Travel Story|| মায়াপুরের আশেপাশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা ||

in Incredible India2 months ago
IMG_20240905_114253.jpg
"মায়াপুরের আশেপাশে দর্শনীয় বিভিন্ন স্থানের ছবি"

Hello,

Everyone,

আমার আগের পোস্টের কমেন্টে অনেকেই লিখেছেন, তারা আমার মায়াপুর যাত্রার অন্তিম পর্বের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। তাই বলতে পারেন বেশ কিছুটা উৎসাহিত হয়েই এই পর্ব লিখতে বসা। যেমনটা আপনাদের জানিয়েছিলাম, কিছু অপ্রস্তুত ঘটনার কারণে গতকাল এই পর্বটি আর শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি। তবে চলুন আজকের পর্বটি শুরু করি, -

1672344690977_010726.jpg

"বল্লাল সেনের ঢিপি"

IMG_20240831_143719_104622.jpg
IMG_20240831_143445_104511.jpg

মায়াপুরে বেশ কিছু সময় অতিক্রম করে সেদিন আমরা আশেপাশের বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখার প্ল্যান করেছিলাম। সেই মতন টোটো ভাড়া করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। সবার প্রথমে আমরা যে জায়গাটি ঘুরে দেখেছিলাম সেটি একটি ঐতিহাসিক স্থান যার নাম "বল্লাল সেনের ঢিপি।"

IMG_20240831_144220_105029.jpg
IMG_20240831_144154_104822.jpg

আমার বিশ্বাস নাম শুনেই আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন যে, সেন আমলের এটি একটি বিখ্যাত জায়গা ছিল এবং সেন বংশের রাজা বল্লাল সেনের নাম অনুসারে এই স্থানটির নামকরণ করা হয়েছে। যদিও বর্তমানে এটি ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের দায়িত্বে সংরক্ষিত রয়েছে। স্থানটিতে সেন আমলের বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে এবং আরও বেশ কিছু জিনিস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অনেকখানি জায়গা জুড়ে এই ঢিপির বিস্তার। যার বেশিরভাগটাই সবুজ ঘাসে ঘেরা এবং মাঝখানের কিছু অংশে সেই সে আমলের নিদর্শন চোখে পড়বে। সবটা এখনও পর্যন্ত সংস্কার করা সম্ভব না হলেও, যতটুকু সম্ভব হয়েছে তাতেই আপনি মুগ্ধ হবেন এই গ্যারান্টি দিলাম।

IMG_20240831_144413_105104.jpg

এখানে প্রবেশের কোনো আলাদা মূল্য নেই। পুরো জায়গাটাই কাঁটা তার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। দিনের যেকোনো সময় গেলেই অনায়াসেই ভিতরে ঢুকতে পারবেন। আমরা যখন সেখানে পৌছালাম, আকাশে তখন রোদ্দুরের ঝলক ছিলো ভালোই। তার মধ্যে সাদা মেঘ গুলো ভেসে বেড়াচ্ছিলো।

অনেকগুলো সিঁড়ি দিয়ে যখন আমরা মাঝখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলাম, তখন আবহাওয়াটা এত সুন্দর ছিল যে, শুরু থেকেই ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি। তাই এক এক করে আমরা প্রত্যেকে ছবি তুলেছি।

IMG_20240831_144531_105123.jpg

বলা যায় সেখানকার পরিবেশ, আকাশের রং, সবকিছু মিলিয়ে যেন সে এক অপূর্ব মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছিলো। এরপর এগিয়ে গিয়ে পুরনো নিদর্শনগুলিকে ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করলাম। সেখানে নিচের দিকে নামার সিঁড়ি দিয়ে বেশ কিছুটা নিচেও নামলাম। ভিতরের দিকে গলি গুলো এমন ভাবে তৈরি করা, যেটার ভিতর দিয়ে একা যেতে গেলে বেশ কিছুটা ভয়ও লাগছিলো। তবে যেহেতু আমরা অনেকেই ছিলাম একসাথে, তাই অসুবিধা হয়নি। সব থেকে আকর্ষণীয় ছিল সেখানকার সবুজ ঘাস গুলো।

বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করার পর একজন অপরিচিত ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন এবং তিনি আমাদেরকে এই জায়গা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য দিলেন। ভগ্নাবশেষ দেখার পাশাপাশি দেখলাম, একটা দেয়াল থেকে একটি কুমিরের মুখের আকৃতির মতন অংশ বেরিয়ে আছে।

IMG_20240831_144252_104931.jpg

সেটি সম্পর্কে জানতে চাওয়াতে ওই ভদ্রলোক বললেন,শোনা যায় একটা সময় এই কুমিরের মুখ থেকে শুধুমাত্র ঠাকুরের বাসনপত্র ধোয়ার সময় এমনিতেই জল পড়তো। তবে অন্যান্য কোনো কাজ করতে গেলে নাকি সেই জল পড়তো না। যদিও জানিনা এটার কতখানি বাস্তব। তবে ওনার মুখ থেকে কথাটা শুনে আমি কুমিরের মুখের ছবিটা আরও ভালোভাবে তুললাম।

যেহেতু আরও কিছু জায়গা আমাদের ঘোরার প্ল্যান ছিলো, তাই খুব বেশি সময় সেখানে অতিবাহিত না করতে পারলেও, যতটুকু সময় সেখানে ছিলাম অসম্ভব সুন্দর ছিল সেই সময়টুকু। বিশেষ করে সেখানকার প্রকৃতি ছিল মনোমুগ্ধকর। আশা করছি ছবি দেখে আপনারা তার কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারবেন।

IMG_20240831_143737_104723.jpg

তবে সঠিকভাবে সংস্কার না করলে এই সৌন্দর্য্য আদেও কতদিন টিকে থাকবে, সে বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে বল্লাল সেন ঢিপিতে ঘোরার অভিজ্ঞতা মনের মনিকোঠায় চিরস্থায়ী হলো,এটুকু বলতে পারি।

1672344690977_010726.jpg

"শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান এবং মাসির বাড়ি"

IMG_20240831_145152_105200.jpg

বল্লাল সেন ঢিপির থেকে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিলো, শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান এবং মাসির বাড়ি। এই একটা জায়গাতে ঢুকেই আমরা অনেকগুলো জিনিস দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম।

IMG_20240831_145459_105242.jpg

সেখানে গিয়ে কি কি দেখার ছিলো, তার একটা ছবি ঢোকার মুখেই তুলে নিয়েছিলাম। যাতে কোনো অংশ বাদ না যায়। ঢুকে যেটা সবথেকে প্রথমে চোখে পড়লো, সেটা হলো "ষড়ভুজ শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মূর্তি"

IMG_20240831_145553_105359.jpg
IMG_20240831_151427_110037.jpg

আমরা যখন সেখানে গিয়েছিলাম। তখন শ্রীচৈতন্য মিউজিয়ামটি বন্ধ ছিলো। সেই কারণে বাকি অনেক কিছু আমরা দেখতে পারিনি। এরপর এক এক করে আমরা সেখানে চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান, ভজন কুঠির, শ্রী গোবিন্দ মন্দির, শ্রীলা প্রভুপাদ সমাধি মন্দির এবং সবশেষে রাধা কুন্ডু শ্যাম কুন্ডু ও শ্রী গিরিগোবর্ধন দর্শন করলাম।

IMG_20240831_150704_105633.jpg
IMG_20240831_150237_105601.jpg

এই রাধাকুণ্ডু, শ্যাম কুন্ডু ও শ্রী গোবর্ধন বৃন্দাবনেও রয়েছে। তবে বহু মানুষ রয়েছেন, যারা বৃন্দাবনে যেতে পারবেন না। তাই তাদের জন্য এখানেই নতুন করে এই জায়গা গুলো তৈরি করা হয়েছে, যাতে বৃন্দাবন ভ্রমণের পূন্য অর্জন করা সম্ভব হয়।

