ত লাগে।