Better life with steem || The Diary Game || 18th May, 2024 ||
![]() |
---|
"আজকের সারাদিনের কিছু মুহূর্ত"
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং আজকের দিনটি আপনাদের সকলের বেশ ভালো কেটেছে।
গতকাল রাতে কমিউনিটির কাজ সেরে আর পোস্ট লেখা হয়নি। ইচ্ছে ছিলো সকালবেলায় বেশ কিছুটা কাজ গুছিয়ে নিয়ে, তারপর নিজের পোস্ট লিখবো। লেখা শুরু করলেও কিন্তু শেষ হয়নি।
মাঝখানে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলার জন্য অনেকটা সময়ে ডিসকর্ডে অতিবাহিত হয়েছিলো। শুধু আমার নয়, আমরা বাকি সকলেই উপস্থিত ছিলাম সেখান। কাজটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, সেই কারণেই বলতে পারেন সময়টা সেখানেই দিতে হয়েছিলো।
বর্তমানে ভেরিফিকেশনের কাজটা শেষ করে অল্প কিছুটা সময় হাতে পেয়েছি, তাই ভাবলাম অন্তত পোস্ট লেখা শেষ করি। রাতের কাজ করার আগে যদি পোস্ট করে দিতে পারি তাহলে বেশ ভালোই হবে, কারণ রাতে আবার কমিউনিটির কাজ করতে হবে।
যাইহোক ,আজ আমি শেয়ার করব আপনাদের সাথে আমার সারাদিনের কার্যাবলি। চলুন তাহলে শুরু করি,-
"সকালবেলা"
![]() |
---|
আজ শনিবার তাই যথাসময়ে ঘুম থেকে উঠে সকালের কাজগুলো নিয়ম মাফিক সম্পন্ন করেছিলাম। অনেকদিন বাদে আজ আমাদের ফুলগাছে অনেক ফুল ফুটেছে। গতকাল অথবা পরশু শাশুড়ি মা গাছগুলোতে সার দিয়েছিলেন। এটা বোধহয় তারই ফলাফল। সত্যিই যত্ন করলে প্রতিটা জিনিসই আমাদেরকে সুফল দেয়।
ফুলগুলো তুলে এনে, নিচে এসে দেখি শ্বশুরমশাই বসে ছাতু খাচ্ছেন। ওনাকে জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, প্রচন্ড খিদে পেয়েছিলো তাই অল্প পরিমাণে ছাতু নিজে গুলিয়ে খেয়ে নিয়েছেন। আমি কিছু না বলে, রান্না ঘরে গিয়ে যথারীতি চা বসালাম। অন্যদিকে ভাত বসিয়ে দিলাম ইনডাকশনে।
![]() |
---|
চা হয়ে গেলে শ্বশুর মশাইয়ের কাপটা নিচে রেখে, শুভ কাপটা নিয়ে উপরে গেলাম। পিছু পিছু পিকলু বাবুও পৌঁছে গেল আজ। ওনার জন্য আজ আবার বিস্কুট দিতে হলো। সকাল থেকে আকাশটা বেশ মেঘলা ছিলো। ভেবেছিলাম হয়তো বৃষ্টি হবে, কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখলাম আবার রোদ্দুরও উঠতে শুরু করল।
যথাসময়ে শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি ঘরের কিছু কাজ সেরে, কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসেছি মাত্র, এমন সময় অ্যাডমিন ম্যামের ডাকে ডিসকার্ডে জয়েন হলাম। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করতে প্রায় দুপুর হয়ে এলো ।এরপর আর কমিউনিটির কোনো কাজে সময় দিতে পারিনি।পোস্টও লিখতে পারিনি।কারণ বাড়ির সমস্ত কাজ কখনো পর্যন্ত পড়েছিল।
"দুপুরবেলা"
প্রিয়া দিদিকে দুপুরের দায়িত্বটুকু দিয়ে আমি চলে গেলাম ঘরের কাজে। আসলে এইভাবে ব্যালেন্স করে কাজ না করলে, সংসার এবং কমিউনিটি দুটো দিক সামাল দেওয়া একটু কঠিন। তবে চেষ্টা করলেই কোনো টাই অসম্ভব নয় এটাও সঠিক।
![]() |
---|
আজ দুপুরে কাজ গোছাতে গোছাতে ঝাতে হঠাৎ করে আরো দু তিনটে কাজ বেড়ে গেলো। ফলতো আজ অন্যান্য দিনের থেকে অনেকটা বেশি দেরিতে ঠাকুর পূজা দিয়েছি এবং দুপুরের লাঞ্চ সম্পূর্ণ করেছি। লাঞ্চ করতে করতে ডিসকর্ডে আবার কথা বলেছি বেশ কিছুক্ষণ। অনেক দিন বাদে আজকের লাউ শাকের তরকারিটা বেশ ভালো লেগেছে খেতে।
কথা বলা কালীনই হঠাৎ করে আমার ফোনটা হ্যাং হয়ে যায়। আমি কারোর কথা শুনতে পারছিলাম না। এমনকি কল থেকে বেরোতেও পর্যন্ত পাচ্ছিলাম না। কয়েকবার চেষ্টা করে ফোনটা পুনরায় রিস্টার্ট করে,বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিয়েছিলাম আলাদা ভাবে। বুঝতে পারছি না ফোনটা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে কিনা। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ বাদে আবার ফোন কাজ করতে শুরু করলো।
"বিকালবেলা"
আজশনিবার তাই শুভ সন্ধ্যার আগেই বাড়িতে ফিরে এসেছে। ওকে শরবত বানিয়ে দিয়ে একটু ফল কেটে দিলাম। ও সেটা নিয়ে ওপরে চলে গেলো এবং আমিও পিকললু নিচের ঘরে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শুয়েছিলাম।