IMG_20240831_150149_105522.jpg
IMG_20240831_150133_105454.jpg

আমি যাওয়ার পূর্বে আমার শাশুড়ি মা বারবার করে বলেছিলেন যেন অবশ্যই এই জায়গাগুলো দর্শন করে আসি। শুধু উনি বলেছেন বলে নয়, ব্যক্তিগতভাবেও আমি চাইছিলাম এই জায়গা গুলো একবার দর্শন করতে। রাধা কুন্ডুতে অনেক বড় বড় মাছ রয়েছে, যেগুলো আপনি খাবার দিলেই দেখতে পারবেন। এছাড়াও সেখানে আপনি দেখতে পারবেন "তমাল বৃক্ষ ও কেলি কদম্ব বৃক্ষ।"

IMG_20240831_150834_105800.jpg
IMG_20240831_150724_105715.jpg

গিরি গোবর্ধন পর্বতের প্রদক্ষিণ করা উচিৎ শুনে, আমরাও সেটা প্রদক্ষিণ করেছিলাম। ফুলের মালা এবং তুলসীর মালা চাইলে আপনারা সেখানেই কিনতে পাবেন। সেখান থেকে মালা নিয়ে এই গোবর্ধন পর্বতমালাকে সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করার পর, সেখানকার যে কোনো একটি পাথরে নিজের মনস্কামনা জানিয়ে সেই মালাটি পরিয়ে দিতে হয়।

এরকমটা অনেকেই করেছেন, হয়তো ছবি দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন। আসলে সবটাই নিজের বিশ্বাসের উপরে। যদি কখনো বৃন্দাবন যেতে নাও, পারি তবুও এই গোবর্ধন পর্বত প্রদক্ষিণ করতে পেরেছি, এটাও বেশ শান্তি দিয়েছে মনকে।

1672344690977_010726.jpg

"নাম না জানা ফুল"

IMG_20240831_151236_110005.jpg
IMG_20240831_150945_105840.jpg

আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা পূর্বের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে একটা গাছের ছবি শেয়ার করেছিলাম, যার ফুলটি প্রস্ফুটিত হয়নি। দেখলাম সেই একই গাছ এখানেও রয়েছে। যেটাতে ফুলগুলি খুব সুন্দর ভাবে ফুটেছে। তাই সেটা দেখানোর জন্যই আমি মূলত এই ছবিটা তুলেছিলাম।

এরপর সেখানের বিভিন্ন জায়গায় বসে, আমরা নিজেদের মতন করে বেশ কিছু ছবি তুলে, সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

1672344690977_010726.jpg

"শ্রীলা ভক্ত বিনোদ ঠাকুরের সমাধি মন্দির"

IMG_20240831_152248_110148.jpg
IMG_20240831_152411_110238.jpg

সেখান থেকে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল শ্রীলা ভক্ত বিনোদ ঠাকুরের সমাধি মন্দির ও সেখানকার কৃষ্ণ মন্দির দর্শন। তবে দুঃখের বিষয় আমরা যখন সেখানে পৌঁছেছিলাম, তখন সমাধি মন্দিরটি বন্ধ ছিলো। তাই বাইরে থেকেই তার একটা ছবি তুলেছিলাম। এখানকার সিঁড়িতে বসে আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রামও নিয়েছিলাম।

তবে তার পাশে যে কৃষ্ণ মন্দির ছিলো, সেখানে কোনো মোবাইল ও ক্যামেরা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। যদি থাকতো তাহলে আপনাদের সাথে আমি সেখানকার মূর্তিগুলোর ছবি অবশ্যই শেয়ার করতাম।

