আমার লেখা কবিতা- "হিসাব"
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে খুব ভালো আছেন এবং আজকে সপ্তাহের শুরুর দিনটি সকলেই খুব ভালো করে কাটিয়েছেন।
আজকে অনেকদিন বাদে আপনাদের সঙ্গে আরেকটা কবিতা শেয়ার করতে চলেছি। যদিও আমি খুব ভালো কবিতা লিখতে পারি না, কিন্তু আমার মনে হয় কখনো কখনো নিজের মনের ভাব প্রকাশের জন্য কিছু কথা লিখলে, সেটিও কিন্তু কবিতার রূপ নেন। যদিও কবিতাটি আমি অনেক আগে লিখেছিলাম, ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে কবিতাটি শেয়ার করি।
চলুন তাহলে শুরু করি-
|
---|
হিসাব |
---|
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি নেমেছে সবে,
এখনো পুরোপুরি থেমে যায়নি কাঁচা রোদের আনাগোনা।
অথবা বলা যায়, চন্দ্রলোকে দূর হয়নি,
পৃথিবীর বুকে জমে থাকা একরাশ বিষাদময় অন্ধকার।
তার মানে চলছে লাল নীল আবিরের খেলা।
কিংবা ধরুন শুরু হয়েছে দোল পূর্ণিমার রং উৎসব মেলা।
এমনদিনেও সূর্যোদয় হয় না আমার জীবন অরণ্যে।
যেখানে ঢাকা পড়ে থাকে মনের সমস্ত চাওয়া।
হঠাৎ পড়া কোনো কবিতার লাইন মনে পড়ে যায়,
মনে পড়ে কোন লেখকের একছত্র লেখনীর টান,
যা ব্যর্থ করে দেয় জীবনের সব চাওয়া পাওয়া।
বুঝতে পারি, গভীর সমুদ্র আশ্রয় নিয়েছি,যার তল খুঁজে পাওয়া আমার সাধ্য নয়।
তাই নিরুপায় হয়ে লিখতে বসি একাকীত্ব ঘোচাবার জন্য, নিজেকে আরও একবার ভালোভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য।
হিসেবের খাতায় সঞ্চিত কিছু আছে কিনা,
কিংবা কিছু বাকি পড়ে আছে কিনা,
সেই সব কিছুই যেন আজ অনেক নগণ্য মনে হয়।
উপেক্ষা আর অভিমানের প্রতিশব্দ খুঁজতে থাকি,
যদিও জানিনা তার আসল মানে ভালোবাসা কিনা।
জানিনা যা আঁকড়ে আছি একান্তই নিজের বলে,
তার কতটা পাবার যোগ্যতা আমার অর্জিত।
আজ হিসাব মেলাতে এসে দেখি কেবল শূন্যতা,
কেবলই না পাওয়ার আর্তনাদ চারিদিকে।
কারোর মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু পাবার জন্য, কোন গর্ব নেই আমার মনের মাঝে,
এক নিমেষে নিজেকে ঠেলে দিতে পারি একাকিত্বের আঙিনায়।
কিন্তু এই নীরব ভঙ্গিমা সইতে পারি না আর।
চাওয়া যদি আমার সীমা ছাড়িয়ে যায়, আমাকে ক্ষমা করিও।
যদি মনে প্রানে হও অন্য কারোর, তখন হয়তো হিসাব মিলতেও পারে।
আসলে প্রতি মুহূর্তে মানুষের জীবনের পরিস্থিতি সমান থাকে না, সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতিও বদলায় বদলায়। কখনো কখনো অনেক খারাপ লাগা থেকে আমাদের মনে অনেক রকমের প্রশ্ন জাগে। এরকমই কোন একটা খারাপ লাগার জায়গা থেকে আমি আমার এই কবিতাটি লিখেছিলাম।লাগার বললাম, কিছু কিছু সময় এমন থাকে, যখন মনের কথা কাউকে বলার মত পরিস্থিতি থাকে না। আর ঠিক তখনই যদি খাতা আর পেন হাতে নিয়ে বসা যায় তাহলে মনের কথাগুলি কবিতার রূপ নিয়ে নেয়।
আমার কবিতাটি আপনাদের কেমন লাগলো পড়ার পরে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন শুভরাত্রি।
আসলেই আপনি ঠিকই বলেছেন হঠাৎ করেই আমাদের কোন কবিতার লাইন মনে পড়ে যায়। হঠাৎ করেই মনে পড়ে কোন লেখকের লেখা এক টুকরো লাইন। হঠাৎ করেই মনে পড়ে কোন গানের একটা কলি। যেটা আমরা হয়তো বা নিজে নিজেই গাইতে থাকি।
ঠিকই বলেছেন আমাদের জীবনটা গভীর সমুদ্রের মতো। যেখানে আমরা আশ্রয় নিয়েছি ঠিকই কিন্তু এর তলা খুঁজে পাওয়া খুবই দুঃসাধ্যকর ব্যাপার ।তাইতো আমরা নিজেদের জীবনটাকে নিজেদের মতো করেই সাজাতে চেষ্টা করি সর্বদা।
আমাদের জীবনে হিসাবের খাতা সর্বদাই শূন্য থাকে। সেখানে বাকির পরিমাণটা থাকলেও সঞ্চিত কোন কিছুই আমরা খুঁজে পাই না। যেটা সর্বদা আমার ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে।
ঠিকই বলেছেন হিসাবের খাতাটা শূন্য চারদিকে শুধু আর্তনাদ, কারো কাছে কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কিছু চাওয়ার ইচ্ছেটা আজও আমার হয়ে ওঠেনি। শুধু নিজে থেকে তাদের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা, নিজের মধ্যে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা।
দিদি আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের মনের অবস্থা সব সময় একরকম থাকে না। কখনো খারাপ থাকে কখনো ভালো থাকে খারাপ সময়, এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যখন আমরা আমাদের মনের কথাগুলো। কাউকে ঠিকমত বলতে পারি না। সে সময়টা নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে।
আপনার মনের কথাগুলো আপনি আপনার কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো, আপনার কবিতাটা। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কবিতা আমাদের মাঝেও উপস্থাপন করার জন্য।
Muy lindo tu poemavrealmente me encanto
আপনার কবিতাটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো এবং আপনার কবিতার মধ্যে অনেক কিছুই বোঝার আছে।
আশায় থাকবো আরো সুন্দর সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করবেন।
অনেক ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য
হ্যা দিদি একদম খাটি কথা বলেছেন আপনার এই কবিতার মাধ্যমে। মনুষের খারাপ সময়গুলতে যখন তার পাশে৷ কেউ থাকে না,তখন মন ও মাথায় চলে বিভিন্ন রকমের কল্পনা। এই কল্পনা হয়তো তার নিজেকে নিয়ে অথবা তার চারপাশের মানুষগুলোকে নিয়ে অথবা তার চারপাশে থাকা পরিবেশ ও সমস্যাগুলো নিয়ে।এমন অবস্থায় মানুষের মাথায় আপনা আপনি কবিতার লাইন চলে আসে।হয়তো এই কারণেই কবিদের লেখা প্রায় সমস্ত কবিতাই বিরহের হয়ে থাকে।।