Better Life With Steem | The Diary game 17,june|Celebrating Eid -ul-Adha
![]() |
---|
Edited by Canva |
---|
সকাল |
---|
আজকে সকালে ছেলে আর বাবার শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছে।। অবশ্য সকাল বলাটা আমার ভুল হয়েছে, বলতে হবে বলতে হবে ভোর। ৫.৩০ দিকে ছেলেরা আর তাদের বাবা উঠে পড়েছে। কারণ ওরা গ্রামে চলে যাবে। আমাকে যেতে বলেছিল কিন্তু এত গরম দেখে আর যেতে ইচ্ছে করলো না। এছাড়া দুই ভাই মাংস পাঠায় সেগুলো সেগুলো ফ্রিজে ঢোকানোর দায়িত্ব আমার।
এ ছাড়া আরো একটা কারণ অবশ্য আছে সেটা হলো আমি রক্তাক্ত দৃশ্য সহ্য করতে পারি না।এই জিনিসটা আমার মায়ের মাঝেও ছিল। তার কাছ থেকেই হয়তো আমি পেয়েছি। কোরবানির দিন বলতে গেলে আমি নিজেকে বন্দী করেই রাখি।
ওরা চলে গেল সাড়ে ছয়টার আগেই।
চলে যাওয়ার পরে বারান্দায় গিয়ে দেখলাম আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। তবে সবচেয়ে ভালো লাগলো চন্দ্রমল্লিকার আধোফোটা ফুল দেখে। এই গাছটা গতবছর এর। সারা বছরই কলি ধরেছে কিন্তু ফুল ফুটার আগেই মরে যায়। কদিন থেকেই দেখতেছিলাম ফুলের কলিতে খুব হালকা রঙ আসতেছিলো কিন্তু আজকে দেখলাম ছোট্ট একটা ফুল আধো ফোটা হয়ে আছে।
এরপর রুমে ঢুকে আবারো শুয়ে পরি।এরপর বুয়ার কলিং বেল এর সাউণ্ড পেয়ে দ্বিতীয় বার ঘুম ভেঙে যায়। বুয়াকে নিয়ে আছি ঝামেলায়। কোনই কাজই করতে পারে না।এখন মানবিক কারনে রাখছি।
বুয়া চলে যাওয়ার পরে কেমন জানি একটা মানসিক শূন্যতা অনুভব করা শুরু করলাম। গত ঈদেও মা ছিলো। এবার নেই এটা ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।গত ঈদের দিন আমরা সবাই জানতাম এটা আমাদের মায়ের সাথে কাটানো শেষ ঈদ।
দুপুর |
---|
দুপুরে কল দিলাম ছেলেদেরকে ওরা কখন আসবে এটা জানার জন্য। বললো যে সন্ধ্যার দিকে বের হবে তাই দুপুরে আর তেমন কিছুই করি নাই। সেমাই, কাবাব আগেই বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম।যদি কেউ আসে তাহলে দেয়ার জন্য।
বিকেলের দিকে দুই ভাইয়ের ড্রাইভার মাংস দিয়ে গেল সেগুলো ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলাম।আমি বসে বসে টম ক্রুজের লাস্ট সামুরাই মুভি দেখেছি। অনেক পুরনো হলেও খুব পছন্দের একটা সিনেমা আমার।
![]() |
---|
এরই মাঝে ছেলে কয়েকটা ছবি পাঠালো হুয়াটসআ্যপে ,আমার ছোট ছেলে মাংস বিলি করছে। এটা পাঠানোর আরো একটা কারণ হলো ওর কাকা ওকে লুঙ্গি পরিয়ে দিয়েছে জোর করে আর সেটা নাকি খুলে পরতে চাচ্ছে বার বার।
এরপর অনেক দিন পরে একটা স্কেচ করলাম। আসলে প্রাকটিস না থাকলে কিছুই ঠিক থাকে না। আর আমিতো এমনিতেই ছবি আাকাঁতে জাঁহাবাজ। রাতে হাসবেন্ড মেসেজ দিলো যে, রান্না করা মাংস নিয়ে আসতেছি। এটা প্রতিবছরই আনে তাই আগে থেকেই জানা ছিলো।
রাত |
---|
রাতে খাওয়ার জন্য আমি সামান্য পোলাও রান্না করলাম। সত্যি বলতে আমার বাসায় ঈদের কোন আমেজই নেই। একধরনের মন খারাপেও ভুগেছি সারাদিন । বড় ভাই একদিন পরই সবাইকে নিয়ে মালয়েশিয়াতে চলে যাবে। ছোট ভাই -ও দেশে নেই। ছোট বেলার কথা মনে পরতেছিলো।
