RE: "নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা যেন কখনোই, নিজেদের সন্তানের মানসিক সমস্যার কারন না হয় "
বিশ্বাস করুন রান্না করতে করতে আসলে তখন আমি বাচ্চাটার কথাই ভাবছিলাম। আমরা বড়রা যখন নিজেদের মধ্যে কোন পারিবারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি করি, তখন কিন্তু আমরা বাড়ির ছোট বাচ্চাদের কথা একবারও ভাবি না। সত্যি কথা বলতে আমরা নিজেরা নিজেদের লড়াইতে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে, আমাদের ব্যবহারের ওপর কখনো কখনো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
সত্যি কথা বলতে আমার এই জিনিসগুলো কখনো খেয়াল করি না। আবার নিজেদের ঝগড়া-বিবাদ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি। যে আমাদের ছোট ছোট সন্তানের উপর,,, যে তার প্রভাব পড়ছে। সে কথাটা আমরা একেবারে ভুলেই যাই।
আপনার মতন করে আমার বাড়ির পাশের একটা বাড়ি আছে। ঘুম থেকে উঠে দরজা টা খুললেই,,, তাদের বাড়ি থেকে বিকট ঝগড়ার শব্দের আওয়াজ শোনা যায়। তাদের ঘরে তিন তিনটে ছোট ছোট বাচ্চা আছে। তারা তাদের কথা চিন্তা না করে,,, নিজেদের লড়াইটা প্রত্যেকদিন লড়ে যায়।
এই কারণেই হয়তো আজকাল বাবা মায়েরা বাচ্চার কথা না ভেবে অনায়াসে ডিভোর্স নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এই ডিভোর্সটা তাদের জীবনের সমস্যা সমাধান করলেও, তাদের বাচ্চাটার জীবনে যে সমস্যার সৃষ্টি করে, সেটা সম্পর্কে আসলেই তারা একদমই ভাবে না।
আসলে বাবা-মা হয়তো বা অনায়াসে ডিভোর্সটা নিয়ে নেয়। কিন্তু ডিভোর্স হওয়ার পরে,,, তারা নিজের মতন করে। নিজেদের জীবনটা শুরু করে ঠিকই। কিন্তু তাদের মাঝে যে সন্তানগুলো ছিল। তাদের জীবনটা একেবারেই শেষ হয়ে যায়। হয়তোবা মা বিয়ে করে তার স্বামী পায়। বাবা বিয়ে করে পায় তার স্ত্রী,,, কিন্তু তাদের সন্তানগুলো পায়না তাদের বাবা-মা হারিয়ে ফেলে,,, তাদের বাবা-মায়ের আদর।
আপনার পোষ্টের শীর্ষ প্রকটে আপনি যে কথাটা লিখেছেন। সেটার সাথে আমি সত্যিই একমত। আমরা ঝগড়া করবো,,, আমরা সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা হবে,,এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে ঝামেলার কারণে যেন,,, বাচ্চাদের উপর কোন রকম প্রভাব না পড়ে। সে বিষয়টা আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত মূল্যবান একটা বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,, ভালো থাকবেন।