Incredible India monthly contest of March #1|Three tasks I like, and three I dislikes.
পছন্দ |
---|
অপছন্দ |
---|
Hello friends |
---|
সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
রমজানের প্রথম দিনই একটি চমৎকার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাদের মাঝে চলে আসলাম বন্ধুরা। প্রতিযোগিতা হলো যাচাই করনের মাধ্যম বা একটু গুছিয়ে বলতে গেলে বলা যায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পন্থা।
আমাদের এডমিন ম্যাম প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো খুব সুচারু ভাবে নির্বাচন করে থাকেন ।এমন কি নিজের মতো করে লিখার মতো বিষয়বস্তূ গুলোকেই সনাক্ত করেন। আজকের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তূ এর ব্যতিক্রম নয়। দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে সমস্ত কাজগুলো করে থাকি সবগুলি কিন্তূ আমাদের মনপ্রোত নয়। কিছু কাজ আছে যা দেখলেই মাথার রক্ত উঠে যায়। ফুরফুরে মেজাজটাও মুহূর্তের মধ্যেই ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়।
তেমনি এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করলে শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর হয় কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিজের একটা জগত তৈরি হয়। ওই জগৎটাকে যতক্ষণ বিরাজ করি ততক্ষণ ক্লান্তি বা স্টেজ কোনোটিই আমাদের সংস্পর্শে আসতে পারে না ।মোটকথা একটা ভালো লাগা কাজ করে ঐটুকু সময়।
তো বন্ধুরা কথার ছলে অনেক কথাই বলে ফেললাম। এখন মূল পূর্বে প্রবেশ করছি। প্রতিযোগিতা নিয়ম অনুযায়ী এই সুন্দর একটি বিষয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করার জন্য আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি ।তারা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে ,তাদের আবেগ অনুভূতিগুলো ও যাতে প্রকাশ করতে পারে।
এখানে উপস্থাপন করছি। আমি অনুরোধ করব আপনারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন এবং আপনাদের আকর্ষণীয় লিখা আমাদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
প্রচলিত একটি কথা আছে , ভালো ও মন্দের সংমিশ্রণ ই হলো জীবন। তেমনি কিছু ভাল কাজও থাকবে যা আমরা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, তেমনি কিছু বিরক্তকর কাজ ও থাকবে যা অনেকটা আমরা মনের বিরুদ্ধে ই করি।
এখন এই প্রতিযোগিতা নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর দানের মাধ্যমে আমি আমার অভিমত ব্যক্ত করার চেষ্টা করছি ।জানিনা কতটুকু আপনাদের হৃদয়ের দাগ কাটতে সক্ষম হব ,তবে আমি আমার সর্বোচ্চ টুকু দিয়েই চেষ্টা করছি। আপনাদের ভালোলাগা মন্দ লাগার অনুভূতিগুলো আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন যেন।
Which Three tasks you love to do, and three jobs you avoid in your daily life. Describe the reasons behind. |
---|
অন্ধকার না থাকলে যেমন আলোর মূল্য থাকতো না। তেমনি ভালো কাজগুলো না থাকলে ,অপছন্দের কাজগুলো আমরা চট করে সনাক্ত করতে ও পারতাম না। একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে,
"আদব শিখেছিস কার কাছ থেকে,
বেয়াদবের কাছ থেকে।"
এর মানে হলো বেয়াদব যে কাজগুলো করে আমি সেই কাজগুলো কখনো ই করি না। তাই আমি বলতে চাই আমার পছন্দনীয় কাজগুলো শনাক্ত করতে অপছন্দনীয় কাজগুলো খুব সাহায্য করে।
এখন আমি আমার অনেকগুলো পছন্দনীয় কাজের মধ্যে থেকে তিনটি পছন্দের কাজ আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি
- প্রথমটি হল
ঘুরে বেড়ানো:- আমি সময় সুযোগ পেলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। এত করে আমার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। অক্সিজেনের সঞ্চালন হয় এই ঘুরার মাধ্যমে। আমরা তো জানি প্রাণীকুলের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
