"Travel diary- Explored Digha-(Part-1)"
![]() |
---|
"দীঘায় যাওয়ার প্রথম দিনের কিছু মুহুর্ত"
Hello,
Everyone,
বছরখানেক আগে বাবার অসুস্থতা এবং ঠাকুমার মারা যাওয়ার পরে মানসিকভাবে বেশ বিধ্বস্ত ছিলাম। বাবার কারনে একদিকে হসপিটাল, ডাক্তার, ওষুধ এইসবের মধ্যে দিন কাটছিলো, অন্যদিকে ঠাকুমার জন্যও তাই।
একটা সময় বাবা লড়াই করে বাড়িতে ফিরে এলেও পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না। ঠিক সেই মুহূর্তেই ঠাকুমা ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন। ফলতো সেই সময় অনেক বেশি মানসিক টানাপোড়নের মধ্যে ছিলাম। কারণ বাবার ঐ পরিস্থিতিতে ঠাকুমার চলে যাওয়াটা আমাদের সকলকেই অনেকটা চিন্তায় ফেলেছিল।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
সন্তান হিসেবে মায়ের শেষকৃত্য করার জন্য বাবার যে নিয়ম মানার প্রয়োজন ছিল, সেগুলো মানার মতন শারীরিক পরিস্থিতি সেই সময় বাবার ছিল না। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে আমরা শুধুমাত্র ন্যূনতম নিয়মটুকু পালন করেছিলাম। আর সেই সময় অসুস্থ বাবাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থেকে যাওয়ার দায়িত্বে ছিলাম আমি। আমার বড়দি যদিও মাঝে মধ্যে আসতো, তবে ছোটদির আসা সম্ভব হতো না কারণ ওর ডিউটি ছিল ।
যাইহোক তখনকার পোস্টে যদিও আমার এই পরিস্থিতি নিয়ে আমি আলোচনা করেছিলাম। তবে এই সমস্ত কিছুর এফেক্ট পরেছিল আমার মানসিক পরিস্থিতির ওপর। তাই একটা ব্রেক আমার খুব প্রয়োজন ছিল। বাড়িতে থাকাকালীনই বান্ধবীর সাথে কথা বলেছিলাম, ঠাকুরমার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের সমস্ত কাজ শেষ হলে, দুদিনের জন্য কোথাও ঘুরতে যাবো।
![]()
|
---|
তবে সত্যি কথা বলতে শ্বশুর বাড়ি থেকে কতটুকু সম্মতি পাব এই বিষয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান ছিলাম। কারণ বিয়ের পর বেশ কিছু বাধা নিষেধ প্রতিটা মেয়ের জন্যই প্রযোজ্য হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বান্ধবীর সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়াতে তারা কতটুকু সম্মতি জানাবে, সেটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সেই যাওয়ার আনন্দটুকু অনুভব করতে পারছিলাম না। তবে শুভ হয়তো বুঝতে পেরেছিল যে আমার এই ব্রেকটা খুব দরকার, তাই ওর দিক থেকে সম্পূর্ণ সম্মতি পেয়েছিলাম।
মনে অনেকখানি সংশয় নিয়ে শাশুড়ি মায়ের কাছে কথাটা বলতেই দেখলাম তিনিও আপত্তি জানালেন না এবং তিনি শ্বশুর মশাইকে জানিয়েছেন আমি ঘুরতে যেতে চাইছি। আশ্চর্যজনকভাবে তিনিও কিছুই বলেননি বরং সম্মতিই দিয়েছিলেন।
![]()
|
---|
সেই মতো আমি আমার বান্ধবীকে ফোন করেছিলাম এবং আমরা প্ল্যান করেছিলাম দিঘাতে যাবো। যেহেতু প্রথমবার বাড়ির কাউকে ছাড়া এইরকম ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান, তাই আমরা আমাদের সাথে বান্ধবীর দাদাকে নিয়েছিলাম। কারণ শুধু নিজেরা ঘুরতে যাওয়ার মতন সাহসী আমরা কেউই ছিলাম না।
যাইহোক এইভাবে দিন ঠিক হলো এবং আমরা বাসে করে যাবো, এমনটাই কথা হলো। কিন্তু টিকিট একদিন আগে কাটতে হবে, যে দায়িত্বটা আমরা বান্ধবীর দাদাকে দিয়েছিলাম। হাবরা থেকে তিনি টিকিট কেটেছিলেন দীঘা পর্যন্ত। আমি দত্তপুকুর থেকে বাসে উঠবো এমনটাই ঠিক ছিলো। তবে বাসের সময় ছিল একদম ভোরবেলায়। তাই তখন কিভাবে আমি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যাবো, এটা একটা চিন্তার বিষয় ছিলো। তখন রাস্তায় গাড়ি পাওয়া সসম্ভব ছিল না। আমাকে অবাক করে দিয়ে শুভ বলল, - আমি তোমাকে বাসে তুলে দিয়ে আসব।
