Better Life with Steem|| The Diary Game|28 December 2024||my life style
Hello everyone |
---|
আজ আমার শরীরটা খুব একটা ভালো না। প্রচন্ড গলা ব্যথা, সাথে হালকা জ্বর। তাই প্রতিদিনের মতো খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারিনি, একটু বেলা করে ই ঘুম থেকে উঠেছি। কথায় আছে না, সমস্যা যখন হয় সবদিক থেকেই হয়। এদিকে আমার শরীরটা তেমন ভালো না, অন্যদিকে আমার কাজের মেয়ে বাসায় গিয়েছে। তার মেয়েকে শিয়ালে কামড় দিয়েছে তাই সে ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছে। এখন তো আর কিছু করার নেই ,এই শরীর নিয়েই নাস্তা বানাতে যেতে হল কিচেনে। আমার বাসায় ফ্রোজেন রুটি ছিল। তাই আজ সেই রুটি বের করলাম ফ্রিজ থেকে।
ফ্রিজ থেকে রুটি বের করে ,রুটিগুলো ভেজে নিলাম।
সবজি ও চা দিয়ে নাস্তা খেয়ে নিলাম। নাস্তা খেয়ে হসপিটালে গেলাম, হসপিটাল থেকে বের হয়ে দেখি শিশুদের টিকা দিবে, তাই টিকা কর্মীর হসপিটালে এসে প্রবেশ করল। আমি ওষুধ নিয়ে একটু ব্যাংকে গিয়েছিলাম কারণ বাসায় খরচ করার মতো তেমন টাকা নেই, ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে ব্যবহারের কাপড় গুলো ভিজিয়ে রান্নার জন্য চলে যাই।
রান্না শেষ করতে করতে কাপড়ের ময়লা গুলো একটু কাটলো ,তারপরে কাপড় গুলো ধূয়ে ছাদে নিয়ে রোদে দিয়ে আসছি। ছাদ ভর্তি কাপড়, আশেপাশের ছাদ গুলোতে ও ভর্তি কাপড় ছিল। কারন হলো আজ একটু রোদ উঠেছে তাই সবার কাপড় ধুয়ে মেলে দিয়েছে ছাদে।
দুপুর বেলা
দুপুর বেলা খাবার খেয়ে, একটু ছাদে গিয়েছিলাম, কিছুক্ষণ ছাদে থেকে, বাসায় চলে আসলাম, কারণ খারাপ লাগছিল,তাই ওষুধ খেয়ে একটু শুয়ে ছিলাম। মোবাইলটা হাতে নিয়েছিলাম কমেন্টস করবো বলে, কিন্তু এত খারাপ লাগছিল লিখতে ইচ্ছে করছিল না।
তাই মোবাইল রেখে শুয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
সন্ধ্যা বেলা
তাই সন্ধ্যায় রুম গুছিয়ে,চা বসিয়ে দিলাম চুলায়, নাস্তার জন্য,শরীর খুবই খারাপ বাসায় নাস্তা বানানো একেবারেই সম্ভব না। তাই বাসায় শন পাপড়ি ছিল, সাথে বিস্কুট দিয়ে চা খেয়ে ফেললাম সন্ধ্যার নাস্তা। আর আমি ও খেয়ে ফেললাম। জ্বরটা একটু কমেছে, কিন্তু গলা ব্যাথা কোনভাবে কমছে না। কোন কাজও করতে ইচ্ছে করছে না। আসলে সুস্থতা যে কি পরিমাণে নেয়ামত, তা অসুস্থ হলে বুঝা যায়।
রাতেরবেলা
রাতের বেলা আমি তেমন কিছু খাইনি, এমনিতেই শরীর ভালো না তাই খেতে ও ইচ্ছে করছিল না। তাছাড়া আমি সুস্থ অবস্থায় ও রাতে খুব একটা খাই না। যদি সন্ধ্যায় ভারী খাবার খেয়ে ফেলি সেদিন আর রাতে খাই না। এর কারণ হলো একটা সময় আমার খুব গ্যাসের সমস্যা ছিল। তাই ডাক্তার আমাকে সাজেস্ট করেছিল, সকাল সকাল খেয়ে ফেলতে বেশি রাতে না খেতে। আমি খুব উপকার পেয়েছি এই নিয়মটি মেনে।
এভাবে আমার দিনটি কাটলো, দোয়া করবেন খুব দ্রুত যেন সুস্থ হয়ে যাই। শরীর ভালো না থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা। এদিকে কমিউনিটিতে টুর্নামেন্ট চলছে শেষ দিকে লড়াই। আমার পারফরম্যান্স আগের চেয়ে খারাপ। কারণ কুলিয়ে উঠতে পারছি না শরীরের সাথে।
