"নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা যেন কখনোই, নিজেদের সন্তানের মানসিক সমস্যার কারন না হয় "
Hello,
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা অনেক ভালো ভাবে শুরু হয়েছে
গত দুরাত ভালোভাবে ঘুম হচ্ছে না।কেন জানিনা দুদিন ধরে পিকলু রাতের বেলায় খুব বিরক্ত করছে। আসলে ও বরাবর দিনের বেলায় আমার রুমে আর রাতের বেলায় আমার শ্বশুর মশাইয়ের রুমে ঘুমাতে অভ্যস্ত।
কিন্তু গত দুদিন আমার শ্বশুরমশাই বাড়িতে নেই। উনি না থাকাকালীন পিকলু আমাদের সাথে আমাদের রুমে ঘুমায়। তবে এই রকম ভাবে ও আগে কখনো বিরক্ত করেনি ঠিক যেমনটা গত দুদিন ধরে করছে।
দিনের বেলাতে কোনো সমস্যা করে না কিন্তু রাতে ঘুমাতে গেলে ওর বোধহয় কিছু সমস্যা হচ্ছে বলেই ও রাতে ভীষণ বিরক্ত করে। যাইহোক সারারাত ঘুম হয়নি এবং সকালবেলাতেও খুব তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গিয়েছিল।
গত পরশুদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে ছাদের সামনে দাঁড়াতেই পাশের বাড়ি থেকে বেশকিছু মানুষের কথার শব্দ ভেসে এলো। আসলে এটা নতুন ব্যাপার নয়,আমি বিয়ের পর থেকে প্রায় দিনই এই বাড়িতে ঝগড়া, অশান্তি হতে শুনি।
যেহেতু এখানে আমাদের বাড়িগুলো একদমই পাশাপাশি তাই একটু জোরে কথা বললেই সেটা কানে ভেসে আসে। সত্যি কথা বলতে সকাল বেলাটা এই ধরনের অশান্তি শুনে শুরু করতে ইচ্ছে না করলেও, উপায় নেই।
আসলে প্রত্যেকের জীবনের লড়াইটা ভিন্ন।তাদের বাড়ির পরিবেশ ভিন্ন এবং তাদের জীবনের গল্পটা ভিন্ন, তাই নিজের জীবনের গল্পের সঙ্গে তাদের জীবনকে যদি আমরা গুলিয়ে ফেলি, তাহলেই সমস্যা।
যাইহোক অভ্যাসবশতই আমি সেটাকে পাত্তা না দিয়ে নিজে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে এলাম। একটু বাদে আমি সেই বাড়ির ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম এবং অদ্ভুতভাবে প্রতিদিনের মতোনই, বাচ্চাটার কান্না থামানোর জন্য তারা নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি বন্ধ করলো না।
বিশ্বাস করুন রান্না করতে করতে আসলে তখন আমি বাচ্চাটার কথাই ভাবছিলাম। আমরা বড়রা যখন নিজেদের মধ্যে কোন পারিবারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি করি, তখন কিন্তু আমরা বাড়ির ছোট বাচ্চাদের কথা একবারও ভাবি না। সত্যি কথা বলতে আমরা নিজেরা নিজেদের লড়াইতে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে, আমাদের ব্যবহারের ওপর কখনো কখনো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
কিন্তু আমরা এটা ভুলে যাই যে,আমার ছোট বাচ্চাটা আমার কথাবার্তা বা আমার আচরণ সবটাই কিন্তু সামনে থেকে দেখছে এবং দিনে দিনে ও যত বড় হবে, ওর যত বোঝার মত বুদ্ধি তৈরি হবে, আমার এই ব্যবহারগুলো ওর মনে দাগ কাটবে। একটা সময় গিয়ে দেখা যাবে বাচ্চাটাও আমাদের মতন ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
সেই মুহূর্তে যখনই বাবা-মা হিসেবে ওকে শাসন করতে যাওয়া হবে তখন ও ঘুরিয়ে এমন কথা শোনাবে, যে তখন নিজেদের কাছে আর কোন উত্তর থাকবে না। আপনারা লক্ষ্য করবেন হয়তো এই ঘটনা আজকাল প্রায় সংসারে ঘটে থাকে।
তার কারণ আজকাল সকলেই আমরা ভীষণভাবে আত্মকেন্দ্রিকতায় বিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। আত্মত্যাগ করার মতন মানসিকতা খুব কম সংখ্যক মানুষের মধ্যে রয়েছে। বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে ধৈর্য্য ধরার মানসিকতা আজকাল বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। যেই কারণেই নিজের ভালো থাকার লড়াই আমরা যে কোন ভাবেই লড়তে থাকি, অথচ আমরা ভুলে যাই আমাদের এই লড়াই একটা বাচ্চার ভবিষ্যতকে নষ্ট করে দিতে পারে।
এই কারণেই হয়তো আজকাল বাবা মায়েরা বাচ্চার কথা না ভেবে অনায়াসে ডিভোর্স নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এই ডিভোর্সটা তাদের জীবনের সমস্যা সমাধান করলেও, তাদের বাচ্চাটার জীবনে যে সমস্যার সৃষ্টি করে, সেটা সম্পর্কে আসলেই তারা একদমই ভাবে না।