![]()
|
---|
যাওয়ার আগের দিন রাত্রে সমস্ত গোছগাছ করে, কমিউনিটির কাজ সেরে প্রায় দুটো নাগাদ শুতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অদ্ভুত একটা আনন্দে ঘুম আসছিল না কিছুতেই। কারণ সাড়ে চারটে বাজে আমাকে আবার বেরোতে হবে। সেদিন সারারাত আর ঘুম হয়নি। ভোর হতেই উঠে নিচে গিয়ে, ফ্রেশ হয়ে, তৈরি হয়ে নিলাম এবং শুভকে ডেকে দিলাম।
![]()
|
---|
যাইহোক শুভ উঠলো এবং ফ্রেশ হয়ে জামা প্যান্ট পড়ে নিচে নামলো। আমিও শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে বিদায় নিয়ে রওনা করলাম দিঘার উদ্দেশ্যে। রাস্তায় গিয়ে দেখি একটাও লোক নেই। জনশূন্য রাস্তা দিয়ে শুধু দুজন চলেছি বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে দেখলাম রাস্তার পাশের ছোট মন্দিরে শুধু আলো জ্বলছে।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
রাস্তার উপর আমরা অপেক্ষা করছি। ফোন করে জানতে পারলাম বান্ধবীদের বাস ছেড়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। দুজনে মিলে আমরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। রাস্তার উপরে যদিও রাস্তায় আলো জ্বলছিলো। দুজনে মিলে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম, পাশাপাশি কিছু ছবিও তুললাম। অদ্ভুত একটা আনন্দ মনের ভিতর যেমন কাজ করছিল, তেমনি শুভকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য একটা খারাপ লাগাও ছিল মনের এক কোনে।
![]()
|
---|
যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যে বাস এসে পড়ল এবং আমিও শুভকে বিদায় জানিয়ে বাসে উঠে পড়লাম। দেখলাম জানার পাশেই সিট ফাঁকা রয়েছে। সুন্দরভাবে বসে পড়লাম। বাস ছুটেছে দীঘার উদ্দেশ্যে, আর তার সাথে মনের আনন্দ মিশিয়ে সবটাই অনেক বেশি উপভোগ্য ছিল। এরপর একের পর এক রাস্তা পেরিয়ে আমাদের বাস ছুটে চলেছে। যেগুলো জানালার পাশে বসে আমরাও উপভোগ করছিলাম। আর তার সাথে নিজেদের মধ্যে অনেক বিষয়ে গল্প চলছিল।
মাঝে একবার বাসটা দাঁড়িয়ে ছিলো। সেখানে আমরা সকলে ফ্রেশ হয়েছিলাম এবং পাশের দোকান থেকে কেক এবং বিস্কুট কিনে, পুনরায় আবার বাসে উঠেছিলাম। বাসের মধ্যে বসেই আমরা সকলে কেক ও বিস্কুট খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপরে বাস মাঝখানে আর কোথাও দাঁড়ায়নি। সোজা গিয়ে পৌঁছালো দীঘায়।
![]()
|
---|
সেখানে নেমে হোটেল নেওয়ার কাজ আমাদের বাকি ছিল। তবে তার আগে কেন জানিনা সমুদ্র কাছে ডাকছিল, তাই তার ডাক উপেক্ষা না করে সোজা লাগেজ নিয়ে পৌঁছে গেলাম সমুদ্রের পাড়ে। অনেক বছর বাদে আবার সমুদ্র দর্শন, তাও বান্ধবীদের সাথে, সেই অনুভূতিই আলাদা।
![]()
|
---|
সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ যেন নিমেষের মধ্যে মনের অন্য অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছিলো। এরপর শুরু হয়েছিল আমাদের হোটেল খোজার পালা। পরবর্তী পোস্টে আমি এর পরের অংশগুলো শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের পোস্ট পড়তে এবং আমার সাথে এই সমুদ্র দর্শনের অভিজ্ঞতা জানতে ভালো লাগবে। সাথে থাকার অনুরোধ রইলো। ভালো থাকবেন সকলে।
