My Travel Diary || Dakshineswar Temple || A place to find peace of mind || 31st March, 2024
"Edited by Canva"
Hello,
Everyone,
রোজকার একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে একটা আলাদা দিন কাটিয়েছি গত রবিবার। আজ সেই দিনের গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যদিও এর আগে কখনো ট্রাভেল ডায়েরি আমি সেভাবে শেয়ার করিনি। আজ প্রথমবারের মতন চেষ্টা করছি, জানিনা ঠিক কতটা গুছিয়ে লিখতে পারবো।
তবে লেখা শুরু করার আগে অবশ্যই জানতে চাই, আপনারা কেমন আছেন? আর আপনাদের আজকের দিনটা কেমন কাটলো?
যদিও আমার দিনটা ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে, তথাপি বেশ ভালো কেটেছে বলা যায়।
যাইহোক এর পূর্বের অর্থাৎ শনিবারের পোস্টে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম, আমি ও আমার বান্ধবী আমার দিদির বাড়িতে ছিলাম। পরদিন সকালে উঠে দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার প্ল্যান ছিলো আমাদের।
"দক্ষিনেশ্বর মন্দির"
দক্ষিণেশ্বর এমন একটি জায়গা যেখানে গেলে বরাবর মনটা প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। রানী রাসমণির প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে মা কালী, মা ভবতারিণী রূপে পূজিত হন। কথিত আছে রানী রাসমণি, মা কালীর থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
"মন্দিরের সামনে রানি রাসমণি,শ্রী রামকৃষ্ণ ও সারদা মায়ের ছবি"
"মন্দিরের উল্টোদিকে ব্রোঞ্জের তৈরি স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি"
"মন্দিরের পাশে বহু পুরোনো গাছের ছবি"
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রতিদিন ঠাকুরের নিত্য পূজো হলেও বিশেষ দিনগুলিতে এই মন্দিরটি অন্যরকম ভাবে সেজে ওঠে। এখানে কালীপুজা, দুর্গাপূজা, স্নানযাত্রা সমস্ত কিছু অনেক বড় ভাবে পালিত হয়। তবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মূল আকর্ষণ কল্পতরু উৎসব।
এই সময় ভক্তদের ভিড় অনেক বেশি চোখে পড়ে। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে কল্পতর উৎসবে দক্ষিণেশ্বর যাই নি। তবে ভবিষ্যতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। এখানে মূল মন্দিরে দেবী ভবতারিনী পূজিত হলেও, মন্দির প্রাঙ্গণের মধ্যে ১২ শিব মন্দির রয়েছে।
এর আগে যদিও এই মন্দির গুলিতে পুজো দিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালা যেতো। তবে এইবার জানিনা কেন এই মন্দিরগুলি শুধুমাত্র দূর থেকে দর্শন করার অনুমতি ছিলো। এছাড়াও এখানে একটি রাধা কৃষ্ণের মন্দির আছে এবং মূল মন্দিরের বাইরে নতুন করে মা সারদারও একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে।
মন্দিরের সর্বত্রই স্থাপত্য আপনার চোখে পড়বে, যার সৌন্দর্য্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। মূল মন্দিরের সামনে একটি বড় প্রাঙ্গণ করা আছে, যেখানে ভক্তরা বসে বিশ্রাম করতে পারে এবং মানুষের ভিড় কম থাকলে, সেই প্রাঙ্গণ থেকেও মায়ের দর্শন করা যায়।
এই মন্দির সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য আপনারা অনলাইন থেকে পাবেন একথা ঠিকই, তবে নিজের চোখে দেখার শান্তি যদি অনুভব করতে চান, তাহলে অবশ্যই একবার এই মন্দিরটি পরিদর্শন করে যাবেন।
আমার বান্ধবীও আমার মতন রোজকারের একঘেয়ে জীবনযাপনে মাঝে মধ্যেই হাঁপিয়ে ওঠে। তাই দুজনে মিলে কখনো কখনো প্ল্যান করে এই ভাবেই বেরিয়ে যাই, যাতে একটা দিন একটু অন্যরকম ভাবে কাটিয়ে নিজেদেরকে রিফ্রেশ করতে পারি।
প্ল্যান ছিল বেশ ভোরে বেরিয়ে যাবার, কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি। কারণ ঘুম থেকে উঠতেই আমাদের প্রায় আটটা বেজে গিয়েছিলো। যেহেতু রবিবার বেশ কিছু ট্রেন ক্যান্সেলও ছিলো, তাই ট্রেনের টাইম দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম ৯.৩০ টার ট্রেন ধরতেই হবে।
"দক্ষিনেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পূর্ব মুহুর্তের ছবি"
