" নিজের কর্মের দায়ভার নিজেকেই বইতে হয়।"
জীবনে সবসময় এমন কাজ করা উচিত,যাতে নিজের কারনে অন্যের ক্ষতি না হয় |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং প্রার্থনা করি আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কাটুক।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের জীবনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করতে চলেছি। আমরা সকলেই ছোটবেলা থেকে বাবা মায়ের কাছে এটা শুনেই বড় হয়েছি যে, সব সময় আমাদের সত্যি কথা বলা উচিত। মিথ্যের আশ্রয় নেওয়া কখনোই উচিত নয়।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন আমরা বড় হতে থাকি, তখন বাবা-মায়ের দেয়া এই শিক্ষাটা কিন্তু আমরা ভুলতে থাকি। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে আমরা কিন্তু মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে থাকি।
অনেক সময় যদি একটা মিথ্যে কথা বলার পর কোনো একটা কাজে আমরা সফলতা অর্জন করি, তখন আমাদের মনে হয় বোধহয় এইভাবেই সফলতার শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, মিথ্যের পথ যতই সহজ হোক না কেন, সেই পথ কিন্তু আপনাকে এমন সফলতার জায়গায় পৌঁছে দেবে, যে সফলতা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
ঠিক উল্টোভাবেই সত্যের পথে চললে অনেক বাধা-বিপত্তি, অনেক হতাশা, আপনাকে ঘিরে ধরবে। কিন্তু তবুও যদি আপনি সত্যের পথ অবলম্বন করেই এগোতে থাকেন, তাহলে অনেক দেরিতে হলেও সফলতার শীর্ষে আপনি পৌঁছাবেন এবং সেই সফলতা হবে দীর্ঘস্থায়ী। সত্যের জোর আসলেই অনেক আলাদা এবং এই জিনিসটা কেবলমাত্র তারাই বুঝতে পারবে যারা সর্বদা সত্যের পথ অবলম্বন করে।
আমি এ কথা বলবো না যে জীবনে আমি কোনদিন, কখনোই মিথ্যে কথা বলিনি। কিন্তু এ কথা অবশ্যই জোর দিয়ে বলতে পারবো, অপ্রয়োজনে, অন্য কারোর ক্ষতি করার মানসিকতা নিয়ে,আমি কাউকে কোনো দিন মিথ্যা কথা বলিনি।
অবুঝ বয়সে হয়তো আমার ব্যবহার অনেককে কষ্ট দিয়ে থাকবে,কিন্তু বুঝতে শেখার পর থেকে, জেনে বুঝে কাউকে কষ্ট দিয়েছি, একথা আমার মনে পড়ে না। হ্যাঁ তার কারণে জীবনে অনেক কিছু পাইনি, অনেকের কাছ থেকে অনেক খারাপ ব্যবহার পেয়েছি,অনেকের অনেক খারাপ কথা সহ্য করতে হয়েছে, তবুও কেন জানিনা দিন শেষে নিজের কাছে নিজে যখন প্রশ্ন করেছি, তখন আমি আমার বিবেকের কাছে উত্তর পেয়েছি।
আমরা মানুষ, আর কথায় আছে মানুষ মাত্রই ভুল করে। আমিও ভুল করি, হয়তো রোজই করি। কিন্তু যদি সেই ভুলগুলো কেউ কখনো আমাকে ধরিয়ে দেয়, আমি সেটা স্বীকার করতেও পিছু পা হইনা। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যাদেরকে নিজেদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পরেও, নিজের ভুলটি স্বীকার করতে পারেনা।
বরং সেই ভুলটিকে সত্যিই প্রমাণ করার জন্য অযথা তর্ক করে। এইসব মানুষদের থেকে আমি সর্বদা দূরত্ব বজায় রাখতে পছন্দ করি। কারণ আমার মনে হয় তাদের সঙ্গে তর্ক করা মানেই নিজেকে তাদের সমকক্ষে নামিয়ে নিয়ে আসা। কারণ কিছু মানুষের ধর্ম আছে, তারা সর্বদা নিজেকে সঠিক মনে করে এবং অন্য মানুষদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পছন্দ করে। আর সেই কাজ করার জন্য তারা অন্য মানুষটিকে যে কোনো রকম ভাবে আঘাত করতেও দুবার ভাবে না।
কিছু কিছু মানুষের কাছে নিজের স্বার্থটাই সর্বোচ্চ এবং নিজের স্বার্থ পূরণের জন্য আজকে যে মানুষটিকে তারা মাথায় করে রাখে,দুদিন বাদে সেই মানুষটিকে মাটিতে ছুড়ে ফেলতে তারা দুবার ভাবে না। বড় অদ্ভুত লাগে এই সকল মানুষদের ব্যবহার।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের চারপাশে এই সকল মানুষের ভিড় বড্ড বেশি। আর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে নিজেদেরকে সঠিক পথে চালনা করা সত্যিই অনেক কঠিন। কিন্তু কথায় আছে সত্যের পথ সর্বদাই কঠিনই হয়।