আমি যখন সময় সুযোগ করে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই ,তখন আমি সবকিছুই ভুলে যাই বিশেষ করে কোন কিছু নিয়ে যখন খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে যাই বা ভেবে চিন্তে কোন কূল কিনারা খুঁজে পাই না, ঐ বিষয় টি নিয়ে আর ভাবতে ইচ্ছে করে না। তখন আমি মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পাওয়ার জন্য এই প্রন্থা টি অবলম্বন করি এবং এর ফলও আমি পেয়েছি।
- দ্বিতীয়টি হল:- পছন্দের খাবার রান্না করা
রান্না একটি শিল্প আর এই কাজটি খুব নিখুঁতভাবে করতে হয় ।একটু এরফের হয়ে গেলে এটি গো খাদ্যে পরিণত হয়। তাই আমি যখন সময় সুযোগ পাই মনের আনন্দে রান্না করতে পছন্দ করি । নিজে ও খাই এমন কি অন্য কে ও খাওয়াতে খুব ভালো লাগে আমার।
- তৃতীয়টি হল:- সাজুগুজু করা
যখনই আমার হাতে সময় হয় তখনই আমি ইচ্ছে মত সাজি কখনো শাড়ি পড়ে তার সাথে কিছু পছন্দের অনামেন্স পড়ে আয়নার সামনে নিজেকে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করি। মাঝে মাঝে ক্যামেরাবন্দি করে রেখে দেই, যদি কোন কারণে মন খারাপ হয় তখন ওই ছবিগুলো দেখি আর নিজের মনটাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।
এতক্ষণ তো আমার অপছন্দের কাজগুলোর কথা বললাম, এখন আমার তিনটি অপছন্দের কাজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
- প্রথমটি হল:-পুনরায় কোন কাজ করা
একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করে যখন একটি কাজ করি, তখন ওই কাজটি যখন পুনরায় করতে হয় তখন আমার খুব মেজাজ খারাপ হয়। নিজের উপর নিজের এত রাগ হয় কেন তারা ভালোমতো করল না ,কেন সঠিক মতো করতে পারল না ,সঠিক মত করলে তো এখন আর এই পন্ড শ্রম করতে হতো না।
যেমন ধরুন আমি খুব কষ্ট করে কয়েক ঘন্টা ব্যয় করে আমার রুমের কাপড় গুলো গুছালাম আমার পেয়ারের সোয়ামি🥰 একটি কাপড় খুঁজতেগিয়ে সমস্ত কাপড় লন্ডভন্ড করে রেখে দিল যা দেখে আমি একেবারে অগ্নিশমা হয়ে যাই।🥹🥹
- দ্বিতীয়টি হল:- বাসার ভারী কাপড় গুলো ধৌত করা।
আমার বাসার খালার মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় হয়ে গিয়েছে।তাই সে ভারি কাপড়-চোপড় ধৌত করতে পারে না। আর আমি লন্ডিতে ধৌত করে ও খুব একটা সুফল পাইনি। বিগত বছর গুলোতে কম্বলগুলোকে ড্রাইওয়াসে দিয়েছিলাম কিন্তু দুঃখজনক হলে ও সত্য এই কম্বলগুলো যখন আমি শীতের মৌসুমে ব্যবহার করিছি তখন আমার এলার্জির সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
তাই আমি যত কষ্ট ই হোক, এই ভারী কম্বল গুলোকে বাসায় পরিষ্কার করার চেষ্টা করি, আর এই কাজটি আমার কাছে অপছন্দনীয় ও বিরক্তিকর ও বটে।
- তৃতীয় টি হলো:- কাঁচা ধোঁয়া করা
রান্না করার পূর্ব প্রস্তুতি হলো কাঁচা ধোঁয়া করে নেওয়া। আর এই কাজটি আমার কাছে খুব বিরক্ত লাগে। তাই আমি সচারাচর এই কাজটি করি না বা অনেকটা এড়িয়ে যাই।
Do you think tasks that we avoid in our daily lifestyle are equally essential to perform? Justify. |
---|
এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলতে চাই অবশ্যই আমাদের এই কাজগুলোকে পছন্দের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলে ও আস্তে আস্তে মানিয়ে নেওয়া অভ্যাস তৈরি করা উচিত। কারন সবকিছুই আমাদের মনের মত হবে তা কিন্তু নয়। মনের বিরুদ্ধের বিষয় গুলো কে ও একটু স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে এবং ওই কাজ গুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যেতে হবে। তাহলে আর ওই বিরক্তিকর কাজগুলো করতে খুব একটা বিরক্তি অনুভব করব না।
Do you ever regret avoiding things in your life? Share your experience. |
---|
হ্যাঁ, অবশ্যই আমি অনুশোচনা করেছি। যেমন যে কাজগুলোকে আমি বরাবরই পছন্দ করি না, সেই কাজগুলোকে যখন আমাকে পুনরায় করতে হয় ।তখন মনে মনে ভাবি কেন এগুলোকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, যদি মানিয়ে নিতে পারতাম তাহলে তো এখন এই কাজগুলো করতে এত কষ্ট হতো না আমার।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যেদিন আমার কাজের খেলা অসুস্থ থাকে সেদিন তো আমাকে এই কাঁচা ধোঁয়ার কাজগুলো করতেই হয় ।তা মনের বিরুদ্ধেই হোক বা প্রয়োজনের তাগিদে ই হোক।