সেই অনুযায়ী আমরা দুজনেই তৈরি হয়ে নিলাম। স্টেশনে পৌঁছে একেবারে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত টিকিট কেটে নিয়েছিলাম। দিদিদের ফ্ল্যাট দমদম ক্যান্টনমেন্টে, তবে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার জন্য আমাদেরকে দমদম জংশন থেকে আবার ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে।
"দমদম জাংশন স্টেশনের ওভারব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে তোলা ছবি"
"প্ল্যাটফর্মে নামার মুহুর্তের ছবি"
দমদম ক্যান্টনমেন্টের পরবর্তী স্টেশনই দমদম জংশন। তাই সেখানে পৌঁছাতে আমাদের আট মিনিট মতো সময় লাগলো। তারপর ওভার ব্রিজের ওপরেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। কারন ডানকুনিগামী ট্রেন কোন প্লাটফর্মে দেয়, সেই অ্যানাউন্সমেন্ট শুনে তবেই আমরা সেই প্লাটফর্মে নামবো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ ট্রেন এক এক দিন এক এক প্লাটফর্মে দিয়ে থাকে।
"অবশেষে পৌঁছালাম"
"দক্ষিনেশ্বর প্ল্যাটফর্ম"
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর অ্যানাউন্সমেন্ট শুনে আমরা এক নম্বর প্লাটফর্মে নামলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন এলে আমরা ট্রেনে উঠে পড়লাম। মাঝখানে শুধু বরানগর রোড স্টেশনটা পার হলেই তারপরের স্টেশনে দক্ষিণেশ্বর।
এই স্টেশনে নামতেই মনটা এক অন্যরকম ভালোলাগায় ভরে গেলো। যদিও বাইরে তখন প্রচন্ড রোদ্দুর কিন্তু আমাদের দুজনের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়েছে ইতিমধ্যেই, তার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে একটা স্কাইওয়ে, যার প্রচুর রিলস ও ভিডিও আমি ইতিমধ্যে ইউটিউবে দেখেছিলাম।
"স্কাইওয়েতে দাড়িয়ে তোলা ছবি। ভিড়ের কারনে ছবি তোলার উপায় ছিল না।"
তবে কেন জানি না ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হলো স্বচক্ষে দেখার থেকে ছবি ও ভিডিওর মধ্যেই এই স্কাইওয়ের সৌন্দর্যটা আরো বেশি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছিল।
স্কাইওয়ে সোজা দক্ষিণেশ্বরের মূল গেট পর্যন্ত করা হয়েছে। যেটার একটা ভালো দিক হলো, এর আগে এই সম্পূর্ণ রাস্তাটা রোদ্দুরের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে হতো। তবে এখন সেটা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে এই স্কাইওয়ের কারণে।
স্কাইওয়ের মাঝ বরাবর প্রচুর দোকান রয়েছে। যেখানে পুজো দেওয়ার জন্য ফুলের ডালা থেকে শুরু করে, আরও বিভিন্ন রকমারি জিনিস কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। আর দুপাশ থেকে মানুষের ঢল। কেউ পুজো দিতে যাচ্ছে, আবার কেউ পুজো দিয়ে ফিরছে। যেহেতু রবিবার তাই ভিড় অন্যান্য দিনের থেকে বেশ অনেকটাই বেশি ছিল।
"মন্দির চত্বরে প্রবেশ করার মূল গেট"
"শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের বিশাল ছবি"
এই সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়েই আমরা পৌছালাম দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মূল গেটে। যেখান থেকে ভেতরে ঢুকলেই পাশের একটি বিল্ডিং এ চোখে পড়ে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের একটি বড় ছবি। যেটা দেখেই মনটা ভরে গেলো। এরপর সেখান থেকে আমরা জুতো এবং ব্যাগ রাখার সেকশনে পৌছালাম।
যেহেতু ভিতরে ফোন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ, তাই সমস্ত কিছু আমাদেরকে জমা দিয়ে, তবেই মূল মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। প্রচন্ড রোদের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মানুষের ভিড় ঠেলে, তবে আমরা আমাদের জুতো ও ব্যাগ রাখতে সক্ষম হলাম।
"এই দোকান থেকে আমরা পুজোর ডালা কিনেছিলাম। ফিরে আসার সময় ছবি তুলেছি"
তারপর পাশের দোকান থেকে পূজোর ডালা নিয়ে আমরা মূল মন্দিরে প্রবেশ করলাম। এখানে বিভিন্ন দামের ডালা পাওয়া যায়। আমরা যে ডালা নিয়েছিলাম তার মূল্য ছিল ৫০ টাকা।
