Better Life With Steem | The Diary game | 18, may |

in Incredible Indialast month (edited)

IMG_4878.jpeg

সকাল

ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলেই ভ্যাপসা গরমের মুখোমুখি হলাম।অবশ্য ক'দিন থেকেই একি অবস্থা চলছে।তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা সবার।ভাবি যে, মাত্রতো শুরু কস্টের।মানুষকে তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করতেই হবে। আমরা নিজেদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব ভাবলেও প্রকৃতির কাছে আর দশটা জীবের মতোই। মানুষ এর জন্য কোন আলাদা ছাড় নেই। মানুষ প্রকৃতির উপর যে অত্যাচার করছে তার ফলাফল সে পাবেই। ক্রমশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরবে পৃথিবী ।এজন্যই হকিং বলেছিলেন যে,

এখন সময় হয়েছে উপর এর দিকে তাকানোর।

তার এই কথার মানে হলো, পৃথিবীর বাইরে কোন বাসস্থান খোঁজ এখন।
আজকে রুম থেকে বের হবার সময় গরম দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আজকে সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার একসাথেই বানিয়ে ফেলবো। বারবার রান্নাঘরে যাবো না।আজকে আমার হাসবেন্ড এর ছুটি থাকার কারনে আরও সুবিধা হয়েছে। একসাথে আলুভাজির জন্য আলু আর মিষ্টি কুমড়ো কেটে নেই ভাজি করার জন্য। ছোট ছেলের জন্য আলু ভাজি লাগবে।
হাসবেন্ডকে ডেকে বলি যে তুমি ভাজি দুটো নাড়ো আর আমি রুটি বানাই। সে দুই চুলায় দুটো ভাজি করে আর আমাকে বলে যে, দেখো আমি এখন মাস্টার শেফ হয়ে গেছি। একসাথে দুটো ভাজি করতে পারি।
আমি একদিকে রুটি বানিয়ে দেই আর সে সেকে ফেলে।সালাড ও বানিয়ে ফেলি পাশাপাশি। মুরগী আগেই ভিজিয়ে রেখেছিলাম সেটাও রান্না করে ফেলি।

IMG_4875.jpeg

এরই মাঝে আকাশ কালো হয়ে আসে সাথে বাতাসও ছাড়ে।
ভেবেছিলাম ঝড় হবে কিন্তু যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয় তাতে পাশের বাড়ির ছাদও ভিজে না।
সকালে নাস্তা করতে করতে দশটার বেশি বেজে যায়।
সবাই মিলে এক সাথেই নাস্তা করে নেই। ছুটির দিনের এই একটা জিনিস ভালো লাগে, পরিবারের সবাই একসাথে থাকা। বড় ছেলেকে নিয়ে নিউমার্কেটে যাবো এটা গতকাল থেকেই কথা হয়ে ছিলো।এর জন্য রেডি হয়ে বের হবো এমন সময় ছেলে তার ছোট মামার সাথে কথা বলে নিউমার্কেট এর প্ল্যান চেন্জ করে আমার বাবার বাড়ি ধামরাই চলে যায় মামার সাথে। যার কারনে নিউমার্কেট যাওয়া ক্যানসেল হয়ে যায়।

IMG_4883.jpeg

দুপুর

ও চলে যাওয়ার পরে কেমন জানি একটা খালি খালি অনুভুতি হয়।ছেলেরা যতক্ষন বাসায় না থাকে ততক্ষনই এই অনুভুতি হয় সবসময়ই। দিনে ঘুমানোর অভ্যাস নেই আমার কিন্তু আজকে ঘুমিয়ে পরেছিলাম আর ঘুম ভেঙেছে ছোট ছেলের ধাক্কা খেয়ে । ওর বাবা নাস্তা নিয়ে এসেছে বাইরে থেকে সেটা খাওয়ার জন্য।

IMG_4884.jpeg

রাত

সন্ধার দিকে বাসায় এক কাজিন আসে। সবকিছু ঠিকই ছিলো কিন্তু ও হঠাত করেই অসুস্থ বোধ করে। চেক করে দেখি ওর বিপি ১৫০/১০০ হয়ে গেছে আর এটা দ্রুত উপর এর দিকে উঠতে থাকে। সবচেয়ে ভয়ংকর হলো ওর শরীর কেমন যেন একধরনের নীলচে কালো হয়ে হয়ে যেতে শুরু করে। ভয়ে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ভাগনের বউকে কল দিয়ে অবস্থা জানিয়ে বলি এখনই হসপিটালে নিয়ে যাবো কিনা, কারন বিপি বেড়ে গেলে নাড়াচাড়া যত কম করানো যায় ততই ভালো এটা জানতাম আমি।

সেও বলে যে, ও কোন ওষুধ খেলে সেটা যেন ওকে খাইয়ে দেই আর চুপচাপ শুইয়ে রাখি। সেও এই অবস্থায় হাসপাতালে নিতে নিষেধই করে।
ওদের বাড়ি আমার বড় ভাই এর পাশের গলিতেই। ভাই এর ছেলেকে কল দিয়ে ওর বাসা থেকে ওষুধ নিয়ে আসতে বলি আর ওর বাসায় যেয়ে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ভাবে জানাতে বলি যাতে করে সবাই বিষয়টা নিয়ে হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে না পরে।। ওর বাসা থেকেও সবাই চলে আসে।

সাথে সবাই মিলে ওর হাত, পা আর সারা শরীর মুছতে থাকি আর মাথায় পানি দেই। আস্তে আস্তে ওর গায়ের রঙও স্বাভাবিক হয়ে আসে। ওকে আমাদের বাসায়ই রাখার চেষ্টা করেছিলাম রাতে কিন্তু একধরনের জোর করেই রাতে বাসায় চলে যায়।

ও চলে যাওয়ার পরে এক ধরনের মানসিক ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসে।রাতে স্টিমিট এ ঢুকে কমেন্ট করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি জানি না।

Sort:  
Loading...
 last month 

সত্যিই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে রোদের দিকে তাকাতে একদম ভয় লাগে। যাইহোক ঘুম থেকে উঠে জন্য সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবার একসাথেই বানিয়েছেন। পাশাপাশি আপনার রান্নার কাজে আপনার হাজবেন্ডও সাহায্য করেছে।
আপনাদের ওইদিকে মেঘলা আকাশ ছিল। হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে আর আমাদের উত্তরবঙ্গের দিকে গতকালকে অনেক জোরে বৃষ্টি হয়েছে।
সন্ধ্যার দিকে আপনার এক কাজিন এসেছিল। আপনার ওই কাজিনের হঠাৎ করেই বিপি বেড়ে গেছিল। সত্যিই এরকম হঠাৎ করে কোন কিছু হলে খুব ভয় লাগে।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

এই কদিন প্রচুর পরিমানে গরম থাকলেও আজকে আকাশে মাঝে মাঝেই মেঘেদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে।আর সেই সাথে গরমও মনে হয় খানিকটা কমেছে। মাঝে মাঝে ভালোই ঠান্ডা বাতাস পাচ্ছি।কিন্তু সবচাইতে বেশি চাচ্ছি বৃষ্টির দেখা পেতে কিন্তু সেটারই কোন খবর নেই।
ঘন্টা দুয়েক একটানা ঝুম বৃষ্টি হলে ভালো লাগতো। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি।
ঢাকার চাইতে একটু গ্রামের দিকে গেলেই বৃষটি অনেকটা বেড়ে যায়।
আপনাদের এলাকাতে বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
ভালো লাগলে।আপনার মন্তব্য পড়ে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 last month 

মানুষ যদি নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব ভাবতো তাহলে আর এত গাছ কেটে ফেলত না। আমাদের কবর আমরা নিজেরাই খুঁড়েছি। এখন তার ফল ভোগ তো করতে হবেই। ছুটির দিনে পরিবারের সকলকে একসাথে পাওয়া যায়, এর মজাই আলাদা। আপনার কাজিনের অবস্থার কথা পড়ে তো আমারই ভয় ধরে গেলো। আমি আপনার জায়গায় থাকলে ঠিকমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম না।

 last month 
  • গরমে বারবার রান্না করাটা সত্যি খুব কষ্টসাধ্য কাজ। তাই একবারেই সকাল ও দুপুরের রান্না করেছেন। আপনার দিনে ঘুমানোর অভ্যাস নেই, এটা খুব ভালো অভ্যাস তবে আমি একটু না ঘুমিয়ে পারি না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

TEAM 1

Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.
Curated by : @jyoti-thelight



 last month 

@jyoti-thelight,
thank you so much, ma'am

 28 days ago 

আসলে অতিরিক্ত গরমে শরীরের অবস্থা দিন দিন আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তবে আপনাদের হাজবেন্ডের আপনার প্রতি ভালোবাসা দেখে বেশ ভালই লাগলো। কেননা উনি আপনাকে রান্নাবান্নার কাজে সাহায্য করেছে। একদমই ঠিক বলেছেন, ছুটির দিনে অন্ততপক্ষে সবাই মিলে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত পার করা যায়।

বর্তমান সময়ের মানুষ হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।তবে আপনারা যেভাবে তার সেবা-যত্ন করেছেন বা ওষুধ খাইয়েছেন। তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে এভাবে একজন রোগী নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা একেবারেই কষ্টকর। তাই হয়তোবা আপনি কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন নিজেও জানেন না। ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 28 days ago 

আমার হাসবেন্ড আগে রান্নার কাজে কোন সাহায্যই করতে পারত না। আলু ভর্তা, ডিম ভাজি আর ভাত ছাড়া কিছুই পারতো না।

তবে করোনার সময়ে ওনার অফিস ছুটি ছিলো আর আমি তখন বেড রেস্টে ছিলাম।তখন সোফায় বসে বলে বলে রান্না করাতাম আমি।
এখন সেগুলো প্রাকটিস করে আমার সাথে সাথে।
তবে ঘরের বাকি কাজে বিয়ের পর থেকেই সাহায্য করে। এটা শুধু আমাকেই না শুনেছি বিয়ের আগে থেকেই আমার শাশুড়ী আর ভাবিকে কাজে সাহায্য করতো।
আসলেই একজন মানুষ বাসায় বেড়াতে এসে যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে এর অভিজ্ঞতা খুব ভয়ংকর হয়।তবে আল্লাহর অসীম রহমত যে, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরত গেছে আর এখনো ভালে আছে।
নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।ভালো থাকবেন সবসময়।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.027
BTC 65045.20
ETH 3523.22
USDT 1.00
SBD 2.37