Better life with steem || The Diary Game || 20th August, 2024 || Birthday Celebrations (part-1)
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা ভালো আছেন আপনারা সকলেই এবং আপনাদের দিনটিও বেশ সুন্দরভাবে কেটেছে। আমার দিনটি আজ অনেক ভালো কেটেছে, তার কারণটি অবশ্যই এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
তার পূর্বে আপনাদের সকলকে অনুরোধ করবো আমার দিদির মেয়ে তিতলিকে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করার জন্য, কারণ আজ ওর শুভ জন্মদিন। দেখতে দেখতে অনেকটা বড় হয়ে গেলো, আমার ছোট্ট তিতলি।
|
---|
ওকে দেখে যেন মনে হয় এই সেদিন নার্সিংহোম থেকে কোলে করে বাড়িতে নিয়ে এলাম, মাঝখানে ৯ টা বছর কোথা থেকে পার হলো সত্যিই বুঝতে পারি না।
|
---|
কথায় আছে মেয়েরা বয়সের আগেই অনেকটা বড় হয়ে যায়। আর তিতলির ক্ষেত্রে যেন গত একটা বছর ওকে আরো বেশি বড় করে দিয়েছে। আপনারা প্রত্যেকেই আমার জামাইবাবুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত। একটা বছর দিদি জামাইবাবুকে নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ততা ও টেনশনের মধ্যে কাটাচ্ছে, ঠিক এর মাঝখানেই কখন যেন তিতলি অনেকটা বড় হয়ে গেছে, আমরা কেউ বুঝতেও পারিনি।
আগের মতন আর দুষ্টুমি করে না, ভাইকে খুব ভালো করে আগলে রাখে, যে কোনো পরিস্থিতি আগের থেকে আরও অনেক ভালো বোঝে এবং সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে অভ্যস্ত করতেও শিখে গেছে।
|
---|
তাতানকে বড় করার ক্ষেত্রে আমার অবদান খুব বেশি না থাকলেও, এই পৃথিবীতে তিতলিকে আনতে যতখানি কষ্ট আমার দিদি করেছে, তার থেকে কোনো অংশে আমি কষ্ট কম করি নি, তাই ওর প্রতি আমার একটা আলাদাই টান রয়েছে।
গতকাল এই দিনে শ্বশুর মশাই নার্সিংহোমে ভর্তি থাকার কারণে আমি ওর জন্মদিনে আসতে পারিনি। ঠিক উল্টোদিকে এই সময় দাদাও আই সি ইউতে ভর্তি ছিলো। তাই দিদি চাইলেও মেয়ের কাছে ওই দিনটা থাকতে পারেনি।
দাদার অবস্থা তখন অনেক সিরিয়াস ছিলো। দুপুরবেলাতে দিদি বাড়িতে এসে ওর জন্য একটা কেক এনে দিয়েছিলো। সন্ধ্যা বেলায় কেক কেটে, আশীর্বাদ করে, রাতে হসপিটালে দাদার সাথে থাকার জন্য ওই দিন বেরিয়ে যাওয়ার সময়, তিতলি ও তাতান অনেক কান্না করছিলো মাকে যেতে দেবে না তাই।
ফ্ল্যাট থেকে নিচে নামার সময় দিদি আমাকে কল করেছিল এবং হাউ মাউ করে কান্না করছিলো। তবে ওই পরিস্থিতিতে আমি নিজেও এতটা অসহায় ছিলাম যে, কোনো রকম ভাবেই বাচ্চাদের কাছে গিয়ে থাকার মতন অবস্থা ছিলো না।
|
---|
খুব বাজে কেটেছিল ওর গত বছরের জন্মদিন। ঈশ্বর যেন কোনো বাচ্চাকে ওইরকম জন্মদিন না দেন। তাই আমরা সকলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই বছরের জন্মদিনে ওকে অনেক আনন্দ, অনেক খুশি উপহার দেবো। তাই সেই রকম ভাবেই সকাল থেকে প্রস্তুতি চলেছে আজ।
আমি গতকাল রাতে এসেছি। তার অবদার ছিলো সবাই তাকে আদর করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলবে। তাই মিমিকে অর্থাৎ আমাকে আসতেই হবে। তাই অগত্যা আসতেই হলো।
|
---|
সকাল বেলার দিকে আয়োজনটা যদিও দিদিই সবকিছু করেছিলো। দিদি প্রত্যেক জন্মদিনে ঘুম থেকে উঠে ঘরে পুজো সম্পন্ন করে। তারপর তিতলির পছন্দের ব্রেকফাস্ট তৈরি করে,যেমন আজ তার বায়না ছিলো লুচি আর সুজি খাবে। এরপর কিছুক্ষণ খেলাধুলা করেছিলো। ততক্ষণে রান্নার দিকের কিছু কাজে আমিও সহযোগিতা করলাম।
|
---|
একটু বাদে দিদি প্রতি বছরের মতো জন্মদিনে হলুদ, দুধ, মধু একসাথে মিশিয়ে, তার মধ্যে একটু সোনা-রূপা রেখে সেই মিশ্রণ ওর মাথায় দিয়ে স্নান করিয়ে নতুন জামা পড়িয়ে দিলো। দিদি নতুন জামা পড়েছিল তাই, ওকেও সুন্দর জামা পড়িয়ে দিতে হয়েছিল। আজ সারাদিন সে পাঞ্জাবি পড়েই ছিলো। বেশ ভালো মানায় তাতান কে পাঞ্জাবি পড়লে। আপনাদের কেমন লাগলো, অবশ্যই জানাবেন।
|
---|
|
---|
তাতান আবার আজ দিদির জন্য জন্মদিনের উপহার হিসাবে নিজের হাতে কার্ড তৈরি করেছিলো। তিতলির প্রতি তাতানের অসম্ভব টান। সারাদিন দিদির হ্যাপি বার্থ ডে বলে অনেক আনন্দ করেছে ও।
যাইহোক, বিশেষ দিনের সব মুহুর্তগুলো একটি পোস্টে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই পরবর্তী লেখায় দিনের বাকি অংশের গল্প শেয়ার করবো। এটি হলো জন্মদিনের প্রথম পর্ব, যেখানে আমি আপনাদের সাথে জন্মদিনের সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কি কি হয়েছে সেগুলো শেয়ার করলাম। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/8) Get profit votes with @tipU :)
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : @solaymann
প্রথমে তিতলির জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল, তিতলির জন্য শুভকামনা রইল তার আগামীর পথ চলা যেন সুন্দর এবং সহজ হয়, সৃষ্টিকর্তা যেন তিতলিকে সুস্থতার সাথে সুন্দর জীবন দান করেন, সেজন্য বড় হয়ে পিতা মাতার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Happy Birthday dear. Khul bhalo theko.