||প্রবাসীদের জীবন||২ আগস্ট ২০২৩||

in Incredible Indialast year
হ্যালো বন্ধুরা

কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তা দয়ায় ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো প্রবাসী দের জীবন কাহিনী নিয়ে কিছু কথা।

pexels-the-vanity-photography-co-13714499.jpg

ছবির উৎস
বন্ধুরা শুরুতে বলি আজকে এই প্রবাসী দের সম্পর্কে বলার বিশেষ উদ্দেশ্যে হলো আমার বড় ভাই। আমার বড় ভাইকে এস এসএসসি পরীক্ষার পরে এই প্রবাসী জীবন বেছে নিতে হয়।কারন আমাদের পরিবারে আর্থিক সমস্যা ছিলো অনেক।আর আমার ভাই এর ১বছর হয়ে গেছে প্রবাস জীবনের।আর আমার ভাই কে আমি অনেক মিস করি। কিন্তু কিছু করার নেই আমরা সবাই পরিস্থিতির শিকার।

pexels-arantxa-treva-959325.jpg

ছবির উৎস
আমরা সবাই জানি প্রবাস জীবন টা কতটা কষ্টের। প্রবাসের কাজ করা অনেক কষ্টের! কিন্তু তার চেয়ে ও বেশি কষ্টের হলো পরিবারের মানুষ দের থেকে দূরে থাকা। প্রবাসী সকল ভাইরা তাদের পরিবারের জন্য তাদের জীবন শেষ করে দেয়।প্রবাসে বসে তারা কি কাজ করে তা তাদের পরিবারের কাছে কোন ও সময় শেয়ার করে না! কারন তাদের কাজ এতোটাই কষ্টের যা পরিবারের মানুষ শুনলে অনেক কষ্ট পাবে। আমাদের দেশে আমরা একটু গরম সহ্য করতে পারিনা। কিন্তু আমাদের এইখানে যে সময় সব থেকে বেশি গরম থাকে তা সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশে তা সব সময় থাকে। আর তারা এত কষ্ট করে পরিবারের সদস্যদের কিছুই বুঝতে দেয় না।তারা এতো কষ্ট করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটায়। প্রবাসী জীবনটা সত্যিই অনেক কষ্টের।

pexels-edgar-toro-10951145.jpg

ছবির উৎস
প্রতিটি প্রবাসী হলো এক একটি যোদ্ধা। তারা আছে বলে আমাদের এখনো অর্থনীতির চাকা সচল আছে। তারা এত কষ্ট করার পরও অনেক প্রবাসী ভাই আছে যাদের পরিবার ও রাষ্ট্রে কোন ও মূল্য নেই। তারা অন্য দেশ থেকে যে আমাদের দেশে টাকা আমদানি করে তার পরে ও রাষ্ট্র কোন দিনই তাদের কে সম্মান করে না। প্রবাসীদের অর্থ দিয়ে আমাদের সব ইচ্ছে আমরা পূরণ করি কিন্তু এ প্রবাসীদেরই কোন ইচ্ছা পূরণ হয় না শেষ পর্যন্ত। তারা তাদের সব ইচ্ছেকে কবর দিয়ে তাদের পরিবারের ইচ্ছা কে গুরুত্ব দেয় যা প্রবাসী ছাড়া অন্য কারো দাঁড়া সম্ভব না। আমরা হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক প্রবাসীকে নিয়ে কষ্টের পোস্ট করি কিন্তু বাস্তবে আমরা কেউই তাদের কে গুরুত্ব দি না।

pexels-min-an-1629184.jpg

ছবির উৎস
প্রবাসীদের হাজারো স্বপ্ন থাকে যে তারা তাদের দেশে বাঁধবে ঘর কিন্তু প্রবাসী তাকে করলো পর। জন্ম ঠিকই বাংলাদেশে কিন্তু ঘুমোতে হয় প্রবাসে।হাজারো স্বপ্ন তাদের কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় তাদের।প্রবাসীদের টাকা থাকলে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাই খোঁজখবর নেয়। টাকা না থাকলে প্রবাসীদের কোন মূল্যই থাকেনা।তারা দেশে আসতে চাইলে তাদের বাবা বলে বাবা আর কয়টা বছর পরে আয় আমাদের বাড়ি উঠানো কমপ্লিট হয়নি আর তোর বোনের বিয়েতে অনেক টাকা পয়সা লাগবে।এইসব বলে তাদের কে আসতে নিষেধ করা হয়।শুধু মা ফোন দিয়ে বলবে বাবা বাড়ি কবে আসবি। প্রবাসীরা যতোই টাকা পয়সা ইনকাম করুন না কেন ও যতোই ভালো খাবার খায় না কেন ও তাদের চোখ এর কোনে এক ফোঁটা জল থাকবেই।