IMG_20240831_152518_110303.jpg

কি যে অপূর্ব সেই রূপ তা হয়তো ভাষায় বলে বোঝানো সম্ভব নয়। কেবলমাত্র বাইরে থেকে মন্দিরের ছবিটি আপনাদের জন্য তুলে আনতে পেরেছি। কিন্তু বিগ্রহের ছবি শেয়ার করতে পারলাম না। বাইরে প্রচন্ড রোদ্দুর থাকলেও মন্দিরের ভিতরে নাটমন্দিরের স্থানে এতো ঠান্ডা ছিল যে, সেখানে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলাম আমরা।

1672344690977_010726.jpg

"গোস্বামী গৌড়ীয় মঠ"

IMG_20240831_155643_110340.jpg

এখান থেকে বেরিয়ে আমরা ভেবেছিলাম যে গোস্বামী গৌড়ীয় মঠে যাবো কিন্তু সেগুলি বিকেল চারটের আগে খোলে না। কিন্তু সেগুলো দেখার জন্য যদি আমরা দেরি করতাম, তাহলে মায়াপুরের গোশালা দেখে সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যা আরতি দেখতে পারতাম না। সেই কারণে আমরা ওই মন্দিরটি দর্শন না করে আবার মায়াপুরের মন্দিরে ফিরে আসি এবং সেখান থেকে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে, আমরা গরুর গাড়ি চড়ে গোশালা দর্শন করতে যাই।

1672344690977_010726.jpg

"গোশালা দর্শন করতে যাওয়ার পথে"

IMG_20240831_164518_110638.jpg
IMG_20240831_164522_110731.jpg

গরুর গাড়িটি যে দুটি গরুকে দিয়ে চালানো হচ্ছিলো, তাদের চেহারা এতো সুন্দর ছিল যা আসলেই অবর্ণনীয়। নিজের চোখে না দেখলে সত্যিই বিশ্বাস করা যায় না। যদিও আমি ছবি তুলেছি, তবে জানিনা গরুর আকৃতি গুলি ছবির মাধ্যমে আপনারা কতখানি আন্দাজ করতে পারছেন।

IMG_20240831_164507_110523.jpg

এমন গরু দিয়েই গোসলা ভর্তি রয়েছে। যাদের দুধ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, ঘি, পনির, লস্যি সমস্ত কিছু আপনারা সেখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

1672344690977_010726.jpg

"প্রভুপাদ ভিলেজ"

IMG_20240831_164805_110819.jpg

গোশালা যাওয়ার পথেই চোখে পড়লো প্রভুপাদ ভিলেজ বলে মায়াপুরের নতুন সংস্করণ। এর ভিডিও ইউটিউবে দেখেছি। এখানে যে কটেজ গুলো রয়েছে সেগুলো খুবই সুন্দর, তবে অনেক আগে থেকে এখানে থাকার জন্য কটেজগুলো বুক করতে হয়।

কটেজ গুলো এতটাই সুন্দর দেখেছিলাম ভিডিওতে যে সেখানে থাকার ইচ্ছা ছিল ঠিকই, তবে এবার উপায় ছিল না। তবে পরবর্তীতে কখনো সম্ভব হলে এই ভিলেজের কটেজে থাকার ইচ্ছা রইলো। তাই একটি ছবি তুলেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

1672344690977_010726.jpg

গোশালা দর্শন করে ফিরে আমরা নিজেদের হোটেলে গিয়ে সেখানে জুতো, মোবাইল, ব্যাগ, সমস্ত কিছু রেখে পুনরায় মূল মন্দিরে গিয়ে সন্ধ্যা আরতি দর্শন করেছিলাম। হোটেলের সেগুলো রেখে না এলে, মন্দিরের বাইরেই আলাদা সেকশনের সেগুলো জমা করতে হতো।