ওরা ওদের দুই ফুপির বাসায় মাংস পৌঁছে দিয়ে আসতে আসতে রাত দশটা প্রায় বাজিয়ে ফেললো।গ্রাম থেকে এক বস্তা কাঁঠাল নিয়ে এসেছে দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা এগুলো কে খাবে ভেবে।
এরপর সবকিছু গুছিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলাম। এভাবেই দিনটা শেষ হয়ে গেল।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
আজ সকালে আপনার ছেলেরা ও হাসবেন্ড গ্রামে যাবে এজন্য অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠেছে যদিও আপনারও যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু বাইরের কাঠফাটা রোদ আর গরমের কথা ভেবে যান নি। গরমে বাইরে না গিয়ে ভালো করেছেন।
আপনার মতো আমিও রক্তপাত দেখতে পাই না, দেখলে কেমন জানি মাথা ঘুরায়। আপনার চন্দ্রমল্লিকা ফুল গাছে কলি আসে কিন্তু ফুল ফোটে না হয়ত ও পরিপূর্ণ পুষ্টি পাচ্ছে না। রাতে পোলাও রান্না করেছিলেন বটে তবে ঈদের তেমন আমেজ ছিলো না বিশেষ কারনে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শুরুতেই জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। সকলে গ্রামে গেলেও আপনি জাননি। আপনার মতন অনেকেরই এই রক্তভীতি থাকে। এজন্য তারা কোরবানীর ঈদটাতে যতটুকু সম্ভব বাইরে না বেরোনোর চেষ্টা করে। আপনার আগের পোস্টগুলো পড়ে জানতে পেরেছি আপনার গাছপ্রেমের কথা। চন্দ্রমল্লিকার আধফোটা ফুল দেখে নিশ্চই অনেক আনন্দিত হয়েছিলেন। ঈদটা সবার সাথে পালন করতে পারলে বেশী ভালো লাগে।কিন্তু আপনার দুই ভাইই দূরে দূরে। আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইলো। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক। ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার প্রতিও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
রক্ত ভীতি যে খুব বেশি সেটাও না কিন্তু কোন পশুপাখি হত্যাই আমি আসলে সহ্য করতে কস্ট লাগে।আমার ভাই আগে এটা নিয়ে হাসতো এটা বলে যে, খেতেতো পারো।
ইদানীং আস্তে আস্তে সবজির দিকে ঝুকে পরছি।
চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময়।
ঘুম থেকে উঠে গেছি যে অসাবধানতাবশত ঘুমিয়ে গেছি শব্দেটা লিখে ফেলেছি। তবে আমার এই ভুলটা আমার দৃষ্টিতে আনার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তুমি আমার ভুলটাকে এখনই সংশোধন করে দিচ্ছি।
ভালো থাকবেন সব সময়।
আপনাদের কোরবানির যেহেতু গ্রামে হয়ে থাকে তাই আপনার হাজবেন্ড এবং আপনারা ছেলেরা গ্রামে চলে এসেছে। আপনার ছোট ছেলে কোরবানির মাংস বিলি করছে এবং সে নিজে একটা লুঙ্গি পরিধান করেছে। আসলে বাঙালি মানেই হচ্ছে লুঙ্গির মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ আছে। যেহেতু আপনি রক্তাক্ত কোন কিছু দেখতে পারেন না। তাই আপনি বাসার মধ্যে ছিলেন। ধন্যবাদ ঈদের দিনটা কাটানোর আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।