তো আজ এই পর্যন্তই থাক। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আনন্দে দিন কাটাবেন। সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
আপনার শরীর খারাপ জ্বর,গলা ব্যথা। এরপরও বিশ্রাম নেওয়ার কোন সুযোগই আপনি পেলেন না আজকে। এদিকে আবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে গৃহকর্মীটিও আসেনি। তাই আপনাকেই সব কাজ করে নিতে হলো। জ্বর সর্দিতে পানি নাড়ার কারণে হয়তো আপনার গলা ব্যথা আরো বেড়ে গেছে। আপনি বিশ্রাম নিন ওষুধ খান। সম্ভব হলে কালিজিরা গরম পানির ভাপ নিন। কিছুটা আরাম পাবেন। আপনার শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনাই করছি।
দোয়া করবেন আপু। লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করছি। গৃহকর্মী যে কি প্রয়োজনীয় আমাদের জীবনে, তা একদিন না আসলে বুঝতে পারি। অনেক কষ্ট হয়েছিল কাজগুলো করতে। কি করব করার তো আর কিছু নেই। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। শীতের এই সময়টায় আমাদের অনেকেরই এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাতে ঠান্ডা লাগলে এমনটা হওয়ার চান্স সবথেকে বেশি বেড়ে যায়। তাই আমাদের উচিত ঠান্ডা কোন কিছুকে এড়িয়ে চলা।
আপু আপনি অসুস্থ শরীর নিয়েও আজ অনেক কাজ করেছেন তাই আপনার প্রশংসা না করে পারছি না। একটি পরিবারকে চালাতে গেলে মাঝে মধ্যেই এমন অনেক সেক্রিফাইস করতে হয়।
ভালো থাকবেন আপু। আপনার ভবিষ্যৎ দিনগুলি ভালো কাটুক এই কামনা করি।
উপায় নেই তো কি আর করা। সাহায্য করার মত তেমন কেউ নেই। তাই অসুস্থ হলেও রেহাই নেই। তাছাড়া কিছু কাজ ফেলে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। যে কোন মূল্য হোক করতেই হবে।
তাই করে নিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শরীরের
যত্ন নিবেন।
আপানার শরীর খারাপ থাকার কারনে ঘুম থেকে উঠতে কিছুটা লেট হয়েছে।আজকে আর রুটি তৈরি না করে ফ্রোজেন রুটি দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছেন।
বুয়ার মেয়েকে শেয়াল কামড় দেয়ার কারনে সে গ্রামে গিয়েছে যার কারনে আপনার উপর কাজের চাপ বেড়ে গিয়েছে। জ্যান্ত মানুষকে শেয়াল কামড় দেয়,এটা জানা ছিলো না আমার।
এরপর হসপিটালে যান। আমি ঠিক বুঝতে পারি না আপনি কি টিচার নাকি ইন্টার্ন ডক্টর।
সুস্থ হয়ে উঠুন দ্রত।
ধন্যবাদ আপনাকে। আমি অসুস্থ তাই ডাক্তারের কাছে যাই। হ্যাঁ জ্যান্ত মানুষকে শিয়াল কামড় দেয় হয়তো আপনি জানেন না। বন্য শিয়াল গুলো খুব হিংস্র হয়। তারা খিদে পেলে পশু পাখির সাথে সাথে মানুষকে আক্রমণ করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় আপু,