আমি সত্যিই জানিনা আগামী দিনে জীবনে একটি পরিস্থিতি আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আমি কতদিন পর্যন্ত নিজের বাবা মায়ের শিক্ষা দিয়ে নিজেকে সঠিক পথে চালনা করতে পারব, তবে এখনো পর্যন্ত নিজের কারণে কারোর ক্ষতি হয়নি বা ইচ্ছাকৃতভাবে কারো কোনো ক্ষতি করিনি, এই ভাবনাটুকুও মনে অনেক শান্তি আনে।
নিজেরা হিসেব না রাখলেও আমাদের কৃতকর্মের হিসেব ঈশ্বর রাখেন |
---|
আপনারাও চেষ্টা করবেন যাতে আপনার কারণে অন্য কারোর ক্ষতি না হয়। অনেক সময় আমরা মনে করি আমাদের ভুলগুলো দেখার মতন হয়তো কেউ নেই, কিন্তু আমরা ভুলে যাই ওপরের একজন আছেন যিনি সব সময় আমাদের কার্যক্রম লক্ষ্য করেন। তিনি জানেন কোন ভুলটা আমরা ইচ্ছাকৃত করছি, আর কোনটা অনিচ্ছাকৃত।
তাই আপনি হিসেব রাখতে পারেন না, বা নাই পারেন। তিনি কিন্তু আপনার কর্মের হিসাব রাখছেন এবং আপনার কর্মের দায়ভার আপনার উপরেই বর্তাবে, এটাই কিন্তু পৃথিবীর নিয়ম।
ভালো এবং মন্দ নিয়েই কিন্তু আমরা মানুষ। আমাদের মাঝে যেমন ভালো গুন আছে তেমন মন্দ গুনও আছে। কিন্তু আমরা ইচ্ছে করলেই আমাদের মন্দ গুনগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো থেকে বেড়িয়ে আসতে পারি। আর তা যদি না পারি তাহলে আমরা কখনই প্রকৃত মানুষ হতে পারবো না।
দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বাস্তবধর্মী একটি লেখা আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য। আপনার কথাগুলো আমরা বাস্তবজীবনে কাজে লাগাতে পারলে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে সমাজে পরিচিত হতে পারবো। ভালো থাকবেন দিদি।
অনেক মূল্যবান লেখা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সত্যের পথেই নিজেকে পরিচালিত করা। সত্যের পথে চলা হয়তো বা কঠিন তবে আত্মতৃপ্তি অনেক বেশি।
ভুলগুলোকে শুধরে নেওয়ার অন্যতম লেখনী। অনেক ধন্যবাদ জানাই এমন পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। কেননা ভুলগুলো যখন বুঝতে পারা যায় তখন শুধরে নেওয়া একজন মনুষ্যত্ববোধ ব্যক্তির দায়িত্ব।
¡Congratulations!
This post has been supported through the account Steemcurator06. for containing good quality content.
অসম্ভব সুন্দর এবং অনেক মূল্যবান একটা টপিক আজকে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন! আসলে আমরা বর্তমান সময়ে অনেক মানুষকেই দেখতে পাই! যারা নিজের স্বার্থের জন্য,,, অনেক কিছুই করতে পারে।
তবে সত্যের সাথে নিজেকে এগিয়ে নেয়াটাই সবচাইতে বড় একটা বিষয়! যেটা হয়তোবা প্রত্যেকটা মানুষ করতে পারে না! তারা মনে করে বর্তমান সময়ের সামান্য মিথ্যে দিয়ে যদি! তারা অনেক স্বার্থ অর্জন করতে পারে,,,, এটাই তাদের কাছে মূল্যবান।
আপনি আপনার পোস্টে বলেছেন,,,, কিছু মানুষের ধর্ম আছে! তারা নিজেদেরকে অনেক ভালো মানুষ মনে করে! আর অন্য সব মানুষদেরকে তারা কাঠ গড়ায় দাঁড় করায়।
একদমই ঠিক বলেছেন,,, এই মানুষগুলো নিজেদেরকে অনেক বড় মনে করে! কিন্তু যারা সত্যের পথে চলে! দিন শেষে তারাই,,, তৃপ্তি নিয়ে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।
খুবই ভালো লাগলো,,, আপনার পোস্ট পড়ে! নিজের জীবনের বাস্তবতাটা কেন যেন মনে হল!আমার সামনে ভাসতে শুরু করল! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, এত মূল্যবান একটা টপিক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! ভালো থাকবেন।