হ্যাঁ তার মানে এই নয় যে, অন্যায় সহ্য করেও সংসার করতে হবে। যদি দিনের পর দিন আপনার বাচ্চা আপনাকে অন্যায় সহ্য করতে দেখে তাহলেও সেটা তার জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আজকালকার দিনে বেশিরভাগ পরিবারেই ছোট ছোট বিষয় অশান্তি হয়। ছোট ছোট আত্মত্যাগ না করার কারণে পরিবার ভেঙে যায়।
আসলে এডজাস্টমেন্টটা কখনো কখনো অনেক জরুরী,কিন্তু সেটা কখনোই যেন তার সীমা অতিক্রম না করে।এই কথাটা হয়তো আমরা জীবনে অনেক সময় শুনে থাকি যে সমস্ত কিছুরই একটা সীমা রয়েছে, সেই সীমা পর্যন্ত আমাদেরকে সবকিছু মেনে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু হ্যাঁ সীমা অতিক্রম করে গেলে তখন প্রতিবাদও আবশ্যিক।
আমি যতদিন থেকে আমাদের পাশের বাড়ির এই অশান্তি শুনেছি তাতে আমার বরাবর মনে হয়েছে সবথেকে বেশি ঐ বাচ্চাটি কষ্ট পায় তার বাবা মায়ের অশান্তির কারনে। যদিও জানি সবটাই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার আমি শুধু এই বিষয়টি নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করলাম।
যাইহোক, এইসব ঘটনা আপনাদের মনে কি ভাবে দাগ কাটে কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
সত্যি কথা বলতে আমার এই জিনিসগুলো কখনো খেয়াল করি না। আবার নিজেদের ঝগড়া-বিবাদ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি। যে আমাদের ছোট ছোট সন্তানের উপর,,, যে তার প্রভাব পড়ছে। সে কথাটা আমরা একেবারে ভুলেই যাই।
আপনার মতন করে আমার বাড়ির পাশের একটা বাড়ি আছে। ঘুম থেকে উঠে দরজা টা খুললেই,,, তাদের বাড়ি থেকে বিকট ঝগড়ার শব্দের আওয়াজ শোনা যায়। তাদের ঘরে তিন তিনটে ছোট ছোট বাচ্চা আছে। তারা তাদের কথা চিন্তা না করে,,, নিজেদের লড়াইটা প্রত্যেকদিন লড়ে যায়।
আসলে বাবা-মা হয়তো বা অনায়াসে ডিভোর্সটা নিয়ে নেয়। কিন্তু ডিভোর্স হওয়ার পরে,,, তারা নিজের মতন করে। নিজেদের জীবনটা শুরু করে ঠিকই। কিন্তু তাদের মাঝে যে সন্তানগুলো ছিল। তাদের জীবনটা একেবারেই শেষ হয়ে যায়। হয়তোবা মা বিয়ে করে তার স্বামী পায়। বাবা বিয়ে করে পায় তার স্ত্রী,,, কিন্তু তাদের সন্তানগুলো পায়না তাদের বাবা-মা হারিয়ে ফেলে,,, তাদের বাবা-মায়ের আদর।
আপনার পোষ্টের শীর্ষ প্রকটে আপনি যে কথাটা লিখেছেন। সেটার সাথে আমি সত্যিই একমত। আমরা ঝগড়া করবো,,, আমরা সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা হবে,,এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে ঝামেলার কারণে যেন,,, বাচ্চাদের উপর কোন রকম প্রভাব না পড়ে। সে বিষয়টা আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত মূল্যবান একটা বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,, ভালো থাকবেন।
#miwwc
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.ধন্যবাদ দিদি আপনার মূল্যবান কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আজকের আপনার কথাগুলো সত্যি আমার মনে দাগ কেটে গেছে। আসলেই তো আমরা বড়রা যা করি ছোটরা কিন্তু সেগুলোই শেখে। সেটা ভালো হোক বা মন্দ হোক।
আমার এলাকার বেশ কিছু পরিবার এমন আছে যারা তাদের ছেলে মেয়ের সামনেই খুব বাজে ভাবে ঝগড়া ঝাটি করে। ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর দিকে একবার তাকায়ও না। এগুলো দেখে আমার খুব খারাপ লাগে।
সত্যি দিদি আমরা যদি সকলেই এগুলো বুজতাম তাহলে আমাদের সমাজ আজ অনেকদুর এগিয়ে যেত।
#miwcc
Hola amiga me gusto mucho su publicación porque me puso a pensar que la educación inicial siempre comienza en la casa y nuestros hijos son el reflejo de lo que ven en sus padres mientras exista amor en la relación siempre se puede llegar a un acuerdo para no recurrir al divorcio mientras exista respeto entre la pareja bendiciones para ti tiene una familia hermosa siga cuidando de ella #miwwc