উপসংহারে আমি একটি কথাই বলতে চাই, সবকিছু আমাদের মনের মত করে হবেনা ।তাই পছন্দ হোক বা অপছন্দ হোক তা মেনে নেওয়ার মতো যোগ্যতা থাকতে হবে, সব পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া মতো মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
সত্যিই আমার খুব ভালো লাগলো ,এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং আমার মনের ভাবনাগুলো নিজের মতো করে প্রকাশ করতে পেরে। এডমিন ম্যাম কে পুনরায় ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। আজকের মত এখানেই লিখার সমাপ্তি টানছি,আল্লাহ হাফেজ।
প্রতিযোগিতা অংশ নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরই খুব চমৎকার ভাবে দিয়েছেন। একদম ঠিক কথা বলেছেন যে, অপছন্দের কাজ যদি না থাকতো তাহলে আমরা পছন্দের জিনিস বুঝতাম না।আমার দুই ছেলে করে আপনার বাসায় ভাই যে কাজটা করেন গুছানো কাপড়-চোপড় নষ্ট করে, সেইম কাজটা আমার দুই ছেলে করে। তাই আপনার বিরক্তি আর কস্টটা আমি বুঝতে পারছি খুব ভাল মতোই।
প্রতিযোগিতায় আপনার সাফল্য কামনা করছি।
সর্বপ্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।।
আজকের এই প্রতিযোগিতায় যে বিষয়টি ছিল এটি সত্যিই অনেক দুর্দান্ত।। আর এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনার পছন্দের কিছু অভ্যাস সম্পর্কে জানতে পারলাম যেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।।
আমাদের। এই প্রত্যাশায় রইলাম ,ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ম্যাম আমি অবশ্যই চেষ্টা করব এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।।
ম্যাম আপনার পছন্দের এবং অপছন্দের জিনিসগুলো জেনে খুবই ভালো লাগলো। ম্যাম সত্যি বলতে পৃথিবীতে মন্দ আছে বলেই ভালোর এত কদর। প্রতিটি জিনিসেরই ভালো মন্দ দুই দিকই বিদ্যমান। যদি একটি দিক থাকতো তাহলে হয়তো আমরা কোনটারই কদর বুজতাম না।
যাইহোক ম্যাম আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনি সকল প্রশ্নের উত্তর খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
অনেক ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্যে। খুব সুন্দর ভাবে প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়েছেন। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।
আমি আপনাকে ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য এবং খুব সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য,,
ঘুরতে যাওয়া আমি বেশ পছন্দ করি, জেনে ভালো লাগলো আপনার পছন্দ কাজের মধ্যে ঘুরতে যাওয়াকে রেখেছেন।।
আজকে আপনি চমৎকারভাবে আপনার ভালোলাগা এবং খারাপ লাগার কাজগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে কাপড়চোপড় পরিষ্কার করা এবং ছোট মাছ কাটা, যেটা আমার কাছে অনেক বেশি কষ্টকর মনে হয়। কিন্তু ছোট মাছ খেতে আমি খুব পছন্দ করি, সেজন্য কেটে নিতেই হয়। ধন্যবাদ পছন্দের এবং অপছন্দের বিষয়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ছোট মাছ খেতে আমি নিজে যেমন পছন্দ করি, ঠিক তেমনি আমার শ্বশুর মশাই ও ছোট মাছ অনেক বেশি পছন্দ করে। একদমই ঠিক বলেছেন যেই খাবার মজা সেটা একটু কষ্ট হলেও করতে হবে। সেই সাথে ছোট মাছের রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন। যেটা আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
পুঁটি মাছ আমার কাছে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। তবে আমার কাছে কাচকি মাছ খেতে ভালো লাগে। আমার মা মাঝে মাঝেই কাচকি মাছ দিয়ে নারিকেল দিয়ে রান্না করে। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায়, অনেক পরিমানে ঝাল দিয়ে রান্না করে যেটা আমার খুব প্রিয়। ধন্যবাদ।
না।