Better life with steem || The Diary Game || 20th May, 2024 ||
"আমার গতকালের সারাদিনের কিছু মুহুর্ত"
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি বেশ ভালো কেটেছে।
গতকাল ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিবাহিত করেছি। তবে তার মধ্যে যেটা ভালো লাগার ছিল সেটা ছিল বৃষ্টি। সত্যি বলতে বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির বাইরে বেরোতে আমি বরাবর অপছন্দ করি। বাড়িতে বসে বৃষ্টি উপভোগ করার এক অন্যরকম আনন্দ আছে বলেই আমার বিশ্বাস।
তবে সেই মুহূর্তে যে কোনো কাজেই বাড়ির বাইরে বেরোতে আমার একদমই ভালো লাগে না। তবে গতকাল বিশেষ দরকারে বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছিল এবং সেই সময়ই মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তবে সেটি উপভোগ করার সুযোগ হয় নি।
যাইহোক সারাদিন কি করলাম সেটাই আজকে পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করি চলুন, একেবারে সকাল থেকেই শুরু করি, -
"সকালবেলা"
গতকাল ২০ তারিখ, আমার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় ভোটের দিন ছিলো। এই কারণে শুভর অফিস ছিল না। তাই সকালে সময় মতন ঘুম থেকে ওঠার কোনো তাড়া ছিলো না। তবে যেহেতু সোমবার ছিলো, আর আমি ফোনের অ্যালার্ম করতে ভুলে যাওয়ায়, সময় মত অ্যালার্ম বেজে ওঠে।
আর প্রত্যেক দিনের মতন আমারও ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু হ্যাঁ তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে উঠে, সোজা রান্নাঘরে যাওয়ার রুটিনের কিছুটা পরিবর্তন ছিলো গতকাল। তাই ঘুম ভাঙার পরেও বেশ কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে সময় কাটিয়ে, তারপর বিছানা ছাড়লাম, ফ্রেশ হলাম এবং ফুল তুলতে ছাদে চলে গেলাম। তখনো বাইরে বেশ রোদ্দুরে ছিলো।
শশুর মশাইকে ডাক্তার দেখানোর জন্য গতকাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছিলো। ডক্টর দেখানোর সময় ছিল সকাল ১১:০০ টার সময়। ভোটের কারণে শুভর ছুটি ছিলো, তাই সে ক্ষেত্রে একটা সুবিধা ছিলো, যদি গাড়ি না পাওয়া যায় তাহলে অন্তত ননদের গাড়ি নিয়ে শশুর মশাইকে নিয়ে যাওয়া যাবে। কারণ ভোটের দিন রাস্তায় খুব বেশি গাড়ি চলাচল করে না। যাইহোক আমি সকলকে চা দিয়ে কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম।
সোমবার ছিল আমাদের কমিউনিটির এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের শেষ সপ্তাহের উইনার অ্যানাউন্সমেন্ট। তাই সেই ডিটেলস গুলো ম্যামকে সময় মতন পাঠানোর একটি তাড়া ছিলো। তাছাড়াও সেদিন আমাদের বুমিং সাপ্তাহিক রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। আর বুমিং এর সমস্ত ডিটেলস আমার কাছে লেখা থাকে। তাই সব কিছু মিলিয়ে সকালটা কোথা দিয়ে অতিবাহিত হয়েছিল সত্যিই বুঝতে পারিনি।
এমন সময় ডক্টরের কাছে যাওয়ার সময় হয়ে এলো। এর মধ্যে শাশুড়ি মা রুটি করেছিলেন। শুভ আর শ্বশুর মশাই খেয়ে নিয়েছিলো। তবে আমার এত তাড়াহুড়ো হয়ে গিয়েছিলো যে, কোনো রকমে অর্ধেকটা রুটি খেয়ে আমি বেরিয়ে গিয়েছিলাম।
রাস্তায় গিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছিলো কারণ, যেমনটা বললাম রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা একেবারে কম ছিলো। বাইক নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না, কারণ সেই সময় এক দুই ফোঁটা বৃষ্টি পরতে শুরু করেছে। শ্বশুরমশাইয়ের শারীরিক যে অবস্থা তাতে বৃষ্টির জল কোনোমতেই ওনার জন্য সঠিক হবে না।
এই কারণে পাশের দোকান থেকে একটা চেয়ার দেওয়া হয়েছিল ওনাকে বসার জন্য। এরপর শুভ কিছুটা এগিয়ে গিয়ে একটা টোটো পেলে এবং সেটাতে করেই আমরা ডক্টরের চেম্বার এর উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।
রাস্তায় যেতে যেতে কয়েকটি ছবি তোলার চেষ্টা করেছি, তবে গাড়ি চলাকালীন ছবিগুলো ততটাও স্পষ্ট ওঠেনি। তবে ভোটের চিহ্ন গতকাল রাস্তার চারপাশে ছড়িয়েছিল। কোথাও অনেক মানুষজন বসেছিল এবং মাঝখানের একটা প্রাইমারি স্কুলে ভোটের লাইনও চোখে পড়েছিল।
ডাক্তারের চেম্বারে যখন ঢুকলাম তখন বাইরে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়লেও,আকাশে প্রচুর মেঘ ছিলো। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ভেতরেই অপেক্ষা করলাম, ডাক্তার দেখালাম, তার সাথে কথাবার্তা বলে আমরা যখন বাইরে বেরোলাম, তখন বাইরে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।