সন্ধ্যা আরতি বা ভোরের আরতি সম্পর্কে আসলে কিছু বলার বা লেখার ভাষা আমার জানা নেই। সেটা কেবলমাত্র চাক্ষুস করেই অনুভব করতে হবে, কারণ তার রূপ বর্ণনা করার মতন ভাষা আমার অন্তত জানা নেই। সত্যি বলতে ওই সময় দাঁড়িয়ে নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান মনে হয়, এমন মানব জনম পাওয়ার জন্য। সমস্ত অভিযোগ, কষ্ট, দুঃখ কোথায় যেন এক মুহূর্তে মিলিয়ে যায়, শুধু এক নামেই মন মেতে ওঠে।

IMG_20240901_090044_110855.jpg

এইভাবেই শেষ হয়েছিল আমাদের মায়াপুর ভ্রমণের গল্প। সেদিন রাতে হোটেলে খাওয়া-দাওয়া সেরে, পরদিন সকালে সময় মতন হোটেল ছেড়ে, বাইরের দোকানগুলি থেকে সকলে কমবেশি কিছু জিনিস কিনে, আবার রওনা দিয়েছিলাম বাড়ির পথে।

IMG_20240901_094949_111002.jpg
IMG_20240901_094315_110922.jpg

উপরোক্ত ছবিটিতে যে ড্রেসগুলো দেখতে পারছেন, এগুলোকে "গোপী ড্রেস" বলে। যেটা মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে যত মহিলারা থাকেন, তাদের মধ্যে সকলেই প্রায় এই ড্রেস পড়েন। আমার বান্ধবীদের মধ্যে থেকে দুজন এই ড্রেস কিনেছিল।

1672344690977_010726.jpg

এইভাবেই মায়াপুরে বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে গিয়ে একটা সুন্দর দিন অতিবাহিত করেছিলাম, তার সাথে দর্শন করেছিলাম বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান। যার সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ও কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

IMG_20240901_100000_111230.jpg
IMG_20240901_095809_111201.jpg
IMG_20240901_095830_111111.jpg
IMG_20240901_095709_111041.jpg

মায়াপুর ঘাটে ফেরার সময় কিছু মন্দিরের ছবি তুলেছিলাম, সেগুলোও শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। পরবর্তী কোনো একটি একটি পোস্টে আপনাদের সাথে আমাদের শেষ বেলার কিছু মুহূর্তের গল্প শেয়ার করবো।

আজকের পোস্টটি সকলের পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই সেটি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আর সম্ভব হলে অবশ্যই আপনারা সকলে মায়াপুর দর্শন করবেন। ভালো থাকবেন।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

ভারতের গোশালা আমি নিজে কখনো সরাসরি দেখি নাই তবে বিভিন্ন সময় টিভিতে দেখছি বিশাল বড় বড় গোশালা যেখানে রয়েছে হাজার হাজার গরু।

মায়াপুর ঘুরতে যাওয়া দুই পর্ব আমি খুব ভালোভাবেই করেছি আজকে আবার মায়াপুরের আশেপাশে বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা আপনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন।

বিভিন্ন ধরনের নান্দনিক মন্দির যেখানে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ চলাফেরা করছে আপনার সুবাদে আজ দেখতে পেলাম অনেক চোখ জুড়ানো দর্শনীয় জায়গা যেতে না পারলেও পড়ে শান্তি পেলাম।

দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ঘুরতে যাওয়ার কিছু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

আমি অবশ্য মায়াপুর ভিন্ন অন্য কোনো গোশালা দেখিনি। তবে ওখানকার গরু গুলো দেখলে আমার কিন্তু রীতিমত ভয় করে। বিশালাকার এক একটা গরু লাইন দিয়ে পরপর কি সুন্দর দাঁড়িয়ে থাকে। যদিও সেই স্থানের ছবি তোলা হয়নি। কারণ প্রচুর মানুষের ভিড় ছিলো সেখানে, আর ছবি তোলা নিষিদ্ধ ছিল। তবে গরুর গাড়িতে করে যাওয়ার সময় ওই দুটি গরুর ছবি তুলতে ভুল করিনি। আমার পোস্ট পড়ে আপনার ভালো লেগেছে এবং আপনি এগুলোকে নিজের চোখে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, এখানেই আমার লেখার স্বার্থকতা। মন থেকে ধন্যবাদ জানাই আমার প্রতিটি পোস্ট করে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন

 2 months ago 

আপনার এই পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম, আমরা বিভিন্ন ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে গেলে বিভিন্ন ঘটনা শুনতে পাই, যেগুলো আমাদের কাছে কাল্পনিক মনে হয়, মায়াপুরের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখে আমার যেতে খুব ইচ্ছা করছে, সুযোগ পেলে অবশ্যই আমি মায়াপুর বেড়াতে যাব, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আসলেই তাই, ঐতিহাসিক জায়গাগুলিতে ঘোরার অনুভূতি সত্যিই ভিন্ন হয়। আর পুরনো দিনের কথা গুলো শুনলে একটা অদ্ভুত অবিশ্বাস্যতা কাজ করে, কিন্তু তবুও বিশ্বাস না করারও কোনো কারণ আপনি খুঁজে পাবেন না। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। অবশ্যই কখনো ভারতে আসা হলে এই সকল জায়গা গুলো ঘুরে দেখবেন এবং তখন হয়তো আরও একবার আপনার আমার লেখা এই পোস্টের কথা মনে পড়বে। ভালো থাকবেন। আমার পোস্ট পড়ে নিজের মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

 2 months ago 

Thank you so much for your support @irawandedy Sir. 🙏

 2 months ago 

একবার মায়াপুরে ঘুরতে যাওয়া হয়েছে ।কিন্তু আপনার মত করে এত ভালো করে কোনদিনই আমরা ঘুরিনি ।আপনি ছবির মাধ্যমে এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। মনে হচ্ছে মায়াপুর দর্শন করে ফেললাম। কোনদিনই আমরা এত ঘুরে ঘুরে দেখা হয়ে ওঠেনা। বাড়ির কাছে তাই যাই মায়াপুর দর্শন করে বাড়ি চলে আসি। আপনার মায়াপুর ভ্রমণের সবকিছুই খুব ভালো লেগেছে ।আসলে যে কোন তীর্থস্থানে গেলেই এই ভাবেই ঘুরে ঘুরে দেখতে হয়। কিন্তু পরেরবার মায়াপুর গেলে অবশ্যই বলবেন। আমিও আপনার সাথে মায়াপুর ঘুরতে যাব। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে।

 2 months ago 

মনে হচ্ছে অনেকদিন পর কোথাও এতটা দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি করলাম।। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেছেন এবং সেগুলো আমাদেরকে দেখিয়েছেন। এরমধ্যে কিছু নাম শোনা হলো কখনো দেখা হয়নি।।

আর সবাই মিলে একত্রিত হয়ে ঘোরাঘুরির করার মধ্যে অন্যরকম এক ভালোলাগা থাকে। আমি মনে করি ঘোরাঘুরির ফলে মন ভালো হয়ে যায় অনেকটা টেনশন দূর হয়ে যায়।।

 2 months ago 

আমাদের সকলেরই ব্যস্ততম জীবন থেকে কিছুটা সময় বের করে, কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসার প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই সময় সাথে যদি বন্ধুরা থাকে, তাহলে তার থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না। সত্যি বলতে ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে চলা সমস্ত বিষয় নিয়ে আমি যথেষ্ট বিরক্ত ছিলাম। তবে এতো কিছুর মাঝে এই একটা দিনের ঘুরে আসাটা, আমাকে অনেকটা রিফ্রেশ করেছে একথা আমি অস্বীকার করতে পারছি না। ধন্যবাদ আমার পোস্ট ধৈর্য্য সহকারে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.035
BTC 91855.57
ETH 3115.84
USDT 1.00
SBD 3.14