আমার মেয়ের হাসি
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। মা হওয়া মানে এক অদ্ভুত আনন্দময় দায়িত্ব। একটি ছোট্ট প্রাণকে নিজের ভালোবাসা আর যত্ন দিয়ে বড় করে তোলার প্রতিটি মুহূর্ত এক এক করে জীবনের সেরা স্মৃতিতে পরিণত হয়। সন্তানকে সবসময় হাসিখুশি রাখতে চাওয়া প্রত্যেক মায়ের স্বাভাবিক চাওয়া। আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই। আজ আপনাদের আমার মেয়ের এক চমৎকার দিন কাটানোর গল্প শোনাব, যেটি হয়তো আপনাদের মনে এক টুকরো মধুর অনুভূতি ছড়িয়ে দেবে।
আমার মেয়েটার এখনো ২ বছর হয়নি, আগামী ২৬ মার্চ তার দুই বছর পূর্ণ হবে। এতোটুকু একটা বাচ্চা পুরো সময় বাসার ভেতর বন্দি থাকলে একঘেয়েমি আর ক্লান্তি চলে আসে। তাই আমি আর আমার স্বামী মিলে সবসময় চেষ্টা করি আমাদের মেয়েকে হাসিখুশি রাখতে। মেয়েটা যাতে মন খুলে খেলতে পারে, সেই জন্য মাঝে মাঝে আমি তাকে নিচে নিয়ে যাই।আজও ছিল তেমনই একদিন। সকালবেলা নাস্তা আর যাবতীয় কাজ সেরে, স্বামীকে অফিসে পাঠানোর পর আমি মেয়েকে নিয়ে তৈরি হলাম নিচে যাওয়ার জন্য। যেহেতু মেয়েটা বল নিয়ে খেলতে খুব পছন্দ করে, তাই বলটা সঙ্গে নিয়ে নিলাম। কারণ অন্য বাচ্চাদের বল দেখলে সে নেওয়ার জন্য ছুটে যায়, কিন্তু সবাই তো আর নিজের খেলনা অন্যদের ছুঁতে দেয় না।
লিফটের সামনে গিয়ে একটু অপেক্ষা করতে হলো। কিন্তু আমার মেয়ের যেন এক মুহূর্তও ধৈর্য ধরার উপায় নেই। বারবার ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করছে। লিফটের দরজা খুলতেই সে ছোট ছোট পায়ে দৌড়ে চলল নিচে। আমিও তার পিছু পিছু গেলাম। নিচে নামার পর দেখি দুইটা বাচ্চা আগে থেকেই সেখানে খেলছে। মেয়েটা তাদের সঙ্গে বেশ আনন্দের সঙ্গেই মিশে গেল।খেলার সময় একবারও ওর চোখের মণি যেন থামে না। ছোট্ট হাতে বল ধরে ছুঁড়ে দেওয়া, দৌড়ে যাওয়া, আবার ফিরে আসা সবকিছুতেই মেয়েটার মুখে এক অদ্ভুত উচ্ছ্বাস। আমি পাশে বসে এইসব দৃশ্য দেখছিলাম। মা হয়ে সন্তানকে এমন খুশি দেখে হৃদয়টা ভরে ওঠে। আমি তাকে এক মুহূর্তও চোখের আড়াল করিনি। প্রতিটি পদক্ষেপে তার সঙ্গেই ছিলাম।
অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মেশার সময় ওর মধ্যে একধরনের উচ্ছলতা ফুটে ওঠে। অন্য বাচ্চারা তার সঙ্গে খেলার জন্য যতটা আগ্রহ দেখায়, আমার মেয়েটা ঠিক ততটাই সহজভাবে তাদের সঙ্গে মিলেমিশে খেলে। বল নিয়ে খেলা করতে করতে কখন যে সময়টা পেরিয়ে গেল, বুঝতেই পারলাম না।যখন সময় হলো ঘরে ফেরার, তখন মেয়েটা কিছুটা বিরক্ত হলো। খেলা ফেলে আসতে চাইছিল না। তবে তাকে বুঝিয়ে যখন উপরে নিয়ে এলাম, তখন সে আবার শান্ত হয়ে গেল। ঘরে এসে খেলা আর মজার মধ্যে তার চোখ জুড়ে ক্লান্তি ছেয়ে গেল। খেলার পর তার সেই নিদ্রামাখা মুখটা দেখে আমি তৃপ্তির নিশ্বাস ফেললাম।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমার মেয়ে হাসিখুশি ছিল। আর তার এই হাসি দেখতে গিয়ে আমার মনে হলো, পৃথিবীর সব সুখ যেন এই ছোট্ট মুখটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে।কেমন লাগলো আমার মেয়ের এই হাসিমাখা গল্পটা অবশ্যই জানাবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Congratulations... I have recommended this post to get support from Steemchiller and Realrobinhood.
Thank you so much
ছোট বাচ্চারা বাহিরে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করে তারা যখন খোলা মাঠে খেলাধুলা করে তখন মনে হয় তারা বন্দী খাঁচা থেকে মুক্তি পেয়েছে এটাই হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের একটা স্বভাব আপনার মেয়ে আজকে অনেক মজা করেছে হাসিখুশি ছিল যেটা দেখে আপনি অনেক বেশি খুশি হয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের মেয়ের অনুভূতি আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
সন্তানের হাসি বাবা মায়ের আনন্দের কারণ।। মাঝে মাঝে সন্তানের হাসির জন্য তাদের পছন্দের কাজগুলো করা উচিত যেমন আপনার মেয়ে বল নিয়ে খেলতে ভীষণ ভালোবাসে।। আর বাচ্চারা অন্য বাচ্চাদের দেখলে এমনি অনেক আনন্দ পায় সেইসাথে যদি তাদের সাথে খেলতে শুরু করে তাহলে অন্যরকম এক আনন্দ তাদের মধ্যে দেখা যায়।।