গরম আবহাওয়ায় সুস্থ থাকার বিভিন্ন উপায়
Edited by canva |
---|
Hello,
Everyone,
আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন,সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আসলে আজকাল আজকাল প্রচন্ড গরম পরছে রাতে সকলের দিন ভালো কেটেছে একথা বলা বোঝার উচিত হবে না কারণ আমরা প্রত্যেকেই এইরকম আবহাওয়ায় যথেষ্ট কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
সত্যি আবহাওয়া সকাল থেকে অনেক উত্তপ্ত থাকে। রৌদ্রের তাপ সকাল থেকেই এতো বেশি থাকে যে, প্রয়োজন ছাড়া এখন বাইরে না বেরোনোই ভালো।
আপনারা সকলে নিশ্চয়ই টিভিতে খবরে দেখে থাকেন আবহাওয়া দফতর এবং ডাক্তারেরা বারংবার আমাদের সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে বাচ্চা এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে। আমি আশা করছি আপনারা সকলেই সেই সকল পরামর্শগুলো মেনে চলার যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে মানুষ যদি গরমের কারণে বাইরে না বের হয়, কাজ না করে, তাহলে কিন্তু বেঁচে থাকা অনেক কষ্টের হয়ে দাঁড়াবে। তাই না চাইলেও কাজের জন্য আমাদেরকে বাড়ির বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। তাই কাজের প্রয়োজনে বেরোলেও নিজের সুস্থতার কথা ভেবে আমাদের বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে। যাতে আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকি এবং বাইরের আবহাওয়া সঙ্গে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারি।
গরমের সুস্থ থাকার জন্য বেশ কিছু সাধারণ নিয়ম যদি আমরা পালন করতে পারি, তাহলে এই গরমের মধ্যেও আমরা নিজেদেরকে কিছুটা হলেও সুস্থ রাখতে পারব। আসুন সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য আজকের আমার লেখার মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করি, -
- এই গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় জল পিপাসা না পেলে আমরা কেউ জল খেতে চাই না, কিন্তু এই গরমে পিপাসা না পেলেও আমাদেরকে পরিমাণ মতো বা তার থেকে বেশি জল খেতে হবে। কারণ এই গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীরের থেকে জল বেরিয়ে যায়। যার ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে শুধু জল খাওয়ার থেকে যদি আমরা জলের সাথে সামান্য পরিমাণে লবণ ও চিনি মিশিয়ে খেতে পারি তাহলে, আমাদের শরীরে ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যাওয়া লবনের ঘাটতি পূরন হয় এবং এনার্জি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমাদের কাছে অনেক অপশন রয়েছে যেমন ডাবের জল, গ্লুকনডি, লেবু জল।
এইরকম গরম আবহাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ফলের রস আমরা খেতে পারি। তাতে করে আমাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতিও কিছুটা পূরণ হয়। কারণ আমরা সকলেই জানি সব ফলের মধ্যে কিছু না কিছু ভিটামিন রয়েছে। এই সময় তরমুজ ও আখের রস আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী ভূমিকা পালন করে। সুতরাং যদি সম্ভব হয় তাহলে প্রতিদিন আখের রস ও তরমুজের রস আমাদের খাওয়া উচিত।
গরমকালে সানস্ট্রোকের সম্ভাবনা বহুমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। এই কারণে চেষ্টা করবেন সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেরোনোর জন্য। কারন দিনের মধ্যে সবথেকে এই সময়ে তাপমাত্রা অধিক থাকে এবং এই সময় বাইরে বেরোলে কিন্তু সানস্ট্রোকের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে। তাই এই সময়টা অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনই ভালো এবং বেরোলেও সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
দিনের বেলায় বাড়ির বাইরে বেরোলে অবশ্যই ছাতা এবং সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।কারণ দিনের বেলায় সূর্যের তাপমাত্রা এতটাই বেশি থাকে যে,সেটা আমাদের চোখের জন্যও যথেষ্ট ক্ষতিকারক। আর সেটাকে এড়িয়ে চলতে আমাদের প্রত্যেকেরই সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত।আজকাল যে পরিমাণ লু বইছে তাতে আমাদের সানগ্লাস ব্যবহারের পাশাপাশি মুখের মধ্যে সুতির কাপড় বাধা উচিত, যাতে করে সুতির কাপড় আমাদের ঘামটা শুষে নেয় এবং সূর্যের রশ্মি থেকে আমাদের মুখকে রক্ষা করে।
গরমকালে পোশাক একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা হয়তো অন্যান্য সময় বাইরে বেরোলে নিজেদের পছন্দ মতন কাপড় পড়তে বেশি ভালোবাসি। তবে এই গরমে যখনই বাড়ির বাইরে বেরোবেন চেষ্টা করবেন নরম সুতির কাপড় পড়ার এবং হালকা রঙের কাপড় পরার। তাতে করে গরম অনেক কম লাগে এবং সুতির কাপড় যেহেতু ঘাম শোষণ করে, সেহেতু সুতির কাপড় পড়ে বাড়ির বাইরে বেরোলে কষ্ট তুলনামূলক কম হবে।
