Better life with steem || The Diary Game || 11th September, 2024 ||
![]()
|
|---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশাকরি যে যেখানেই আছেন সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং সকলেরই দিনগুলো ভালোভাবে কাটছে। শারীরিক দিক থেকে গত দুদিন যাবত একটু ভালো আছি, তাই ভাবলাম আজকের দিনযাপনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক, -
"সকালবেলা"
সকাল বেলায় ঘুম ভাঙলো বেশ খানিকটা বিরক্তি নিয়ে।বিরক্তির কারণ তেমন কিছুই নয়, আসলে বেশ কয়েকদিন যাবৎ রাতে ভালোভাবে ঘুম হচ্ছে না। থেকে থেকে ঘুম ভেঙে যায় এবং পরে ঘুম আসতে হবে বেশ কিছুটা লেট হয়। ফলত ঘুম পূরণ হয় না বলে, সকালে ফোনের অ্যালার্ম শুনলেই অনেক বেশি বিরক্ত লাগে।
যাইহোক ফোনের অ্যালার্ম বন্ধ করে, বেশ কিছুক্ষণ উঠে বসে রইলাম। তারপর নিজের সাথে যুদ্ধ করে বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। প্রতিদিন এই যুদ্ধ করতে করতে বোধহয় এখন অনেক তাড়াতাড়ি বিরক্ত হয়ে পড়ি। ধৈর্য্য বোধহয় কমতে শুরু করেছে, জানি না বয়স যত বাড়বে বিরক্তি কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে।
যাইহোক প্রতিদিনকার মত নিচে এসে সেই চা করা, রুটি করা, শুভর জন্য অফিসের রান্না করা, সবটাই নিয়ম অনুসারে করলাম। তবে এর মাঝে ছাদের গাছে অনেকগুলো জবা ফুল ফুটতে দেখে, মনটা বেশ ভালো লাগলো। আজকাল সকালে সুন্দর রৌদ্র ওঠে, পরিবেশটা দেখলেই কেমন যেন পুজো পুজো মনে হয়।
যদিও পূজো নিয়ে আমার মধ্যে আলাদা কোনো উত্তেজনা কখনো ছিল না, এখনো নেই। কারণ পূজোতে আলাদা করে কোনো প্ল্যান কখনোই করা হয় না। তাই আর পাঁচটা দিনের মতন একই রকম পুজোর দিনগুলোও কাটে, শুধু চারিদিকে মাইকে যখন পুজোর গানগুলো শুনি তখন বেশ ভালোই লাগে।
যাইহোক ব্রেকফাস্ট করে শুভ অফিসে বেরিয়ে গেলো। যথারীতি শ্বশুরমশাই শাশুড়ি মাও ব্রেকফাস্ট করে নিলেন। প্রসঙ্গত বলে রাখি গতকাল শুভর পিসি এসেছেন আমাদের বাড়িতে। তিনি বোলপুর অর্থাৎ শান্তিনিকেতনে থাকেন। শ্বশুর মশাইয়ের শারীরিক অবস্থার কথা শুনে, তিনি তাকে দেখতে এসেছেন। আসলে এদেশে কেবলমাত্র ওনরা দুই ভাই বোন থাকেন, বাকি আরও একজন বোন জীবিত আছেন, তবে তিনি বাংলাদেশে থাকেন।
"দুপুরবেলা"
শুভ বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রেকফাস্ট সেরে আমি আমার কাজ নিয়ে বসেছিলাম। যেহেতু শুভর পিসি নিরামিষ খান, তাই শাশুড়ি মা তার জন্য সমস্ত রান্নাবান্না আলাদা করে করবেন। সকালে যে মাছ রান্না করেছিলাম, সেটা দিয়েই আমরা দুপুরে খেয়ে নেবো। কারণ নিরামিষের কোনো কিছুর সাথেই সেগুলো ছোঁয়ানো যাবে না। তাই আগে রান্নার শেষে শুভর পিসির খাওয়া হবে, তারপর আমরা সকলে মাছ দিয়ে খাবো, এমনটাই বিয়ের পর থেকে দেখে এসেছি।
বেশ কিছু জামাকাপড় জমে ছিল কাঁচার জন্য। শরীরটা ঠিকঠাক লাগছিলো না বলে সেগুলো আর কাঁচা হয়ে ওঠেনি। আজ আর আলসেমি করি নি, একটু সকাল সকাল ভিজিয়ে দিয়ে কমিউনিটির কাজ করেছিলাম। তারপর গিয়ে সেগুলো ধুয়ে ছাদে মেলে দিলাম।
আজ সারাদিন বেশ ভালো হাওয়া ছিলো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যদিও রোদের তাপ কমে গিয়েছিলো, কিন্তু হাওয়া থাকার কারনে সমস্ত জামাকাপড়ই শুকিয়ে যাবে, সেই প্রত্যাশায় ছাদে মিলে দিয়েছিলাম।
তারপর ঘরের টুকটাক কাজ সেরে নিয়ে আমি স্নান করে পুজো দিতে বসবো, এমন সময় ডিসকর্ডে নোটিফিকেশন পেয়ে কিছুক্ষণ ডিসকার্ডেও কথা বললাম। তারপর পুজো শেষ করে আমি পিকলুকে আলাদা ঘরে খেতে দিয়ে দিলাম।
শাশুড়ি মাও স্নান করে এসে পিসিকে খেতে দিয়ে দিয়েছিলেন। পিসির সাথে সাথে আজ শ্বশুর মশাইও খেয়ে নিয়েছিলেন। দুই ভাই বোন একসাথে গল্প করতে করতে দুপুরের লাঞ্চ সেরেছেন। পরে আমি ও শাশুড়ি মা আমাদের লাঞ্চ করে নিয়েছিলাম।
"সন্ধ্যাবেলা"
এখন দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে আসে, তাই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটু শোবো, তাই ভাবলাম তার আগে জামা কাপড় গুলো তুলেই রেখে আসি। আমার পিছন পিছন পিকলু ছাদে গেলো। আমি জামা কাপড় তুলতে তুলতে সে আমার পিছন পিছন এতো ঘোরাঘুরি করলো, মনে হল যেন সে কিছুক্ষণ খেলার আর্জি জানাচ্ছে।
যেই আমি ওকে ধরতে গেলাম, সে ছুটে গিয়ে খাটের তলায় লুকিয়ে পরলো। বেশ দুষ্টু হয়েছে আজকাল। ওকে ছেড়ে কিছুতেই আজকাল আর ওপরে যাওয়া যায় না। পিছু পিছু ঠিক ছুটবে, আর উপরের ঘরে গিয়েই ওর যত দুষ্টমি।
যাইহোক নিচে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতেই সন্ধ্যা হয়ে এলো। আমি আবার উঠে সন্ধ্যা পূজো দিয়ে বুমিংয়ের কাজ নিয়ে বসলাম। পিসিকে সাথে করে নিয়ে শাশুড়ি মা পাশে একটা বাড়িতে গিয়েছিলেন। শাশুড়ি মা অবশ্য চা করে শশুর মশাইকে দিয়ে তার পরেই গিয়েছেন।
তারপর শ্বশুরমশাই শুয়ে ফোন দেখছিলেন, আর আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছিলাম। এমন সময় শুভ অফিস থেকে ফিরল। ওকে টিফিন দিয়ে আমি আমার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সেরে নিয়েছিলাম।
"রাত্রিবেলা"
বেশ কিছুক্ষণ বাদে শাশুড়িমা ও পিসি বাড়িতে ফিরলেন। রাত্রি বেলায় পিসি রুটি খান, রুটিটা যেহেতু নিরামিষ ভাবেই তৈরি করা হয়, তাই সে ক্ষেত্রে আর আলাদা কোনো কিছু ধোয়া মোছার প্রয়োজন পড়ে না।
শাশুড়ি মা আজ রুটি করেছেন। তবে তরকারি আমি করেছিলাম। শুভও বলল রাতে রুটি খাবে, তাই যে ভাত ছিল সেটা আমি, শাশুড়ি মা এবং পিকলু খেয়েছিলাম। বাকি শ্বশুর মশাই, পিসি এবং শুভ রাতে রুটি খেয়েছে।
খেতে বসে অনেক পুরোনো দিনের গল্প শুনছিলাম পিসির মুখে। গল্পের বিষয় ছিল "তাল"। আমার শশুর মশাই এবং পিসি তাল খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। বিশেষ করে তালের ক্ষীর।
তাই কথা প্রসঙ্গে জানতে পারি, আমার শশুর মশাইদের বাড়ি অনেক তাল গাছ ছিলো। বড় একটা পুকুরের চারপাশ ঘিরে ছিল এই তালগাছ। রাতের দিকে ভয়ে অনেকে সেই তালগাছ তলা থেকে তাল আনতে পারতো না। তাই ভোরবেলায় পিসি এবং বাপি(শশুরমশাই) দুজনে মিলে গিয়ে তাল কুড়িয়ে নিয়ে আসতো।
এইসব নানান গল্প শুনতে শুনতে ডিনার শেষ করে, আমি আমার কাজ নিয়ে বসলাম। এরপর পোস্ট করে তারপর শুতে যাবো। বাংলাদেশ সচক্ষে কখনো দেখা না হলেও, গল্পের মাধ্যমে বহুবার বাংলাদেশের ভিন্ন জায়গা সম্পর্কে শুনেছ, আর কল্পনার চোখে দেখেছি বলতে পারেন।
যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে আজকের দিনটি মোটামুটি ভালোই কাটলো। আপনাদের দিন কেমন কেটেছে অবশ্যই জানাবেন। আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভ রাত্রি।










💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on 🧵"X"🧵 by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 0/9) Get profit votes with @tipU :)
Congratulations, your post has been curated by @dsc-r2cornell. You can use the tag #R2cornell. Also, find us on Discord
Felicitaciones, su publicación ha sido votada por @ dsc-r2cornell. Puedes usar el tag #R2cornell. También, nos puedes encontrar en Discord
Thank you for your support @shiftitamanna ma'am. 🙏