মন্দিরের ভেতরে পুজো দেওয়ার জন্য তিনটি আলাদা আলাদা লাইন ছিল। লাইন দেখে বুঝলাম দুটো লাইন রয়েছে, যেগুলো দিয়ে পুজো দিলে মন্দিরের পাশ দিয়ে মায়ের দর্শন করতে হবে এবং একটা লম্বা লাইন রয়েছে, যেটা দিয়ে পুজো দিলে মাকে সামনাসামনি দর্শন করা যাবে।
সাত পাঁচ না ভেবে দুজনেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম। কারণ এত কষ্ট করে যখন এসেছি, তখন না হয় আরো কিছুক্ষণ কষ্ট করে, মাকে সামনাসামনিই দেখবো। প্রায় ঘন্টা দুয়েক টানা রোদ্দুরের মধ্যে লাইন দিয়ে, শেষ পর্যন্ত মায়ের সামনে পৌঁছাতে পারলাম এবং মায়ের দর্শন করতে পারলাম।
তবে এই লাইনে দাঁড়ানোর সুবাদে একজন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছিলো, যার সাথে থাকা ছাতাটা আমাদেরকে ওই প্রখর রোদের তাপ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করেছিলো।
"মূল মন্দিরের চূড়ার ছবি"
"সারদা মায়ের মন্দির"
পুজে দেওয়ার শেষে আবার পুনরায় লম্বা লাইন দিয়ে তবে আমরা নিজেদের জুতো ও ব্যাগ নিলাম। মন্দিরের বাইরে থেকেই একবার মূল মন্দিরের চূড়ার ছবি তুললাম, যাতে আপনাদের সকলের সাথে সেটি শেয়ার করতে পারি এবং মুল মন্দিরের একদম পাশেই ছিল মা সারদার একটি মন্দির। যার ছবিও আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তুললাম।
এর আগে যখন দক্ষিণেশ্বরে গিয়েছিলাম, তখন অবশ্য গঙ্গার পাড়ে সুন্দর ভাবে বসা যেতো। বটগাছের তলায় অনেকক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া যেতো, তবে এখন সেই দিকটা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে, কারণটা যদিও জানিনা।
"আমরা দুজন"
যাইহোক সেখানে ছোট্ট একটি পুকুর আছে, পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে দু একটা ছবি তুলে, আমরা দুজনে মিলে রওনা হলাম ফেরিঘাটের দিকে। হুগলি নদী পার হয়ে বেলুড় মঠ যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
নৌকাতে উঠতে আমার বরাবর ভয় করে। পরে অবশ্য জানতে পারলাম আজকাল আর নৌকা চলে না। নতুন ফেরিঘাট দিয়ে ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর স্টিমারে করে সকলে ওপারে যায়। আমরা দুজনে সেখানে গিয়ে টিকিট কেটে নিলাম। টিকিটের মূল্য ছিল পাঁচ টাকা।
"স্টিমারে ওঠার পর তোলা ছবি"
"ঐ ব্রীজ দিয়ে ট্রেন, বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে"
"স্টিমার থেকে দেখা দক্ষিনেশ্বর মন্দির"
টিকিট কেটে মিনিট দশেক অপেক্ষা করার পর স্টিমার এপারে এলো এবং এক এক করে আমরা সকলে স্টিমারে উঠে পড়লাম। স্টিমারে বসে ব্রিজটা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো। স্টিমারটা যখন মাঝ নদীতে পৌছালো, সেখান থেকেই পেছনদিকে ফিরে আমি দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের একটি ছবি তুললাম।
"বেলুড়ে দেখা নাম না জানা একটি ফুলগাছ"
তারপর বেলুড়ের ঘাটে নেমে দুই বান্ধবী মিলে চোখে মুখে জল দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম বেলুড় মঠের উদ্দেশ্যে। তবে সেখানে পৌঁছে জানলাম মঠ ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, খুলবে আবার সেই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ।
"ফেরার পথে বালিঘাট স্টেশনে অপেক্ষা করার সময় তোলা ছবি"
তবে ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলে, আমরা সেখান থেকে টোটো নিয়ে রওনা করলাম বালিঘাট স্টেশনের উদ্দেশ্যে। ভাড়া নিলো জনপ্রতি ১৫ টাকা।
কারণ সেখান থেকেই আমরা দমদম জংশন এর উদ্দেশ্যে ট্রেন ধরবো। মোবাইলের অ্যাপে দেখলাম আড়াইটা নাগাদ একটি ট্রেন আছে। তাই আমরা এসে বালিঘাট স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। আর সেখানেই কচুরি খেয়ে নিলাম। যার প্রতি প্লেটে ৪ টে কচুরি ও সাথে ছিল আলুর তরকারি। আর দাম নিয়েছিলো ২৫ টাকা প্রতি প্লেট।