কিভাবে শ্বশুর মশাইকে নিয়ে আসবো সেটা ভাবতে ভাবতেই ননদের হাজব্যান্ডকে ফোন করা হলো এবং তাকে গাড়ি নিয়ে আসতে বলা হলো, যাতে শ্বশুর মশাইকে ঠিকঠাকভাবে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়।
"দুপুরবেলা"
ডক্টর দেখিয়ে বেরোতেই আমাদের প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিলো। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। ননদের হাজব্যান্ড এলে আমরা একসাথে বাড়িতে পৌছালাম প্রায় ১টা নাগাদ। শাশুড়ি মা বলল স্নান করার আগেই ভোটের সমস্যা মিটিয়ে দিয়ে আসা ভালো, যেহেতু সেই সময় বাইরে বৃষ্টিও কমে গিয়েছিলো তাই একসাথে দুজনকে ভোট দিতে পাঠিয়ে দিলাম। শুভও ওর বন্ধুর সাথে ভোট দিতে গেলো।
ততক্ষণ আমি কমিউনিটির একটু কাজ সেরে নিয়ে, ঘরের বাকি কাজ শুরু করলাম। কাজ শেষ করে, স্নান করে, পুজো দিতে প্রায় ৩.৩০ টের বেশি বাজলো। আগে তারপর পিকলুকে লাঞ্চ করিয়ে দিয়ে, আমরা সকলে লাঞ্চ করলাম। তারপর কমিউনিটির কাজ দেখতে দেখতে, একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলাম।
"সন্ধ্যাবেলা"
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে এলো, তাই কিছুক্ষণ বাদে সন্ধ্যা দিয়ে আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। কমিউনিটির কাজ করছিলাম এই সময় ননদ ফোন করলো এবং ডক্টর কি কি বলল সেই বিষয়ে জানতে চাওয়ায়, ওনার সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললাম।
তারপর শুভ ঘুম থেকে উঠলে ওকে চা করে দিলাম। ওর একটা বন্ধু এসেছিল, সে চা খাবে না বলাতে একটু বেশি পরিমাণে বিস্কুট দিয়েছিলাম, যাতে দুজন মিলে খেতে পারে। ওরা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলো, আর ততক্ষণ আমি কমিউনিটির কাজগুলো গুছিয়ে নিলাম।
"রাত্রিবেলা"
কাজগুলো বেশ কিছুটা গুছিয়ে নেওয়ার পর, আমি রাতে পিকলুর জন্য দুটো রুটি করলাম। শ্বশুরমশাই রুটি খেতে চাইলেন না বলে, উনি ওটস গেলেন। আর আমি পিকলুকে দুটো রুটি করে দিয়ে ওকে ডিনারটা করিয়ে দিলাম। তারপর আমরা সকলে মিলে ডিনার করে নিলাম।
এরপর যথারীতি ঘরের কাজগুলো সব গুছিয়ে রেখে, আমি কমিউনিটের কাজ নিয়ে বসলাম। কয়েকটি পোস্ট ভেরিফাই করে, নিজের পোস্ট শেয়ার করলাম। তারপর শুয়ে পড়লাম।
যেহেতু এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ শেষ হয়ে গেছে, তাই রাতের দিকে এখন কাজের অতটা প্রেশার নেই, গত ৬ সপ্তাহ ধরে যতটা ছিলো। এই ভাবেই কেটেছিল আমার গতকাল দিনটা।যাইহোক পোস্ট পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো, সেটা অবশ্যই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.Thank you for your support. 🙏
সত্যি বাড়িতে বসে বৃষ্টি দেখতে খুব ভালো লাগে আমার কাছে বৃষ্টির সময় বের হতে আমার মনে অপছন্দ কারণ কাদামাটি জন্য। ছাদ থেকে ফুল তুললেন এবং ভোট দিলেন আপনার শ্বশুর মশাইকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন । আপনার দিনটি ব্যস্ততার মধ্যে গিয়েছিল,আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো
আমার শশুর বাড়ি এলাকায় সেদিন ভোট ছিলো। তবে আমার ভোট এখনও ট্রান্সফার করা হয়নি। আমার ভোট আছে আগামী মাসের ১ তারিখে, আমার বাপের বাড়ি এলাকায়। আমি সেদিন শশুরমশাইকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। আসলেই বৃষ্টির পরে কাদার মধ্যে বেরোতে একটুও ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
https://steemit.com/hive-120823/@azhar-nazeer/the-diary-game-of-batterlife-seriously-21-05-2024
আপনাদের ঐদিকে ভোটের দিন ছিল এজন্য আপনার হাজবেন্ডের অফিস ছিল না। যদিও সকালবেলা বিছানায় একটু সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর রাত অব্দি অনেক ব্যস্ততার মাঝেই দিন পার করেছেন।
তার ওপর সোমবার আবার এনগেজমেন্ট রিপোর্টের ডেট ছিল। সবগুলো ঠিকঠাকভাবে করে ম্যামকে সব জানিয়েছেন।
এদিকে আপনার শ্বশুরকে ডাক্তার দেখানোর সিরিয়াল নেয়া ছিল। আপনার হাজবেন্ডের অফিস ছুটি থাকার কারণে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কোন ঝামেলা ছিল না।
ব্যস্তময় একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে শশুর মশাইয়ের শরীরের যা অবস্থা তাতে সাথে একজন থাকলে একটু সুবিধা হয়। এদিন শুভ থাকায় অনেক সুবিধা হয়েছিল। মাঝে মধ্যে ঘুম থেকে উঠে নিজের সাথে একটু সময় কাটাতে ভালোই লাগে। তবে নিত্যদিনের কাজের ব্যস্ততায় এমন সুযোগ খুব একটা হয় না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।