Better Life with Steem|| The Diary Game||24 June 2024||
Hello friends |
---|
আবারও চলে আসছি আপনাদের মাঝে আমার দিনের কার্যক্রমের কিছু অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা রাখছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। তো বন্ধুরা চলুন তাহলে আমার ব্লগে।
সকালের কার্যক্রম সমূহ |
---|
যেঊ এখন আমার স্কুল বন্ধ ,তাই ফজরের নামাজ পড়ে আবার খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ঘুম থেকে উঠি ।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বিছানা গুছিয়ে সকালের নাস্তা বানানোর জন্য কিচেনে চলে যাই ।আর সকালের নাস্তায় ছিল ব্রেড এবং চা ব্রেড চা খেয়ে কিছু কাপড় ছিল তা ভাবলাম যে ধুয়ে ফেলি তাছাড়া আজকে প্রচন্ড রোদ উঠেছে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই রোদের আঁচ অনুভব করতে পেলাম। তাই দেরি না করে বেশ কয়েকটি কাপড় ধোয়ার জন্য রেডি করলাম। তাছাড়া দেশে থেকে এসেছি অনেক কাপড় জমে গেছে ধোয়ার জন্য। দেশে যেগুলো নিয়ে গিয়েছিলাম সেগুলো তো ধোয়া লাগবেই। তাছাড়া বাসার বিছানা পত্র ও একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে বর্ষাকাল বলে এমনটি হচ্ছে ।একেবারে স্যাঁতস্যাঁতে একটা ভাব। তাই বিছানার চাদর গুলো উঠিয়ে ফেলেছি সাথে সাথে আগে থেকে ধোয়ে রাখা পরিষ্কার চাদর বিছানায় বিছিয়ে নিয়েছি এর সাথে সমস্ত রুম গুলো গুছিয়ে ফেলেছি।
দুপুরের কার্যক্রম সমূহ |
---|
সমস্ত কাজ গুছিয়ে মোটামুটি অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে ,তাই দুপুরের রান্না করার জন্য কিচেনে চলে যাই এবং দুপুরের রান্না শেষ করে গোসল করব বলে, মনস্থির করি এমন সময় পাশের বাসা থেকে এক ভাবি আসে তাকে কিছুটা সময় দেই ।দেশের খোঁজ খবর জানতে চায় তাই ওনার সাথে কিছু শেয়ার । কিভাবে দেশে সময় কাটালাম, সে সম্পর্কেও উনির সাথে কথা বললাম।পাশের বাসার ভাবি চলে যাওয়ার পর গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম ।যোহরের নামাজ আদায় করে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে,তারপর কয়েকটি খাতা কাটলাম ।ঈদের ছুটিতে দেশে যাওয়াতে খাতার লোড হয়ে গিয়েছে বেশি ।২৬ তারিখে স্কুল খুলবে স্কুল খুললেই খাতা দিতে হবে।
তাই এখন আর দেরি করা সম্ভব নয় , সেজন্য সময় সুযোগ করে খাতা কাটতে হচ্ছে।
সন্ধ্যা ও রাতের কার্যক্রম সমূহ |
---|
বেশিক্ষণ খাতা কাটলে মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। তাই ঘনলিটার দিয়ে এক কাপ চা লিখে নিলাম।
তারপর আবার কিছু খাতা কাটলাম। এদিকে ছেলেকে নাস্তা বানিয়ে দিলাম। ছেলেকে নাস্তা বানিয়ে দিয়ে আবার কিছুক্ষণ খাতা কেটে, রাতের রান্নাঘর জন্য কিচেনে চলে গেলাম। রাতের রান্না রেডি করে ডাইনিং টেবিলে খাবার দিয়ে দিলাম ।সবাই যার যার মত খেয়ে নিল। আমি এশারের নামাজ আদায় করে রাতের খাবার খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলাম। তারপর ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার আজকের দিনের কার্যক্রমের বেশ কিছু অংশ শেয়ার করে ফেলি। আপনাদের সাথে সবকিছুই কম বেশি শেয়ার করি ।তাই আমার দিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য বসে গেলাম।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের দিনের কার্যক্রম ,যা আমি আমার মত করে ব্যক্ত করার চেষ্টা করলাম। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি শুভরাত্রি।
TEAM 7
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.আপনার ডেলি যেসব কাজ কাম করেন সেসব কাজকাম আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, এসব বিষয়গুলো আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। তার চেয়ে ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো যেগুলো দেখতে আসলে অনেক সুন্দরী ছিল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
বাড়ি ফেলে কোথাও গেলে ডেটা দেশের বাড়িই হোক কিংবা অন্য কোথাও হোক ,বাড়ি ফেরত আসার পরে বস্তা ভর্তি কাপড় ধুতে হয় যা খুবই বিরক্তিকর। সেইসাথে বাড়িতে ঢুকলে মনে হয় ধ্বংসস্তূপে ঢুকেছি। সবকিছু নোংরা হয়ে থাকে। সেগুলি পরিষ্কার করতে করতে জীবন শেষ।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ম্যাম খাতা কাটতে আমার কেন জানি খুব ভালো লাগে। আমি যখন অনার্সে ছিলাম তখন ডিপার্টমেন্ট হেড স্যার আমাকে দিয়ে ইন্টারমেডিয়েট স্টুডেন্টদের খাতা কাটিয়ে নিতো। স্যার বলতো আমি নাকি খুব ভালো খাতা কাটতে পারি আর আমার নাকি ধৈর্য্য শক্তিও বেশ। তবে হ্যা আমি নম্বর দিতে কখনো কৃপণতা করতাম না। অনেক ছাত্র ফেল করার পরেও স্পেশালি কিছু নাম্বার দিয়ে তাদের পাশ করিয়ে দিতাম।
যাইহোক ম্যাম আপনার খাতা কাটার দৃশ্য দেখে আমার পূর্বের স্মৃতিগুলো মনে পরে গেলো। যেহেতু ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাসায় ফিরে এসেছেন সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই অনেকগুলো কাজ আপনাকে করতে হয়েছিলো। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো কাপড় ধোয়ার কাজগুলো। সব মিলিয়ে কর্মব্যস্তময় একটি দিন পার করেছেন আপনি। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।
*আর বলবেন না মজায় মজাই তো কিছুদিন ছিলাম বাসায় এসে দেখি কাজের পাহাড় একইভাবে হতভম্ব হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা ভাই। এলোমেলো হয়ে রয়েছে সবকিছু বাসায় না থাকলে বাসার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। তার মধ্যে খাতা কাটা চাকর রয়েছে তাই সব মিলিয়ে একেবারে অস্থির একটা অবস্থা দোয়া করবেন আমার জন্য।
আজ সকাল থেকে বেশ বাসার কাজ করেছেন,, প্রতিদিন এরকম সংসারে কাজ করতে করতে হয়তো আপনাদের অভ্যাস হয়ে গেছে আর কখন কি করতে হবে সেটাও খুব ভালোভাবেই জানেন।।
এটা একদম সঠিক বলেছেন মানুষ অভ্যাসের দাস একটি কাজ প্রতিনিয়ত করতে করতে সেটা তার একদম মুখস্ত হয়ে যান তারপর আর সমস্যা হয় না।।
আমরা ঘুমানোর সময় যেমনটা মনে করে, ঘুমাবো ঠিক তেমনটাই আমাদের সাথে ঘটবে।। একটা সময় আমি রাতে ঘুমানোর সময় মাঝ রাতে উঠেছি ঠিক মাঝ রাতেই আমি জাগনা পেতাম।।