"নিজের ভালো থাকার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়"
Edited by canva |
---|
Hello,
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক সুন্দর ভাবে শুরু হয়েছে।
আমিও মোটামুটি ভালো আছি এবং আমার দিনটি বেশ কর্মব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছে। বিশেষত সকালের দিকেই আমার কাজের চাপ একটু বেশি থাকে।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবছি একবার বাড়িতে যাব। ঠাকুরমা মারা যাওয়ার পর তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফিরে আসার পরে, আর বাড়িতে যাওয়া হয়নি।সত্যি কথা বলতে বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছে বলুন বা টান কোনোটাই এখন আর অনুভব করি না।
বাড়িতে গিয়ে ওই ফাঁকা বাড়িটি দেখে কেমন লাগবে, এটা ভেবেই একটা অজানা ভয় বা খারাপ লাগা মনের ভিতরে কাজ করছে। যেই কারণে বাড়িতে যাওয়া উচিত জেনেও একটু পিছিয়ে আসছি।
আজ সকালে হঠাৎ করেই ঘুম থেকে উঠে কেন জানি না বাড়ির কথা মনে হলো। সত্যি কথা বলতে কোনো একটা অজানা কারণে মনটা খারাপ। খুব ইচ্ছে করছে কোথাও গিয়ে দুদিন নিজের মত থাকতে। আর মেয়েদের নিজের মতন করে থাকার জায়গা নেই বললেই চলে, কারণ মেয়েদের জীবনে এতো দায়িত্ব-কর্তব্য, তার সংসার সন্তান, সবকিছু সামলে নিজের মতো করে আর থাকা হয়ে ওঠে না।
বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবছি বাড়িতে গিয়ে নিজের মত দুদিন সময় কাটাবো। যেখানে কারোর নিয়ম অনুযায়ী আমাকে চলতে হবে না, সময় দেখে কাজ করতে হবে না, আমি নিজের মতন থাকতে পারবো, আমাকে কেউ কোনো রকম ভাবে বিরক্ত করবে না। যেহেতু বর্তমানে আমাদের ওই বাড়িতে কেউ থাকে না, তাই ওই বাড়িতে গেলে আমাকে কেউ কিছু বলবে না।
ঠিক উল্টোদিকে এটাও মনে হচ্ছে, ওই বাড়িতে গিয়ে আদেও কি আমি একা থাকতে পারবো? কারণ ওই ফাঁকা বাড়িতে হয়তো আমার দম বন্ধ হয়ে আসবে। নিজের মতো করে থাকতে গিয়ে, হয়তো আরো বেশি কষ্টে থাকবো।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে যখন জানালার পাশে একটু বসলাম, তখন বাইরের দিকে তাকিয়ে এটাই ভাবছিলাম, যে মেয়েদের কি আদেও নিজেদের মতো করে থাকার স্বাধীনতা কোনোদিনও তৈরি হবে?
উত্তর খোঁজার আগেই ঘড়ির অ্যালার্ম জানান দিলো, আমার কাজের সময় হয়ে এসেছে। তাই আবার সংসারের কাজ শুরু করলাম। সংসার মানেই দায়িত্ব কর্তব্য। আর এই দায়িত্বকর্তব্য পালন করতে গিয়ে আমরা নিজেরা বাঁচতে ভুলে যাই। একটা সময় নিজেরাই উপলব্ধি করি, নিজের জন্য কি করলাম?