তবে এত অসুস্থ হয়েও কিন্তু আপনি একদম বসে নেই সব কাজ আপনাকে করতে হচ্ছে, এরপরে আবার কাজের লোকটাও আজ বাসায় আসেনি ।যাকে বলে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা। আমি চেষ্টা কর্তার কাছে প্রার্থনা করছি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
আপু আপনি চাইলে রসুন সরিষা দিয়ে ভর্তা করে খেতে পারেন, এতে করে সর্দি কিছুটা কমে যাবে, এছাড়াও হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন গলা ব্যথা টা একটু কমবে, এছাড়াও আর একটা কাজ করলে খুব উপকার হতে পারে এটা আমার শাশুড়ি আম্মা আমি অসুস্থ হলে করেছিলো।
সেটা হলো গরম পানি যতটুকু পানি আপনার গায়ে সইবে, এরকম গরম পানি আপনি করে পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন ।যতক্ষণ পর্যন্ত না পানিটা ঠান্ডা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত। এবং এরপরে সরিষার তেল গরম করে হাতে এবং পায়ে লাগাতে পারেন। এতে করে আপনার ঠাণ্ডা ও সর্দি সমস্যাটা অনেকটা কমে যাবে।
ধন্যবাদ আপনাকে উপদেশ দেওয়ার জন্য। চেষ্টা করব বানিয়ে খাওয়ার জন্য। তবে আগের থেকে একটু ভালো ইনশাল্লাহ। ঔষধ খাচ্ছি ঘরোয়া চিকিৎসা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ,সমস্যা যখন হয় সবদিক থেকেই সমস্যা হয় ।যেহেতু এক শীতের দিন ,তারপর আপনি অসুস্থ আবার কাজের মেয়েও বাড়ি চলে গেল। কিন্তু কি আর করা মেয়েদের অসুস্থ শরীর নিয়ে সবকিছু করতে হয়।
আপনি ব্যাংকে গেলেন টাকা তুলতে, হসপিটালে ডাক্তার দেখিয়ে আসলেন এবং বাসায় এসে রান্না করলেন আবার কাপড়-চোপড় ধুয়ে দিলেন ।আসলে মেয়েদের কোন রেস্ট নেই সারাক্ষণ তাকে মেশিনের মত চলতেই হবে ।খাবার দাবার সঠিক মত খাবেন ও ঔষধ সঠিক নিয়মে খাবেন।
ঈশ্বরের কাছে প্রাথর্ণা করি আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ঠিকই বলেছেন দিদি কোন কাজেই ছাড় নেই। তাই না করে উপায় কি। ওষুধ খাচ্ছি আগের থেকে আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনিও ভালো থাকবেন শরীরের প্রতি যত্ন নিবেন।
শরীর ভীষণ অসুস্থ থাকার পরও নিজের ঘরে সংসারের কাজটুকু করে নিতে হচ্ছে। আসলে মেয়ে মেয়ে যখন জন্ম করেছি তখন শত শরীল অসুস্থ থাকলে সংসারের কাজটুকু করে নিতে হচ্ছে। আর শরীর অসুস্থ থাকলে কোন কিছু করতে খেতে কিছুই ভালো লাগেনা। রাতের বেলা কিছু না খেয়ে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। আপনার জন্য দোয়া রইল ও তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে যান।
হ্যাঁ আপু প্রচন্ড গলা ব্যথা সাথে জ্বর। এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আগের চেয়ে। প্রথম প্রথম তো কথাই বলতে পারছিলাম না। কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল না। কিছু করার থাকে না আসলে সংসারের কাজগুলো তো
করতেই হয়। তাছাড়া আমিতো একক পরিবারে থাকি সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউ নেই আমাকে। কাজের মেয়েটাও দেশে চলে গিয়েছেন ৫-৬ দিন হলো এখনো আসার নাম গন্ধ নেই। দোয়া করবেন আমার জন্য।