pexels-tokuo-nobuhiro-17064905.jpg

ছবির উৎস
প্রবাসীরা ভোরে উঠে কিছু খাবার থাকলে খেয়ে বের হয়ে পরে আর কিছু না থাকলে না খেয়ে বের হয়ে পরে।আর তারা এই ভাবে সারা সকাল কাজ করার পরে দুপুরে কম্পানি থেকে কিছু খাবার দেওয়া হয়।আর খাবার খাওয়ার সময় ও তাদের খুব কম দেওয়া হয়। খাওয়ার পরে আবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করার পরে বাসায় এসে আবার চিন্তায় পরে যায় রান্না করতে হবে কারন রান্না না করলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাদের এই ভাবে কেটে যায় সারা জীবন কষ্ট করতে করতে। আপনার হয়তো এই প্রশ্নটি করতে পারেন যে আমি এই সব কি করে জানলাম আমি মাঝে মাঝে ভাই এর কাছ থেকে কিছু শুনি বলতে চায় না তাও মাঝে মাঝে কিছু বলে আর বাকি কথা ইন্টারনেট প্রযুক্তি দেখে জানতে পারি।আর আমার কথা অনেক ভুল হতে পারে সবাই একটু ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন..!কারন মানুষ মাত্রই তো ভুল।

pexels-ulrick-trappschuh-15576553.jpg

ছবির উৎস
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই আশা করি সবার এই পোস্ট টি ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

" আমার পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ "
Sort:  
 last year 

আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছুই মনে পরে গেল।আমার বাবা ২৬বছর দেশের বাইরে ছিলেন। আমরাও মাঝে মাঝে তার কাছে যেয়ে থাকতাম।কিন্তু বাকি সময়টা আমরা এবং আমার মা কিভাবে মিস করতাম বাবাকে এটা নিজেরা ফিল করেছি।যখন ওইখানে থাকতাম তখন দেখেছি প্রবাসীরা কি পরিমানে কস্ট করে।বাবা রেডিওলজিস্ট ছিলেন।যার কারনে বাবা ভালোই থাকতেন।কিন্তু আমাদের দেশের বেশির ভাগ প্রবাসীরাই সারাদিন হাড় ভাঙা খটুনি খেটে দেশে টাকা পাঠান।দেশের রেমিট্যান্স তাদের পাঠানো টাকার ওপর নির্ভরশীল কিন্তু তাদেরকে আমরা উপযুক্ত সন্মানটুকুও দেখাই না।অনেক সময় তারা পরিবার থেকেও সন্মান পায় না।তাদেরকে অনেকেই কামলা বলে অভিহিত করে থাকেন মজা করে। এটা আসলে খুবই দুখঃজনক।যারাএত পরিশ্রম করে পরিবার ও রাষ্ট্রেকে একটা সন্মানজনক স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করে সন্মান দেখানো আমাদেরও কর্তব্য। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো আর সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

যেনে ভালো লাগলো যে আপনার বাবা রেডিওলজিস্ট ছিলেন আর তিনি ভালো ছিলেন। আমাদের এলাকায় ওপ্রবাসী ভাগ দের কামলা বলে ডাকা হয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য আমার পোস্টে করার জন্য।

 last year 

প্রবাস জীবন আসলেই অনেক কষ্টের, সবচেয়ে বড় কষ্ট আত্মীয় স্বজন দেশে রেখে দূরপ্রবাসে গিয়ে থাকতে হয়৷তাদের এমন ত্যাগে সচল থাকে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা।স্যালুট জানাই তাদের।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য এবং এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

Loading...
 last year 

প্রবাস মানেই কষ্ট,,, কষ্ট ছাড়া প্রবাস থেকে কখনো টাকা পাঠানো যায় না। কিন্তু আমাদের মত কিছু মানুষ আছে, প্রবাসের এক একজন ব্যক্তিকে এক একটা টাকার মেশিন মনে হয়। আমরা তাদের কাছে মাস না ফুরিয়ে যেতেই,,, টাকা চাওয়া শুরু করি। কিন্তু টাকা তারা কোত্থেকে দেবে,, যদি তাদের বেতন তারা সঠিক সময় না পায়। এই কথাটা চিন্তা করার মত মানুষের খুব অভাব।

প্রবাসীরা এক একজন মুক্তিযোদ্ধার মত,,, কারণ তারা যুদ্ধ করে প্রবাস থেকে আমাদের দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে সক্ষম হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, প্রবাসী ভাইদের নিয়ে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।ভালো থাকবেন।

আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন তাদের আমরা টাকার মেশিন মনে করি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য এবং এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 63706.48
ETH 2637.61
USDT 1.00
SBD 2.83