আপনি ঠিকই বলেছেন নিজের কোনো মানুষ হঠাৎ আমাদের ছেড়ে চলে গেলে মন-মানসিকতা কিছু ভালো থাকে না। কোন কাজই করতে ইচ্ছে করে না। মানসিকতা ঠিক করার জন্য আপনি বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন ভালো করেছেন। বান্ধবীদের সাথে গিয়েছেন ভালো করেছেন। সাথে বান্ধবীর দাদা কে নিয়েছেন ভালো করেছেন। কারণ এখন কার দিন কাল ভালো না।দীঘা খুব ভালো জায়গা। আপনার নিশ্চয় ভালো লাগবে। পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যিই দুদিনের জন্য ঘোরার উপযুক্ত জায়গা হলো দীঘা। আমাদেরও বেশ ভালো লেগেছিল। সত্যিই আপনজনের অসুস্থতা হোক বা তাদের ছেড়ে চলে যাওয়া, সবটাই আমাদের মনকে অনেক ভারাক্রান্ত করে তোলে, তখন এমন দুদিনের ছুটি বড্ড প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার ঠাকুমা চলে যাওয়ার জন্য আপনি কতটা মানসিক টেনশন এ ছিলেন সেটা আমরা অধিকাংশ মানুষ জানি কারণ সে সময় আমি আপনার পোস্ট পড়েছিলাম।
আসলে কাছের মানুষ চলে যাওয়াটা হঠাৎ করে আমরা মেনে নিতে পারি না। তাদের সাথে চলাফেরা করার মুহূর্তটা আমাদের সব সময় তিলে তিলে মনে করিয়ে দেয়। এবং সেই সময় আপনার বাবা অসুস্থ ছিল যার জন্য অনেক কিছু আপনাদের মানিয়ে নিতে হয়েছে।
যাইহোক আপনার বান্ধবীর সাথে দুইদিন ঘুরতে গিয়ে নিজের মন মানসিকতা ঠিক করার জন্য চলে গিয়েছেন এটা অনেক ভালো কাজ করেছিলেন। আপনি আসলে ঠিক কথা বলেছেন বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে সবকিছু বলে যেতে হয় এবং তারা যেতে দেবে কিনা এমনটা নিজের মনে একটি ভয় অনুভব কাজ করে। তবে আপনার হাসবেন্ড বুঝতে পেরেছিল যার জন্য সে আপনাকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল এটা আসলে একটি ভালো কাজ করেছিল তিনি বলে আমার মনে হয়।
পুরনো একটি দিনের স্মৃতি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
বিয়ের পর জীবনের অনেক কিছুই অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। ছোট ছোট বিষয়েও অনেক জিনিস খেয়াল করে চলতে হয়। আর সেখানে বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি অনেকখানি বড় একটি বিষয়। তবে বাড়ির সকলে যে আমার মানসিক অবস্থা বুঝেছিল এটার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। ঠাকুরমার চলে যাওয়া, বাবার অসুস্থতার সময় আমি নিজের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বলে, আপনাদের অনেকেই তার কিছুটা জানেন। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
মানুষ চলে গেলে স্মৃতিগুলো শুধু থেকেই যায়। আপনি ভালো করেছিলেন যে বাইরে ঘুরতে গিয়ে ছিলেন। কারণ আমারও যখন মন খারাপ থাকে বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যায় ।আশা করি আপনিও ঠিক হয়ে যাবেন।
যদিও আমার পাহাড় সব থেকে বেশি পছন্দের জায়গা। তবুও আমি অনেকবার সমুদ্র ঘুরে এসেছি। ঢেউগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে সত্যিই খুব ভালো লাগে।
আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা উল্টো, পাহাড়ও আমার বেশ পছন্দের, তবে সমুদ্র বেশি টানে আমায়। সমুদ্রের পাড়ে একা বসে থাকাটাও আমি অনেক বেশি উপভোগ করি। নির্জনতার মাঝে সমুদ্রের ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার সাথে, নিজের জীবনের বেশ কিছু অনুভূতির বেশ মিল পাই। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর একটা দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।আসলে পৃথিবীর সকল মেশিনের যেমন ব্রেক দরকার ঠিক তেমনিভাবে মানব মেশিনেরও একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার।আপনি আপনার পরিবারের সকলের কাছে থেকে অনুমতি নিয়েছেন দীঘায় যাওয়ার জন্য।বান্ধবীর সাথে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।এরপর আপনার বান্ধবীর ভাই হাবড়া থেকে টিকেট কেটেছিলো।এরপর আপনি সেখানে গিয়ে সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেন।আসলেই সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ মানুষের মনের পরিপুরক।এটার সাথে আত্মার সম্পর্ক আছে বলেই এতো ভালো লাগে।পরের অংশ অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন সেই আশায় রইলাম।ধন্যবাদ
ইতিমধ্যে সব কটি পর্ব শেষ করেছি। আর প্রত্যেকটি পর্বের নিচে আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লেগেছে। সমুদ্রের সৌন্দর্য্য আমাদের মনের অনেক অনুভূতির পরিপূরক হয়ে থাকে। বান্ধবীর সাথে এইভাবে ঘোরার প্ল্যান আদেও কখনো সফল হবে তা সত্যিই ভাবিনি। কারণ বিয়ের পর জীবনের অনেক সিদ্ধান্ত শ্বশুরবাড়ির মানুষের ইচ্ছের উপরেও নির্ভর করে। আপনি ঠিকই বলেছেন, সমস্ত মেশিনের মতো মানব মেশিনেরও মাঝে মধ্যে ব্রেক দরকার হয়, কেবলমাত্র তাহলেই হয়তো মেশিনটা সঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
এক সময় আপনার বাবা এবং ঠাকুমা দুজনই অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু আপনার বাবা কিছুটা সুস্থ হলেও আপনার ঠাকুমা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। নিজের মা মারা যাওয়ার পর একজন ছেলের উপর অনেক দায়িত্ব থাকে। কিন্তু আপনার বাবা অসুস্থ থাকার জন্য সেভাবে সবগুলো দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। ওই সময়টা সবকিছু আপনার উপরেই চাপ ছিল। এরকম মানসিক টেনশনের মাঝে আপনি নিজেকে একটু সময় দেওয়ার জন্য বাইরে ঘুরতে যেতে চেয়েছিলেন।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন বিয়ের পর মেয়েরা আর নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী চলতে পারে না। নিজের শ্বশুর বাড়ি থেকে যতক্ষণ না সম্মতি পায়।
পুরনো দিনের স্মৃতি নিয়ে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাবা নিজের শারীরিক পরিস্থিতির কারণে সেই সময় নিজের মায়ের মৃত্যুর পর সকল দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তবে বাৎসরিক কাজের সময় আমরা সেই সবটুকু পূরণ করার চেষ্টা করেছি। সেই সময় মানসিক ও শারীরিক দুদিক থেকেই আমার উপরে অনেকটা বেশি চাপ ছিলো । যেই কারণেই আমি বোধহয় মানসিক শান্তি খুঁজছিলাম। তবে শ্বশুর বাড়ির সম্মতি নিয়ে বান্ধবীদের সাথে ঘুরে এসে, আমি বোধহয় প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারছিলাম। কারণ তার আগে পর্যন্ত কেমন যেন দমবন্ধ লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার সেদিনের পোস্ট পরে বুঝতে পেরেছিলাম পরিবারের মোটামুটি সকল দায়িত্ব আপনার উপর পড়ে ছিল। বলতে গেলে একটা মানসিক চাপ পড়েছিল। মানুষের পরিবারে এরকম মাঝামাঝে হয়ে থাকে। এজন্য একটু রিফ্রেশমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। যাইহোক, আপনার শ্বশুরবাড়ি থেকে সম্মতি পেয়ে বেশ ভালোই হয়েছে।
আমার কমেন্টের সুন্দর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।