গরমকালে আমাদেরকে বিশেষত সেই সকল সবজি খেতে হবে যাতে জলের মাত্রা বেশি রয়েছে এবং অবশ্যই তেল মসলাযুক্ত খাবার কম খেতে হবে, কারণ গরমকালে অতিরিক্ত মসলাদার খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
এই সময় আবহাওয়া যেরকম রয়েছে তাতে, দিনের মধ্যে অন্তত দুবার স্নান করা উচিত। কারণ ঘাম আমাদের শরীরে বসে গেলে,সেটি শরীরের জন্য বেশি ক্ষতিকারক। এই কারণে দিনে আপনি দু থেকে তিনবার স্নান করবেন, এতে করে নিজে যেমন ফ্রেশ থাকা যায়, তেমনি ঘামের জীবাণু থেকে হওয়া বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়।
অতিরিক্ত গরমে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরোলে অবশ্যই সাথে জলের বোতল রাখবেন। এমনকি নিজেরাও যদি বাড়ির বাইরে যান তাহলে জল সঙ্গে রাখবেন এবং চেষ্টা করবেন বাচ্চাদেরকে যতটা কম সম্ভব বাড়ির বাইরে বের করার জন্য।
আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী আগামী দিনগুলোতে গরমের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই উপরোক্ত সমস্ত উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে। যাতে নিজেরা সুস্থ থাকার পাশাপাশি আমাদের আশেপাশের সবাইকে সুস্থ রাখতে পারি।
আমার পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো,সেই সম্পর্কে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।শুভরাত্রি।
আপনি তো দেখছি গরমকালে সুস্থ থাকার একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন ৷ কয়েকদিন থেকে রোদের তাপমাত্রা এতই বেড়ে গেছে যে রোদের জন্য বাইরে অনেকেই বের হতে কষ্টবোধ মনে করতেছে ৷
আমাদের এই গরমে ছায়াযুক্ত স্থানে জায়গা নিতে হবে ৷ বেশি করে শরবত পানি খেতে হবে ৷যদিও মাঠে কাজ করে থাকি একটু পর পর ছায়াযুক্ত স্থানে আসতে হবে ৷
যাই হোক দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
#miwcc
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আমার এবং আপনার চিন্তাভাবনা খুব মিল, আমি যখন মেডিকেল হেলথ ডিপার্টমেন্টে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার পদে ছিলাম তখন আমরা সবাইকে একই রকম পরামর্শ দিতাম। আর প্রতিবারই গ্রীষ্মের মৌসুমে গরমের কারণে বমি, ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, শরীরের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বহু রোগী।
ধন্যবাদ.
প্রচন্ড গরম পরছে আপনি দেখলাম,, আজকে আপনার পোস্টে বেশ কয়েকটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। গরম থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য। আসলে বর্তমানে রমজান মাস চলছে। আমরা চাইলেও,, আপনার পোস্টের উল্লেখিত পয়েন্ট গুলো অনুসরণ করতে পারব না। তারপরও যতটুকু পারি অনুসরণ করার চেষ্টা অবশ্যই করবো।
আপনার লেখাটি থেকে আমি এই অংশটুকু তুলে নিলাম! এখানে আমি আপনার সাথে ছোট্ট একটা ঘটনা শেয়ার করতে চাই,,, গত দুই দিন আগে,, আমাদের বৃহত্তম বাজার! চাটখিল এ যেটা আমাদের উপজেলা।
সেখানে একজন মহিলা তার তিন মাসের বাচ্চাকে নিয়ে ঈদের শপিং করতে এসেছিল! যেহেতু ঈদের শপিং চলছে,, পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষের কোলাহল বাজারের মধ্যে! তার উপরে প্রচন্ড গরম বাচ্চাকে নিয়ে,,, একের পর একটা মার্কেট ঘুরে বেড়াচ্ছে! এবং ইচ্ছে মতো শপিং করছে।
তার শপিং করা প্রায় শেষ হয়ে গেছে! তখন মহিলাটি যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে,, তখন তার কোলে থাকা বাচ্চার দিকে, যখন তাকালো! তখন সে দেখতে পেল তার বাচ্চা মারা গেছে! কখন মারা গেছে সে নিজেও বলতে পারবে না! তাহলে দেখুন প্রচন্ড গরমে একটা বাচ্চা যখন আর সহ্য করতে পারছিল না! তখন সে তার মায়ের কোলেই,, শেষ নিঃশ্বাস করল।
এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত! কারণ আমরা গরমের মধ্যে নিজেদের ঈদের শপিং করতে ঠিকই বের হয়,,, আমাদের বাচ্চাগুলোকে অন্তত এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার থেকে বিরত থাকাই ভালো! আর যদি একান্তই নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়! তাহলে অবশ্যই তাদের দিকে সবসময় নজর রাখতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ,, আপনাকে প্রচন্ড গরমে আমাদের শারীরিক সুস্থতা দিক লক্ষ্য করে! আপনি অনেকগুলো পয়েন্ট আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন! সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc