Better life with steem || The Diary Game || 10th May, 2024 ||
গতকাল সারাদিনের বেশ কিছু মুহূর্ত
"সুপ্রভাত সকলকে
গতকাল লেখা শেষ করেছিলাম,তবে পোস্ট করতে পারিনি, তাই আজ সকালে করলাম।"
গতকাল লেখা শেষ করেছিলাম,তবে পোস্ট করতে পারিনি, তাই আজ সকালে করলাম।"
Hello,
Everyone,
ঘড়িতে এখন রাত ১.৫৭ মিনিট। সবেমাত্র কমিউনিটির কাজ শেষ করে পোস্ট লিখতে বসলাম।
শুরুতে জিজ্ঞেস করি কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি বেশ ভালো কেটেছে।
ভেবেছিলাম আজ এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করবো। কিন্তু সেটি আর হয়ে উঠলো না। তবে আগামীকাল অবশ্যই অংশগ্রহণ করবো, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যাইহোক এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, আমার আজকের দিনের গল্প। চলুন তাহলে সকালবেলা দিয়েই শুরু করি-
"সকালবেলা"
যেমনটা আপনারা জানেন, প্রতিদিনই কমিউনিকেটের কাজ সেরে শুতে শুতে বেশ রাত হলেও, সকালে ওঠাটা কিন্তু নিয়মমাফিক একটি নির্দিষ্ট সময়েই হয়ে থাকে। আজও তার অন্যথা হলো না।
মোবাইলে এলার্মের আওয়াজ পেতেই ঘুম ভাঙলো। তারপর এদিক ওদিক করে কিছু সময় কাটিয়ে উঠে পড়লাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে প্রথমে ছাদের গাছ থেকে পুজোর ফুল তুলে নিলাম। তারপর যথারীতি নিচে গিয়ে সোজা রান্নাঘরে গেলাম। শ্বশুরমশাই ও শুভর জন্য চা বসিয়ে, আমি সকলের রান্নার জোগাড় করলাম
শাশুড়ি মা বাজারে যাবেন এমনটা ঠিক ছিলো, কিন্তু গতকাল এতো বৃষ্টি হয়েছে যে, আদেও বাজার বসবো কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। তাই আজ আর বাজারে যাননি, আগামীকাল যাবেন।
যথারীতি নির্দিষ্ট সময়ে শ্বশুরমশাইকে চা দিয়ে, শুভর চা উপরে দিয়ে এলাম। অনেকদিন পিকলু আমার সাথে গেলো। যেহেতু মেঘলা ওয়েদার আছে, তাই অনেকদিন বাদে ওকে জানালায় বসিয়ে দিলাম।
শুভকে চা দিয়ে নিচে এসে, টিফিনের জন্য মোটামুটি রান্না শেষ করে নিয়েছিলাম, এরপর শুভ ফোন করে জানালো, শরীরটা খুব বেশি ভালো লাগছে না, তাই অফিসে যাবে না। আসলে গতকাল ফেরার সময় সম্পূর্ণ ভিজে এসেছিলো, তাই শরীরটা আজ বেশ খারাপ।
যাইহোক ও যাবে না শুনে ঘরের বাকি কাজে হাত দিলাম এবং শাশুড়ি মাকে বললাম শ্বশুর মশাকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিতে। শাশুড়ি মা শশুর মশাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলেন। এর বেশ কিছু সময় পরে শুভ নিচে নামলে শাশুড়ি মা ওকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিয়েছিলেন। আমি কাজ সেরে অল্প একটু জলমুড়ি খেয়ে, কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসে গিয়েছিলাম।
গতকাল রাতে এনগেজমেন্ট রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়নি, এই কারণে সকালবেলাতে বসে পড়েছিলাম সেই কাজটি সম্পন্ন করতে। আশা করছি রিপোর্টটি পড়ে সকলেই নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
যাইহোক কমিউনিটির আরো বেশ কিছু কাজ সারতেই আমার বেলা ১টা বেজে গেলো। তারপর তাড়াহুড়ো করে উঠে আমি স্নান করে, পুজো দিয়ে নিলাম। আজকে শুভ পিকলুকে স্নান করিয়ে দিয়েছিল।
"দুপুরবেলা"
পুজো দেওয়া শেষ করে আমি সমস্ত খাবার টেবিলে এনে রাখলাম। তারপর পিকলুকে খেতে দিলাম। শশুর মশাইয়ের খাওয়া অবশ্য ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছিল। শাশুড়ির স্নান করে এলে আমি, শুভ ও শাশুড়ি মা একসাথে আজকে লাঞ্চ করেছি।
লাঞ্চ শেষ করে একটু কমিউনিটির কাজ দেখছিলাম। কিন্তু কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি। হকচকিয়ে উঠে ফোন হাতে নিয়ে দেখি ৬.১০ বাজে। প্রায় এক লাফে বিছানা থেকে উঠে, মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। বাইরে তখন টিপ টিপ বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে।
"সন্ধ্যাবেলা"
দুপুরবেলাতে খবরে শুনছিলাম সন্ধ্যার দিকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এই কারণে তাড়াহুড়ো করে সন্ধ্যা পুজো দিয়ে, উপরের সব খোলা জানালা গুলো আটকে দিয়ে বসে পড়লাম কমিউনিটির বুমিং সংক্রান্ত কার্যাবলী নিয়ে। পিকগুলো তখন সবার সাথে উপরের ঘরের খাটে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলো। এরপর অ্যাডমিন ম্যামের সাথে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা শেষ করে, আমি কমিউনিটির কার্যক্রম দেখছিলাম।
"রাত্রিবেলা"
একটুবাদে শুভ ঘুম থেকে উঠে, নিচে গিয়ে বলল আজ রাতে সে চিকেন খাবে। অবশ্য আমিও অনেকদিন হলো খাই না। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছিলো, তাই খুব বেশি আপত্তি করলাম না।
শুভ বাইরে গেলো, ততক্ষণে আমি রান্না ঘরে গিয়ে সবকিছু জোগাড় করতে শুরু করলাম। ইতিমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের সকল মডারেটরকে ডিসকর্ডে ডাকলেন অ্যাডমিন ম্যাম। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি, আমরা নতুন একজন সদস্যার সাথেও পরিচিত হলাম। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আপনারাও সকলে তার সাথে পরিচিত হবেন।
এই কথা বলার ফাঁকেই আমি রান্না ঘরের কাজ মোটামুটি অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছিলাম। আজকে দীর্ঘ সময় ডিসকর্ডে কথা বলেছি, তাই ততক্ষণে রান্নাও অনেকটাই শেষ করে ফেলেছিলাম। চিকেনের সাথে রাতে আবার লুচিও তৈরি করেছিলাম।
যাইহোক তৈরি করা হয়ে গেলে আমি শশুর মশাই ও শুভকে খেতে দিয়ে দিলাম। পিকলুকে যেহেতু লুচি দেওয়া যাবে না, তাই আমি এক টুকরো মাংস খুব ভালোভাবে ধুয়ে কিছুটা ভাত মেখে ওকে দিয়ে দিলাম।
ওর ডিনার করা সম্পূর্ণ হলে, আমিও বসলাম ডিনার করতে এবং ডিনার করা শেষে সব কাজ গুছিয়ে আমি কমিউনিটির ভেরিফিকেশন শুরু করলাম। কিছুক্ষণ আগে ভেরিফিকেশন শেষ করে, এখন আবার নিজের পোস্ট লিখতে বসলাম। রাতের দিকে পোস্টটা করে রাখলে সকালে চাপ অনেকটাই কম থাকে। এই কারণে ভাবলাম আজ একটু দেরি হলেও পোস্টটা লিখি।
এই ভাবে আজকে আমি আমার দিনটা বেশ ভালোভাবে কাটালাম। জীবনের প্রতিটা দিন আমাদের ভালোভাবে কাটবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তবে হ্যাঁ, যদি খুব বেশি খারাপ না কাটে, তাহলে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
দুচোখে ঘুম জড়িয়ে আসছে। আদেও এখন পোস্ট করতে পারবো কিনা জানিনা। আপনাদের সকলের আজকের দিনটি কেমন কেটেছে অবশ্যই জানাবেন। আর আমার সারাদিনের গল্প পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো, সেটাও জানাতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন।
ছবি গুলো ক্রপ করার কারনে তারিখ পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং একটি ছবি আমি পূর্বেও ব্যবহার করেছি।
সারাদিন বেশ কাজকর্মের মাঝেই দিন পার করেছেন। সত্যি কথা বলতে কি এভাবে এত রাত জেগে প্রতিদিন কন্টিনিউ কাজ করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে আপনার জন্য। কিন্তু কি আর করার তবুও কাজ করে যেতেই হবে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাসার কাজকর্ম সেরে নিয়েছেন। আপনাদের ঐদিকে বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। গতকালকে আমাদের এদিকেও অনেক ভালোই বৃষ্টি হয়েছে।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মোটামুটি বলা যায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আপনার দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গেছে। আসলে ঘরের কাজ কেন যেন শেষ হতে চায় না। একটার পর একটা লেগেই থাকেন, হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে আবার হঠাৎ করেই উঠে পড়লেন। এভাবে হঠাৎ করে উঠে পড়লে, অবশ্যই কিছুক্ষণ বিছানায় বসে থাকবেন চুপচাপ। তা নাহলে আপনার শরীর আরো বেশি খারাপ করবে, আশা করি বিষয়টা পরবর্তী সময়ে লক্ষ্য রাখবেন
দাদার ইচ্ছাটা পূরণ করার জন্য চিকেন রান্না করেছেন, দেখতেই তো অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।