কিন্তু উত্তর প্রত্যেকের কাছেই অজানা। আমিও যে নিজেকে প্রশ্নটা করি না তা নয়, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের মতনই আমার কাছেও কখনো কোনো উত্তর থাকে না। কোনো কোনো সময় মন খারাপ,হতাশা সবকিছু ঘিরে ধরে। তখন চুপচাপ নিজের মতো মন খারাপ করে বসে থাকি, বেশি কষ্ট হলে কান্না করি, আবার সবকিছু ভুলে উঠে দাঁড়াই,সংসার করি।
কিন্তু জীবনে সংসার করাটাই কি সব? নিজের জন্য বাঁচলে কি সত্যিই সংসারের কোন ক্ষতি হয়? নাকি সংসারটা আমার একার যে, সব দায়িত্ব আমার একাকেই পালন করতে হবে? আমার মতন এরকম প্রশ্ন আপনারা অনেকেই প্রতিনিয়ত নিজেকে করে থাকেন। যদিও জানিনা আপনারা কোনো উত্তর পান কিনা।
অনেক বছর বাদে এসে আমি উপলব্ধি করেছি, জীবনে সব কিছুর দরকার আছে। সম্পর্ক,সংসার,দায়িত্ব ও কর্তব্য আর তার পাশাপাশি নিজের ভালো থাকাটাও।আমি এখন ভালো থাকি। অন্তত চেষ্টা করি ভালো থাকার। জীবন কিন্তু একটাই আর সময় সময়ের মতো ঠিক বয়ে যায়, পরে থাকি শুধু আমরা। তাই সময় ফুরোবার আগেই নিজেদের খুশি নিয়ে বাঁচতে হবে, এটা আমি অনেক পরে বুঝেছি।
তাই আপনাদেরকেও বলব আপনারাও চেষ্টা করুন আপনাদের ভালো লাগার, আপনাদের ভালোবাসার দাম দিতে। দেখবেন দিন শেষে নিজের কাছে শুধু প্রশ্ন নয়, কিছু উত্তরও জমা হবে।
যাইহোক আজকের মত সংসারের কাজ মোটামুটি সব কাজ সম্পন্ন করে, এখন লিখতে বসলাম। তাই ভাবলাম আজকে নিজের মনের প্রশ্নটাই আমি আপনাদের সকলের কাছে জিজ্ঞাসা করি। আপনাদের উত্তরগুলো নিশ্চয়ই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন।
আপনারা সকলে ভালো থাকবেন। আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটা অনেক ভালো কাটুক এই প্রার্থনা করে আমার লেখা শেষ করছি।ধন্যবাদ।
ইচ্ছে তো অনেক ছিল, পূরণ করাটাও হলো না। বাড়িতে গিয়ে দুদিন নিজের মতো করে থাকতে সবার ইচ্ছে হয়, কিন্তু সেই ইচ্ছে আদৌ কি পূরণ হয়।
সবকিছু সামলে নিতে নিতে মনে হয় দায়িত্বটাই যেন শেষ হয় না। একটার পর একটা দায়িত্ব কাঁধে এসে ভর করে। মাঝে মাঝে নিজেকে মনে হয় আমি যেন এক চলন্ত মেশিন।
এই প্রশ্নগুলো প্রতিনিয়ত নিজেকে করার পরেও কোন উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রতিনিয়ত বারবার একটা প্রশ্ন মাথায় থাকে, সংসারের দায়িত্বটা কাঁধে নিয়ে, খুব বড় ভুল করে ফেললাম নাকি।
সংসার সন্তান আর পরিবারের জন্য নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিতে দিতে। একটা সময় নিজের জন্যই কোন সময় থাকে না।
সবার সেবা যত্ন, সবার খুশি আনন্দের দিকটা খেয়াল রাখতে রাখতে। আমরা নিজেরা কতটা ভালো আছি। সেই জিনিসটাই আমরা ভুলে যাই।
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনার মনটা অনেক খারাপ। আপনার মনের এই অভিব্যক্ত কথাগুলো, আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই মনে কতটা কষ্ট থাকলে। এ কথাগুলো আপনি লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।
