RE: ছোটো গল্প #২ – মদনবাবুর কিপ্টেমি
প্রথমে আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। হাড় কিপটে মদন বাবুর গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ও নিজের বাসায় কোনোদিন চিনি নিয়ে আসে না, বরং বাপ্পার দোকানে যে সে দিব্যি দুধ চা খায়। দু চোখে এক টাকা কম দেয় তাহলে সে অন্যের ব্যবহারে কাপের মধ্যেই চা খায়। তার প্রথম স্ত্রী পালিয়ে চলে যায় তাঁর হার কিপ্টেমির জন্য । বিয়ের রাতে যে আংটিটা দিয়েছিল তা গুনার তৈরি। ওরে গোল্ডপ্লেট করা।
মেয়ে ও মেয়ে জামাইরা আসার কথা শুনে তার মাথায় ভাজ। সাত দিন থাকবে এত টাকা সে কোথায় পাবে সে তো চার আনা পয়সা খরচ
করতে নারাজ।কিন্তু তার মেয়ে যাওয়ার সময় একটি গিফট দিয়ে গেল । ইউরোপ ঘুরার টিকেট এবং খাওয়া-দাওয়া সব ফ্রি। তা দিয়ে কিপটে মদন কেঁদে দিল।
তো এই গল্পের সারমর্ম হল। মৃত ব্যয় হওয়া
ভালো। তবে মাত্র অতিরিক্ত নয়। জীবনকে উপভোগ করতে হবে। হাড় কিপ্টেমি করে থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই।
খুব ভালো লাগলো, আপনি ঠিকই বলেছেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা সবাই কৃত্রিম হয়ে গিয়েছে হাসি আনন্দ ভুলেই গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমরা হাড় কিপটে মদন
চাই না। চাই হাজী মোহাম্মদ মহসিন এর মতো উদার মনের মানুষ।
মিতব্যয়ী হওয়া এবং সঞ্চয় করা প্রতিটি মানুষের জন্যই ভালো। তবে এই গল্পের প্রধান চরিত্র মদনবাবুর মতো হাড় কিপটে হওয়া কখনোই কাম্য নয়। আমাদের জীবন একটাই, সারাজীবন এরকম ভাবে কিপ্টেমি করে কাটালে জীবনটাকে আর উপভোগ করা হয়ে উঠবে না। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।