ট্রেন দমদমে পৌঁছাতে প্রায় তিনটে পনেরো বাজিয়ে দিলো। মাঝখানে বেশ কিছু জায়গায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলো, সিগন্যাল না পাওয়ার জন্য। দমদম জংশন থেকে ক্যান্টনমেন্টে আসার জন্য আমাদেরকে পুনরায় ট্রেন ধরতে হবে। তবে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
একটু বাদেই অর্থাৎ ৩.২৫ এর বনগাঁ লোকালে করে আমরা দমদম ক্যান্টনমেন্ট পৌঁছালাম। সেখান থেকে সোজা দিদির ফ্ল্যাটে গিয়ে স্নান সেরে দুজনে মিলে লাঞ্চ করলাম। তারপর বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, সন্ধ্যার সময় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।
|
---|
খরচ | ভারতীয় মূল্য | স্টিম প্রাইজ |
---|---|---|
দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে দক্ষিণেশ্বর (ভায়া দমদম জংশন) লোকাল ট্রেনের টিকিট (যাওয়া+আসা) | ২০ টাকা | ০.৩০ স্টিম |
জুতো ও মোবাইল সংরক্ষনের জন্য ধার্য মুল্য | ১২ টাকা | ০.৩৬ স্টিম |
পুজোর ডালা | ৫০ টাকা | ১.৫১ স্টিম |
দক্ষিনেশ্বর থেকে বেলুড় স্টিমার ভাড়া | ৫ টাকা | ০.১৫ স্টিম |
বেলুড় থেকে বালিঘাট স্টেশন টোটো ভাড়া | ১৫ টাকা | ০.৪৫ স্টিম |
এক প্লেট কচুরি | ২৫ টাকা | ০.৭৬ স্টিম |
টোটাল খরচ | ১২৭ টাকা | ৩.৮৪ স্টিম |
এই ছিল আমাদের একদিনের ছোট্ট একটি ভ্রমণ কাহিনী। যেখানে দুই বান্ধবী মিলে একটা অন্যরকম দিন কাটিয়েছি। সত্যি বলতে রোদ্দুরের মধ্যে প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে ঠিকই, তবুও যেন এক অন্য ধরনের ভালো লাগায় মনটা ভরে গিয়েছিলো।
যদিও নদীর পাড়ে বসে থাকার যে সুযোগটা অন্যান্য বার পাই, এবার সেটা পাইনি। তাই শুধু সেটুকু বাদ দিলে বাকি সবটাই বেশ উপভোগ্য ছিল।
আপনাদের আমার এই ট্রাভেল ডায়েরি পড়ে কেমন লাগলো, অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, এই প্রার্থনা করে আজকের লেখা শেষ করছি। শুভরাত্রি।
ছবি ক্রপ করার কারণে তারিখ গুলো পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং কিছু ছবি বান্ধবীর ফোন থেকে whatsapp এর মাধ্যমেও নিয়েছি।
যেহেতু দিদির বাড়িতে ছিলেন অনেকটা ফ্রি ছিলেন। তাই বান্ধবীর সাথে দক্ষিণেশ্বর ঘুরতে গিয়েছেন। জায়গাটার নাম আমি অনেকবার শুনেছি আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে, ফটোগ্রাফি এবং বিস্তারিত লেখা দেখার পর বুঝতে পারলাম। সত্যিই জায়গাটা অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং এত সুন্দর একটা জায়গা সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করার জন্য। ভালো থাকবেন।
We support quality posts and good comments posted anywhere and with any tag.
Curated by : @patjewell
Thank you @patjewell ma'am for your kind support.
The fact is ma'am I am maintaining club100 which is visible throughout the steem world, but as you supported me according to club75 our moderator verified my post as per the club I mentioned in my post.
Though I am a club100 user who knows tomorrow I might need some withdrawal, and to maintain at least one club I always use club5050!
As far as I know, after maintaining club100 users can then use any hashtag according to their convenience.
That is correct my friend. You are in Club100.
When I added your post to the schedule I noticed the transfers were for contest rewards.
This I am not aware of. I think it is best to use the tag related to your status to avoid confusion.
Congratulations on an excellent post!
Thank you so much ma'am.🙏
Pleasure! 🎕
দক্ষিণেশ্বর মন্দির ভ্রমণ করার খুব সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সময়ের ফাঁকে নিজেকে সময় দেওয়া। অনেকদিন পর এরকম একটি ভ্রমণের পোস্ট পড়ার সুযোগ হল। এছাড়া আপনি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বিস্তারিত ছবিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনার ভ্রমণ করার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।