![]() |
---|
হঠাৎ দেখছি বাইরে প্রচন্ড মেঘ করে এসেছে। তাড়াতাড়ি ছাদে গিয়ে মেলেরাখা জামা কাপড় গুলো তুলে নিলাম। মেঘ দেখে আশা করেছিলাম অনেক জোরে বৃষ্টি আসবে। বাইরে খুব সুন্দর হাওয়া বলছিল বিকেল বেলায়।
"সন্ধ্যাবেলা"
বৃষ্টির অপেক্ষা করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে এলো কিন্তু বৃষ্টির দেখা তখনো পেলাম না। তাই জন্য সন্ধ্যা পুজো দিয়ে আমি কমিউনিটি বুমিং এর কাজ নিয়ে বসলাম। সেটা সম্পন্ন করে বেশ কিছু পোস্ট ভেরিফাই করে নিলাম এবং ভেরিফিকেশন করতে করতেই শ্বশুর মশাইকে একটু চিড়ে ভিজিয়ে দিয়েছিলাম।
শুভ অবশ্য পাউরুটি খেয়েছে। শাশুড়ি মা দোকান থেকে এনে দিয়েছিলেন ।আমি তখন আমার ঘরে বসেই কাজ করছিলাম। ছেলেকে পাউরুটি এনে দিয়েছেন ,আমি খাব না বলাতে আমার জন্য আমার এক প্যাকেট চিপস্ নিয়ে এসেছেন।
![]() |
---|
এটা শাশুড়ি মা প্রায়শই করেন। মাঝেমধ্যেই তিনি দোকানে গেলে আমার জন্য চিপস্ ,লজেন্স এগুলো নিয়ে আসেন। আমিও বসে চিপসটা খেলাম। পিকলু একবার শুভর কাছে আরেকবার আমার কাছে ছোটাছুটি করছিলো। পাউরুটি তার ভীষণ প্রিয়। তাই শুভ ওকে অল্প দিয়েছিলো, কিন্তু চিপস্ ওর জন্য ক্ষতিকারক, তাই আমি ওকে একটুও দিই।
কিছুক্ষণ আগে ভেরিফিকেশন শেষ করেছি। তারপর দেখলাম ফোনে একদম চার্জ নেই। তাই ফোনটা চার্জে বসিয়ে আমি লেখাটা শেষ করলাম।
এরপর পোস্ট করে দেওয়ার পর, আমার রাতে সব কাজ করবো।
এখনও বাকি রয়েছে রুটি করা, পিকলুকে খাওয়ানো, শ্বশুর মশাইকে ইনসুলিন দেওয়া এবং নিজের ডিনার। এই সমস্ত কাজ করার পর বেশ কিছু কাজ গুছিয়ে ,আমি আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসবো।
মাঝেমধ্যে এই কর্মব্যস্ততা অনেকটা ক্লান্ত করে তুললেও, কখনো কখনো এই কর্মব্যস্ততাই অনেক কিছু ভুলিয়ে রাখতে সাহায্য করে। যাইহোক আপনাদের সারাদিন কেমন কাটলো নিশ্চয়ই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ভালো থাকবেন সকলে।
সকালবেলা থেকেই নিজের সংসারের কাজের পাশাপাশি, কমিউনিটির দায়িত্ব গুলো খুব সুন্দর ভাবে পালন করেছেন। এটা ঠিক চেষ্টা করলে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। আপনার ডিসকর্ড একবার আপডেট করে দেখবেন। এটা কিছুদিন আগে আমারও হয়েছিল, আপডেট করলে দেখবেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। পিকলু বাবুর ক্ষতি হবে তাই আপনি তাকে চিপস দিলেন না, বেশ ভালো কাজ করলেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য, ভালো থাকবেন।
সত্যিই আপনার পোস্টগুলো পড়ে মাঝে মাঝে একদম অবাক হয়ে যাই। আমরা সবাই জানি, মহিলা মানুষদের বাসায় কাজের কোন শেষ নেই। কিন্তু বাড়ির কাজগুলো নিজ হাতে গুছিয়ে আবারো কমিউনিটির সাথে আপনি কাজ করে যাচ্ছেন। সত্যিই আপনি একদম প্রশংসার যোগ্য।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে শশুর মশাইয়ের জন্য চা বানানো, আবার রান্নাবান্নার কাজ করেছেন।
আপনাদের ওদিকের মত আমাদের এদিকে ও গতকালকে আবহাওয়া অনেক খারাপ ছিল। যদিও বৃষ্টি হয়নি কিন্তু অনেক বাতাস ছিল।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সংসার জীবনে আপনি এক নাম্বার এবং কমিউনিটির সময়ের দিক থেকে ও আপনি এক নম্বর সারাদিন এত পরিশ্রম করার পরে কমিউনিটিতে এতো সময় দিতে পারেন এটা ভাবতে অনেক অবাক লাগে।
প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে ঘরের কাজ গুলো সম্পন্ন করে নিয়ে ছিলেন এবং অনেক দিন বাদে আপনাদের বাড়ির ফুল গাছে ফুল ফুটেছে আপনার শাশুড়ি আম্মা ফুল গাছে সার দিয়েছিলো এবং সেই গাছে অনেক ফুল ফুটেছে ছবিতে দেখে বোঝা যাচ্ছে।
এটা ঠিক যে যে কোনো একটি জিনিসের প্রতি আমরা যদি যত্ন নিয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু আমরা পাই। ব্যস্ততার সময়ের মধ্যেও নিজের একটি দিনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।