সত্যি কথা বলতে রান্না-বান্না শেষ করে এসে যখন শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছিল। তখন আপনার পোস্ট পড়ছিলাম। পোস্ট পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই কেন জানি। নিজের জীবনের সাথে আপনার কথাগুলোর অনেকটা মিল খুঁজে পেলাম।
যাইহোক সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি। সবকিছু সামলে নিয়ে যেন, আপনি নিজের মতো করে বেঁচে থাকার জন্য একটু সময় বের করতে পারেন। অসংখ্য ধন্যবাদ। এই কথা গুলো শেয়ার করার পরে হয়তোবা আপনার মনটাও কিছুটা হালকা হয়েছে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc
হুম দিদি ঠিকই বলেছেন আমাদের জীবনের তাগিদে অনেক ভালো থাকা এমনিতেই জীবন থেকে চলে যায় ৷ যার যেটা জীবন থেকে বুঝতে পারে তারা ৷
আমাদের সবারই অনেক দায়িত্ব চলে একসময় তখন আর ভালো থাকা টা কাজ করে না সব গুলো হারিয়ে যায় পরিবারের কাছে ৷ তবুই চেষ্টা করে যেতে হয় নিজেকে একটু ভালো রাখার ৷
আর দিদি আপনাকে অনেক সুন্দর লাগতেছে এবং আপনার হাসিটাও অনেক সুন্দর আপনার এই হাসিটা যেনো সবসময় থাকে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন
#miwcc
আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে নিজেদের শরীরের প্রতি খেয়াল নিতে ভুলে যাই পাশাপাশি এই দুনিয়াতে আমরা দুই দিনের অতিথি হিসেবে এসেছি আজ আমি মারা যেতে পারি কাল আপনিও মারা যেতে পারেন কে মারা যাবে আগে কেউ কখনো বলতে পারে না।
সেজন্য আমাদের নিজেদের সবারই উচিত নিজেদের ভালোলাগা এবং ভালোবাসার মূল্যটা সবসময় বজায় রাখা।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
#miwcc
পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো দিদি।আপনার ঠাকুরমা পরলোক গমনের পরে আপনি আপনার প্রথম পোস্টে বলেছিলেন, "এখন আর বাড়ি ফেরা বা বাড়িতে আসার তেমন একটা টান থাকবে না বোধহয়"। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে সেই কথাটার সত্যতা প্রমাণই হয়ে গেলো😥😥
নিজের ভালো থাকাটা সত্যিই আমরা তখন খুব ফিল করি যখন আমরা প্রিয় কাউকে নিজের জীবন থেকে হারিয়ে ফেলি।
আপনার মতো আমারও সেই একই অবস্থা।বাবা মারা যাবার পর থেকে গত দুইটি বছরে হয়তো একটি দিনও আমি কাটাইনি যে দিনটিতে আগের মতো ফিলিংস আছে।
সবসময় মন খারাপ করে রুমের মধ্যে সারাটি দিন শুয়ে বসেই এখন বিছানাতে কাটে আমার অগোছালো জীবন একপ্রকার গৃহবন্দী রূপে😭
পুরোদিনের ক্লান্তি আর দুঃখ নিয়ে রাস্তায় বের হই সন্ধা রাতে,,অন্ধকারে নিজের অজান্তেই চোখ বেয়ে নেমে আসে অজস্র অশ্রু, আগে তো এমনটা কখনো হতো না।তবে এখন কেনো এমনটা হয় আমার সাথে??????
তখন বুঝতে পারি,হয়তো ভেতর থেকে এখন ভালো থাকতে চাই আমি,বাঁচতে চাই নিজের জন্য।কারণ বাবার মৃত্যুতে আমি খুব কাছ দেখেছি, এই জীবনে কেউ কারো নই,নিশ্বাসটা কোনোরকমে বন্ধ হলে নিজের স্বজনেরাই ব্যস্ত হয়ে ওঠে গোরস্থানে দাফনে😭😭😭😭😭
তারপরেও দিদি ভালো থাকার নাটকটা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যেতে হয় আপনাদের, আমাদের মতো মানুষকে।অপরের জন্য বেচে নিজেকে বাচিয়ে রাখতে হয় একটা জয়ান্ত লাশ হিসাবে।
#miwcc